পরীক্ষার্থী
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক এবং তিনজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৭১ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৩৪ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তিনজন পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
১ বছর আগে
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে র্যাব-১৩।
শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ও এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় বেশ কিছু মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মোস্তাফিজুর রহমমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরে তাদের কাছ থেকে ২২টি মাস্টার কার্ড, ১৯টি ব্লুটুথ এবং ১৬টি মোবাইল ফোন ও ব্যাংক চেক জব্দ করা হয়।
র্যাব ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফন্যান্ট মাহমুদ বশির আহম্মেদ বলেন, প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আটকরা তাদের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্কালের সূত্র ধরে সন্দেহভাজন খুনি গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ৭ জন গ্রেপ্তার : র্যাব
১ বছর আগে
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে ১৬ দিন পর নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের সাপমারি এলাকায় ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভেসে উঠে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাইস আহমেদের লাশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিজ ঘর থেকে আরেক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনেশের বাজারের মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। এ বছর আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
এ বিষয় গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, লাশ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে লাশটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজারসংলগ্ন তিস্তা নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে যান। এরপর তারা নদীতে গোসলে নামলে ৬ বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকেন।
এক বন্ধু কেনো রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে ধরেন। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য দুইজন সেখানেই নিখোঁজ হন।
তারা দুজনেই এসএইচসি পরীক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভেসে ওঠে মুন্না আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থীর লাশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
১ বছর আগে
বনশ্রীতে ভবন থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি ভবনের সাত তলা থেকে পড়ে মোবাশ্বের হোসাইন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত আড়াইটার দিকে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মোবাশ্বের নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। চলতি বছর নোয়াখালী বালিয়াকান্দি নবকৃষ্ণ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
বর্তমানে সে রাজধানীর বনশ্রীর জি ব্লকে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় থাকত।
মৃতের চাচাতো ভাই কামাল হোসেন বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মোবাশ্বের সাততলার বারান্দার বেলকনি থেকে অসাবধানতাবশত বা মাথা ঘুরে উপর থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
১ বছর আগে
হাঁটুপানিতে বসেই চলছে পরীক্ষা!
পানিতে ভাসছে টেবিল, বেঞ্চ ও জুতা। পরনের জামাকাপড় ভিজছে। হাঁটুপানিতে বসে আছেন পরীক্ষার্থীরা। এই পানিতে হেঁটেই শিক্ষকরা এনে দিলেন পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র।
শিক্ষার্থীদের হাতে চলতে শুরু করে কলম। এটি কোনও নদী বা সাগর পাড়ের রোমান্টিক পরীক্ষা আয়োজনের চিত্র নয়। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার দৃশ্য ছিল এমনই!
শিক্ষার্থী, কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় টইটম্বুর কুমিল্লা নগরী। পুরো শহরেই জলাবদ্ধতায় হাঁটু পানি জমে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান
তবে নগরীর মনোহরপুর এলাকার সরকারি মহিলা কলেজের পরিস্থিতি পুরোপুরি বেহাল। তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মহিলা কলেজ। রবিবার দুপুরের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় কলেজ ক্যাম্পাস।
এসময় পরীক্ষা চলছিল স্নাতক চতুর্থ বর্ষের।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল আমাদের চতুর্থ বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ছিল। ১টা ৩০-এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বাসা থেকে বের হয়ে হলে যেতে যেতে ভিজে গেছি।
পরীক্ষা শুরুর আগের সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে ভরে যায়।
আমরা হাঁটুপানির মধ্যেই পরীক্ষা দিই। আমার সামনের বন্ধুর প্রবেশপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। সবাই ভিজে গেছে। হাঁটু সমান পানিতে শিক্ষকদের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্র ভিজে গেছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলেজের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হলে চার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। যে কারণে অনেকে পরীক্ষা শেষ না করেই বেরিয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পানি প্রবেশের ফলে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে পোকামাকড়, সাপ ও ময়লা। যা অনেক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনাত আনোয়ার উদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কুমিল্লাই ডুবে যায়। মহিলা কলেজ তো একটি অংশ মাত্র।
তিনি বলেন, কলেজটি বেশ পুরনো। ভবনগুলোও পুরনো। শহরের সমতলভূমি থেকে কালক্রমে কলেজ ক্যাম্পাস নিচু হয়ে পড়েছে। তাই পানি বেশি প্রবেশ করে আমাদের ক্যাম্পাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
এই সমস্যার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, টমছম ব্রিজ থেকে যে খালটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দিকে গেছে সেটি ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে। তাই এখন খালটি ড্রেনের মতো। পানি যেতে পারে না। সেই পানি আমাদের ক্যাম্পাসের দিকে চাপ দেয়। যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে ভিজে ভিজেই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেন।
যদি নতুন ভবন করা হয় তবেই উঁচু করে তৈরি সম্ভব। আমরা প্রস্তাবনা রাখছি, যেন আমাদের নতুন ভবন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার খাতা নিয়ে গেল বাড়ি, পরীক্ষার্থীসহ ২ শিক্ষক বহিষ্কার
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসির কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার খাতা জমা না দিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যায় এক পরীক্ষার্থী। রবিবার (২৮ মে) এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে।
পরে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে পুলিশ এসএসসি পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থীসহ দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর নাম আল-আমিন।
আরও পড়ুন: ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখতে হবে
এছাড়া বহিষ্কৃত দুই শিক্ষক হলেন- কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল হক ও হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আল-আমিন তার পরীক্ষার খাতা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। পরীক্ষা শেষে খাতা গণনার সময় একটি খাতা কম পাওয়ায় কেন্দ্রজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে জানা যায় আল-আমিন পরীক্ষার খাতা বাড়িতে নিয়ে চলে গেছে। পরে পুলিশ উপজেলার জামজামি থেকে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী আল-আমিনকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ডিউটি থেকে বহিষ্কার করা হয় কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল হক ও হাবিবুর রহমানকে।
আরও পড়ুন: মায়ের দোয়া চেয়ে পরীক্ষা হলে ছেলে, পরীক্ষা শেষে মায়ের জানাজায় ছেলে
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের হল সুপার আমার থানা থেকে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে খাতা উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও জানান, বাকি বিষয় তাদের হাতে। আমার শুধু খাতা উদ্ধার করে দিয়েছে।
হল সুপার ও আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা শেষে সবার অগোচরে আল-আমিন খাতা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। বিষয়টি শনাক্ত করে আল-আমিনের বাড়ি থেকে খাতা উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আল-আমিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রনি আলম নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার খাতা জমা না দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার কারণে এক পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল: ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
১ বছর আগে
এসএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল: ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে মোবাইলের মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নকল সরবরাহ ও অসদুপায় অবলম্বন করায় পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে এবং পাঁচ ডিজিটাল নকলবাজ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলো- ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন।
এদের মধ্যে মশিউর রহমান বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের, আর বাকি চারজন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মোবাইল মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা পার করেছেন তারা। শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের।
ধরা পড়লো সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তারের হাতে।
সন্ধ্যায় বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার।
তাসনিম আক্তার ইউএনবিকে জানান, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্টফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ মেসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদের ওই মোবাইলের মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদের নকল সরবরাহ করতো।
এছাড়া তাদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তাসনিম আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাহিরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো।
এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে।
এদিন ছিল পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পান।
তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এক নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তিনি যখন তল্লাশি শুরু করলেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। সেটি একজন কক্ষ পরিদর্শক উদ্ধার করেন।
আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেট পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমরা সকল পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের চেকআপ করে রুমে প্রবেশ করিয়েছি। কোন অবস্থায় যেন কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও তারা অতীব গোপনে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে মোবাইল নিয়ে রুমে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া তারা অন্যায়ের শাস্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
পরীক্ষার্থীর কান-মুখ খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চেয়ে রিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
ঢাবি’র তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ রিটটি করে আদালতে রবিবার ম্যানসন স্লিপ জমা দিয়েছেন।
শিক্ষা সচিব, ঢাবির ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিটে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া বিজ্ঞপ্তিটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আচার পালনে বাধা না নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ওই বিজ্ঞপ্তিরর কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি গমের চালানে বালু-কংক্রিট: চুয়াডাঙ্গায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ নারী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষায় সন্তুষ্টজনক ফলাফল (জিপিএ-৫) না পাওয়ায় সোমবার বিকালে এক পরীক্ষার্থী স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত প্রমা দত্ত নিঝুম (১৬) বাঁশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নির্মল চন্দ্রের মেয়ে এবং সে স্থানীয় খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে প্রমা দত্ত নিঝুম বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৬৭ পায়। কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরে বিকালের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরে থাকা স্যাভলন খেয়ে মারাত্নক অসুস্থ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
পরে পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
গফরগাঁও পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলফাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
প্রাইভেট না পড়ায় ফেল করানোর অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা
২ বছর আগে
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থী ও তার গৃহপালিত পশু শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
মৃত জয় মন্ডলের (১৮) বাড়ি সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ১৮ বছর বয়সী যুবক তার গরুকে গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির আর্থিং তারের সংস্পর্শে আসেন। গরুটিকে যে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটি তারের সঙ্গে আটকে যায়।
তিনি আরও বলেন যে গরুটি মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতেই খুঁটির মূল তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন তারের সংস্পর্শে এসে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জয় ও তার গরু।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নবদম্পতির মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
২ বছর আগে