ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
ঢাবি’র তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ রিটটি করে আদালতে রবিবার ম্যানসন স্লিপ জমা দিয়েছেন।
শিক্ষা সচিব, ঢাবির ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিটে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া বিজ্ঞপ্তিটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আচার পালনে বাধা না নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ওই বিজ্ঞপ্তিরর কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি গমের চালানে বালু-কংক্রিট: চুয়াডাঙ্গায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ নারী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট