ব্যবস্থা
নারীদের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে বগুড়ার প্রধান ঈদ জামাতে
বগুড়ায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের সূত্রাপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় (বড়) জামে মসজিদ, বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ডিসি অফিস মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে সম্প্রতি ঈদগাহ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া শহরের প্রায় শতাধিক ঈদগাহে সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় ঈদগাাহ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ডিসি হোসনা আফরোজা। এ সময়ে পাশের মাকার্স মসজিদে একই জামাতে নারীদের নামাজের জন্য ব্যবস্থা নিতে কমিটির সদস্যদের পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদসহ কমিটির সদস্যরা।
এই মাঠে এবারই প্রথম নারীরা পুরুষের সঙ্গে একই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এ সিদ্ধান্তে শহরের নারী মুসল্লিরা আনন্দিত।
১৯ দিন আগে
দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণ দুর্নীতিবাজ বলে ধারণা করেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব সচিব ও সরকারি দপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের গত ২০ মার্চ এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, যুগ্ম সচিব ও ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে গত ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি গঠন করে সরকার।
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে যাদের বিষয়ে জনমনে দুর্নীতিবাজ মর্মে ব্যাপক ধারণা রয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২৫ দিন আগে
মানহীন সার-কীটনাশক বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
দেশে মানহীন সার ও কীটনাশক বিক্রয়, বিপণন, মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়৷
সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সমন্বয় সভায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
সভায় কৃষি প্রণোদনা উপকারভোগী পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। মানহীন সার ও কীটনাশক বিক্রয়, বিপণন, মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
এছাড়া যেসব সার ডিলার লাইসেন্স পাওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বিএডিসির পদ সৃজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিএডিসি ও অর্থ বিভাগের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) রাজস্ব খাতে পদ সৃষ্টি সংক্রান্ত কার্যক্রম বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে।
৮৮ দিন আগে
গণমাধ্যমে হামলা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমে হামলা হলে আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি দ্যা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে হামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ‘এটা কেবল আইনি বিষয় নয়, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব মানুষের সঙ্গে সংলাপে বসে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট করা। তবে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে সেটা পালন করবে। গণমাধ্যমে হামলা হলে আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি জনগণ সভা-সমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে, সে আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।’
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট হয়ে যায়।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল, তা রাতারাতি বদল করে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তবে আমরা মেট্রোপলিটন পুলিশকে গ্রামে ট্রান্সফার করেছি, মফস্বলের পুলিশ ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি তো পরিবর্তন হবে৷ আমরা পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। পুলিশ সংস্কার কমিশন আছে তারা সুপারিশ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী অবস্থার মধ্যে আছি৷’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশে বিপ্লব পরবর্তী ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের ভেতরে যে নানা ধরনের শক্তির অংশ থাকে তাদের অনেক ভূমিকা রাখতে হয়। পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে। তবে নিপীড়কের ভূমিকায় যেন না যায় বা আমরা একটা পুলিশি রাষ্ট্র যেভাবে দেখেছি সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা উভয় সংকটের মধ্যে আছি। আমরা আশা করছি সে জায়গা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব। আমরা কখনোই চাই না পুলিশ জনগণের বিপক্ষে, ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়াক, আন্দোলনে গুলি চালাক৷’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র নিহতের বিষয়ে বিগত সরকারের দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে। বিগত ফেসিস্ট সরকারের লুটপাট করা টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। দেশে ও দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
১৪২ দিন আগে
বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আপনারা দেখেছেন কারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করার চেষ্টা করে। যারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কিছু লোক আছে তাদের চেষ্টা থাকে পরিস্থিতি যেন খারাপ থাকে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতাদের বলেছি আনন্দঘন পরিবেশে আপনারা অনুষ্ঠান করতে পারবেন। আপনারা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবেন করব এবং যে কোনো ধরনের সহযোগিতা আপনাদের দেব।
উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য জেলার বিষয়টি আলোচনা হয়নি। তাদের ভেতরে কী আছে এখন পর্যন্ত জানি না। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। পাহাড়ে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সেখানে ভালো নিরাপত্তা আছে।
দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পূজা দেখার জন্য গাজীপুর গিয়েছি। সুন্দর পরিবেশ দেখেছি। এবরের পূজাটা ভালোভাবে হবে। কোথাও কোনো খারাপ পরিবেশ হলে সেটাতো আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটার প্রতিকারে ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৯০ দিন আগে
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে কিন্তু সে তুলনায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ কারণে দেশে শিক্ষিত বেকার চরম আকার ধারণ করেছে।
শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শুধু শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার জন্য। আমি শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি আগ্রহ করে সেচ্ছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে কেউ চাপিয়ে দেয়নি। আমি সারা জীবন শিক্ষকতা করেছি তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়ুন: যেতে না পারা প্রায় ১৮০০০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজের অনেক বড় বড় দাবি দাওয়া আমার কাছে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিক এগুলোর সমাধান দিতে পারিনি বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। নিজেকে ছোট মনে হয়। এদেশের শিক্ষকরা বিশেষ করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষকরা আমাদের সমতুল্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। স্বল্প আয় দিয়ে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই শিক্ষকদের জন্য দুঃসাধ্য। এপরিস্থিতিতে শিক্ষকতা পেশায় মনোযোগ দেবেন কী করে?’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেসরকারি স্কুল ও কলেজের পরিচালনা বোর্ডের অপরাজনীতির ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা শোনা যেত। সব নিয়োগ ব্যবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কেন্দ্রীয়ভাবে যোগ্যতা নির্ধারণ করে পদায়নের কারণে শিক্ষকরা পরিবার ছেড়ে দূর-দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছে। তারা নিদারুণ দুর্দশা নিয়ে জীবন যাপন করে। মর্মান্তিক এ বিষয়গুলো পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়। আংশিক সমাধানের চিন্তা করা যায়।’
তিনি বলেন, শিক্ষকদের জবাবদিহির ও দায়িত্বজ্ঞানের বিষয় রয়েছে। শিক্ষকের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যা নিজ থেকে করা যায়। ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুলে এল কি না? তাদের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না? বিষয়গুলো শিক্ষকদের দেখা। ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকদের দরদ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলে অনেক কিছুই সহজ ও সুন্দর হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকারি রাজস্ব আয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিন্মতম পর্যায়ে রয়েছে। যে কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা যথাযথভাবে হচ্ছে না। সরকারি ব্যয়ে দুর্নীতি হ্রাস করতে পারলে এসব ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো সম্ভব। এটা একদিনে হবে না কিন্তু আমরা শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু আজ
শিক্ষা উপদেষ্ট আরও বলেন, ‘আমরা স্কুলের শিক্ষাক্রম নিয়ে দুরবস্থায় পড়েছি। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও নতুন দেশ গড়ার বিষয় স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্তিকরণ অবশ্যই দরকার। কিন্তু স্কুলের ছেলে মেয়েদের হাতে আগামী বছরের শুরুতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে হবে, তাই সংক্ষিপ্ত সময়ে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার কারণে আমাদের এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আগামীতে করা হবে।’
তিন বলেন, আমাদের একটি সুপরিকল্পিত জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা দরকার। আমাদের সময় সংক্ষিপ্ত পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখছি। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষকদের একটি আচরণ বিধি থাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের জ্ঞান ও বিবেচনা দিয়ে নিজস্ব আচরণ বিধি তৈরি করতে পারেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফয়েজ, ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসেন ভাইজ।
আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
১৯৪ দিন আগে
লাইসেন্স না থাকা পোষা পাখির দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত খামার ও পোষা পাখির দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স পেল নগদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২০ এর বিধি ৪ মোতাবেক লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোনো খামারি পোষা-পাখির উৎপাদন, লালন পালন, খামার স্থাপন, ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি করতে পারবেন না বা কোনো পেটশপ পরিচালনাকারী পোষা পাখি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না।
লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত খামার ও পেটশপ স্থাপন ও পরিচালনা করা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো ব্যক্তি উক্ত বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উল্লেখ্য, ১৪ আগস্ট বন অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রাজধানীর কাটাবনের পাখি মার্কেটে বিদ্যমান অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন বিভাগকে নির্দেশ দেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: উন্নত প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানে একীভূত লাইসেন্স পেল বাংলালিংক
২৩৯ দিন আগে
জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা সদস্যদের অসদাচরণের কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।
উল্লেখ্য, দোষী সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দোষী সাব্যস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান: আইএসপিআর
২৪৪ দিন আগে
দ্রুত দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রিজভীর
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা শেখ হাসিনার সৃষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।’
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পুলিশ বাহিনীকে উসকানি দিয়েছে তাদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিক্ষোভ ও আন্দোলন দমনে পুলিশের শর্টগানের মতো নৃশংস অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করাও সরকারের দায়িত্ব।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু শিশু-তরুণদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র তাদের নানা অর্জন পেছনে ফেলে এসেছে। ‘আমরা হাসপাতালে নিষ্পাপ শিশুদের কান্নাকাটি করতে দেখছি এটা শেখ হাসিনার অর্জন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, শর্টগানের গুলি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম মার খেয়ে ১২ বছরের শিশু থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণরা এখনও ঢাকা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাঁচার জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভয়াবহ বর্বরতা সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি গণতন্ত্রকামী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে এবং পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্রে সুসজ্জিত করে সমগ্র বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিতে দমন করেছিলেন।’
রিজভী বলেন, ভয়ংকর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করেছিল।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ৮০ বছরে পা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, 'এ অবস্থায় যে সকল শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরেছে, দেশবাসীর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যারা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন বিএনপির এই জেষ্ঠ নেতা।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় আহত রোগীদের দেখতে হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ পক্ষ থেকে রিজভীসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হামলায় আহত রোগীদের দেখতে হাসপাতালে যান।আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার: ফখরুল
২৪৬ দিন আগে
ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার বিজিবির
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার(২৯ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় এই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: কুমিল্লায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন কৌশলগত পয়েন্টে বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে বিজিবির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
২৬২ দিন আগে