আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়া ও সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তোপের মুখে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সরকারকে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ সমস্ত দেশ ও সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে, কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল এ সব দেখে তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, এখন কি করবে দিশা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ঐকমত্য
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা ও সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেখানে পৌঁছায় না, তারা সেখানে আলো ফেলে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করলেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ঢাকা পড়ে গেছে। এখন নির্বাচন উৎসব আমেজ শুরু হয়ে গেছে।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি হচ্ছে। রবিবার দেড় কিলোমিটার হেঁটে আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেছি। আর ভিড়ের কারণে আমাদের সাধারণ সম্পাদক ঢুকতেই পারেননি।’
বিএনপির ডাকা টানা হরতাল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছে না, জনগণ এমনকি বিএনপি সমর্থকদেরও এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বলেন, ‘রুহুল কবির রিজভী সাহেব অনলাইনে এসে যে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন এগুলো আসলে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো বা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়ার কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। একটি স্কুলে এবং বসে থাকা একটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, তিনটা বগি পুড়ে গেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ তো নয়ই, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এরা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। শুধু যারা গাড়ি-ঘোড়া-সম্পত্তি পোড়াচ্ছে তারাই নয়, যিনি কর্মসূচি ঘোষণা করছেন তিনি এবং এই নেতারা সবাই দুষ্কৃতিকারী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই আগুনসন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব, সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক, অনেক ক্ষেত্রে সমাজের পথপদর্শক, এই আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের লেখনী, রিপোর্টিং যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে কি না বা সংলাপ হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাই না, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। কেউ নির্বাচনে না এলে তাদের আনার দায়িত্ব সরকারের বা আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলে জনজীবনে অশান্তি, রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়, এগুলো দৃস্কৃতিকারীদের কাজ। আর যারা এভাবে গাড়িতে আগুন দেয় এবং নেতাদের কাছে সেই ভিডিও পাঠায় আর নেতারা বলে আগুন দিলে প্রমোশন হবে, তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে কি -সে নিয়ে আপনাদের বিবেক কী বলে?’
বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা-নীতি প্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। বিশেষ করে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রেও আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতা আছে। র্যাবকেও যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং ও ইকুপমেন্টও দিয়েছিল। ভিসা-নীতি ঘোষণার সময় বলা হয়েছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হতে পারে। এখন যারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে, আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এই নীতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তাভাবনা করবে, ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না।
তিনি বলেন, এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি-দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই-এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, তারমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে যে বলে-আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে 'বিশ্বনেতাদের বিবৃতি'র খবর প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে।
আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?'
১ বছর আগে
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে যে সব দলের কোনো খবর নাই, নাম নাই, ঠিকানা নাই, সভাপতি আছে সম্পাদক নাই বা সম্পাদক আছে সভাপতি নাই, সেই সব রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম-অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে জোট করে মাত্র ছয়টি আসন পাওয়া বিএনপি এবার তাদের সেই ২২ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে করল ১২ দলীয় জোট, তারপর নামসর্বস্ব রাজনীতির 'টোকাই'দের নিয়ে করেছে ৩৪ দলীয় জোট।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন উকিল আব্দুস সাত্তার। আপনারা যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, শতশত উকিল আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বিষধর সাপ, তারা এখন পদযাত্রার নামে দম নিচ্ছে, সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। এর নমুনাও পেয়েছি। সিরাজগঞ্জ ও অন্যান্য জেলায় তাদের পদযাত্রা থেকে আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা, পিস্তল উঁচিয়ে সন্ত্রাসী তাণ্ডব আমরা দেখেছি।
ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়ার ১০ বছর, এরশাদ সাহেবের সাড়ে ৯ বছরে রংপুর 'বিভাগ' হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে বিভাগ বানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন বানিয়েছেন, ঢাকা সংযোগ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে, যেখানে দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়ক এখনও চার লেন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, রংপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বকুলসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছি, এটির সঙ্গেও বিএনপির অপতৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। বাংলা ভাইকে মাঠেই নামিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাইকে পুলিশ প্রটেকশন দেয়া হয়েছিল। অপারেশন কিলিং কমান্ডার বাংলা ভাইয়ের নেপথ্যে গডফাদার ছিলেন রুহুল কুদ্দুস দুলু, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনু, আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আরও অনেকেই।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
এভাবেই জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল বিএনপি। তাদের সময়েই ৫শ’জায়গায় বোমা ফাটিয়ে জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে, যেটির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্ন সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা এবং সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা সত্ত্বেও তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ তারিখের পরিবর্তে এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করেছেন। যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি সময় নিয়ে মঞ্চ এবং তাদের প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেয়া সহজ কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, তাদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া ছিলো, সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। রাসেল স্কোয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করতো। সেই ছবিগুলো আপনারাই সংগ্রহ করেছেন এবং এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। তাদের আমলে যেভাবে আমাদের প্রয়াত নেতা মো. নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছিল, আমাদের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল, আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি, এভাবে তাদের কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি।
সরকার তাদেরকে সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করতে পারছে, যা তাদের সময় আমরা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হচ্ছে। এ দেশের জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।
তাদের যে ২২ দলীয় জোট যে কত দলীয় জোট সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপার তবে যাই হোক সেই জোটের মধ্যে সেই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতারা আছে যারা আফগানিস্তানের তালেবানি নীতি বিশ্বাস ও লালন করে এবং মনে মনে দেশটাকে আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যত্যয় সৃষ্টি করে, ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি ঢাকা শহরে আগুন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে। সভা উপলক্ষে তারা ধীরে ধীরে আবার বের হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির যে সমস্ত নেতা বড় গলায় কথা বলছেন, তারা এই অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থদাতা, মদদদাতা, হুকুমদাতা। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রবিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি কুমিল্লায় সমাবেশ করেছে। আপনারা হয়তো জানেন, শতাধিক গরু জবাই করে তারা একটি বড় পিকনিক করেছে কুমিল্লায়। পিকনিকের আয়োজন এমন যে, আগের রাত্রে অনেক মানুষ ছিলো পরের দিন অনেকেই চলে গেছে। কুমিল্লার জনসভায় মির্জা ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলেছেন, তিনি এই কথাও বলেছেন যে, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা না কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার কাউকে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার এবং গন্ডগোল করার সুযোগ দিতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্যেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটি হীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সভা করতে চায়। নয়াপল্টনের সামনে কোনো মাঠ নেই, সেটি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বড় রাস্তা। সেই রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন তারা সেখানে সভা করতে চায়!
তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এরপরও মির্জা ফখরুল সাহেব অসৎ উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।
তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ প্রস্তাব
এর আগে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এনজিও আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।
ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্তি, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাকজাত কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, তামাকপণ্য প্যাকেটে সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ ও ই-সিগারেট ও হিটেড তামাকপণ্য নিষিদ্ধ করা-ডরপ উত্থাপিত এই ছয়টি প্রস্তাব সেমিনারে আলোচিত হয়।
আজীবন অধুমপায়ী ড. হাছান বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন পরিমার্জন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। প্রস্তাবনাগুলো পরিমার্জিত আইনের খসড়ায় অন্তর্ভূক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।
ডরপ প্রেসিডেন্ট মো. আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিড়ি শ্রমিক ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী
তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে স্বজনহারা মানুষদের মাঝে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ত্রাণ ও অর্থসহায়তা বিতরণ শেষে ঢাকা ফিরে পরদিন যথারীতি দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের সময় অসুস্থ অনুভব করেন মন্ত্রী। শরীরে বেশ জ্বর থাকায় বিকালে সচিবালয় ক্লিনিকের চিকিৎসকরা তাকে দেখেন। তাদের পরামর্শে আইইডিসিআরের (ইনস্টিটিউট অভ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ) মাধ্যমে টেস্ট করানো হয়। মঙ্গলবারের রিপোর্টে তার করোনা ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর বিএনপিকে সবক্ষেত্রে প্রতিহত করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোতে ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় দায়িত্ব পালন শেষে প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকা সফরকারী ড. হাছান আগেও দু'বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমবার বিএসএমএমইউতে ভর্তি অবস্থায়ই শেষ দিকে হাসপাতালেই নথিপত্র স্বাক্ষর করেছেন, পরেরবার বাসাতেই ছিলেন। এবারও মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে রয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ড. হাছান মাহমুদ করোনাক্রান্ত হলেও তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
২ বছর আগে
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য চা বাগান মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে চা শিল্পে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করেন। তারা অনেক দরিদ্র এবং অসহায়। মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। চা বাগানের মালিকদের অনুরোধ করেছি, আপনার চা শিল্পে যারা কাজ করেন তাদের মজুরি সহানুভূতি, মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন। যতটুকু পারবেন আপনারা তাদের সঙ্গে বসে ঠিক করুন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দক্ষিণ ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। আমি মনে করি মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সহানুভূতি ও মানবিকাতর সঙ্গে বিবেচনা করলে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিবে এবং কাজ করে শিল্পকে অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। প্রতিষ্টার পর থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছি এবয় তার নেতৃত্বে আমরা সবাইকে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই দুঃখ, দুর্দশায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজপথে লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছেন তাদের বলতে চাই পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করে এই দলের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ লড়াই, সংগ্রাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এখন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়াদানে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার কোনো শক্তি নেই।
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখতে হবে। আর না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তির পরিবেশ রাখা দুরূহ হবে।
২ বছর আগে
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রায় সময় বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, যার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিএনপি যে বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে সেটির প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের আর বি কনভেনশন সেন্টারে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একজন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন -এমন ঘটনা আমাদের দেশে আগে কখনও আমরা দেখি নাই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, বিএনপি সেটিকে বিকৃতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি যা বলেননি সেটি তারা মিডিয়ার সামনে বলেছেন। সে কারণে জার্মানির মত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।'
তিনি বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি তো জনগণের সঙ্গে নয়, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে দৌড়ে যায়, বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজের স্বাক্ষরে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।'
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য 'ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত' এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন এবং যে কোনো গন্ডগোলকে আশ্রয় করে বিএনপি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, নিউমার্কেটের ঘটনাটা সেটির একটি প্রমাণ। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই আসামিদের গ্রেপ্তার করছে এবং এখন নিজেদের মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে বিধায় বিএনপি নেতারা নানা ধরনের কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকার চাকুরে ছিলেন জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়ই কারাগারের বাইরে খালেদার ঈদ উদযাপন : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মে (ইউএনবি) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শনিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়ই কারাগারের বাইরে খালেদার ঈদ উদযাপন করেছেন।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মহানুভবতায় শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তার তো হাসপাতাল নয় কারাগারেই ঈদ করার কথা। এজন্য বিএনপির উচিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।'
আরও পড়ুন: ঈদে করোনামুক্তি ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য তথ্যমন্ত্রীর প্রার্থনা
দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বিএনপি ও তাদের মহাসচিব পবিত্র ঈদের দিনও হীন রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি, বিষোদগারের রাজনীতিটা অব্যাহত রেখেছেন।'
করোনা মহামারি বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের ঠিক নীতির কারণেই ভারত, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সমন্বয় করে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার কারণেই করোনা যেমন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, হাহাকারও নেই।'
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে আ’ লীগ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার মানুষের মোবাইলে সরাসরি প্রণোদনার অর্থ পাঠিয়েছে, যা কেউ আগে ভাবেনি এবং এখানে অন্য কিছু হবার সুযোগ নেই জেনেও বিএনপি নানাকথা বলে তাদের দোষারোপের রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে, উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
'গত ১২ বছর ধরে বিএনপির ঈদ নেই' বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, 'আসলে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনকারী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের গোমর করোনা টেস্ট রিপোর্টে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ গত ১২ বছর ধরে যে উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপন করেছে, তা অভাবনীয়।'
৩ বছর আগে