সড়ক সংস্কার
সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সিরাজগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের এমন অবস্থা হলেও কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সিরাজগঞ্জ-বগুড়া পুরাতন সড়ক নামে পরিচিত। তবে ৮০’র দশক থেকে এটি সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়ক নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই সড়ক দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির রায়গঞ্জ উপজেলার চকনুর বাজার ও পাঙ্গাসী এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আলমপুরসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই আঞ্চলিক সড়ক। সড়কটি দিয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহ, শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। অথচ খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ১ ঘণ্টার রাস্তায় পেরোতে বর্তমানে প্রায় ২ ঘণ্টা লেগে যায়।
১২ দিন আগে
তিন বছরেও সংস্কার হয়নি জগন্নাথপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সড়ক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ কিলোমিটার সড়ক এখনো সংস্কার হয়নি। শুধু ২০২২ সালের বন্যায়ই উপজেলার ছোটবড় গুরুত্বপূর্ণ ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার প্রায় ১২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে সংস্কারকাজ শুরু হলেও ৭০ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এখনো সংস্কারের অনুমোদন হয়নি।
এরই মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি সেতুর টেন্ডার হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণকে চরম ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
২০২২ সালের বন্যায় কলকলিয়া ইউনিয়নের কলকলিয়া-তেলিকোনা (চণ্ডীঢহর) সাদিপুর পয়েন্টসহ প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়ক যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আছিমপুর-শিবগঞ্জ সড়ক, জালালপুর সড়ক, রানীগঞ্জ-বাগময়না সড়ক, শ্রীরামশী-নয়াবন্দর সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়কসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অবস্থা নাজুক।
এলজিইডির বেশিরভাগ সড়কেই খানাখন্দ থাকায় সেগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী পড়ছে। এ ছাড়াও ইটের কার্পেটিং করা এবং মাটির রাস্তার অধিকাংশ ভাঙাচোরা। বর্ষার মৌসুমে এসব সড়কপথে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনসাধারণকে।
কলকলিয়ার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিগত তিন বছর ধরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর একটিও সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা মারাত্মক। ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়, বাধ্য হয়েই আমরা চলাচল করি।’
আরও পড়ুন: রংপুরে মহাসড়ক সংস্কারে অনিয়ম ধরল সেনাবাহিনী
মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামের মো. হাসন আলী বলেন, ‘বছরের পর বছর যায়, শুধু শোনা যায় যে ভাঙা সড়কের টেন্ডার হইছে, কিন্তু পরবর্তীতে আর কাজ হয় না। মেঘবৃষ্টির দিন ভাঙা সড়কের গর্তে পানি জমে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।’
রানীগঞ্জের বাগময়না গ্রামের মো. আলমগীর মিয়া বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সড়কটি বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবু একবারও সংস্থার করা হয়নি। অনেক কষ্ট করে যানবাহনে আমাদের চলাচল করতে হয়।’
উপজেলার ভুক্তভোগী জনসাধারণের দাবি, আগামী বর্ষার মৌসুম আসার আগেই যেন ভাঙা সড়কগুলোর সংস্কার করা হয়।
জনসাধারণের ভোগান্তির এসব বর্ণনায় সমর্থন দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
এ বিষয়ে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অনেকগুলো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভাটি অঞ্চলের সঙ্গে একমাত্র রানীগঞ্জের যোগাযোগ রাস্তা বাগময়া-হলিকোনা সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ ছাড়া আছিমপুর হয়ে শিবগঞ্জ রাস্তাটিরও একই অবস্থা। এমন অসংখ্য সড়ক সংস্কারের অভাবে মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে।’
পাইলগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান নজম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার সঙ্গে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে নিয়মিত ভোগান্তি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, পাইলগাঁও ইউনিয়নে এলজিইডির বেশ কয়েকটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। সেগুলোর সংস্কার প্রয়োজন হলেও এখনো তা করা হয়নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘২০২২ সালে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ও কয়েকটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে বছরই এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করে সংস্কারের জন্য সদরদপ্তরে পাঠাই যাতে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিলেট বিভাগসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সবকটি জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রকল্প চালু করতে করতে ২০২৩ সাল চলে আসে। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯টি সেতু ও কিছু সড়ক সংস্কারের অনুমোদন পায়। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্যেই ২০২৪ সালের বন্যা চলে আসে। বন্যার কারণে সড়কগুলোর সংস্কারকাজ আমরা পুরোদমে শুরু করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: সড়ক ও সেতুর পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও শেখ মইনউদ্দিন
তিনি জানান, ২০২৫ সালে বেশ কিছু সংস্কার কাজ অনুমোদিত হয়ে এসেছে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি। পৌরসভাসহ উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার, জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ সড়কে ২.৫ কিলোমিটার, জগন্নাথপুর-কেশবপুর হয়ে এড়ালিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে, এড়ালিয়া থেকে লামা রসুলপুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে।
এই প্রকৌশলী বলেন, ‘এভাবেই আমাদের বিভিন্ন সড়কের সংস্কার কাজ চলমান থাকবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সেতুগুলোর টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং টিকাকারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার বর্ষার আগে কাজ শুরু করতে না পারলেও বর্ষার পরপরই কাজ শুরু হবে।’
১৪৫ দিন আগে
২২ বছরেও সংস্কার হয়নি কুমিল্লার জগতপুর-সাদকপুর সড়ক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে জগতপুর-সাদকপুর হয়ে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। ২২ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এতে ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার দেড়ঘন্টা বন্ধ থাকবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালাচল করে। উপজেলা সদরের সাথে জগতপুর, সাদকপুর, শ্যামপুর, মালাপাড়া, আসাদনগর গ্রামের একমাত্র চলাচলের সড়কটি বর্তমানে খানখন্দে ভরে আছে। পুরো রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তগুলো জলাবদ্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় যানবাহন গর্তে পড়ে অহরহর দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলাকাবাসী জানান, ২২ বছর আগে সড়কটি প্রথম পাকা করা হয়। ১৬ বছর পরে রাস্তাটি নতুন করে সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে। বুড়িচং উত্তরপাড়া এলাকা থেকে জগতপুর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ করা হয়। কিন্তু সাদকপুরের শুরু থেকে শ্যামপুর গোমতী নদীর বাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যান।
৫নং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জাহের জানান, রাস্তার কাজে বাধা সৃষ্টি করে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার এই রোডের কাজ নিতে চায় না। রাস্তাটি নতুন করে টেন্ডার করা হয়েছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে একমুখী যানজট
বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া জানান, এই রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় এর আগের ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। এখন আবার নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিল পাস হলে কাজ শুরু হবে।
১৫৯৬ দিন আগে
বিশ্বনাথে অসমাপ্ত সংস্কার কাজে ‘জনদুর্ভোগ’
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্ধারিত সময় পার হলেও ১৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। যে পরিমাণ সংস্কার হয়েছে তার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে অর্ধেক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে আছে অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দ নিয়ে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বনাথ জিসি থেকে জগন্নাথপুর সীমানা পর্যন্ত ১৩.০৯ কিলোমিটার সড়ক ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সংস্কার কাজ শুরুর অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। ২৩ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৭১.০৯৭ টাকা বরাদ্দের এ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাওন এন্টারপ্রাইজ। ১৩.০৯ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন অংশে আরসিসি ঢালাই ধরা হয় প্রায় ১৮ মিটার।
আরও পড়ুন: ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’র অর্থায়নে ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার
করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে অনুমতির ৬ মাস পর কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিছু দিন কাজ করার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আরও ৩-৪ মাস কাজ বন্ধ রাখে ওরা। এ অবস্থায় তার টেন্ডার বাতিল হবার উপক্রম হলে, তার অন্য সহযোগীকে কাজ বুঝিয়ে দেন তিনি। ফের শুরু হয় কাজ। সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেন তারা। ফের করোনার প্রকোপ, কঠোর লকডাউন আর বৃষ্টির কারণে স্থবির হয়ে পড়ে কাজ। এর মধ্যেই চলে যায় কাজের নির্ধারিত সময়। বর্তমানে দেড়-দুই মাস ধরে একরকম বন্ধই আছে কাজ। এ অবস্থায় বাকি অংশ সংস্কার নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, মূল কাজের আরসিসি অংশের মধ্যে বাকি আছে ৭-৮ মিটার প্রায়। ইতোমধ্যে সাব ভেইজ ৯ কিলোমিটার, ডাবু বিএম ৮ কিলোমিটার ও কার্পেটিং ৫ কিলোমিটারের মতো সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আর বাকি প্রায় অর্ধেক কাজই অসমাপ্ত রয়েছে। করোনার কারণে লকডাউন ও ঈদ মিলিয়ে শ্রমিক ছুটিতে রয়েছে। অল্প ক’জন আছে সাইটে। ছোট-খাটো ত্রুটি ধরা পড়লে ঠিক করছে তারা।
স্থানীয়রা বলেন, সময় মতো কাজ শুরু হলে এ ভোগান্তি পোহাতে হতো না আমাদের। অর্ধেক অবশিষ্ট থাকায় বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে অবস্থা হয়েছে আরও নাজুক। ছোট-বড় ডোবা আর কাঁদা-মাটিতে একাকার পথ। কাজ শেষ হওয়া অংশেও রয়েছে ত্রুটি।
আরও পড়ুন: ঢাকার খালগুলো দখলমুক্ত করে সংস্কার করবে দুই সিটি করপোরেশন
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। করোনা, বৃষ্টি সব মিলিয়ে কিছুটা পিছিয়েছে নিয়িমিত সংস্কার কর্মকাণ্ড।
লকডাউন শিথিল হলে শ্রমিক বাড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।
১৬১২ দিন আগে
‘হ্যালো ছাত্রলীগ’র অর্থায়নে ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর-খলিলপুর রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নিজস্ব অর্থায়নে বেহাল এই রাস্তার তিন কিলোমিটারের সংস্কার করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ'।
রবিবার নিজস্ব অর্থায়নে দুর্ভোগপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ‘হ্যালো ছাত্রলীগ' টিম। রাস্তার ভাঙা অংশ ও গর্তসমূহে ইট ফেলে সমান করে দেয় কর্মীরা। রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় খুশি আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতা!
হেতিমপুর গ্রামের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী সানি সরকার বলেন, রাস্তায় চলাচলে অনেক কষ্ট হতো। হ্যালো ছাত্রলীগের কারণে আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলাম।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, এই রাস্তাটি নিয়ে মানুষ দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে আছে। জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালেও যেতে পারতো না অনেক মানুষ।
সংস্কার কাজে অংশ নেন‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ টিমের সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাপ্পু, সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগ সহ সভাপতি নাজমুল হাসান, সাব্বির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রাতুল রহমান আশিক ও মো. আমির হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দোহারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ
উল্লেখ্য, করোনায় লাশ দাফন, টেলিমেডিসিন সেবা, খাদ্য সহায়তা, কৃষকের ধান কাটা, রক্ত দান, অক্সিজেন সেবা, মাস্ক বুথ স্থাপনসহ নানান মানবিক কাজে বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ' টিম ।
১৬২৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
ছাতক উপজেলার খুরমা দক্ষিণ ইউনিয়নের মুনিরজ্ঞাতি, মানিকগঞ্জ ভায়া পালপুর সড়কের সংস্কার কাজে চলছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে গত ২০ জানুয়ারি কাজ স্থগিত করা হয়।
১৭৮২ দিন আগে
সংস্কারের অভাবে ‘মরণ ফাঁদ’ সরাইল-অরুয়াইল সড়ক
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল আঞ্চলিক সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরা আছে। রাস্তাটি ব্যবহারকারী অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। খানাখন্দ আর দুপাশে মাটি সরে যাওয়ায় সড়কটি এখন ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।
১৭৮৪ দিন আগে
সংস্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক হিসেবে পরিচিত রহিমানগর-ভাতেশ্বর রাস্তা। কিন্তু সংস্কার কাজ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সংস্কার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
২২১৮ দিন আগে
বিশ্বনাথে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেট, ১৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- প্রশাসনের আশ্বাসে সিলেটের বিশ্বনাথে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২২৯১ দিন আগে