বিদ্যুৎ বিল
কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কারিগরি ও অন্যান্য সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে ভুতুড়ে (অস্বাভাবিক) বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে।
তিনি বলেন, 'অনেক সময় টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল কারণে ভুতুড়ে বিলের ঘটনা ঘটতে পারে। ভুতুড়ে বা অস্বাভাবিক বিল রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রি-পেইড/স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ পেলেও হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে না: সূত্র
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদের অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের (নোয়াখালী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৭১ লাখ উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিল নির্ভুল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘ভুতুরে বিলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত করে সুরাহা করা হয় এবং এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং ভর্তুকি তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা নগদ এবং ২০ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
৬ মাস আগে
প্রায় ৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন
কুড়িগ্রাম পৌরসভার চার কোটি ৮২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় রবিবার সকালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আলিমুল ইসলাম সেলিম।
তিনি জানান, বিদ্যুৎবিহীন অফিস চলছে বলে জানা গেছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ লাগানো হয়নি।
আরও পড়ুন: কোটচাঁদপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন। এবং চলতি মাসের সব বিল পরিশোধ করবেন এবং বকেয়া যে বিলগুলো আছে ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করবেন বলে লিখিত অঙ্গীকারনামা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করার কারণে এত পরিমাণ টাকা বকেয়া দাঁড়িছে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, অনেক টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে সংযোগ বিছিন্ন করেছে নেসকো। কথা হয়েছে কিছু টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে। আসা করছি সন্ধ্যার আগে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাবো।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে নসরুল হামিদের সতর্কবার্তা
১ বছর আগে
সময়মতো বিদ্যুৎ বিল শোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা অবৈধভাবে বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে তাদের নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগ বা কোনো বিতরণকারী সংস্থা তার দায় নিবে না।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) এলাকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, ডব্লিউজেডপিডিসি ৭ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে তার এলাকার অধীনস্ত ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলো যদি বকেয়া বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তবে ডব্লিউজেডপিডিসি বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ এর ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিলে কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে পরের মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ বিভাগ
ডব্লিউজেডপিডিসি নোটিশের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ৭৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
১৬টি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার বকেয়া বিল হিসেবে তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
বিতরণ সংস্থাটি আরও বলেছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ডব্লিউজেডপিডিসি এর সঙ্গে যোগাযোগ না করে অবৈধভাবে তাদের নেটওয়ার্কগুলোকে বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, ‘এই পুনঃসংযোগের সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগ বা এর বিতরণ কোম্পানি দায় নিবে না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বকেয়া বিল পরিশোধ না করে বিদ্যুতের লাইনের এই ধরনের অবৈধ ও বেআইনি পুনঃসংযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো গ্রাহক বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনার পর বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সব বিতরণ কোম্পানিকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল থাকা গ্রাহকদের নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিরসনে টাস্কফোর্স পুনর্গঠনের দাবি ক্যাবের
২ বছর আগে
সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাসা-বাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।
তিনি বলেন, যে কোন প্রতিষ্ঠান বা বাসা-বাড়ি তাদের সোলার প্যানেল ব্যবহার করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করলে মোট বিদ্যুৎ খরচ ২০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে। আপনি যে সোলার প্যানেল ব্যবহার করবেন আপনার ভবনে, সেখান থেকে যেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হবে তা আমাদের দিয়ে দেবেন। সেটি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। আর আপনার মোট বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে সেই পরিমাণ বিদ্যুতের বিল মাইনাস করা হবে। এতে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।
বৃহস্পতিবার ‘লেটস টক অন গ্রিন ট্রানজিশন’- অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোলার প্যানেল স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেই সোলার প্যানেলগুলো স্থাপিত হয়েছে তার ৫০ শতাংশ খরচ সরকার প্রদান করেছে। বাকি ৫০ শতাংশ আবার ব্যক্তিগত লোন হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদান করছে। অর্থাৎ সোলার প্যানেল অতি স্বল্প খরচে ব্যবহার করা সম্ভব।
নসরুল হামিদ বলেন, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর জার্মান তার ২৫ শতাংশ গ্যাস বিতরণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প জ্বালানি খুঁজছে সবাই। বিশেষত সামনের শীতের জন্য। একই অবস্থা যুক্তরাজ্যের। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ১২-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকতো। সেখান থেকে সাময়িক সমস্যার জন্য এখন কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। অর্থাৎ প্রাথমিক ধকল সামলে উঠেছি আমরা। ২০০৯ সালে আমরা স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি বিদ্যুৎ খাত নিয়ে। সম্প্রতি জাপানের সহায়তায় আমরা আরেকটি পরিকল্পনা করছি।
নসরুল হামিদ বলেন, আসলে আগে যেই নতুন প্রযুক্তি আসতে কয়েক দশক লেগে যেতো, এখন কয়েক মাসের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আর এ কারণেই আমরাও তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, এরপর হাইড্রোজেন প্লান্ট- সামনে হয়ত নতুন আরও কিছু আসবে। সেটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশও গ্রিন সাসটেইনেবল এনার্জি ব্যবহার করতে চায়। আর এ ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় ইলেকট্রিক যানবাহন বা ই-ভিয়েকেল। নসরুল হামিদ বলেন, এরই মধ্যে ই-ভিয়েকেলের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ করছি আমরা। এটি দুর্দান্ত একটি বিষয় হবে। আপনি যেই পথ পাড়ি দিতে ৮০ টাকা খরচ করতেন, সেই পথ পাড়ি দিতে ১০ টাকা খরচ হবে।
আরও পড়ুন: সৌরবিদ্যুতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা শুল্ক ও জমি: নসরুল হামিদ
ই-ভিয়েকেল নিয়ে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছে বলে জানান তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্ব দেয়া উচিত পাবলিক পরিবহনগুলোকে। বিশেষত বাস, ট্রেন এবং কারগুলো যেন ইলেক্ট্রনিক হয়। একবার ভেবে দেখুন, কি পরিমাণে সাশ্রয় হবে।
এদিকে দূষণ হ্রাসের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবহার করলে তার বর্জ্যের কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পেট্রোলিয়াম ও খনিজসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, দেখুন পরমাণু কেন্দ্রের জ্বালানি যারা সরবরাহ করবেন, তারাই বজ্র নিয়ে যাবেন। এমনভাবেই চুক্তিটি হয়। সুতরাং এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
এ সময় নসরুল হামিদ আরও বলেন, আমাদের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেজ এমাউন্ট যেন গ্রিন নির্ভর হয় সেই চেষ্টা করছি আমরা। অর্থাৎ বর্তমানে আমাদের বেজ ১২ হাজার মেগাওয়াট। ধীরে ধীরে এটি আরও বাড়ানো হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য ৯ আগস্ট একটি বড় দিন বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে দেশের পাঁচটি গ্যাস ক্ষেত্র ব্রিটিশ সেল কোম্পানির কাছে ছিল। তখন বঙ্গবন্ধু এই গ্যাস ক্ষেত্রগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত করতে চেয়েছিলেন। প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ ব্যয়ে সেটি সম্পন্ন করেন তিনি। তার এই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে ৪০০ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি সহায়তা করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে।
৭২এর সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে শহরের সুবিধা গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীর কোন সংবিধানে এভাবে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার কথা বলা নেই। ২০০৯ সালে ১৩-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থেকে রক্ষা পেতে শর্টটার্ম, মিডটার্ম এবং লংটার্ম প্লান করি। ভবিষ্যতের জ্বালানি ক্ষেত্র কী হতে পারে, তা আমরা যাচাই করছি। জাপান এ ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পেট্রোলিয়াম ও খনিজসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ম. তামিম, ইয়ুথ এনভারমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলোপমেন্ট সোসাইটি (ওয়াইইএসডিএ)-এর প্রেসিডেন্ট রেবেকা সুলতানা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান।
সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার প্যানেল ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি করছে বলে জানান লেটস টক অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান।
আলোচকেরা আরও জানান, বাতাসের এনার্জি ব্যবহার করে, বায়ো গ্যাস এবং আরও বিকল্প উৎস সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন বিশ্ব জ্বালানি ব্যবস্থা টাল-মাটাল, তখন সরকারের বর্তমান উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
এ সময় তারা বলেন, যে কোন কাজের ফলাফল পেতে সময় লাগে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে চলমান জ্বালানি সংকটের ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। এক্ষেত্রে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব ছিল কিনা এমন এক প্রশ্ন তুলে ড. ম. তামিম বলেন, বলতে পারেন এখন যেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, পাঁচ বছর আগে নিলে আমাদের বর্তমান গ্যাস সংকট থাকতো না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তখনো বৈশ্বিক এই সংকটের প্রভাব পড়ত। তবে সরকার যেই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছে তার ফলাফল ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে।
সরকার এলএনজি আমদানি বেশি দামে আমদানি করায় জ্বালানি খাতে সংকট তৈরি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ‘মিক্সড সোর্স’ খুবই জরুরি। আর এ কারণেই এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আপনার হাতে যত বেশি অপশন থাকবে, সিদ্ধান্ত নেয়া তত সহজ হবে।
তরুণরা যাতে দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য সিআরআই ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘লেটস টক’। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার লেটস টক আয়োজন করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের সংকট বেশিদিন থাকবে না: নসরুল হামিদ
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
২ বছর আগে
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। নাগরিকদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনযাত্রা সহজ করার ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থ দুটোই রক্ষা করা যাচ্ছে প্রযুক্তির এই অসামান্য অগ্রগতিতে। প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবার অবতারণার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সেগুলোর মান। ক্রমাগত সহজলভ্য বৃদ্ধির সাথে যুগপৎ ভাবে বাড়ছে সেগুলোর চাহিদাও। মোবাইল ব্যাংকিং এর বিরামহীন প্রসারে গ্রাহকদের সাথে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি পরিষেবাগুলোর আর্থিক লেনদেনের মেলবন্ধন হয়ে যাচ্ছে আরো সহজতর। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত অনলাইনে বিদুৎ বিল পরিশোধের নিয়ম নিয়ে আলোচনা থাকছে আজকের ফিচারে।
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েটি। বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায় কোন চার্জ ছাড়াই।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
বিকাশের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিপেইড ও পোস্টপেইড বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো- পল্লীবিদ্যুৎ, ডেসকো, নেসকো, ডিপিডিসি, বিপিডিবি, ওয়েস্ট জোন। এছাড়া এখানে বিলার হিসেবে বিপিডিবি সিলেট-এর প্রিপেইড পরিষেবাটিও সংযুক্ত আছে।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোডের পর ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে মোবাইল নাম্বার এবং পাঁচ অঙ্কের পিন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের সময় অ্যাকাউন্টের জায়গায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নাম্বারটি বসে যাবে। শুধু পিন নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ-এ প্রবেশের সময় মোবাইলের লোকেশনটি অন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
এবার বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া সময় নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
১/ পিন দেয়ার পর অ্যাপ-এ হোম স্ক্রিন আসবে। এখান থেকে পে বিল-এ যেতে হবে।
২/ পে বিল-এর স্ক্রিণে প্রতিষ্ঠানের ধরনের ক্যাটাগরি থেকে বিদ্যুৎ-এ ট্যাপ করলে নিচের দিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাবে।
৩/ যে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
৪/ এবার পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে বিলের সময়সীমা লিস্ট থেকে যে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হবে সে মাস নির্বাচন করে কাস্টমার নাম্বার দিতে হবে। এই আইডি নাম্বারটি মুলত আট অঙ্কের একটি সংখ্যা যেটি প্রতি মাসে সরবরাহকৃত বিগত মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপিতে উল্লেখ থাকে। প্রিপেইডের ক্ষেত্রে এ অংশে অ্যাকাউন্ট, যোগাযোগ ও রেফান্সে নাম্বার দিতে হবে।
৫/ বিলের সময়সীমা নির্বাচনের সাথে সাথে নির্দিষ্ট মাসের জন্য ধার্যকৃত বিদ্যুৎ বিল দেখাবে। পরের স্ক্রিণে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণটি উল্লেখ করে পিন নাম্বার দিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকলে কনফার্ম বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখলে বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
৬/ বিল জমার সাথে সাথেই জমা রশিদ দেখা ও ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
অন্যদিকে প্রিপেইডের ক্ষেত্রে বিল জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি টোকেন নাম্বার দেয়া হবে।
এভাবে টোকেন নাম্বার না পেলে মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে মিটার নাম্বার লিখে মেসেজ করতে হবে ০৪৪৪৫৬১৬২৪৭ নাম্বারে। তখন ফিরতি এসএমএস-এ পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত টোকেন নাম্বারটি।
৭/ প্রাপ্ত টোকেন নাম্বারটি প্রিপেইড মিটারে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে পরিশোধ করা যায় বিদ্যুৎ বিল। এছাড়াও আছে ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট ও নেক্সাস অ্যাপ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, গ্রামীণফোনের জিপে এবং এটুআইয়ের একপে।
পরিশেষে
বিদ্যুৎ বিল হাতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে বিল জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহের দিন শেষ। এখন দেশের যে কোন জায়গা থেকে ঘরে বসে অথবা চলমান যে কোন অবস্থাতেই নিশ্চিন্তে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়। মোবাইল অ্যাপগুলোর পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর সেবাগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখা সহ বিল জমা দেয়া যাচ্ছে। ডিবিবিএল-এর ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সরাসরি ডিপিডিসি(ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) এবং ডেসকো (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড)-এর ওয়েবসাইট থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ বিলে কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে পরের মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ বিভাগ
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরের মাসে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
৪ বছর আগে