বিভ্রান্তি
ইইউবি নিয়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি: কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) ট্রাস্টি বোর্ড ও প্রশাসন নিয়ে সম্প্রতি বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ ফরহাদ খান জানান, তার পিতা মকবুল আহমেদ পূর্ববর্তী ট্রাস্টি বোর্ড থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর তারা নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে তা যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজিএসসি) দাখিল করেন। আরজেএসসি থেকে রেকর্ডকৃত অনুলিপি পাওয়ার পর জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) ছাড়পত্রও সংগ্রহ করা হয়।
পরে সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) জমা দেওয়া হয়। ফলে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড ও চেয়ারম্যান সম্পূর্ণভাবে বৈধ ও আইনানুগ বলে দাবি করেন তিনি।
আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আহমেদ ফরহাদ খান জানান, সাবেক চেয়ারম্যান তাদের বোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। প্রথমে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আবেদন খারিজ হয়। পরে জেলা জজ আদালতে আপিল করলেও তা-ও খারিজ হয়।
এরপর হাইকোর্টে দেওয়ানি পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে আদালত শুধু রুল জারি করে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। সেই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করলে, আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেন। অর্থাৎ, প্রতিটি আদালতের আদেশই এখন পর্যন্ত তাদের অনুকূলে এসেছে। মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড ও চেয়ারম্যান নিয়োগ এখন বিচারাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং এতে কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে আহমেদ ফরহাদ খান বলেন, ‘গত ৮ মাস ধরে আমরা আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ১৫ বছর আগের, যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কোনোভাবেই যুক্ত ছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলীম দাদ বলেন, ‘মো. মকবুল আহমেদের নিযুক্ত কিছু বহিরাগত ব্যক্তি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়ে আহমেদ ফরহাদ খান বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচারে না জড়িয়ে, যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য প্রচার করা উচিত।
১৪৮ দিন আগে
রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। মাস খানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেটার বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। আমরা চেষ্টা করব, বৈঠকে দামও নির্ধারণ করতে। সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়। পরে সেটা পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্নির্ধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাব।’
টিটু বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যে দিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করব, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। এর বেশি দামে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
৬৫৬ দিন আগে
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, শরীফার গল্পটি নিয়ে গতবারও বিতর্ক উঠেছিল, এবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মী আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।
তিনি বলেন, সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপন পরিবর্তন করা যায় কি না বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন: প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।
ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
৬৮২ দিন আগে
নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে আমাদের দেশে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম নিয়ে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহিলা সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোনো দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের তিনটি দাবি ছিল নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে সরকারিকরণ ও ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আপনাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
৭১০ দিন আগে
বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তহীনতা ও ষড়যন্ত্র প্রকট হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ।
বুধবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অর্থাৎ বিএনপি সব সময় ব্যর্থ। দেশে জাতীয় নির্বাচন আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার দলটি খুব ধ্বংসাত্মক হয়ে গিয়েছিল।‘
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ/না গণভোট: জয়
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এখন বিএনপিতে একইরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তহীনতা ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট।
২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, ‘এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার নামে দলটি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের ক্ষতি করেছিল। অগ্নিদগ্ধ হামলার শিকার হয়েছে শত শত সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে ২০১৮ সালে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন লাইনচ্যুত এবং বিতর্ক সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা।‘
তার পোস্টের সাথে অতীতের কার্যকলাপ প্রদর্শনের একটি ভিডিও ছিল।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের
৮৭৬ দিন আগে
‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত তাদের বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া উচিত’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তিতে আছেন, তাদের বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া উচিত।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। আমরা অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব। আমাদের লুকানোর কিছু নেই।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সাহস, আন্তরিকতা, দৃঢ় ইচ্ছা মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার সিলেট বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধনের পর তিনি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদেরেএ বিষয়ে জ্ঞানের অভাব রয়েছে এবং তাদের আমাদের ইতিহাস জানতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচন খুবই অংশগ্রহণমূলক। সেখানে উৎসাহ ও আনন্দ আছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক মানবিক মর্যাদা রাখার জন্য লড়াই করেছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশিরা মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং এই নীতিগুলো প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে গভীরভাবে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদের আমাদের প্রেসক্রিপশন দেয়ার দরকার নেই। আমরা একটি প্রতিজ্ঞা করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আমাদের আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।’
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে নিয়ে সরকার নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুবই সীমিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০৬২ দিন আগে
বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে বিএনপিকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় নেতা নয়, সরকার দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'দু:খজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এবং কিছু গোষ্ঠী, যারা সরকারের কোনো কাজেই ভালো দেখতে পারে না, তারা মহামারির শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই চালিয়েছে।'
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভারতের টিকা কাজ করবে না- এই প্রচারণা আপনারা চালিয়েছিলেন। আবার সেই টিকা আসতে যখন একটু দেরি হচ্ছিল, তখন অন্য কথা বলা শুরু করেছিলেন, সুতরাং এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।'
'বিএনপিসহ যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদেরকে বলব, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাজনীতি না করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান,' বলেন ড. হাছান।
মন্ত্রী এ সময় জানান, সরকার রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী মাসেই সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অনেক টিকা আসবে এবং খুব সহসা অন্যান্য দেশ থেকে যে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোও আসবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মহামারির মধ্যেও অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন এবং গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার ও অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনার সুরক্ষা-সামগ্রী গ্রহণ করেন।
১৬৮৩ দিন আগে
বিদ্যুৎ বিলে কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে পরের মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ বিভাগ
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরের মাসে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
২০২১ দিন আগে