রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। মাস খানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেটার বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। আমরা চেষ্টা করব, বৈঠকে দামও নির্ধারণ করতে। সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়। পরে সেটা পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্নির্ধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাব।’
টিটু বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যে দিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করব, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। এর বেশি দামে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর