ঈদ উদযাপন
ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ উদযাপন
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ পর্তুগালের আরেকটি শহর ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
সেখানে মিলফোন্তেস ও আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ১০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও পড়ুন: নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
তিনি বলেন, তাদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভকে মজবুত ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পথে দেশে পাঠানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রবাসীরা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের অর্থনীতিতেই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে অভিনন্দন জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কনস্যুলার সহকারী।
মিলফোন্তেস পর্তুগালে অবস্থিত আরেকটি শহর যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মূলত কৃষি কাজ ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত আছেন।
এদিকে মিলফোন্তেসে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা পবিত্র ঈদের দিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের মাঝে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মত-বিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের প্রবাস জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও সীমাবন্ধতা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত তাদের মতামতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ও আলোচিত বিষয়াবলির ওপর তার পরামর্শ দেন।
সভা শেষে, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের মিলফোন্তেসের প্রবাসীদের আনন্দকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে মর্মে তাদের উচ্ছাস ও কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৩ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
৫ মাস আগে
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ৭ জেলায় ঈদুল ফিতর উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, চাঁদপুর, বরিশাল ও ঝিনাইদহ জেলায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের একদিন আগে এসব জেলায় ঈদ উদযাপন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও ফতুল্লার কয়েকটি এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহ্ সুফি মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদরাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, পুরান ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ, দেশের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
হযরত শাহ সুফি মমতাজিয়া মাদরাসার খতিব মুফতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন শুভ জানান, হানাফির মাজহাবের মতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করার বিধান রয়েছে। তারা হযরত হানাফি (রা.) মাজহাবের অনুসারী। জাহাগিরিয়া তরিকার অনুসারীরা গত ১০০ বছর আগ থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা অনুযায়ী ঈদ পালন করে আসছেন।
এদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৪টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের জামাত আদায় করেছেন মুসল্লীরা। আলাদা আলাদা ঈদ জামাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদের জামাত আদায় করা রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়ন গয়টা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল মোত্তালেব বলেন, আমরা প্রায় ৫ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা রাখা, ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।
ঝিনাইদহ জেলায়ও বিভিন্ন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ।
বুধবার সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াাডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার, চরপাড়া ও পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতের সাধারণ সম্পাদক শাখায়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা এবং ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
চাঁদপুরে জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
প্রতি বছর হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, কচুয়া ও শাহরাস্তির ৪০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে রমজানের রোজা রাখা এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে ৪০ গ্রামে বুধবার ঈদ
বরিশালেও বুধবার ঈদ উদযাপন করছে কয়েক হাজার পরিবার।
বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীসহ আরও কয়েকটি এলাকার এসব মুসলিম পরিবার বহু বছর ধরেই এভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে।
বরিশাল নগরীর সাগরদী তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকায় জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজীয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত নামাজে কয়েকশ’ মুসল্লি অংশ নেন।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘিসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে পৃথক স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা। সকাল পৌনে ৮টায় দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও বিরল উপজেলার কামদেবপুর, কাজীপাড়া, ভারাডাঙ্গী, কাহারোলের মুকুন্দপুর, চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রায় ২ হাজার মুসল্লি।
আরও পড়ুন: সিলেটে কখন কোথায় ঈদের জামাত
৭ মাস আগে
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল ও দিনাজপুরে ঈদ উদযাপন
বরিশাল মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার বুধবার (২৮ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। আজ সকালে অর্ধশতাধিক মসজিদে ঈদুল আজহার আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অগ্রীম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।
পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন।
বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠী হাজিবাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করেছি।
আমরা হাজিবাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজ পড়েছি। আমরা সবাই চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।
বরিশাল নগরীসহ জেলার ৫০টি মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা বুধবার ঈদের নামাজ পড়েছেন বলে জানান আমির হোসেন।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু জানান, এই ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার পরিবার অগ্রীম ঈদ উদযাপন করেছেন। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও দপদপিয়া এলাকারও পাঁচশতাধিক পরিবার ঈদ উদযাপন করেছেন।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা গ্রামের আব্দুর রশীদ শিকদার স্মৃতি জামে মসজিদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের একহাজারের বেশি পরিবারে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।
এছাড়াও বাবুগঞ্জের মাধবপাশা দুয়ারীবাড়ি জামে মসজিদে আরেকটি ঈদের জামাত হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী মমিন উদ্দিন কালু বলেন, জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের চন্দনাইশ দরবারের প্রায় দুই হাজার অনুসারী রয়েছেন।
তারাও বুধবার ঈদুল আযহা উদ্যাপন করছেন।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদর এবং চিরিরবন্দরসহ ৬টি উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
দিনাজপুরের পৃথক জামাতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ২ হাজার অনুসারী পরিবার। পরে পশু কোরবানি দেন তারা।
দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নামাজে ইমামতি করেন চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।
এছাড়াও চিরিরবন্দরের সাইতাড়া রাবার ড্যাম কাহারোলের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল গড়েয়া বোচাগঞ্জের তেতরায়, বিরলের ভাড়াডাঙ্গী গ্রামে এবং বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদ জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’পরিবারের মানুষ ঈদুল আযহা'র নামাজ আদায় করেছেন।
পরে সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানির দেন তারা।
এছাড়া, দিনাজপুরের বিরামপুরে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লি আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর মসজিদে এবং একই সময়ে আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের ১৪০ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে আল আমিন জামাতের ইমামতি করেন।
সরেজমিনে উপজেলার আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটায় ওই এলাকার মাদরাসা মাঠে আল আমিনের ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।
ঈমাম দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।
এদিকে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি ও বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুইটি জামায়াতে ১৪০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মুসলিম মেয়রকে হোয়াইট হাউসের ঈদ উদযাপনে বাধা
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন
১ বছর আগে
মুসলিম মেয়রকে হোয়াইট হাউসের ঈদ উদযাপনে বাধা
নিউ জার্সির প্রসপেক্ট পার্কের একজন মুসলিম মেয়রকে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউস একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধা দিয়েছে।
সোমবার তাকে তারা এই বাধা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস।
মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের জন্য তিনি হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস তাকে কল করে জানায় যে তাকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি এবং তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে বাইডেন শত শত অতিথির উদ্দেশ্যে মন্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেননি কেন সিক্রেট সার্ভিস তার প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
পরে ৪৭ বছর বয়সী খায়রুল্লাহ আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের নিউ জার্সি শাখাকে অবহিত করেন যে তাকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ‘মাফ করবে না’ রাশিয়া
গোষ্ঠীটি বাইডেন প্রশাসনকে এফবিআইয়ের তথ্য প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে যা সন্ত্রাসবাদী স্ক্রীনিং ডেটা সেট হিসাবে পরিচিত যার মধ্যে কয়েক হাজার ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ্রুপটি খায়রুল্লাহকে জানিয়েছিল যে তার নাম এবং জন্মতারিখ সহ একজন ব্যক্তি একটি ডেটাসেটে ছিলেন যা ২০১৯ সালে সিএআইআর অ্যাটর্নিরা পেয়েছিলেন।
খায়রুল্লাহ বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার একজন স্পষ্ট সমালোচক ছিলেন। যে নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের ভ্রমণকে সীমিত করেছিল।
তিনি সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি এবং ওয়াতান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মানবিক কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও সিরিয়া ভ্রমণ করেছেন।
খায়রুল্লাহ সোমবার সন্ধ্যায় নিউ জার্সিতে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এটি আমাকে বিস্মিত, হতবাক এবং হতাশ করেছে।’ ‘এটা কোন বিষয় নয় যে আমি একটি পার্টিতে যেতে পারিনি। তাই আমি যাইনি। এবং এটি এমন একটি তালিকা যা আমার পরিচয়ের কারণে আমাকে টার্গেট করেছে। এবং আমি মনে করি না যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অফিস এই ধরনের প্রোফাইলিং নিচে থাকা উচিত।’
ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি নিশ্চিত করেছেন যে খায়রুল্লাহকে হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তবে কেন তা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন। খায়রুল্লাহ জানুয়ারিতে বরোর মেয়র হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হন।
গুগলিয়েলমি এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘যদিও আমরা এটির কারণে কোনো অসুবিধার জন্য দুঃখিত, তবে মেয়রকে আজ সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা হোয়াইট হাউসে আমাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত সুনির্দিষ্ট প্রতিরক্ষামূলক উপায় এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আরও মন্তব্য করতে পারছি না।’
হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিএআইআর-এর নিউ জার্সি শাখার নির্বাহী পরিচালক সেলাদিন মাকসুত এই পদক্ষেপকে ‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
মাকসুত বলেন, ‘যদি এই ধরনের ঘটনাগুলো মেয়র খায়রুল্লাহর মতো উচ্চ-প্রোফাইল এবং সু-সম্মানিত আমেরিকান-মুসলিম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘটতে থাকে, তাহলে এটি প্রশ্ন জাগবে; মেয়রের এমন কী আছে যার দৃশ্যমানতা নেই এবং তার প্রবেশাধিকার নেই?
খায়রুল্লাহ বলেছেন যে তাকে ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ আটক করেছিল এবং নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং সে কোনো সন্ত্রাসীকে চেনে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি ব্যাংক ব্যর্থতা: ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক জেপি মরগানের কাছে বিক্রি
ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি তুরস্কে পারিবারিক সফর শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন যেখানে তার স্ত্রীর পরিবার রয়েছে।
অন্য একটি অনুষ্ঠানে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি পরিবারের সঙ্গে দেশে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে মার্কিন-কানাডা সীমান্তে সংক্ষিপ্তভাবে রাখা হয়েছিল।
গ্রুপটি বলেছে যে খায়রুল্লাহ নিউ জার্সি ডেমোক্রেটিক পার্টিকে স্থানীয় মুসলিম নেতৃত্বের নাম কম্পাইল করতে সাহায্য করেছিল হোয়াইট হাউসের ঈদ উদযাপনে আমন্ত্রণ জানাতে এবং সপ্তাহান্তে নিউ জার্সির গভর্নরের প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন।
খায়রুল্লাহ সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে হাফেজ আল-আসাদের সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যে তার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে প্রসপেক্ট পার্কে যাওয়ার আগে তার পরিবার সৌদি আরবে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি সেখানে বসবাস করছেন।
তিনি ২০০০ সালে একজন মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন এবং ২০০১ সালে শহরের মেয়র হিসাবে তার প্রথম মেয়াদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি তার সম্প্রদায়ের একজন স্বেচ্ছাসেবক ফায়ার ফাইটার হিসাবে ১৪ বছর অতিবাহিত করেছিলেন।
খায়রুল্লাহ বলেছেন যে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সিরিয়ায় সাতটি ভ্রমণ করেছিলেন কারণ গৃহযুদ্ধ দেশের বেশিরভাগ অংশকে ধ্বংস করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি সিরিয়ান এবং আপনি জানেন যে আমরা টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখেছি তা দেখা এবং লোকেদের সাহায্য করার জন্য সাড়া না দেওয়া খুব কঠিন ছিল,’ ‘মানে আমরা খুব অসহায় বোধ করি।’
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উপজেলার মুন্সিপাড়ায় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মাজেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি চর, তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট ও একই ইউনিয়নের বোতলা এলাকায় এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে খুলনার ঈদ বাজার
মুন্সিপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, সারা বিশ্বে একই দিন ঈদ হবে। এ বিশ্বাস থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কয়েক বছর ধরে এ এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবারে আমরা সৌদি আরবের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করি। এতে জামাতে পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন জামাতে। তবে গতবারের থেকে এবার মুসুল্লি কমেছে। কারণ বিভিন্ন স্থানে আরও জামাতের সংখ্যা বেড়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটি এম গোলাম রসূল জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা, তুষভান্ডার ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কিছু মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন। তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা সেখানে টহল দেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে শুক্রবার
১ বছর আগে
কুমিল্লায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে জেলা হাইওয়ে পুলিশ
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ। ঈদ যাত্রায় যানজটের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। তবে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে। তবে গেল কয়েক দিনের তাপদাহকে উপেক্ষা করে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নিরাপদ করুন: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, সড়ক জুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ।
বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিযোগীতাহীন গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সড়ক পারাপারে পথচারীদের সচেতন থাকার পরামর্শ হাইওয়ে পুলিশের।
আরও পড়ুন: প্রয়োজন ছাড়া লঞ্চে ঈদযাত্রা পরিহারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
ঈদ উদযাপনে অপো’র নজরকাড়া অফার
ঈদ উদযাপনকে আরও আনন্দদায়ক করতে অপো নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় ঈদ অফার।
ব্র্যান্ডটির নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস কিনে গ্রাহকরা পাবেন নিজের বাইকে অথবা আকাশপথে (বিমানে) শেকড়ের টান অনুভব করতে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে যেতে।
গ্রাহকেরা ‘অপো রেনো ৮টি’, ‘অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি’, ‘অপো এ৭৭এস’ অথবা ‘অপো এ৭৭’ এর মধ্যে যেকোনো ফোন কিনলে অনলাইন লাকি ড্র’তে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। লাকি ড্রয়ের বিজয়ীরা পাবেন আকর্ষণীয় মেগা ঈদ উপহার। উপহারের মধ্যে আছে এয়ার টিকিট ভাউচার (দেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য প্রযোজ্য), মোটরবাইক এবং ইন্টারনেট বান্ডেল অফার।
এখানেই শেষ নয়! ‘অপো এ৭৭’ অথবা ‘অপো এ৭৭এস’ ফোন কিনলে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিতভাবে সাকিব আল হাসানের অটোগ্রাফসহ টি-শার্ট এবং ‘অপো রেনো৮ টি’ অথবা ‘অপো এফ২১’ প্রো ফাইভজি ক্রয়ের সময় লিমিটেড এডিশন গিফট বক্স পাবেন। খালি হাতে কেউই বাড়ি ফিরবে না!
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হার্ডওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে অপো দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে রেনো সিরিজের নতুন সংযোজন ‘অপো রেনো৮ টি’। অভূতপূর্ব ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতার জন্য এই ফোনে আছে অত্যাধুনিক ইমেজিং ফিচারসহ ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরা সেটআপ।
সানসেট অরেঞ্জ ও স্টারি ব্ল্যাক এই দু’টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে এই ডিভাইসটি। ব্যবহারকারীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই ফোনে আছে ফাইবারগ্লাস-লেদারের প্রিমিয়াম স্টিচ ডিজাইন, আপগ্রেডেড কালারওএস ১৩, ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক সহ ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (এমএএইচ) ব্যাটারি।
এই ঈদ অফার ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে আর কিসের জন্য অপেক্ষা? এখুনি এই ঈদকে আরও উৎসবমুখর করতে আপনার নিকটস্থ অপো আউটলেট ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
১ বছর আগে
মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
রমজানে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার মুসলমানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতর উদযাপন করছে দেশবাসী।
মহামারি করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার ঢাকাসহ সারাদেশে স্থায়ী ও অস্থায়ী ময়দানে ঈদের জামাত আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।
সকাল ৮টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন: রাষ্ট্রপতি হামিদ
চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ঈদগাহে যথাক্রমে সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ঈদগাহে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এ জেড এম নাছির উদ্দিন, সাবেক সিটি মেয়র মীর নাছির, মহানগর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সোলায়মান আলম ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বরিশালে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে এক লাখের বেশি মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাত পরিচালনা করেন পীর মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
জামাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অংশ নেন এবং মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
২ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন: রাষ্ট্রপতি হামিদ
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব পালনে আহ্বান জানিয়েছেন “যেহেতু (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে লোকজন চলাফেরা ও জীবনযাত্রার সম্পর্কে সচেতন না হলে যে কোনো সময় (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।”
মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজ আদায় করার পর বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মাহামারির কারণে গত দুই বছর ঈদসহ কোনো সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় উৎসবই প্রত্যাশিত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন ও উপভোগ করা যায়নি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তাই এবার মানুষের মধ্যে বাঁধ ভাঙা আনন্দ উপভোগের প্রবণতা দেখা দিবে-এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, “তবে আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও করোনা ভাইরাস পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবাইকে খুশি করতে গিয়ে যেন আমরা বিপদ ডেকে না আনি।”
তিনি দেশবাসীকে ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে উপভোগেরও আহ্বান জানান।
বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানোই হোক এবারের ঈদুল-ফিতরে সবার অঙ্গীকার।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, বঙ্গভবনে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
২ বছর আগে
ঈদ উদযাপনে ৪ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৭৩ লাখের বেশি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত চার দিনে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের মোট ৭৩ লাখের বেশি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
রবিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি মোবাইল অপারেটরদের একটি চার্ট শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যায় ২৯ এপ্রিল ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৯০ মোবাইল সিম গ্রাহক এবং ৩০ এপ্রিল ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ২২৬ জন রাজধানী ছেড়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ৬২ হাজার ১৩৬ জন গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী, ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪০ রবি সিম ব্যবহারকারী, ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩২ জন বাংলালিংক ব্যবহারকারী এবং এক লাখ ৪৬ হাজার আট জন টেলিটক ব্যবহারকারী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগের দুই দিনে প্রায় ৩০ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: দেখা যায়নি শাওয়ালের চাঁদ, মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর
ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
২ বছর আগে