পাহাড়ি ঢল
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা
সুনামগঞ্জ মধ্যনগরে পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধ ও চলাচলের রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৪ ইউনিয়নের জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মধ্যনগর থেকে মহিষখলা যাওয়া-আসার একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল।
জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিও ভেঙে যায়। পরিবহন চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে চামরদানী, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ, বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
স্থানীয়রা জানায়, অনেকদিন ধরেই এই রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিক তদারকি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। হঠাৎ ঢলে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়া বলেন, অনেকদিন ধরেই রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ। ঢলের কারণে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলায় দায়িত্বরত ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, সড়কটি আমরা পরিদর্শন করে এসেছি। খুব দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল
১৮১ দিন আগে
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমেছে, পানিবন্দি প্রায় ২০ হাজার মানুষ
শেরপুরে নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উজানের দিকে উন্নতি হয়েছে।
তবে ওই তিনটি উপজেলায় নিন্মাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
প্রায় ছয় দিন ধরে পানিবন্দি এসব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে কয়েকটি এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এদিকে, গত তিন দিন ধরে উজান থেকে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বেড়েছ। এতে কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর ও ৭ নম্বর চর এবং চরপক্ষীমারি ইউনিয়নে কুলুরচর, বেপারীপাড়া, জঙ্গলদী ও ভাগলদী গ্রামের নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে অনেক কৃষকের খেত ডুবে গেছে ও নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানির তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় ৬ নম্বর চরের পশ্চিম পাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা এবং দশানী নদীর ৭ নম্বর চর বাজার থেকে ব্রহ্মপুত্রের মোহনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উভয় নদীতে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ১০০ মিটার সরে এসে ভিটেমাটি গ্রাস করেছে। হুমকিতে রয়েছে ৭ নম্বর চর বাজার ও জামে মসজিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে সাতটি পরিবার তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বেশকিছু ফসলি জমি ডুবে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শেরপুরের বেশ কয়েকটি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা নদীগুলোর ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
৩০০ দিন আগে
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ২১ সেন্টিমিটার নিচে।
এছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের আরও কিছু নিম্নাঞ্চল আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, মহিষাশহর কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে। এসব এলাকার খেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতে পাহাড়ি ঢলের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খুলে দেওয়ার কারণে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে হুহু করে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এছাড়া আরও বেশি পরিমাণ পানি আমাদের বাংলাদেশের দিকে এলে এ এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এলাকার এরশাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে আমাদের ঘরে পৌঁছে গেছে। পানি আরেকটু বাড়লে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
৩২১ দিন আগে
পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জের একাধিক বেড়িবাঁধ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টানা বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জের একাধিক স্থানের বেড়িবাঁধ।
পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙে ও তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল। গৃহহীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
এদিকে, সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা খাসিয়ামারা নদীর স্রোতে লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকিরঘাট বেড়িবাঁধ ভেঙে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানি প্রবেশ করায় আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
অন্যদিকে, বোগলাবাজারে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাও-টেংরাটিলা যাতায়াত রাস্তা ভেঙে গেছে। মহব্বতপুর বাজার-লিয়াকতগঞ্জ বাজার সড়কে নোয়াপাড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে লক্ষীপুর ইউনিয়নের ২৮টি ও সুরমা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামসহ সীমান্তের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।
এছাড়া বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া, চৌধুরী পাড়া, মৌলারপাড়, চিলাইপাড়, পুরান বাশতলা গ্রামের অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, খাশিয়ামারা নদীর স্রোতে আমার ইউনিয়নে নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর ও চৌকির গাঁটে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে বেশ কিছু গ্রাম।
শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানি জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো করা হয়েছে বলে জানান লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান।
সুরমা ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, খাশিয়ামারা নদীর স্রোতে সুরমা ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান বলেন, চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পুকুরের মাছ ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন দোয়ারাবাজারে নিকট সুরমা নদী ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তিন দিন ধরে টানা বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরা চেলা, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ উপজেলার সব নদী-নালা, হাওর ও খাল-বিলের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে বলেও জানান সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি
কয়রায় অনেক বেড়িবাঁধ অরক্ষিত, আতঙ্কে খুলনার উপকূলবাসী
৩২১ দিন আগে
ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তত ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি মারিশ্যা দীঘিনালা সড়কে ১০টি স্থানে পাহাড় ধসে সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সাজেকের মাচালং ও বাঘাইহাট বাজার তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকে পড়েছেন ১২০ জন পর্যটক। পাহাড় ধসে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সড়কের আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
এদিকে এক টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তলিয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাছের পুকুর ও কৃষি জমি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধস ও নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়ক জনপদ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
এসময় ওসি ইশতিয়াক বলেন, সড়কের কয়েকটি স্থানে সব মাটি সরাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সড়ক থেকে পুরো মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আনুমানিক দুইদিন লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
৩৩৯ দিন আগে
কাপ্তাই লেকে নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযানসমূহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
এদিকে, গত চার দিন ধরে রাঙ্গামাটিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার এবং সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন।
মাইকিং করে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির এবং ভেদভেদি মুসলিম পাড়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ ছাড়া পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
৬৩৬ দিন আগে
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় কমছে নদ-নদীর পানি
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পানি কমা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, পানি কমায় এবং জেলায় বন্যার আশঙ্কা না থাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম বলেন, গত কয়েকটা দিন গরু, বাছুর, ধান নিয়ে বিপদেই পড়েছিলাম। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।
বংশীকুন্ডা বাজরের ব্যবসায়ী এবিএম জুয়েল তালুকদার বলেন, বাজারে বন্যার পানি না উঠলেও ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক ছিলো। যদিও বর্ষা মৌসুমে এরকম অবস্থা আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে বন্যা হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নদীগুলো খনন করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতকে পানি কমে বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে সুরমা নদীর প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান, পানি কমা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে বন্যা পরিস্থিতি হলে তা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে বন্যার আশংকা নেই। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নদীর পানি কমছে। বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
৬৬৫ দিন আগে
পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর নিয়ন্ত্রণের দুটি স্থানের বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বন্যায় মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়িসহ এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ওই ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া ও বৈরাগপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
ফুলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, পানির তোড়ে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফুর নাহার বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, রাতে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। সকালে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্তি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পানি একটু কমলেই মেরামত শুরু হবে।
১০৪৭ দিন আগে
টানা বর্ষণ: কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে উৎপাদন
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের সঙ্গে রবিবার সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, রবিবার ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে তিনটি ইউনিটে মোট ৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। তৎমধ্যে ২নং ইউনিটে ৩৯ মেগাওয়াট, ৩নং ইউনিটে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫নং ইউনিটে ৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে।
এছাড়া পুর্নবাসনের জন্য ১নং ইউনিট বন্ধ থাকলেও হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে ৪নং ইউনিটটি চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৮৯.৭৬ এমএসএল পানি থাকার কথা থাকলেও রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৭.০৪ এমএসএল পানি রয়েছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আরও জানান, এখন বর্ষা মৌসুম প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে ধীরে ধীরে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি, কিশোরগঞ্জের ১৫ গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
সিলেট নগরীর আংশিক এলাকায় সচল বিদ্যুৎ সরবরাহ
১০৪৮ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, এক লাখ মানুষ পানিবন্দি
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে প্রধান প্রধান নদীর পানির বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৬টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানিও অনেক জায়গায় বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২৬ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটসহ নগদ অর্থ বরাদ্দ
কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, ফুলবাড়ী, নাগেরশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলার নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বন্যায় প্রায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলার ৩০টি পয়েন্টে নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহু ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে এবং ১৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা
এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলার অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে বন্যা কবলিত এলাকার হাজারো মানুষ খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন।
১০৪৯ দিন আগে