বলিউড
মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
শুরুটা ছিল ২০০৪ সালে ‘মাস্তি’ মুভির মধ্য দিয়ে। তারপর দীর্ঘ ৯ বছরের ব্যবধানে ২০১৩ সালে মুক্তি পায় ‘গ্র্যান্ড মাস্তি’। অতঃপর মাত্র ৩ বছর পর আসে পরিণত হয়ে ওঠা মাস্তি ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় মুভি
‘গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’। তারপর একটানা ৮ বছরের দীর্ঘ বিরতি। অবশেষে এই ২০২৪-এ এলো বলিউডের সাড়া জাগানো কমেডি মুভি সিরিজটির চতুর্থ সংস্করণের ঘোষণা। গত ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইতে শুরু হলো মাস্তি ৪-এর শুটিং। সেই থেকে প্রতীক্ষার বাধ ভাঙা জোয়ারে ভাসছে গোটা সিনেমা পাড়া। কেমন হতে যাচ্ছে এবারের পর্ব? আগের সেই মজার চরিত্রগুলো কি আবার ফিরছে?- চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মাস্তি ৪ নির্মাণের নেপথ্যে
প্রথম তিন কিস্তি পরিচালনা করেছিলেন ইন্দ্র কুমার। কিন্তু এবার তার জায়গায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম। তবে তিনি বাইরের কেউ নন, মাস্তি পরিবারেরই সদস্য মিলাপ জাভেরি। তিনি প্রথম দুই সংস্করণে সংলাপ রচয়িতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে ছিলেন। প্রথম দুই কিস্তিতে নির্দেশনার পাশাপাশি স্ক্রিপ্টের দায়িত্বও পালন করেছিলেন কুমার। নতুন সংস্করণে নির্দেশনা ও রচনা দুটোই করবেন জাভেরি।
আরো পড়ুন: ৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
প্রযোজনায় একদম শুরু থেকেই ছিল মারুতি ইন্টারন্যাশনাল। তৃতীয় কিস্তিতে যুক্ত হয়েছিল বালাজি মোশন পিকচার্স এবং শ্রী অধিকারী ব্রাদার্স। এবার মারুতি এবং বালাজি টেলিফিল্মসের সাথে থাকছে জি স্টুডিওস এবং ওয়েভব্যান্ড প্রোডাকশন।
এবারের ‘মাস্তি’তে কারা থাকছেন
সিরিজের বিগত চলচ্চিত্রগুলোর মতো এবারেও মিত মেহতা, প্রেম চাওলা ও অমর সাক্সেনা চরিত্রে ফিরছেন যথাক্রমে বিবেক ওবেরয়, আফতাব শিবদাসানি এবং রিতেশ দেশমুখ। পুরো সিরিজ জুড়ে যথারীতি অপরিবর্তিত ছিলেন এই তিন তারকা। তবে তাদের বিপরীতে প্রধান নারী অভিনয়শিল্পীসহ অন্যান্য সহশিল্পীদের বদলটা হয়েছে বেশ নিয়ম করেই।
প্রথমটিতে ছিলেন অমৃতা রাও, তারা শর্মা এবং জেনেলিয়া ডি’সুজা। সঙ্গে আরও ছিলেন অজয় দেবগন ও লারা দত্ত।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
দ্বিতীয়টিতে দেখা গেছে সোনালী কুলকার্নি, কারিশ্মা তান্না ও মাঞ্জারি ফাড়নিসকে। আর সবশেষে ছিলেন পূজা ব্যানার্জি, মিষ্টি চক্রবর্তী এবং শ্রদ্ধা দাশ।
সেই ধারাবাহিকতায় এবারেও থাকবে তিনটি নতুন মুখ। কিন্তু সেই তিন নায়িকার ব্যাপারে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
শুটিংয়ের কয়েকটি ছবি হৈচৈ-এর খোরাক যোগাচ্ছে পুরো নেট দুনিয়া জুড়ে। একটিতে দেখা যাচ্ছে মাস্তি ৪-এর ক্ল্যাপারবোর্ড হাতে হাস্যজ্জ্বল আফতাবকে। কোনোটিতে আফতাব ও রিতেশের সঙ্গে রয়েছেন পরিচালক জাভেরি। আরেকটিতে রিতেশ ও আফতাবসহ মুভির অন্যান্য কলাকুশলীদের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা জিতেন্দ্র। সুতরাং মুভিতে জিতেন্দ্রেরও যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
রিতেশ ও জাভেরির হাস্যরসে ভরপুর একটি ভিডিও নিজের ইন্স্টাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্ট করে বিবেকও শিঘ্রই তার শুটিং-এ যোগ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
মাস্তি সিনেমার এবারের জনরা
প্রথম সংস্করণটি সব মিলিয়ে ছিল একটি অ্যাডাল্ট কমেডি ছবি। অবিরাম হাস্যরসে ভরপুর থাকলেও দ্বিতীয় কিস্তির সঙ্গে প্রথমটির গল্পের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সর্বশেষ সংস্করণে কমেডির সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটেছিল হরর জনরার। আর সদ্য ঘোষিত মুভিটি হতে যাচ্ছে রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার। সিনেমার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার সময় ইন্স্টাগ্রাম পোস্টের ক্যাপশনে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিবেক।
শেষাংশ
বিবেক, আফতাব ও রিতেশ-এর স্ব স্ব চরিত্রে প্রত্যাবর্তন 'মাস্তি ৪'-এর প্রতি প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। চিত্রনাট্যকার মিলাপ জাভেরি নির্দেশনায় কতটা ইন্দ্র কুমারকে ছাড়িয়ে যাবেন তা নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা মাস্তি ভক্তদের মাঝে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে মিত, প্রেম ও অমরের বিপরীতে কাদের দেখা যাবে তা-র কৌতূহল। উপরন্তু, শুটিংয়ের খবর প্রকাশের ভঙ্গিমাই বলে দেয়- কমেডি মুভিপ্রেমিদের জন্য হাস্যরসে ভরা দারুণ এক নির্মাণের নকশা হতে চলেছে।
আরো পড়ুন: মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
৩ দিন আগে
২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুমকে ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার সয়লাবে যেন জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সেই সঙ্গে পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। চলুন, এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহাসিক পূণর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্সঅফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য যে, এখন তিনি আর সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বনসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সেবার জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্সঅফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
শাহরুখের ‘কিং’
পরপর ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো হিট মুভি দেওয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটিকে। সঙ্গত কারণে বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান (২০২২)-এর পর এটি দম্পতি রণবীর-আলিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের পটভূমি
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ভাবেই ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর আবেগপূর্ণ পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধঃশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীরা পাচ্ছে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
৩ মাস আগে
কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২৬ এপ্রিল বিশ্ব নন্দিত ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হলো কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্র। এর আগে ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে হিন্দি ভাষার ছবিটি নিয়ে। প্রথম সারির কোনো অভিনয়শিল্পী না থাকলেও সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বনামধন্য বলিউড তারকারা। মিডিয়াপাড়াজুড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে কেন এত আলোচনা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী
পরিচালক কিরণ রাওয়ের শুরুটা ছিল ২০১০ সালে রোমান্টিক সিনেমা ‘ধোবি ঘাট’ দিয়ে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে এবার তিনি ফিরলেন স্যাটায়ার নিয়ে।
প্রযোজনা কমিটিতে তার সঙ্গে রয়েছেন জ্যোতি দেশপান্ডে এবং প্রাক্তন স্বামী বলিউডের তারকা অভিনেতা আমির খান। বিপ্লব গোস্বামীর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণ করেছেন স্নেহা দেশাই।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা হলেন নিতানশি গোয়েল, প্রতিভা রান্তা, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, ছায়া কদম, অভয় ডুবে, রবি কিষাণ, দুর্গেশ কুমার, এবং গীতা আগারওয়াল।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
ছবিটির সংগীত আয়োজন করেছেন রাম সম্পাথ এবং গানের কথায় ছিলেন দিব্যনিধি শর্মা, প্রশান্ত পান্ডে এবং স্বানন্দ কিরকিরে। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন বিকাশ নওলাখা এবং সম্পাদনায় জাবীন মার্চেন্ট।
ছবিটি সর্বপ্রথম ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টিআইএফএফ (টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) এ প্রদর্শিত হয়েছিল।
৭ মাস আগে
কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
গত ২৯ মার্চ মুক্তির পর থেকেই দর্শক সহ সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলিউড মুভি ক্রু। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করা তিন প্রজন্মের তিন নায়িকা টাবু, কারিনা ও কৃতি চলচ্চিত্রের মূল আকর্ষণ। শুধু তাই নয়, হৈচৈ-এর ব্যপ্তি সম্প্রসারিত হয়েছে নারীপ্রধান হিন্দি ছবির জগতে এর যুগান্তকারী ভূমিকা পর্যন্ত। তবে অভিনয়, চিত্রনাট্য, ও নির্মাণের বিচারে ছবিটি কতটুকু উতড়ে যেতে পেরেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্রু মুভির কলাকুশলীরা
নিধি মেহরা ও মেহুল সুরির চিত্রনাট্যে রম্য চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন রাজেশ এ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর খান, ও কৃতি স্যানন ছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রাজেশ শর্মা, কুলভূষণ খারবান্দা, এবং কলকাতার অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জি। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান ও টিভি উপস্থাপক কপিল শর্মাকে।
সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, বাদশা, রাজ রঞ্জোধ, বিশাল মিশ্র, অক্ষয়-আইপি, ভার্গ-রোহিত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর কম্পজিশনের দায়িত্বে ছিলেন জন স্টুয়ার্ট এদুরি।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
সিনেমাটোগ্রাফিতে কাজ করেছেন অনুজ রাকেশ ধাওয়ান। চলচ্চিত্রের সার্বিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন মনন সাগর।
ক্রু-এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বালাজি মোশন পিকচার্স এবং অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন একতা কাপুর, রিয়া কাপুর, অনিল কাপুর এবং দিগ্বিজয় পুরোহিত।
ক্রু চলচ্চিত্রের কাহিনী
গল্পটি গীতা শেঠি, জেসমিন কোহলি, এবং দিব্যা রানা নামের তিন বিমানবালাকে নিয়ে। দেউলিয়াপ্রায় কোহিনূর এয়ারলাইন্সে তাদের ছয় মাসের বেতন বাকি।
গীতাকে তার নিজের সংসারসহ তার ছোট ভাইয়ের পরিবারেও আর্থিক সাহায্য দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর জেসমিন বড় হয়েছেন নানা-নানীর কাছে। তাই পারিবারিক সম্পর্কের প্রতি তার ভীষণ বিতৃষ্ণা। তবে বিলাস জীবন-যাপনের প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ।
আর দিব্যার পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে যেয়ে অনেক ঋণ জমে যায়। কিন্তু যথেষ্ট সুযোগের অভাবে তার ভাগ্যে শেষমেষ বিমানবালার চাকরি মেলে। অবশ্য বাড়ি ফেরার সময় বিমানবালার পোশাক বদলে পাইলটের পোশাক পরে পরিবারের সামনে হাজির হন। এভাবে একদিকে পরিবারকে ফাঁকি দেন, আর অন্যদিকে টেনে চলেন সেই ঋণের বোঝা।
এমন আর্থিক সংকটে তিন জনেরই টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে কোহিনূর এয়ারলাইন্সের মালিক বিজয় ওয়ালিয়া সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এতদিন ধরে সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবে যে স্বপ্ন তারা বুকে লালন করে আসছিল, তার সব গুড়েবালি হয়ে যায়।
ঠিক এমনি সময় তাদের কাছে সুযোগ আসে স্বর্ণ চোরাচালানের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা, আর সিনেমার কাহিনীতে যুক্ত হতে থাকে বিচিত্র স্তর।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়
৮ মাস আগে
‘জঙ্গল’ থিমের পোশাক পরবেন আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিরা, থাকবেন হলিউড-বলিউড তারকারা
যখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলে বিয়ে করতে চলেছেন তখন কী কী হতে পারে ভাবতে পারছেন? বিয়ের প্রধান অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার চার মাস আগেই তার বাবা প্রাক-বিবাহ আনন্দ উদযাপনের আয়োজন করেন।
শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর জামনগরে রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, হলিউড ও বলিউডের তারকাদের মেলা বসেছে। বিলিয়নিয়ার শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল এক আয়োজনের তারা জড়ো হয়েছেন।
প্রায় ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন পপতারকা রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও বলিউড তারকা শাহরুখ খানও।
সবার চোখ এখন ২৮ বছর বয়সী অনন্ত আম্বানি ও তার দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের ওপর। আগামী জুলাইতে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। এনকোর হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী বীরেন মার্চেন্ট ও উদ্যোক্তা শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা।
এই উৎসব আম্বানি পরিবারের জমকালো ও আভিজাত্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারের যে প্রভাব সেটিও প্রদর্শন করে।
দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা আম্বানি পরিবার ও বিবাহ-পূর্ব এই জমকালো আয়োজন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কে এই মুকেশ আম্বানি?
১১৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী মুকেশ আম্বানি ফোর্বস তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের দশম এবং এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
তার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি বিশাল সাম্রাজ্য যার বার্ষিক আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পেট্রোকেমিক্যাল, তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে টেলিকমসহ রিটেইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
১৯৬৬ সালে তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রিলায়েন্স আম্বানির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ৪জি ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জিও চালু করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম মূল্য যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। বর্তমানে এটি ফাইভ জি পরিষেবা দিচ্ছে এবং গ্রাহকসংখ্যা ৪২০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে নিজেদের ব্যবসা আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত করতে ডিজনি এ সপ্তাহের শুরুতে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে নতুন একটি মিডিয়া জায়ান্টের জন্ম হতে চলেছে।
আম্বানি পরিবারের অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুম্বাইতে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যান্টিলা নামে একটি ২৭ তলাবিশিষ্ট ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং। এটিতে তিনটি হেলিপ্যাড, একসঙ্গে ১৬০টি গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যারেজ, ব্যক্তিগত সিনেমা থিয়েটার, সুইমিং পুল ও ফিটনেস সেন্টার রয়েছে।
আম্বানির সমালোচকরা বলছেন, সত্তর-আশির দশকে কংগ্রেস সরকার এবং ২০১৪ সালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে রাজনৈতিক সম্পর্কের জোরে আম্বানির প্রতিষ্ঠান বিকাশ লাভ করে। ভারতে এই ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক (ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) আম্বানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করেছে।
বর্তমানে মুকেশ আম্বানি তার দুই ছেলে ও মেয়েকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে শুরু করেছেন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানি এখন রিলায়েন্স জিওর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আর মেয়ে ইশা রিটেইল সেক্টর ও সর্বকনিষ্ঠ, অনন্ত নতুন জ্বালানি শক্তির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন।
সীমা অতিক্রম করাই আম্বানির আয়োজনের বিশেষত্ব।
২০১৮ সালে মেয়ের বিয়ের সময় পশ্চিম ভারতের শহর উদয়পুরে বিবাহপূর্ব জমকালো উৎসবে পপ সেনসেশন বিয়ন্সেকে নিয়ে এসে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন আম্বানি। সে সময় ভারতীয় সেলিব্রিটি ও বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটন ও জন কেরিও।
সেই বছরই ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামল ইতালির লেক কোমোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইতে আম্বানির বাসভবনে বিয়ে করেছিলেন তারা।
আসন্ন বিবাহ-পূর্ব আয়োজনে বিশেষ যা রয়েছে-
আগামী জুলাইতে বিয়ের সময় কেমন জমকালো আয়োজন হতে চলেছে তারই আভাস দিচ্ছে তিন দিনব্যাপী এই প্রাক-বিবাহ আয়োজন।
গুজরাটের কাছেই মরুভূমিতে অবস্থিত ৬ লাখ জনসংখ্যার শহর জামনগরে আম্বানিরা এই উৎসবের আসর বসিয়েছে। যেখানে তাদের পারিবারিক নিবাস এবং তাদের ব্যবসার প্রধান তেল শোধনাগারও রয়েছে।
সেখানে জঙ্গল থিমের পোশাক পরে হবু বর অনন্ত পরিচালিত একটি প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন অতিথিরা। নির্যাতিত, আহত ও বিপন্ন প্রাণীদের বিশেষ করে হাতিদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার একর জমির ওপর এই কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে যা ‘ভানতারা’ বা ‘বনের তারকা’ নামে পরিচিত।
আমন্ত্রণপত্রে জানা যায়, অতিথিদের জন্য প্রতিদিন ভিন্ন ও নতুন এক ড্রেস কোড থাকবে। এজন্য তাদের সাহায্য করতে হোটেলে মুড বোর্ড, হেয়ার স্টাইলিস্ট, মেকআপ আর্টিস্ট ও পোশাক ডিজাইনাররা থাকবেন।
একটি মন্দির প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানও হবে।
অতিথিদের অনেকেই চার্টার্ড প্লেনে আসবেন। এই আয়োজনে প্রায় ১০০ শেফের তৈরি ৫০০ ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।
অতিথিদের তালিকায় আরও রয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি; কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার; ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা।
বুধবার, আশেপাশের গ্রামে বসবাসকারী ৫১ হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে আম্বানি পরিবার।
৯ মাস আগে
বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
২০০০ সালে বাবা রাকেশ রোশনের মুভি ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে শুরু। এই অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনয় ও নাচে সমান পারদর্শী হৃত্বিক রোশন।
ক্রিশ মুভি সিরিজের পাশাপাশি ২০০৬-এর ধুম ২-এর মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি মন জয় করেছিলেন সমালোচকদেরও। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মধ্যে তিনি একজন। তার সর্বশেষ ব্লকবাস্টার ২০১৯-এর ‘ওয়ার’ তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ আয়কারী মুভি।
১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই হার্টথ্রব হিরো এবার তার জীবনের অর্ধশতক বসন্তে পদার্পণ করতে চলেছেন। এই উপলক্ষে চলুন, ২০২৪ সালে হৃত্বিক রোশনের নতুন মুভিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
১১ মাস আগে
ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মুভি সিরিজটির নাম ‘ধুম’। এরই নতুন কিস্তি তথা ধুম ৪ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে হৈচৈ।
প্রধান ভূমিকায় কারা ফিরছেন আর নতুন কারা আসছেন তা নিয়ে হাজারও জল্পনা-কল্পনা ভক্তদের মাঝে। সেগুলোর মধ্যে সম্প্রতি ধুম ৪-এ এসআরকে (শাহরুখ খান) এর অভিনয়ের বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
চলুন, খবরটির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যাক।
ধুম: এক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির উপাখ্যান
সহকারী পুলিশ কমিশনার জয় দীক্ষিত এবং তার সহযোগী আলি আকবর ফতেহ খান বিশ্বের সবচেয়ে ধূর্ত চোরকে ধরাশায়ী করতে জড়িয়ে পড়তে থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। এমনই পটভূমি নিয়ে ধুম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডের ‘বাডি কপ’ জনরাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম বলিউড ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত ট্রিলজিটির প্রতিটিতেই খলনায়কের চরিত্রগুলো জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে গেছে নায়কদেরকে। কখনো ব্যাংক ডাকাতি কখনো বা অমূল্য শিল্পকর্ম চুরি; এমনই অন্ধকার জগতকে জড়িয়ে দেখানো হয়েছে নতুন নতুন গল্প।
সবগুলোতে অভিষেক বচ্চন এবং উদয় চোপড়া যথাক্রমে জয় ও আলি আকবরের ভূমিকায় অপরিবর্তিত ছিলেন। কিন্তু চোরের চরিত্রগুলোতে প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন খ্যাতিমান তারকারা।
প্রথম ছবিতে জন আব্রাহামের সঙ্গে সহ-খলনায়িকা হিসেবে ছিলেন এশা দেওল। দ্বিতীয়টিতে ছিলেন ঋত্মিক রোশান ও ঐশ্বরিয়া রাই। আর সর্বশেষটাতে ছিলেন শুধু আমির খান।
প্রথম দুই কিস্তির পরিচালক ছিলেন সঞ্জয় গাধবি, যেগুলো মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ ও ২০০৬-এ। তবে সর্বশেষেরটিতে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ধুমের সবগুলো কিস্তির চিত্রনাট্যকার ভিজয় কৃষ্ণ আচার্য। ধুম নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের তৃতীয় প্রজেক্টটি প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল ২০১৩ সালে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
১১ মাস আগে
বলিউডেও দ্যুতি ছড়ালেন জয়া
একসময় বলা হতো কলকাতার সিনেমায় বাংলাদেশের জয়া আহসান, কিন্তু বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে জয়া এখন কলকাতা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একজন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দেশের বাইরের ইন্ডাস্ট্রিতে এই অভিনেত্রীর সফলতা শুধু তাকেই নয় বাংলাদেশকেও নতুনভাবে পরিচিত করেছে। কলকতার জনপ্রিয় অনেক অভিনয়শিল্পীর চেয়ে তার সফলতার ঝুড়ি একটু বেশিই ভারি!
জয়া যে বলিউডের সিনেমায় কাজ করছেন সেটি তো আগেই সবার জানা। ‘কাড়াক সিং’ সিনেমাটি পর্দায় কবে দেখা যাবে তাকে, এ নিয়েই অপেক্ষা। কারণ, একদিকে প্রথম হিন্দি সিনেমা, অন্যদিকে তার বিপরীতে রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। যিনি কিনা এই সময়ে বলিউডে ওটিটির ব্যবসায় সফল কাস্টিংদের একজন।
আরও পড়ুন: কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেল ‘কাড়াক সিং’। গল্পের প্লট কয়েকটি ঘটনায় এগিয়ে গেছে। যার অনেকটা জুড়েই রয়েছেন জয়া আহসান। পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে জয়ার রসায়ন ছিল নজরকাড়ার মতো।
জয়া প্রসঙ্গে পঙ্কজ ত্রিপাঠি ভারতের এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সিনেমার পিরিচালক অনিরুদ্ধ রায়ের কাছে জয়া সম্পর্কে জানি। তার বেশ প্রশংসাও শুনি। এরপর জয়ার কয়েকটি বাংলাদেশি সিনেমা দেখি।’
অন্যদিকে জয়া আহসান বলেন, ‘এই সিনেমায় আমাদের ডিরেক্টর বলেছেন একদম অভিনয় করা যাবে না। সো, যতটা আন্ডারটোন করা যায়। পঙ্কজ ত্রিপাঠি থেকে সবাই খুব সুন্দর অভিনয় করেছে, ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন।’
‘কাড়াক সিং’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন সঞ্জনা সাংঘি, মালয়ালম অভিনেত্রী পার্বতী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
১ বছর আগে
কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
বলিউড সিনেমায় অভিষেক ঘটতে চলেছে ৫ বার বাংলাদেশের জাতীয় পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের। চলচ্চিত্রের নাম কড়ক সিং। যার প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয় ৯ নভেম্বর। তবে কোনো প্রেক্ষাগৃহে নয়, ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে ভারতের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে।
২০২২-এর শেষের দিকে প্রজেক্টটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। শুটিং ও নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে ফার্স্ট লুক পোস্টারের মাধ্যমে তার হিন্দি সিনেমার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হলো।
শুধু ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ই নয়; এর মাধ্যমে ভারতের প্রতিভাবান সব চলচ্চিত্র কর্মীদের সাহচর্য পেলেন চির তরুণ এই অভিনেত্রী। চলুন, জয়ার এই নতুন যাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কড়ক সিং নির্মাণের নেপথ্যের মানুষেরা
এই মুভির মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো হিন্দি ভাষায় নির্দেশনা দিলেন ভারতের বাঙালি নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি অনুরণন (২০০৬) দিয়েই তিনি দর্শকদের কাছে নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন। অনুরণনসহ অন্তহীন (২০০৮) এবং পিঙ্ক (২০১৬ ফিল্ম) তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়।
কড়ক সিং-এর কাস্টিং পরিচালনার কাজ করেছেন যোগী মল্লং, যিনি পূর্বে অস্কার জয়ী আরআরআর মুভির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি নিজেও ছবির একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে কাস্টিংয়ে সহপরিচালক হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বাগচী।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
প্রোডাকশন ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন নাতাশা গৌউবা, যিনি এর আগে সালমান খানের রেস-৩ (২০১৮) ও দীপিকার রামলীলা (২০১৩) এর প্রোডাকশন ডিজাইন করেছিলেন।
সঙ্গীত আয়োজন করেছেন ভারতের খ্যাতিমান সুরকার, গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র।
চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন অভিক মুখোপাধ্যায়, যিনি অনিরুদ্ধর পিঙ্ক মুভির সিনেমাটোগ্রাফি করেছিলেন।
ছবির সামগ্রিক সম্পাদনায় নিয়োজিত ছিলেন অর্ঘকমল মিত্র।
কড়ক সিংয়ে জয়ার সহঅভিনয় শিল্পীরা
ছবির নাম ভূমিকায় এখানে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যদিও চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা নয়; কিন্তু একজন বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে এ নিয়ে পঙ্কজ তৃতীয়বারের মতো কাজ করলেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে 'দিল বেচারা'(২০২০) খ্যাত অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘী, এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু। এছাড়াও রয়েছেন দিলীপ শঙ্কর, পরেশ পাহুজা, বরুণ বুদ্ধদেব সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘বিউটি সার্কাস’ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ: জয়া আহসান
১ বছর আগে
শাহরুখের ‘ডানকি’ বনাম প্রভাসের ‘সালার’: মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে
শাহরুখ খান, ৯০-এর দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বলিউড সিনেমার আকাশে সবচেয়ে আলোকিত তারকার নাম। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ৬০-এর কোঠায়ও ব্র্যান্ড এসআরকে অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো স্থান পাচ্ছে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিনেমার তালিকায়। অন্যদিকে প্রভাস ২১ শতকের দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকা। তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণকারী তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই তারকা বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের একজন। আসছে বড় দিনে ভারতীয় সিনেমার এই দুই অধিপতি মুখোমুখি হতে যাচ্ছে; অবশ্যই তাদের অভিনয়ের যুদ্ধে। একদিকে শারুখের বহুল প্রত্যাশিত ‘ডানকি’, অন্যদিকে সিজফায়ার শিরোনামে প্রভাসের ‘সালার’-এর প্রথম পার্ট।
স্বভাবতই হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে মিডিয়াসহ শাহরুখ-প্রভাসের সারা দুনিয়াজোড়া ভক্তদের মধ্যে। কে কার থেকে কতটা এগিয়ে থাকবে- এমন জল্পনা-কল্পনার খোরাক যোগানো ছবি দু’টির বিস্তারিত নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ‘ডানকি’ ও ‘সালার’ চলচ্চিত্রের বিস্তারিত।
আরও পড়ুন: ৪৮তম টরন্টো উৎসবে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত
শাহরুখ খানের ‘ডানকি’
কেমন গল্প থাকছে ‘ডানকি’ সিনেমায়
চলচ্চিত্রটির শিরোনামটি এসেছে মুলত ডানকি ফ্লাইট থেকে। সাধারণত এক দেশে থেকে একাধিক অবৈধ ট্রাঞ্জিটের মাধ্যমে অন্য দেশে প্রবেশের পদ্ধতি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ডানকি ফ্লাইট বা ডানকি রুট। এই পথে প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলোতে প্রবেশ করে।
এমনি এক ভারতীয় তরুণের জীবন কাহিনী ফুটে উঠবে এই সিনেমায়। মজার মজার সব ঘটনার মধ্য দিয়ে আবর্তিত হবে নানান জটিলতায় ভরা এই অবৈধ যাত্রা। পরিশেষে সে কি নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে, না কি ফিরে আসবে নিজের দেশে- তারই জবাব মিলবে এই রম্য উপস্থাপনায়।
‘ডানকি’ নির্মাণের নেপথ্যের কলাকুশলীরা
২০২০ সালের শেষের দিকে গুজব উঠে যে, বলিউড বাদশাকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছেন প্রথিতযশা চলচ্চিত্রকার রাজকুমার হিরানি। ২০২১ সালের আগস্ট নাগাদ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল ছবির চিত্রনাট্য। অতঃপর পরের বছর ১৯ এপ্রিলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর বিষয়টি আর গুজব থাকে না।
পরিচালক হিরানিসহ গল্পের স্ক্রিপ্ট লেখনে অংশ নিয়েছেন অভিজাত জোশী এবং কণিকা ধিলোন। দৃশ্য ধারণের জন্য সিনেমাটোগ্রাফার অমিত রায়কে প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তার জায়গায় চূড়ান্ত ভাবে স্থলাভিষিক্ত হন সিকে মুরলীধরন। আর এর মাধ্যমে তিনি লাগে রাহো মুন্না ভাই (২০০৬), থ্রি ইডিয়েট্স (২০০৯) এবং পিকে (২০১৪) এর পর হিরানির সঙ্গে চতুর্থবারের মতো একসঙ্গে হলেন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় মূল ফটোগ্রাফি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে বুদাপেস্ট এবং লন্ডনে চিত্রগ্রহণ হয় টানা এক মাস। অক্টোবরে মুম্বাইতে শাহরুখ খানের একটি দুর্ধর্ষ বাইকের সিকোয়েন্স শুটিং হয়। নভেম্বরে সৌদি আরবের জেদ্দা ও নিওমে শ্যুটিং চলে টানা ১২ দিন। ২০২৩-এর জানুয়ারী মাসে মুম্বাইতে পানির নীচের দূর্দান্ত একটি শটে অংশ নেন এরআরকে।
সিনেমার সঙ্গীত আয়োজন করেছেন স্বনামধন্য সঙ্গীত কম্পোজার প্রীতম চক্রবর্তি।
রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট এবং জিও স্টুডিও নির্মিত ছবিটির প্রযোজনায় ছিলেন স্বয়ং হিরানি, জ্যোতি দেশপান্ডে ও শাহরুখ-সহধর্মিনীয় গৌরী খান।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই মাইকেল হাত ধরে আমাকে সরাতে গেছেন: সায়ন্তিকা
ডানকি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক নন-থিয়েট্রিকাল ডিস্ট্রিবিউশন স্বত্ব বাবদ আয় করেছে ২৩০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকারও বেশি)। দেশের ভেতরে নন-থিয়েট্রিকাল প্রচার স্বত্ব থেকে এসেছে ১৫৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ২০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকারও বেশি)। এই স্বত্বটি নিয়েছিল জিয়োসিনেমা।
শাহরুখের ‘ডানকি’তে আর কারা থাকছেন
ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন মুকেশ ছাবরা। ‘ডানকি’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত শাহরুখের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে তাপসী পান্নুকে। ২০২২ সালের অক্টোবরে কাস্টিং-এ যোগদান করেন বোমান ইরানি, দিয়া মির্জা, সতীশ শাহ, এবং ভিকি কৌশাল। অন্যান্যদের মধ্যে আরও দেখা যাবে ধর্মেন্দ্র ও পরীক্ষিত সাহনিকে।
প্রভাসের ‘সালার পার্ট-১ সিজফায়ার’
‘সালার’ সিনেমার কাহিনী
মৃত বন্ধুকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে রীতিমত মিশন হিসেবে নিয়ে অভিযানে নেমে পড়ে একজন গ্যাং লিডার। রূদ্ধঃশ্বাস এই অভিযানে ভয়াবহ সব অপরাধী চক্রের সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ের পটভূমি নিয়ে অগ্রসর হবে ‘সালার’-এর গল্প।
‘সালার’ চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও বাজেট
২০২০-এর ২ ডিসেম্বর শিরোনাম প্রকাশের মাধ্যমে উন্মোচিত হয় সিনেমাটির নির্মাণ পরিকল্পনা। মুল কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয় হায়দ্রাবাদে ২০২১-এর ১৬ জানুয়ারী। তারও কিছু দিন পর ২৯ জানুয়ারী তেলেঙ্গানার গোদাবরীখানি শহরের কাছে কয়লা খনিতে শুরু হয় শ্যুটিং।
২০২২ সালের মার্চ নাগাদ শ্যুটিং-এর মাত্র ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছিল। একই বছর প্রভাসের রাধে শ্যাম এবং নীলের কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ মুক্তির কারণে চিত্রগ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে মার্চে স্পেনে ছুটি কাটাতে যেয়ে প্রভাস হাঁটুতে ব্যাথা পান, যার কারণে শ্যুটিং আরও বিলম্বিত হয়েছিল। সব মিলিয়ে জুন মাসে আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয় শ্যুটিং।
আরও পড়ুন: ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর পর্দা উঠছে
১ বছর আগে