বাড়িঘর
ইসরাইলি অবরোধ, বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে চাইলেও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবরোধ করে রাখায় সড়কেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এদিকে জর্ডান ও মিসরসহ অন্য আরব দেশগুলো আরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে গ্রহণ করবে, সেটিই দেখতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তা সন্দেহের চোখে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা।
বসতবাড়িতে ফিরতে না পেরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় রাত যাপন করেছেন। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে অবরুদ্ধ সড়ক খুলে দিতে অস্বীকার করছে ইসরাইল।-খবর এপি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।
এই অচলাবস্থার কারণে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে একটা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মধ্য গাজায় উত্তর দিকের সড়ক বরাবর সারি সারি ফিলিস্তিনি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন—কখন বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন। তাদের মধ্যে কেউ গাড়িতে বসে, কেউ আছেন দাঁড়িয়ে।
তামের আল-বুরাই নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, গাজায় ফিরে যেতে এক বিশাল জনসমুদ্র অপেক্ষা করছেন। তাদের আর তর সইছে না।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী সড়ক অবরোধ তুলে নিচ্ছে না। সবাই বিরক্ত ও হতাশ।
গাজা যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন তামের। তিনি বলেন, ‘এখানের অনেকেই জানেন না তারা যে বসতবাড়ি রেখে এসেছেন, তা কী আগের মতো আদৌ দাঁড়িয়ে আছে, নাকি ইসরাইলের বোমায় মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তারা ফিরতে চাচ্ছেন।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সালাউদ্দিন সড়কে রাত কাটিয়েছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার মূলসড়ক এটি। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বরাবর নেৎজারিম করিডরে অবস্থান নিয়ে আছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই পথ দিয়েই বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
জাজিম, খাবার ও তাঁবুভর্তি গাড়ি, ট্রাক ও রিকশা নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধের সময় আশ্রয়ের জন্য তাদের এসব দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ও মার্কিন সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও আছে।
কিন্তু ইসরাইল বলছে, জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হামাস। এছাড়াও আরবেল ইহুদ নামের এক নারীকেও তারা ফেরত দিতে পারেননি। ফলে উত্তর গাজায় যাওয়ার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে তারা।
এদিকে শনিবার দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ইসরাইলের হাতে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় নিরপরাধ মানুষের ওপর এই বোমা দিয়ে হামলা হতে পারে ভেবে এটির হস্তান্তর স্থগিত করে দিয়েছিলেন জো বাইডেন প্রশাসন।
ডর্জান ও মিসরকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান
গাজা থেকে আরও বেশি ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের স্রেফ পুরো জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। আক্ষরিক অর্থে এটি একটি ধ্বংসস্তূপ, সেখানের প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন মারা যাচ্ছেন।
‘আমি চাই, মিসর লোকজন নিয়ে যাক। তারা সম্ভবত ১৫ লাখ লোক নিতে যাচ্ছেন এবং পুরো জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলুন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছেন হামাসের এক নেতা। এটিকে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার আভাস হিসেবেই বিবেচনা করছেন তিনি।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, পুনর্গঠনের আড়ালে ভালো উদ্দেশ্য থাকলেও এ ধরনের প্রস্তাব কিংবা সমাধান আমরা গ্রহণ করবো না।
আল-আওদা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি গুলিতে চার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তারা যাতে সড়ক ক্রসিংয়ের কাছে ঘেঁষতে না পারে, সে জন্যই এই গুলি করা হয়েছে।
৭৪ দিন আগে
ফরিদগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: বাড়িঘর ও দোকান পুড়ে ছাই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পৃথক দুইটি অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর ও একটি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ৮টার দিকে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড: ১৪ পরিবারের ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
ক্ষতিগ্রস্ত লিলু বেগম, বিল্লাল হোসেন ও খোরশেদ আলম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। কোনো জিনিসপত্র সরাতে পারেননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিভাতে গিয়ে চার থেকে পাঁচজন আহত হন বলে জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউসারুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সর্ভিসের দলনেতা মো. বিল্লাল হোসেন ইউএনবিকে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওদিকে দিবাগত রাত ২টার দিকে অন্য একটি আগুনের ঘটনায় দক্ষিণ লাড়ুয়া গ্রামে দুলাল বেপারির মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্টেশন অফিসার বিল্লাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকল বাহিনী আগুন নেভায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
৩৯১ দিন আগে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙনে গত ১৫ দিনে শতবিঘা আবাদি জমি, অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে আরও দেড় শতাধিক বাড়িঘর।
ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও ভাঙন কবলিত মানুষ বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় তীব্র ভাঙনে বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভাঙন কবলিতদের নিজস্ব জমিজমা না থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষ তাদের বাড়িঘর সরিয়ে খোলা আকাশে ফেলে রেখেছে। ঈদের ১০/১২ দিন আগে থেকেই এখানে ভাঙন চলছিল।
জিও ব্যাগ দিয়ে সরকারি স্কুলটি রক্ষার চেষ্টা করা হলেও জিও ব্যাগসহ সেটি নদী গর্ভে চলে গেছে। এসময় ভেঙে গেছে আরও ৪৫ থেকে ৫০টি বসতবাড়ি। সবজি ও পাটখেতসহ শত বিঘা আবাদি জমি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে গাছপালা-পুকুর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
নদী তীরবর্তী শহিদুর ইসলাম (৫৬) জানান, ভাঙনে বজরা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আর রক্ষা করা যায়নি। সেই সঙ্গে ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। আরও দেড় শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙনের হুমকীতে। এছাড়াও পিছনে আরও ৬ থেকে ৭শ’ পরিবারও রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
৬৪৮ দিন আগে
সাতক্ষীরায় টর্নেডোর আঘাতে ৪৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডো আঘাতে ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। তবে হতাহতের কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
টর্নেডোতে সুন্দরবন সংলগ্ন কালিঞ্চির মধ্যপাড়া, কলোনিপাড়া, গেটপাড়া ও গোলাখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। ১৫টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে এবং ৩০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আজগার আলী জানান, টর্নেডোর সময় কালিন্দী নদীতে ভেসে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে নৌপুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো কালিঞ্চি ও গোলাখালী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এতে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছ উপড়ে বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
এতে কলোনিপাড়ার বৃদ্ধা রহিমা বেগম, খোকন এবং মধ্যপাড়ার আজগর আলী বুলু, রেজাউল, অবনী ও ভুপেন মণ্ডলসহ ১৫ জনের বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। টর্নেডোর পরপরই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান, টর্নেডোর আঘাতে প্রায় ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আকতার হোসেন বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। পরে এর তালিকা পাওয়া যাবে। তবে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
সাতক্ষীরায় ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
৭৪৯ দিন আগে
বন্যায় সিলেটে ৪০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি কাঁচা বাড়িঘর আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন ব্যতীত জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়ছে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ বা অনুদান প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন লোক আশ্রয় গ্রহণ করেন। প্রত্যক্ষভাবে গ্রামীণ জনপদের ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার বিভিন্নভাবে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে এবং ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
সিলেট জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় নগরীসহ ১৩টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভা প্লাবিত হয়। এতে জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরেক দফা বন্যার আশঙ্কা
এদিকে আগামী কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরেক দফা বন্যার পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আগামী কয়েকদিন সিলেট বিভাগে ভারী থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, ‘ভারতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে উজান থেকে আসা পানি সিলেট অঞ্চলকে প্লাবিত করতে পারে।’
এছাড়া একই দিন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বিডব্লিউডিবি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও হিমালয় পাদ্দেশীয় পশ্চিমবঙ্গের (জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় আরও একজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৮
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে স্বাধীন আবহাওয়া গবেষণা দল বাংলাদেশ ওয়েদার অবসারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি পরে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
১০১৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
গোমস্তাপুর উপজেলার কাজিগ্রাম ও কলকলিয়া গ্রামে সোমবার রাতে ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটিও পড়ে যায়।
১৭৮১ দিন আগে