তথ্য
ব্যাংক ও ব্যাংকিং খাতের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করুন: অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অর্থনীতি নিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ চিন্তাবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত একটি দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড।
তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো যখন ভালো করেছে, তখন অন্য খাতগুলোও ভালো করছে।’
অর্থনীতিকে সচল রাখতে তারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের একটি ব্যাংকের কর্মক্ষমতা জানার অধিকার রয়েছে- যেখানে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা দিচ্ছে। একটি ব্যাংকের আর্থিক কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য গ্রাহকদের জন্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক'র পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক বই প্রকাশ দেশের আর্থিক খাতের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
এই গতি ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সন্নিবেশ করে নিয়মিত বই প্রকাশ করা হচ্ছে।’ 'প্রকাশনা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ব্যাংকার, ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে এমন লোক, গবেষক, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের সবার জন্য বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের প্রথম এ ধরনের প্রকাশনা উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সংস্করণে নতুন এবং জনস্বার্থের তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করি। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই জাতীয় প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা সর্বশেষ তথ্য দিয়ে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে, আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে দিচ্ছি। অন্তত দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আব্দুল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
একাডেমিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আরাফাত বলেন, 'মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।’
আরও পড়ুন: পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ ও উপমন্ত্রী মহিবুল
টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকারে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, মৌলবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলো নিজেদের জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায়, কিন্তু অন্যদের সেই স্বাধীনতা দিতে চায় না, যা সমাজে গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। আরাফাত বলেন, ‘মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।’
তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
আরাফাত একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছরের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিজয়ী হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
তিনি অনেক বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত একাডেমিক, সামাজিক-আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের শিক্ষক। তার একাডেমিক আগ্রহসহ ছোটখাট ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূলধন, সংযোগ ইত্যাদির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি ঢাকাভিত্তিক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক প্রচারণামূলক কাজ করেছে।
টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি, প্রাইরি ভিউ এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন আরাফাত।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি জনপ্রিয় মুখ।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সব প্রস্তুতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা মিটিং শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মাঠে থাকবে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, নারী ও বয়স্কদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সবরকম সহিংসতা রুখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে আমি যশোরবাসী ও দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট প্রয়োগ করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এছাড়াও তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, যদি কারও কাছে এমন কোন তথ্য থাকে কেউ নাশকতা করবে বা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাহলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এর আগে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: মোমেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের তথ্য কেউ দিলে সরকার তাকে পুরস্কার দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের তথ্য দিতে পারেন তাহলে আপনাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।’
২১ বছর ধরে যারা খুনি ও খুনিদের পেছনের লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘এই সমস্ত লোকের মুখোশ খুলে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত শক্তিশালী আইনের শাসনের দেশ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের খুনিদের আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
পলাতক থাকা পাঁচ খুনি হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহউদ্দিন খান।
নুর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাদের শাস্তি বাস্তবায়ন করতে তাদের ফেরত চায় বাংলাদেশ।
মোমেন বলেন, সব খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা হলে সরকার খুব খুশি হবে। ‘কিন্তু আমরা এখনও এটা করতে পারিনি। আমরা যদি পারি, আমরা অনুভব করব যে এটি একটি বড় অর্জন।’
মোমেন বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারকে অনেক চিঠি লিখেছে যাতে খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়; এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দুই খুনিদের বাসভবনের সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ করতে উৎসাহিত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শক্ত তথ্যসহ আরও গবেষণা-ভিত্তিক বই লেখার উপর জোর দেন যাতে তারা আরও তথ্য-প্রমাণ দিতে পারে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন সাংবাদিক সংঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নগর পরিকল্পনার জন্য ভূ-তথ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের ফলাফলের ওপর আয়োজিত সেমিনারের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এলাকা-ভিত্তিক মাস্টার প্ল্যানের উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রতিফলন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি) এবং জার্মানির ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর জিওসায়েন্স অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (বিজিআর) সম্প্রতি যৌথভাবে বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরা পৌরসভা এবং আশেপাশের এলাকায় একটি সমীক্ষা চালায়।
প্রকল্পের অধীনে নিরাপদ বা ন্যূনতম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সুবিধা তৈরির উদ্দেশ্যে ভূতাত্ত্বিক, ভূ-প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশগত তথ্যের একটি কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিএসবি-এর অর্জন সন্তোষজনক হলেও এর গবেষণার ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে হবে।
‘আমরা যদি ভূতাত্ত্বিক জরিপে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে পারি তবে সাফল্যের অনুপাত আরও বাড়বে’, তিনি যোগ করে বলেন, ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহারের নির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এলজিআরডি সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াশি উদ্দিন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, জিএসবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিজিআর, জার্মান প্রকল্প সমন্বয়কারী লেনা মারিয়া লরেঞ্জেন, জিএসবি প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল কামাল এবং বিজিআর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়ার্নার বুচের্ট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি খুচরা গ্রাহকদের এই মুহূর্তে প্রভাবিত করবে না: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে সংসদে তোপের মুখে নসরুল হামিদ
ওমরাহ ই-ভিসা: বাংলাদেশসহ ৫ দেশের যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য আবশ্যক
ওমরাহ'র জন্য ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) পেতে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের ওমরাহ তীর্থযাত্রীদের অবশ্যই তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে, যার মধ্যে আঙুলের ছাপ রয়েছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
অন্য চারটি দেশ হল- যুক্তরাজ্য, তিউনিসিয়া, কুয়েত ও মালয়েশিয়া।
দ্য গাল্ফ নিউজ অনুসারে, আগ্রহী তীর্থযাত্রীদের সৌদি ভিসা বায়ো অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে যা উল্লেখযোগ্য মুসলিম তীর্থযাত্রায় যোগদানের জন্য আঙুলের ছাপ ও সেলফি বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ভিসা নিবন্ধনের অনুমতি দেয়।
নতুন অ্যাপটি গত বছরের শেষের দিকে সৌদি সরকার মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির অনুমতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে যাতে মক্কায় তীর্থযাত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে ভিসা কেন্দ্রে যাওয়া এড়াতে পারেন এবং ভিসা ইস্যু করার জন্য মোবাইলের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক গ্রহণকারী দেশটিকে বিশ্বের প্রথমদের একটি করে তোলে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব একটি চিপসহ একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট প্রকাশ করেছে যা প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক সংরক্ষণ করে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালন নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের
৭ মাস পর মক্কায় মুসল্লিদের ওমরাহ পালন শুরু
করোনাভাইরাস: বিদেশিদের পর সৌদি বাসিন্দাদের জন্যও ওমরাহ বাতিল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শহিদুল আলমের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়মিত আপিল দায়েরের এই আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম জামিন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
পরে শহিদুল আলমের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। যে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে গত ১৪ ডিসেম্বর রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার মান বাড়িয়েছে: মন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং সেবার মান বৃদ্ধি করেছে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি উইং আয়োজিত ৫ম জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থান করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইতোমধ্যে 'দূতাবাস' অ্যাপ চালু করেছে। ফলে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন যোগাযোগের জন্য 'বৈঠক' নামক ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার শুরু করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে এবং ভবিষ্যতে ই-ভিসা চালু করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়াকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রশাসনিক ও কনস্যুলার সেবাকে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছে আরও সহজকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ের ৬২টি সেবাকে মাইগভ প্ল্যাটফরমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের মানুষ ঘরে বসেই যাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য উক্ত সেবাসমূহকে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় বিদেশস্থ সকল বাংলাদেশি মিশনের জন্য সমরূপ ওয়েবসাইট নির্মাণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অনুকরণে সফলভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি-সহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো এবং ডিজিটাল যুগে বিশ্ব পরিমন্ডলে অগ্রগামী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতের জন্য ‘শেখ হাসিনা নিউরাল নেটওয়ার্ক’ তৈরিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম ও আইসিটি) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ভিত্তিক সাতটি গৃহীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটুআই এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সংকল্পের কথা জানান।
উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ ইন ২০৪১: এ ড্রিম ইন মেকিং’ শীর্ষক একটি বৈশ্বিক অণুগল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ভাষায় শতাধিক অনুগল্প জমা হয়। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নবীন কর্মকর্তাদের জন্য একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মাইগভ প্ল্যাটফর্মের অধীনে মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার ও প্রশাসনিক সেবা সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের ব্যবহারের উন্মুক্ত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় হাইব্রিড ফরম্যাটে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিন।’
বুধবার সকালে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত ঢাকা ম্যাচ কলোনির জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এ আহবান জানান।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপসমেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারিনা। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, ছাদে কোথাও পানি জমে আছে। আপনি যদি নিজে পরিষ্কার না করতে পারেন আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেবো। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন কোন প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে আছে আপনারা যদি তাদের দিয়ে পরিষ্কার না করাতে পারেন তাহলে আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলরসহ উপস্থিত হবো। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হবে। আমরা করে দেবো। শুধু আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য দিয়ে লাভ নেই। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন। ‘
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩শেখ তাপস আরও বলেন, ‘এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসাবাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোন পাত্রে হয় - অর্থাৎ যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই কিন্তু এডিস মশার প্রজনন হয়ে থাকে। আপনাদের মেয়র হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিন।’ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন যে ঢাকা শহরের যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি আমাদের কীটনাশক আছে আমাদের জনবল আছে, আমাদের যন্ত্রপাতি আছে, আমাদের সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সবমিলিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।’
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩
পরে শেখ তাপস নগরীর ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর ডিএসসিসি মেয়র ডিএসসিসি পরিচালিত ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুরাতন ঢাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন করব। সে লক্ষ্যেই আজকের পরিদর্শন।’
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুলএ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।