বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নগর পরিকল্পনার জন্য ভূ-তথ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের ফলাফলের ওপর আয়োজিত সেমিনারের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এলাকা-ভিত্তিক মাস্টার প্ল্যানের উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রতিফলন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি) এবং জার্মানির ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর জিওসায়েন্স অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (বিজিআর) সম্প্রতি যৌথভাবে বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরা পৌরসভা এবং আশেপাশের এলাকায় একটি সমীক্ষা চালায়।
প্রকল্পের অধীনে নিরাপদ বা ন্যূনতম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সুবিধা তৈরির উদ্দেশ্যে ভূতাত্ত্বিক, ভূ-প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশগত তথ্যের একটি কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিএসবি-এর অর্জন সন্তোষজনক হলেও এর গবেষণার ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে হবে।
‘আমরা যদি ভূতাত্ত্বিক জরিপে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে পারি তবে সাফল্যের অনুপাত আরও বাড়বে’, তিনি যোগ করে বলেন, ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহারের নির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এলজিআরডি সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াশি উদ্দিন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, জিএসবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিজিআর, জার্মান প্রকল্প সমন্বয়কারী লেনা মারিয়া লরেঞ্জেন, জিএসবি প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল কামাল এবং বিজিআর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়ার্নার বুচের্ট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি খুচরা গ্রাহকদের এই মুহূর্তে প্রভাবিত করবে না: নসরুল হামিদ