পার্বত্য চট্টগ্রাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার চাকমাকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও আর্থিক সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৪ এর ৬(২) ধারা অনুযায়ী অন্য যে কোন পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ওএসডি অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল আলীম খানকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলির আদেশাধীন ছিলেন।
৮৯ দিন আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাংলাদেশ ও অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বক্তারা
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি অর্জিত হয়নি স্বীকার করে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান তারা।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. নাসিমুল গণি রচিত 'আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ১৯৯৭: বাংলাদেশের অসমাপ্ত শান্তি বিনির্মাণ মডেল' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় ইন্টিগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল হাফিজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
উপদেষ্টা হোসেন ছোট ছোট বিষয়কে বড় ধরনের সংঘাতে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মৌলিক শ্রদ্ধাবোধ ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি সেখানে মৌলিক শ্রদ্ধাবোধ ও বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমি মনে করি, ছোট ছোট ইস্যুতে বড় সংঘাত থাকবে না।
এই ভূমিতে শান্তি ফিরে পেতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে উপদেষ্টা বলেন, তাদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠীকেও স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, সমান অধিকার এবং সমানভাবে সম্মান করতে হবে।
হোসেন অবশ্য মনে করেন, বিশেষ করে সন্দেহের মধ্যে এত বছর পাশাপাশি থাকার পর এর সমাধান (অবিশ্বাস) সহজ নয়।
তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন সন্দেহের মধ্যে পরস্পর পাশাপাশি বসবাস করেছি। প্রথম দিকে তা না থাকলেও দ্রুতই তা বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, এ ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের সম্মান করতে হবে। এটা আমাদের একটা বৈচিত্র্য। আমাদের এটা (এই বৈচিত্র্য) মেনে নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে যেখানে আমরা একে অপরকে সম্মান করি; আমরা একে অপরের খেয়াল রাখি। শাসক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে।’
আবদুল হাফিজ বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যাই ঘটুক না কেন, সীমান্তের ওপারে (ভারত ও মিয়ানমারে) বসবাসকারী একই সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
শান্তি এখনো অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে আব্দুল হাফিজ বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও পরামর্শ একই সঙ্গে চলতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শান্তি প্রক্রিয়ার সমর্থনে সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তারা বইটিতে চিহ্নিত পরিবর্তনগুলে মোকাবিলা করতে এবং এই অঞ্চলে একটি টেকসই শান্তি প্রচারের জন্য সরকারি সংস্থা, সুরক্ষা বাহিনী এবং বেসামরিক সমাজের মধ্যে আরও আলোচনাকে উৎসাহিত করে।
বইটির লেখক নাসিমুল গণি শান্তিচুক্তি সইয়ের আগে ও পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করেন এবং চুক্তির শক্তিশালী ও দুর্বল উভয় দিক বিশ্লেষণ করেন।
হাফিজ বলেন, বইটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক মাত্রা রয়েছে, কারণ মানুষ রাজনৈতিক পরিচয় চায়।
হাফিজ বলেন, এর একটি অর্থনৈতিক মাত্রা রয়েছে এবং একটি জাতিগত-ধর্মীয় মাত্রাও রয়েছে। যখন সেখানে বিদ্রোহ ও পাল্টা বিদ্রোহ রয়েছে এবং জমির মালিকানা নিয়ে এর গভীর সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে সই করা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা স্থিতিশীলতা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা দেখছি না।’
১০৩ দিন আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের তৎপরতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে একটি ক্রমবর্ধমান শক্তি হয়ে উঠেছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। কুকি-চিন নৃগোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
নাথান বমের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কেএনডিও মূলত বান্দরবান ও রাঙামাটির পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম, পাংখুয়া, লুসাই, ঘুমি, মো ও খিয়াংয়ের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে।
সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি এবং ওই এলাকায় অসন্তোষের সমাধান করা।
তবে, বছরের পর বছর তাদের দাবি পূর্ণ না হওয়ায় কেএনডিও ২০১৬ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টে রূপান্তরিত হয়। তার সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) গঠনের মাধ্যমে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে তাদের কার্যক্রম।
কর্মকর্তাদের মতে, কেএনএফ এখন কুকিল্যান্ড নামে একটি পৃথক কুকি-চিন রাজ্য গঠন করতে চায় এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমি পুনরুদ্ধার করতে চায়। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং জেএসএসকে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে তাদের এই অঞ্চল থেকে দূর করতে চায়।
বেশ কয়েক বছর ধরে এই গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে, যা আদর্শিক প্রচার থেকে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
কেএনএফের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের একটি ধারা। এই ব্যবস্থায় আদিবাসী ছাড়া অন্য জনগোষ্ঠীর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
আইএলপিকে আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং তাদের ভূমির জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হতো।
কেএনএফ তাদের বক্তব্যে প্রায়ই তাদের সংগ্রামকে এই অঞ্চলগুলোর পুনরুদ্ধার এবং বাস্তুচ্যুত কুকি-চিন জনগণের পুনর্বাসন হিসেবে তুলে ধরে। এরা ব্রিটিশ শাসনের সময় মিজোরাম (ভারত) এবং চিন রাজ্যের (মিয়ানমার) মতো এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কেএনএফ ক্রমবর্ধমান সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় দুঃসাহসিক হামলা চালায় কেএনএফের ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল।
সশস্ত্র ঘাতকরা শুধু বিপুল পরিমাণ টাকা (প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা) লুটপাটই করেনি, রাইফেল ও এসএমজিসহ আগ্নেয়াস্ত্রও চুরি করেছে এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে। এই হামলার পরের দিন আরও একটি ব্যাংক ডাকাতি হয়েছিল। সেখানে হামলাকারীরা মোবাইল ফোন এবং আরও অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।
কেএনএফের সামরিক তৎপরতার কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এবং ৬ আগস্ট রুমা জোনে কেএনএ এবং সেনাবাহিনীর টহল দলের মধ্যে ঝুরবারং পাড়া ও পলি প্রংসাপাড়ার মতো এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষের ফলে একজন সেনা জওয়ান নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
এই অঞ্চলে কেএনএফ তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। তাদের দাবি, তাদের বাহিনীতে ৩,০০০-এর বেশি সদস্য রয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জন বলে ধারণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক স্নাতক ও রাজনৈতিক প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নাথান বম এবং চিফ অব স্টাফ উপা ভানচুং কেএনএফের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা একটি পৃথক কুকি-চীন আঞ্চলিক রাষ্ট্রের জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। গোষ্ঠীটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ‘হেড-হান্টার্স’ নামে একটি এলিট কমান্ডো ইউনিট। এটি সহিংস সংঘর্ষের জন্য কুখ্যাত।
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসী কুকি-চিন সম্প্রদায়ের উপস্থিতি প্রায়ই বৃহত্তর বাঙালিশাসিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে।
কেএনএফের দাবি, তাদের কর্মকাণ্ডকে বছরের পর বছর অবহেলা করেছে সরকার। একই সঙ্গে তাদের প্রান্তিকীকরণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবিগুলো পূরণ করা হয়নি। জাতিগত বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চলটি দীর্ঘ সময় ধরে আদিবাসী সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশি রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
সংঘাত যত গভীর হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ ততই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সরকার ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং এই অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বায়ত্তশাসন ও কুকিল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় কেএনএফের তৎপরতা যত বাড়বে, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা তত দূরে চলে যাবে।
কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল হামিদ বলেন, কেএনএফ ইস্যু জাতীয় সীমানা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, এই গ্রুপ ভারত, মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশে সক্রিয় বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের বান্দরবান অঞ্চলে সাম্প্রতিক অপারেশন ছাড়াও তারা ভারতের মণিপুর রাজ্যে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে জীবন ও সম্পদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও কেএনএফ স্বাধীন কুকি রাষ্ট্রের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এটিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ বিশ্বশক্তির প্রভাবিত বৃহত্তর আঞ্চলিক গতিশীলতার প্রতিফলন বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান করতে সমন্বিত কৌশলের প্রয়োজন, যা ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, উদীয়মান প্রবণতা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, এনজিও এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে নমনীয় ও কঠোর শক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কুকি-চিন জনগণের বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা কমানোর জন্য বিশেষত ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সক্রিয় কূটনীতি অবলম্বনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
১৪৫ দিন আগে
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
পাশাপাশি ইউএনডিপি শিক্ষা প্রশাসনের গতিশীলতা ও পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও বেগবান করতেও কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সর্দার এম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার কিরতিজাই পেহরি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
৩১১ দিন আগে
ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায় নদী-হ্রদে ফুল দিয়ে গঙ্গা দেবীকে পূজা করার মধ্যে দিয়ে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনের পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। আজ চাকমা নৃগোষ্ঠীর বিজু উৎসব এবং ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর হারি বৈসু।
গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল উৎসর্গ করার মধ্যে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের প্রধানতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব পাহাড়ে বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ শুরু হয়েছে।
এদিনটিতে মূলত চাকমা নৃগোষ্ঠীর মানুষ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন। ফুলের অধিক ব্যবহার হয় বলে চাকমারা বলে ‘ফুল বিজু’।
শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুড়িয়া এলাকায় চেঙ্গী নদীতে ফুল উৎসর্গ করতে শত শত চাকমা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নানা বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় জমান। সবাই দলবদ্ধ হয়ে কলা পাতায় ফুল সাজিয়ে নদী তীরে নানা রঙের ফুল গঙ্গা দেবতাকে উৎসর্গ করেন। ফুলে ফুলে বর্ণিল হয়ে উঠে চেঙ্গী নদীর দু’পাশ। এর আগে সূর্যোদয়ের আগেই শিশু-কিশোররা হল্লা করে ফুল তুলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বৈসাবি উপলক্ষে শোভাযাত্রা
৩৭৩ দিন আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। শিগগিরই পরিস্থিতি শান্ত হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ছোট একটি গ্রুপ সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই গ্রুপগুলো রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। এই গোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পর্কে ধারণা নেই: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় পুরো পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করসহ মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
৩৭৯ দিন আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: শিক্ষা উপমন্ত্রী
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মানোন্নয়নে স্থানীয়ভাবে মেধাবীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে শিক্ষক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান হবে।
শুক্রবার খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক পরীক্ষা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়ন করা হবে। একই সঙ্গে পদায়নকৃত শিক্ষকরা যাতে ইচ্ছা হলে বদলী হতে না পারেন, সেজন্যও কঠোর ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
অনুষ্ঠানে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এর আগে, রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আজ সন্ধ্যায় তারকা শিল্পী পড়শিসহ স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পর্দা নামবে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলার।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৩ নারী ফুটবলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
৭২২ দিন আগে
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে একসময় শুধু জুম চাষ হতো। এখন সমতলের মতো অনেক ফসল চাষ করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ আট থেকে ১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়।
বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও ‘অধরা’
বুধবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসঙ্গে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে, আর এ বছর আরও ২০ লাখ চারা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সকল ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো রকম সংকট নেই।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
৭৪৫ দিন আগে
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে দুই বছর লাগতে পারে: বীর বাহাদুর উশৈ সিং
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি স্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এতে আরও ‘এক থেকে দুই বছর’ সময় লাগতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উশৈ সিং বলেন, ‘কেউ বা অনেকে বলেন যে শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। আমি মনে করি, পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি এটি সত্যি। আবার শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছ এটাও সত্য। বাকি ধারাগুলো পর্যবেক্ষণের শক্তিশালী জাতীয় কমিটি আছে। যেটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করছেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।’ এই কমিটিকে সহযোগিতা করে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর: সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদী পাহাড়ি নেতারা
তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিটি মূলত দেখছে কোথায় ধীরগতি, বাধা রয়েছে। এসব সমাধান করে এগিয়ে যাচ্ছে কমিটি। যতটুকু বাকি আছে আমরা সবাই আন্তরিক হলে সমাধান করতে পারব।’
তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে দুই পক্ষ মিলে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। বিষয়টিকে মন্ত্রী বিশ্বে প্রথম ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট থেকেই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি হয়। যারা আন্দোলন করছিলেন তাদের যত সমস্যা সেগুলো শোনার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার কারণে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কয়েকটি বৈঠক হয়েছে জাতীয় কমিটির। এই দীর্ঘ সমস্যার সমাধানে আমরা একটি জায়গায় পৌঁছে সক্ষম হয়েছি।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
উশৈ সিং ইউএনবিকে বলেন, ‘১৯৯৭ সালের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তার আন্তরিকতা, মমত্ববোধের কারণেই পার্বত্য এলাকা বর্তমান অবস্থায় এসেছে।’
শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে দুই বছরও লাগতে পারে, আবার এক বছরও। আমরা চাচ্ছি কম সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ শান্তিচুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে। এটিই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। আমরা সে চেষ্টাই করছি।’
শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন কোন কোন বিষয়ে হয়নি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে ভূমির বিষয়টি রয়েছে। এছাড়াও টুকিটাকি কিছু বিষয় আছে। তবে ভূমিই প্রধান। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আমাদের আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় বসেছিল। আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। আর কিছুটা বাকি আছে, আলোচনা করলে হয়তো বা এগিয়ে যেতে পারব, এই সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে স্থানীয় কিছু সমস্যা সম্প্রতি হচ্ছে, ‘এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো অশান্তি চাই না। কিন্তু কিছু ঘটনা ঘটছে, কিছু গ্রুপ আছে, চাঁদাবাজি আছে- এসব বিষয়ে মানুষের কোনো জানমালের ক্ষতি না হয় এ বিষয়ে আমরা খুবই সজাগ আছি। কোনো একটা ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের সমস্যা আমরা চাই না। সকল মানুষকে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী থাক আমরা তাই চাই। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
৮৬৯ দিন আগে
ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি: বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন প্রত্যাশা অপূর্ণ রয়ে গেছে
প্রত্যাশা এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে উল্লেখ করে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সকল প্রতিশ্রুতি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়।
সরকারের পক্ষে জাতীয় সংসদের তৎকালীন চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উপজাতীয়দের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা এ চুক্তিতে সই করেন। এরপর কেটে গেছে ২৫টি বছর। কিন্তু এখনও এই চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্কের শেষ হয়নি। এখনও মধ্যে অশান্ত পার্বত্য অঞ্চল। প্রতিনিয়ত ঘটছে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি।
চুক্তি সইয়ের ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও পাহাড়িদের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ।
তাদের অভিযোগ, চুক্তির মূল ধারাগুলো আজও বাস্তবায়ন হয়নি। হয়নি ভূমি সমস্যার সমাধান। পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। রয়েছে নানা হতাশা ও বঞ্চনা।
আর পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫তম বর্ষপূর্তিতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তৎকালীন শান্তি বাহিনীর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর পক্ষে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তি আজ
রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে শান্তিচুক্তির পক্ষের নিরীহ মানুষদের খুন, অপহরণ করে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে প্রয়োজন পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা অনূকুল পরিবেশ এবং এখানকার মানুষের ভিতরে একটা সমঝোতার আত্মবিশ্বাস তৈরি করা।
দীপংকর তালুকদার বলেন, শান্তিচুক্তির স্বপক্ষের সকল শক্তি সম্মেলিতভাবে কাজ করার একটা পরিবেশ তৈরি করা হলো প্রধান শর্ত। কিন্তু আমরা কি দেখছি, শান্তিচুক্তির একটা পক্ষ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তিন পার্বত্য জেলায় উঠে পড়ে লেগেছে। আজ পর্যন্ত এই শান্তিচুক্তির ২৫ বছরে অবৈধ অস্ত্রধারীদের হাতে যারা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কথা বলে আসছে, তাদের হাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মী ছাড়া অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কোন কর্মী নিহত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তাহলে আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করতে চায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যদি হত্যা করে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে এটা তো আমরা মনে করছি বোকার সঙ্গে বসবাস।
তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি সই করে দুই পক্ষের ভেতরে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে; এটা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে পক্ষে বড় অন্তরায়। আমরা হতাশ না হয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবো, অস্ত্র হাতে নিবো এই ধরনের স্লোগান না দিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা চাই যে সমস্ত অবাস্তবায়িত শর্ত ও ধারাগুলো আছে এগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।
তিনি আরও বলেন, এখনো দেখছি তাদের নৈরাজ্যমূলক আচরণ, অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা, শান্তিচুক্তির পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করা, গুলি করে মানুষ হত্যা করা; এইভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয়। শান্তিচুক্তি যারা সই করেছে, শান্তিচুক্তি যারা মানে; তাদের পক্ষে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যারা শান্তিচুক্তি মানে না, শান্তিচুক্তি বিরোধিতা করে, তাদের পক্ষে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই আস্থা ও বিশ্বাস রেখে শান্তিচুক্তি পূর্ণবাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ের সমস্যা কোনও দিনও সমাধান হবেনা।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণবাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য সমস্যা, কিন্তু প্রধান অন্তরায় নয়। প্রধান অন্তরায় হলো আমাদের মধ্যে আর সরকারের মধ্যে একটা বুঝাবুঝির অভাব। তাই এটার কারণে শান্তিচুক্তি পূর্ণবাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকারের কি ভাবনা সেটা পরিস্কার হওয়া দরকার। সরকার যে ভাবে যাচ্ছেন সেভাবে যাবেন, নাকি যথাযথ রাস্তায় আসবেন। ঠিক ট্র্যাকে আসবেন, না ভুল ট্র্যাকে যাবেন। ভুল ট্র্যাকে গেলে তো সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, সরকার যত সময়ক্ষেপণ করবে, ততই দলবাজি হবে, নানা অস্ত্রবাজি হবে, নানান চাঁদাবাজি হবে, আরও দল গজিয়ে উঠবে। তখন শান্তিচুক্তি পূর্ণবাস্তবায়ন আরও জটিল আকার ধারণ করবে। তাই আমরা চাই সরকার শান্তি চুক্তি যেসব ধারা অবাস্তবায়িত হয়ে আছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বয়ে আনুক।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য মিজ নিরূপা দেওয়ান পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তিতে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা তো প্রত্যেক বছরই বলছি। কিন্তু আমাদের প্রাপ্তির প্রত্যাশা যতটুকু ছিল, সেটা প্রায়ই পূরণ হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মূল লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, যে কোন দেশের সংবিধানে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার ও মত প্রকাশের অধিকার থাকে। কিন্তু আমাদের পার্বত্য এলাকার মানুষেরা এখানে তা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারছে না।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজি মজিবুব রহমান বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছরে এসেও পাহাড়ে জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসীত), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টসহ (কেএনএফ) একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের জন্ম হয়েছে। চলছে অস্ত্রের মহড়া, মহোৎসবে চলছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গুম, খুন ও অপহরণ। তাদের হাতে পাহাড়ি-বাঙালি সকলে জিম্মি।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তির শর্তানুযায়ী পাহাড় থেকে একটি ব্রিগেডসহ ২৩৮টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে ৩০টি বিভাগ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে ৩০টি বিভাগ ও বান্দরবান জেলা পরিষদে ২৮টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চুক্তি করার সময় বাঙালি জনগোষ্ঠীর জাতিসত্তাকে অস্বীকার করে তাদের অ-উপজাতি আখ্যা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধায় উপজাতীয়দের নানা অগ্রাধিকার শর্তযুক্ত করে বাঙালিদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় নানা সুবিধা নিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশের চেতনা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও উন্নয়ন বিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা দেশি-বিদেশি ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ যে শান্তির আশা করেছিল, মানুষের সে আশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হলে চুক্তি সইকারী দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
পাহাড়ের বিরাজমান সংঘাত বন্ধ করে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার ও জনসংহতি সমিতি দু’পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষের।
এদিকে, শান্তিচুক্তি ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া শান্তি চুক্তি সইকারী অন্যতম সংগঠন জনসংহতি সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৭০ দিন আগে