মেধা ও মননের সঠিক বিকাশের জন্য শিক্ষা অর্জনের মঞ্চটি হওয়া উচিত বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে শিক্ষার অবকাঠামোগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হলেও বাকি রয়ে গেছে সুস্থ পরিবেশের বিষয়টি। বিশেষত নারীদের জন্য এখনও পরিপূর্ণ নিরাপদ হয়ে ওঠেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষিকারাও শিকার হন নানা ধরনের হয়রানি ও সহিংসতার, যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর করে তোলে শিক্ষাঙ্গনকে। এই নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হওয়া। চলুন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তায় করণীয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপায়
সহিংসতা-বিরোধী কঠোর নীতি বাস্তবায়ন
জাতীয় পরিসরে নির্দিষ্ট আইন থাকলেও প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব বিধিমালা থাকা জরুরি। মৌখিক, শারীরিক ও অনলাইন প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর আচরণগুলোর সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। প্রত্যেকটি ছোট ছোট ঘটনার রিপোর্ট করা থেকে শুরু করে শাস্তি প্রদান পর্যন্ত একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া থাকবে। অবশ্যই প্রক্রিয়াটি হতে হবে সহজতর ও পক্ষপাতিত্বমুক্ত।
নীতি প্রণয়নে সর্বাত্মকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। নীতিমালায় শিক্ষক, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ও দায়িত্বের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা বাঞ্ছনীয়। উপরন্তু, বিধানগুলোর এমনভাবে প্রসার ঘটাতে হবে, যেন প্রত্যেকে তা লঙ্ঘনের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ থাকে।
নিবেদিত প্রশাসন টিম নিয়োগ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসন বিভাগের উপর দায়িত্ব না চাপিয়ে নির্ধারিত নীতিমালা পরিচালনার রাখার জন্য পৃথক দল গঠন করা দরকার। এই দলটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমস্ত নিরাপত্তা নীতি এবং পদ্ধতিগুলোর বিকাশ, বাস্তবায়ন ও তদারক করার জন্য দায়ী থাকবে।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
তাদের নিয়মিত কার্যাবলির মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা অডিট পরিচালনা, প্রশিক্ষণ সেশনের আয়োজন, রিপোর্টিং সিস্টেম পরিচালনা করা এবং নিরাপত্তা কর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা। সর্বসাকূল্যে, ক্যাম্পাসে নারীর যেকোনো নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে দলটি। এতে করে বিধিমালা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যা রসদ যোগাবে নারীদের নির্ভরতার।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নেওয়া
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আইন প্রণয়নে বৈধতার জন্য আইনশৃঙ্খলা বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকা দরকার। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচিত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা। প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা সম্বন্ধে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবশ্যই জানিয়ে রাখতে হবে।
এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলে তা বহিরাগত আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া থাকলে তা অপরাধমূলক আচরণের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাছাড়া এই সমন্বয় সাধন জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার প্রশিক্ষণ
বিধি-বিধান প্রণয়নের সর্বোত্তম উপায় হলো প্রশাসক দলের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সংকটের সময় দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে এর কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি সেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট ও মানানসই হওয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
কোন আচরণগুলো সহিংসতামূলক, কীভাবে অভিযোগ করতে হবে এবং হয়রানির তাৎক্ষণিক প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তুতে। বিশেষ করে অভিযোগের জন্য নিবেদিত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রোটোকল সহজভাবে শেখানোর উপর জোর দেওয়া উচিত। এর ফলে ভুক্তভোগীদের আতঙ্কটা অনেকাংশে কমে আসবে এবং তারা ন্যায়-বিচারের নিশ্চয়তা পাবে।
অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন
সিঁড়িঘর, প্রবেশপথ ও লম্বা করিডোর সহ যাবতীয় সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসাতে হবে উচ্চ মানের সিসিটিভি ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে নিযুক্ত করতে হবে অভিজ্ঞ নিরাপত্তা কর্মী, যারা ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে অনায়াসেই শনাক্ত করতে পারবে সন্দেহজনক কার্যকলাপ।
সারা বছর ধরে এই ধারা অব্যাহত রাখতে রুটিন করে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। সিসি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত, যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেগুলো তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়।
নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা
বাসা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার মাঝের সময়টি নারীর নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে খুব বেশি রাত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও দিনের অন্যান্য সময়গুলোও ঝুঁকিমুক্ত নয়। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলোতে প্রায়ই নারীরা হয়রানির শিকার হন। তাই স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন থাকলে সেখানে শিক্ষিকা বা ছাত্রীদের স্বস্তির জায়গা থাকে।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এসব পরিবহনের চালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা উচিত। অবশ্যই চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে দক্ষতার পাশাপাশি আচরণগত বৈশিষ্ট্য যাচাইয়ের জন্য তার আগের কাজ ও জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
যানবাহনগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং জরুরি যোগাযোগ ডিভাইসের সংযোগ থাকা উচিত। এতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। সব মিলিয়ে এই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে নিরাপদে বাসা পৌঁছানো নিশ্চিত করা যাবে।
পিয়ার সাপোর্ট ও বাডি সিস্টেম
পৃথক নিরাপত্তা কর্মী এবং অত্যাধুনিক অবকাঠামো স্থাপনের পরেও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান নিতান্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার। এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সমাধান হচ্ছে সহকর্মী বা বন্ধুদের বলয়ের মধ্যে থাকা। শিক্ষাঙ্গনের পাশাপাশি যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও কর্মকর্তারা মূলত নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করে নেন। একই পথে একাধিক লোকের বাড়ি থাকলে তারা একসঙ্গে যাতায়াত করে থাকেন। কাজ অথবা পড়াশোনা বা খেলাধুলার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।
এই একসঙ্গে চলাফেরার ব্যাপারটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই উৎসাহিত করা যেতে পারে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষক-শিক্ষিকারা গ্রুপ করে তাদের প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এই গ্রুপিং সুসম্পর্ক বজায়ের জন্যও উপযোগী, যার ধারাবাহিকতায় তারা সার্বক্ষণিক পরস্পরের খোঁজ-খবর রাখার তাগিদ অনুভব করেন। এমনকি এই একত্রিত থাকাটা যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ র্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্যও বেশ কার্যকর।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ
অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার জন্য কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে একদম প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও এমন ব্যবস্থা কমবেশি থাকে। কিন্তু ভেতরের পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে স্থাপনার সীমানা এবং প্রবেশের স্থানগুলো কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
এক্ষেত্রে উপযুক্ত উপায় হতে পারে ইলেকট্রনিক কি-কার্ড বা বায়োমেট্রিক স্ক্যানার ব্যবহার। বাইরে থেকে আগতদের প্রত্যেককে ভেতরে প্রবেশের পূর্বে তাদের পরিচয় এবং উদ্দেশ্য যাচাই করতে হবে। এর জন্য প্রধান ফটকের দায়িত্বরত কর্মীদের সঙ্গে একাডেমিক প্রতিটি বিভাগের যোগাযোগ সংযোগ থাকতে হবে। ফলে তারা তাৎক্ষণিক ভাবে আগত ব্যক্তি কে ও তিনি কার কাছে কী উদ্দেশ্যে যাবেন সমুদয় বিষয় যাচাই করতে পারবেন। অতিরিক্তভাবে, ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখাও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার পরিচায়ক।
বেনামী অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা
প্রাথমিক পর্যায়ে ভয় থাকে অসম্মান ও হীনমন্যতার, যা পরবর্তীতে বিস্তৃতি পায় প্রতিশোধপরায়নতার শিকার হওয়া পর্যন্ত। আর এই কারণগুলোই বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থের শিকার হওয়ার পরেও অনেক নারীদের বিরত রাখে প্রতিরোধ করা থেকে। এ অবস্থায় নাম গোপন রেখে অভিযোগের সুযোগ হতে পারে প্রতিরোধের মোক্ষম উপায়।
গোপন হটলাইন নম্বর এবং সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপগুলো হতে পারে পৃথক প্রশাসন ব্যবস্থার সহায়ক সংযোজন। তদন্ত ও অপরাধীকে ধরার আগ পর্যন্ত গোপন রাখতে হবে অভিযোগকারীর নাম। ফলে, অনেক ভুক্তভোগী নিজেদের প্রকাশ করতে সাহস পাবে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পথে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অভিভাবক ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা
স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপ্রশস্ত ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে স্থানীয়রা। আশেপাশের এলাকার ছোট ছোট দোকানগুলো অপরাধের বিরুদ্ধে সম্মিলিত থাকলে প্রশাসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত।
এই কর্মকাণ্ডে অভিভাবকরাও এগিয়ে এলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়। প্রত্যেক অভিভাবক তার নিজের এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে করণীয়গুলোর ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবেদিত প্রশাসন। এভাবে ঘর ও শিক্ষাঙ্গন উভয় ঠিকানাকে সুরক্ষিত করে সর্বত্রে নারীর অবাধ বিচরণে নিশ্চয়তা প্রদান করা যায়।
শেষাংশ
এসব পদক্ষেপের প্রতি গুরুত্বারোপ করার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তন্মধ্যে সক্রিয় ভূমিকা নেয়া উচিত নীতি নির্ধারণ ও প্রণয়নে। এর সূত্র ধরেই আসবে নিরাপদ পরিবহন, শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা এবং পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসন নিয়োগ। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং পিয়ার সাপোর্ট ও বাডি সিস্টেম ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে বেনামী অভিযোগ ব্যবস্থাকে। সর্বপরি, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশগ্রহণে সার্বিক ভাবে গড়ে উঠতে পারে একটি সুস্থ শিক্ষাঙ্গন।