লিবিয়া
লিবিয়ায় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ১৬
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলী সিনহুয়াকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, এর আগে শুক্রবার ত্রাজুরা জেলায় শুরু হওয়া সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলছে।
২ মাস আগে
গত ৭ দিনে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৩০৩ অভিবাসীকে: আইওএম
গত সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ৩০৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ আইওএম লিবিয়া জানায়, ‘গত সপ্তাহে আইওএম লিবিয়া দুটি ভলান্টারি হিউম্যানিটারিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) চার্টার ফ্লাইটের মাধ্যমে বেনগাজী থেকে ১৬২ জন অভিবাসীকে ঢাকায় এবং ১৪১ জন অভিবাসীকে ত্রিপোলি থেকে গিনি বিসাউ ও বেনিনে নিয়ে এসেছে।’
লিবিয়ায় আটকে পড়া অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করে থাকে আইওএমের ভিএইচআর প্রোগ্রাম।
আইওএম জানিয়েছে, গত ২৩-২৯ জুন পর্যন্ত লিবিয়া উপকূল থেকে ৩২ নারী ও ১৩ শিশুসহ ২২৬ অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত লিবিয়া উপকূলে ৮ হাজার ৯৮০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। একই সময়ে ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫১৩ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
আফ্রিকান অভিবাসীরা প্রায়ই সময় লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে ২০১১ সালে প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এই অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা বেড়েছে।
৪ মাস আগে
লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমাদ আল-দীক বলেন, আমরা লিবিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্ভোগের পরিমাণ নিরূপনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা তাদের (নিহতদের) পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আশা করছি নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে। এর ফলে লিবিয়ায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং এই অঞ্চলের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
লিবিয়ায় বন্যা: নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ১০ হাজার নিখোঁজের অনুসন্ধান চলছে
১ বছর আগে
লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় ভারী বর্ষণে দুটি বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বন্যার পর অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজাত ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট বিষয়টি জানিয়েছে।
সহায়তা গ্রুপটির সেক্রেটারি জেনারেল মারি এল-ড্রেস ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিতে আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেরনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০ বলে জানিয়েছিল।
ঝড়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের শাসনামলের পতন হওয়ার পর থেকে সংঘাতে জর্জরিত তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে রবিবার রাতে বন্যায় দেরনা ভেসে গেছে এবং দেশটির ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের ধ্বংসযজ্ঞ: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোকপ্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিবিয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের কারণে নিহত ও নিখোঁজদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ মোহাম্মদ আল-দাবাইবাকে সম্বোধন করা শেখ হাসিনার সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, পূর্ব লিবিয়া, বিশেষ করে বেনগাজি, আল-বায়দা, দেরনা, সহাত, আল-মারি এবং জাবেল আল-আখদার অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় এ ঝড়ের আঘাতের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও নিখোঁজের ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ফেরদৌস আরার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। আমি হতাহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের জন্য আত্মার অন্তস্থল থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার জনগণের জন্য আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মানবিক সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা লিবিয়া সরকারের সু-সমন্বিত ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রচেষ্টা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনার সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।’
আরও পড়ুন: সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
লিবিয়ায় ‘ড্যানিয়েলের’ আঘাতে ৬ বাংলাদেশি নিহত
লিবিয়ায় সম্প্রতি ড্যানিয়েল ঝড় ও বন্যায় অন্তত ছয় বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- রাজবাড়ীর শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জের মামুন ও শিহাব। তবে নিহত বাকি দু’জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মান্দায় তিন বাহনের সংঘর্ষে নিহত ২
এছাড়া আরও কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশ্বের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৃষ্ট বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া বর্তমানে আরও পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
১ বছর আগে
লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েল লিবিয়ায় বিধ্বংসী বন্যার সৃষ্টি করেছে। যার ফলে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলের একাধিক উপকূলীয় শহরে বাঁধ ভেঙে আশেপাশের এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
দেশটির একজন নেতা স্থানীয় সময় সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, দুই হাজারের মতো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ায় চলমান বিশৃঙ্খলার মধ্যে ইসলামিক চরমপন্থীদের দখলে থাকা শহর দেরনায় সবচেয়ে বেশি ধ্বংসলীলা দেখা দিয়েছে। শহরটি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
লিবিয়ার প্রশাসন দুটি পক্ষে বিভক্ত, একটি পূর্বে এবং একটি পশ্চিমে। দুই পক্ষই মিলিশিয়া ও বিদেশি সরকার দ্বারা সমর্থিত।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, বন্যায় সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এই তালিকায় দেরনা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কারণ এই এলাকাটি দুর্গম এবং সেখানে দুটি উজানের বাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শহরের বাসিন্দাদের অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখানো হয়েছে।
সোমবার মোবাইলে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পূর্ব লিবিয়ান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ বলেছেন, দেরনায় দুই হাজার জন নিহত হওয়ার এবং হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেরনাকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্বে অবস্থিত দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ আল-মোসমারি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দেরনায় মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫১ বাংলাদেশি
আল-মোসমারি এই বিপর্যয়ের জন্য কাছাকাছি দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়াকে দায়ী করেছেন। যার কারণে এই প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যা হয়েছে।
২০১১ সালের বিদ্রোহে দীর্ঘ সময়ের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন এবং পরে নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় একটি কেন্দ্রীয় সরকারের অভাব রয়েছে। এর ফলে দেশটি বিপর্যয় নেমে এসেছে।
দেশটি এখন পূর্ব ও পশ্চিমে প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিভক্ত, প্রতিটি মিলিশিয়াদের দ্বারা সমর্থিত।
সিরতে শহরের সঙ্গে দেরনা নিজেই বছরের পর বছর ধরে চরমপন্থী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এক পর্যায়ে যারা ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যতক্ষণ না পূর্ব-ভিত্তিক সরকারের প্রতি অনুগত বাহিনী ২ সালে তাদের বহিষ্কার করেছিল।
শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান আবদেল-রহিম মাজেক জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় বায়দা শহরে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অ্যাম্বুলেন্স ও ইমার্জেন্সি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব লিবিয়ার উপকূলীয় শহর সুসায় আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসামা আব্দুলজালিল বলেছেন, শাহাত ও ওমর আল-মোখতার শহরে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার মারজ শহরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, দেরনায় পরিবারকে সাহায্য করতে গিয়ে তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছে।
এর আগে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছিল, তারা তাদের এক কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে। কারণ তিনি বায়দায় একটি আটকে থাকা পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিল।
পূর্ব লিবিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসাম আবু জেরিবা বলেছেন, দেরনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিহতদের অনেকেই ভূমধ্যসাগরে ভেসে গেছে।
তিনি সৌদি মালিকানাধীন স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল আল-আরাবিয়ায় একটি টেলিফোন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি দুঃখজনক’।
তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
লিবিয়ার জন্য জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী জর্জেট গ্যাগনন বলেছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং শহর ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ... ব্যাপক বন্যা, অবকাঠামোর ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে।’
তিনি এক্স-এ (টুইটার) লিখেছেন, ‘দেশে (ঝড়) ড্যানিয়েলের মারাত্মক প্রভাবে আমি গভীরভাবে দুঃখিত ... আমি স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পূর্ব লিবিয়ার জনগণকে জরুরি মানবিক সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এক্স-এর একটি পোস্টে লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা জাতিসংঘ এবং লিবিয়ান উভয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কীভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
লিবিয়ার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ব-দ্বীপ ওয়াদি দেরনায় ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে শহরের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে পূর্ব লিবিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ দেরনাকে একটি দুর্যোগ আক্রান্ত অঞ্চল ঘোষণা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীও তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন এবং সারা দেশে পতাকা অর্ধনমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়া নিয়ন্ত্রণকারী কমোডোর খলিফা হিফটার বেনগাজি এবং অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুওলোতে বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন।
হিফটার বাহিনীর একজন মুখপাত্র আহমেদ আল-মোসমারি বলেছেন, তারা পাঁচজন সৈন্যের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে; যারা বায়দায় অবরুদ্ধ পরিবারগুলোকে সহায়তা করছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় বিদেশি সরকারগুলো সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ পূর্ব লিবিয়ায় মানবিক সহায়তা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠাবে।
তুরস্ক, যা পশ্চিমে দেশটির ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারকে সমর্থন করে, তারাও প্রতিবেশি আলজেরিয়া, মিশর ও ইরাকের সঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছে।
ঝড় ড্যানিয়েল সোমবার পশ্চিম মিশরের কিছু অংশে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ লিবিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
১ বছর আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫১ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫১ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: আটক বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
তারা লিবিয়ার বেনগাজী গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সহায়তায় দেশে ফিরেছেন।
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বেনগাজি বেনিনা বিমানবন্দরে তাদের দেখতে যান।
তিনি তাদের অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের পথ বেছে না নিতে বলেছেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে আইওএম-এর সহায়তায় ১৩১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ২১ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
পাচার হওয়া দুই নারীকে ফেরত পাঠাল ভারত
১ বছর আগে
লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এই সংঘর্ষ হয় বলে সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এই সংঘষের কারণে সেখানকার বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
ত্রিপোলির এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরে ত্রিপোলিতে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। কেঁপে উঠেছে ত্রিপোলি। সেখানে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে তারা ওই দুই বাহিনীর সদস্য না কি বেসামরিক লোক তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার গভীর রাতে ৪৪৪ ব্রিগেড এবং স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে ৪৪৪ ব্রিগেডের একজন সিনিয়র কমান্ডার মাহমুদ হামজাকে ত্রিপোলির একটি বিমানবন্দরে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সসস্যরা আটক করার পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, এই সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। জরুরি সেবা দিতে লিবিয়ার ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
নিহতদের মধ্যে কতজন আধাসামরিক দুই বাহিনীর সদস্য আর কতজন বেসামরিক লোক তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবাদানকারীদের প্রাথমিকভাবে শহরের দক্ষিণে এবং যেসব এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেসব এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দিতে উভয় পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।একই সঙ্গে কাছের হাসপাতালগুলোতে রক্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানায়।
এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির একটি সংগঠন ওপিএসজিগ্রুপ জানায়, সংঘর্ষের কারণে সোমবার গভীর রাতে ত্রিপোলি থেকে বিপুল সংখ্যক উড়োজাহাজ বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো নিকটবর্তী শহর মিসরাতাতে অবতরণ করেছে।
লিবিয়ায় প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর কয়েক মাস তুলনামূলক শান্তির পর এই সংঘর্ষ হলো। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শসস্ত্র বাহিনী রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ত্রিপোলিতে সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ী এ বিভাজন। যদিও বেশিরভাগই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে লিবিয়ায় জাতিসংঘের মিশন বলেছে, তারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও সাময়িক প্রশমনের ঘটনা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে এবং চলমান সংঘর্ষের অবিলম্বে সমাপ্তির আহ্বানও জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে লিবিয়ার উভয় পক্ষ ষংঘর্ষের নিন্দা জানায়। পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে অবস্থিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সহিংসতার জন্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারকে দায়ী করেছে।
লিবিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাস সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। লিবিয়ায় সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে তাদের অর্জন ধরে রাখতে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তেল সমৃদ্ধ দেশটি ২০১৪ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে প্রশাসনিকভাবে বিভক্ত হয়েছে। প্রতিটি অংশে সুসংগঠিত শসস্ত্র বাহিনী রয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি সরকার তাদের সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
১ বছর আগে
অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ লিবিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ অন্য দেশে বৈধ অভিবাসন সমর্থন করে এবং অবৈধ অভিবাসন রোধে লিবিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায়। তিনি বাংলাদেশে নবনিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব এস এম সুলিমানের কাছে এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আলম লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের অব্যাহত সহায়তার জন্য লিবিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিশেষ করে লিবিয়ায় জমি লিজ নিয়ে বাংলাদেশের কৃষি-উদ্যোক্তাদের চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদে লিবিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
বর্তমান বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেন আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও লিবিয়া বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে পারে।
১ বছর আগে