পাসপোর্ট
পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, দালাল আটক
গ্রাহক হয়রানিসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং মিরপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ এ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি দল আজ (রবিবার) সেখানে অভিযান চালায়।
তিনি জানান, দলটি প্রথমে ছদ্মবেশে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সেবাদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আগত সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা
তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় দুই দালালকে হাতেনাতে ধরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
অপরদিকে, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুর বিআরটিএতেও অভিযান চালায় দুদক।
অভিযানে দুদকের সদস্যরা সাধারণ গ্রাহক সেজে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে সেবা ও ডিজিটাল কার্ড পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বিআরটিএ'র ঢাকা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালকের (ইঞ্জি.) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দুটি অভিযানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ৫ সংসদ সদস্য ও পরিবারের বিদেশযাত্রায় দুদকের নতুন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা
৬ দিন আগে
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণকে আরও নিরবচ্ছিন্ন ও সাবলীল করতেই অবতারণা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি পরিষেবা থাকায় সমূহ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতো আবেদন জমা দেওয়ার সময়। বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে বিভাগীয় অফিসগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণে উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক কার্যালয়। তাই চলুন, আঞ্চলিক পর্যায়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ বছরের নিচের প্রার্থীর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ থেকে ২০ বছরের প্রার্থীর জন্য এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের যে কোনো একটি
· ২০ বছরের বেশি প্রার্থীর ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড
· শিশুদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড
আরো পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
পেশাগত প্রমাণপত্র
· ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও ড্রাইভারের মতো প্রযুক্তিগত বা কারিগরি পেশার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলো
· শিক্ষার্থী হলে,
o প্রার্থীর সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
o অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র
o কিংবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
· বেসরকারি চাকরিজীবী হলে কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
· সরকারি চাকরিজীবি হলে নিম্নলিখিত নথির যে কোনো একটি (ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশিত থাকতে হবে):
o সরকারি আদেশ (জিও)
o বা, অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o বা, প্রত্যয়নপত্র
o বা, অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o বা, পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে
· কৃষক বা ক্ষেতে কৃষিকাজে নিযুক্ত থাকলে জমির পর্চার অনুলিপি
· ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সের অনুলিপি
· বসবাসরত ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ বা গ্যাস অথবা পানি) বিল
এই নথিগুলোর কোনো সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। সেই সাথে আবেদন ফর্মে প্রার্থীর কোনো ছবি যুক্ত করারও দরকার নেই।
আরো পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
আবেদন জমাদানের সময় উপরোক্ত কাগজপত্রের সাথে অতিরিক্ত যা যা নিতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
· অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বা পূর্ণ আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
· পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
· ৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ল্যাব প্রিন্টকৃত পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম
আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
প্রতিটি বিভাগের অধীনে যে অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত আছে, সেগুলো হলো-
ঢাকা
বাংলাদেশ সচিবালয় (ঢাকা), ঢাকা সেনানিবাস, কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা), উত্তরা (ঢাকা), নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি।
খুলনা
যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ।
রংপুর
লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম।
রাজশাহী
নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বরিশাল
ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর।
সিলেট
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
৩ মাস আগে
বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের অগ্রগতি জানতে চায় সৌদি আরব
১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে দেশটি।
রবিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বহু বছর আগে, ১৯৭৩-৭৪ সালে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে যায়। সঠিক সংখ্যাটি আমাদের অজানা। তারা (সৌদি পক্ষ) আমাদের জানিয়েছিল যে সংখ্যাটি ৬৯ হাজার। এটা কমবেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না তবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে হবে এই বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে আমরা কোথাও ধীরগতিতে এগোচ্ছি কি না, কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কি না বা কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না তা দেখতে তিনি (সৌদি উপমন্ত্রী) এখানে এসেছেন।’
পাসপোর্টের তথ্য অপরিবর্তিত রেখেই সেগুলো নবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
সৌদি সরকারের আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তারা লোকজনকে ফেরত পাঠায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ মাস আগে
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দল।
গ্রাহকদের দীর্ঘ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), চট্টগ্রাম-১ একটি দল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
আভিযানিক দল প্রথমে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাসপোর্ট অফিসে কোনো অনিয়ম আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে এবং পাসপোর্ট করতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্টার, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করে।
এ সময়ে আনসার সদস্য আমানুল্লাহ এবং পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সময়ে গেইটের সামনে থেকে একজন দালালকেও হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন জানান, একজন সেবাগ্রহীতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযুক্ত দুজন স্টাফকে ডাকা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে জানানো হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এছাড়াও আটক দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পরিচালকের নিকট সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুজন স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
৯ মাস আগে
২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মতো। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, এই সব ঝামেলা এক নিমেষেই উধাও হয়ে যায়, যখন সেই ভিসা করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না।
আজকের নিবন্ধে জানা যাবে সেই সব দেশগুলোর ব্যাপারে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও রূপ ভিসা বিড়ম্বনা নিতে হবে না বাংলাদেশি নাগরিকদের। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করেছে হেনলি পাসপোর্ট সূচক।
চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকরা কোন কোন দেশগুলো ভিসা ছাড়া, এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ। ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন যেসব দেশে
এই অভিবাসন নীতিতে ভ্রমণকারীকে গন্তব্যের দেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের জায়গাটি হতে পারে সমুদ্র বন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট অথবা বিমানবন্দর। এই প্রবেশাধিকার প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় কোনও আবেদন করতে হয় না।
কোনও কোনও দেশে প্রবেশের সময় এই অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ফি দিতে হয়। হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নিয়ে ১৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর এই জন্য ভিসাপ্রাপ্তির সময় তাদেরকে কোনও ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। তাছাড়া এই ভাবে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
চলুন, এবার দেখে নেয়া যাক বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহকারী দেশগুলো।
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সেশেল্স
১৪. সিয়েরা লিওন
১৫. সোমালিয়া
১৬. তিমুর-লেস্তে
১৭. টোগো
১৮. টুভালু
আরও পড়ুন:
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় তথা ৯০ দিন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে- গিনি-বিসাউ, নেপাল, এবং বলিভিয়ায়। সামোয়া ও সেশেল্স-এ থাকা যাবে ৬০ দিন। কমোরো আইল্যান্ড্সে অবস্থানের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার মেয়াদ ৪৫ দিন। জিবুতি ও মৌরিতানিয়ায় থাকা যাবে ৩১ দিন । মালদ্বীপ, কেপ ভার্দে, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, তিমুর-লেস্তে, এবং কম্বোডিয়া বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ৩০ দিন, যেখানে বুরুন্ডি এবং টুভালু’র ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ১ মাসের কথা।
আফ্রিকার দেশ ‘টোগো’তে অবস্থানের জন্য পাওয়া যাবে মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
২০২৪ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইটিএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ইলেকট্রনিকভাবে তথা অনলাইনে একজন ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এক কথায় এটিও একটি ভিসা ফ্রি প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল অনুমতিটি দেশের ভেতরে থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া যায়।
এমনকি এর জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে নিজ দেশের অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেই দেশে ইটিএ কার্যকর আছে সেই দেশের অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়ে সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
২০২৪-এ দুটি দেশে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইটিএ প্রয়োজন হবে:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পূর্বে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থাকলেও এ বছরই ইটিএ সেবা নিয়ে নতুন সংযোজন হলো কেনিয়া। এখন থেকে এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমস্ত বিদেশি নাগরিক ৯০ দিনের জন্য কেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই অনুমতির সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের তারিখ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। এই সিঙ্গেল এন্ট্রির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ডাবল এন্ট্রির জন্যও ইটিএ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা ইটিএ ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে দুইবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অনুমোদন একবার হয়ে যাওয়ার পর ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় যে কোনো চেকপয়েন্ট অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
শেষাংশ
পর্যটন কিংবা ব্যবসা উভয় উদ্দেশ্যকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের থাকে হাজারও পরিকল্পনা। কিন্তু এর সবকিছুই গুড়েবালি করে দেয় সীমানা পেরনোর নিয়মনীতি। সেখানে এই ভিসামুক্ত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য এক বিরাট নিষ্কৃতি। এ দিক থেকে ২০২৪ সাল বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্যের বছরও বটে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে ভিসা ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল এবং ইটিএ সব মিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মোট ৪২ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। তাই সময় এসেছে পাসপোর্ট দ্রুত রিনিউ করে নেওয়ার। কেননা এই সুযোগ লুফে নিতে হলে পাসপোর্টটি অবশ্যই নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
১১ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় একদিনে সবচেয়ে পাসপোর্ট বিতরণ
মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশনের ২.০’ নির্ধারিত সময়ের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।
হাইকমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী- নির্ধারিত তারিখে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যারা পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলেন এমন তিন হাজার ১২৪ জনকে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লিমিটেড (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জুনে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট বিতরণ
এর ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত হাইকমিশন থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ১১টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হলো।
উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
এ সময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার ও কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে যৌথভাবে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এই বিশেষ ব্যবস্থাপনার আওতায় আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে এবং ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
পাসপোর্ট নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহে- লিংকে গিয়ে https://appointment.bdhckl.gov.bd/other অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত পাসপোর্ট বিতরণ সম্ভব হবে না বিধায় নির্ধারিত তারিখের আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য বিদ্যমান পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও চালু থাকবে।
তবে একইসঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট বিতরণ জুলাইয়ে শুরু হতে পারে
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা আটক
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জালয়াতি করে পাসপোর্ট করার সময় মো. সবুজ নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৌনে দুইটার দিকে তাকে আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী, শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গা আটক
আটক মো. সবুজ, কুষ্টিয়া পৌর ১৭নং ওয়ার্ড ঢাকা ঝালুপাড়া গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে বাবার নাম মো. খেদের আলী ও মাতা মরিয়ম বেগম লিখেছেন।
পাসপোর্ট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মো. সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড, নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
পরে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকতা হাসান আলীর আবেদনকারীকে সন্দেহ হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুধবার সোয়া ১টার দিকে সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ও নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করার সময় আবেদনকারীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তিনি একজন রোহিঙ্গা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
১ বছর আগে
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
১ বছর আগে
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবকসহ আটক ৩
বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হয়েছেন। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগে আরও দুই বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী আটক
আটক রোহিঙ্গা হলো- মো. ইসমাইল (১৮)। তিনি উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।
তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটকরা হলো- বরিশালের কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর এলাকার হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (২৬)।
বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালের কাজিরহাট থানার শ্যামের হাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবা ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এক রোহিঙ্গা আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
১ বছর আগে
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য এখন থেকে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভ্যাক) আবেদন জমা দেওয়ার পরে তাদের পাসপোর্ট ফেরত নেওয়ার বিকল্প থাকছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর সম্ভাব্য তারিখের সাত দিন আগে আবেদনকারীদের আবার ভিসা আবেদন কেন্দ্রে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
এছাড়া, আবেদন কেন্দ্রে অপেক্ষার সময় কমিয়ে আনতে অনলাইনে ভিসা আবেদনের সময় সশরীরে পাসপোর্ট ও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ পূর্বেই নির্বাচনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু গ্রিসের
কুষ্টিয়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধন ভারতীয় হাই কমিশনারের
১ বছর আগে