পাসপোর্ট
পাসপোর্ট সূচকে একধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮২তম, যা ২০২৫ সালে এক ধাপ এগিয়ে ১৮১তম হয়েছে। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও পাসপোর্টের বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করেছে দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, করব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা—এই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮।
বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৫০ দেশে ভিসামুক্ত, অন অ্যারাইভাল ভিসা কিংবা ই-ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করা যাবে।
নোমাডের হিসাবে বৈশ্বিক ধারণা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩০। যেসকল দেশের এই সূচকে স্কোর ৫০ এর নিচে তারা বিশ্বের কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেই দেশের মানুষ তাদেরকে ভালোভাবে গ্রহণ করেন না, আতিথেয়তার বদলে বিদ্বেষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
বাংলাদেশের স্কোর ৩০ হওয়ায় দেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না বলে নোমাডের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
নোমাডের ব্যক্তিস্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের স্কোর ১০, যা সর্বনিম্ন ব্যক্তি স্বাধীনতা হিসেবে ধরা হয়। ১০-৫০ সূচকের মধ্যে যাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার স্কোর ১০-২০, তারা নাগরিক হিসাবে নূন্যতম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট
নোমাডের প্রতিবেদনে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসাবে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ডের নাম। দেশটির পাসপোর্টের স্কোর ১০৯। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৭৬ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
পাসপোর্টে শক্তিমত্তায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড এবং গ্রিস। এই দুই দেশের পাসপোর্টের স্কোর ১০৮.৫। এ দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৭৫ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষ চারে আছে পর্তুগাল এবং শীর্ষ পাঁচে আছে যৌথভাবে মাল্টা এবং ইতালি।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় দেশটির অবস্থান ১০৪। মালদ্বীপের স্কোর ৬৫.৫। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১০১ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ অঞ্চলে সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট আফগানিস্তানের। নোমাডের তালিকায় বৈশ্বিক সূচকেও দেশটির পাসপোর্ট সবচেয়ে দুর্বল। সূচকে ১৯৯তম স্থানে আফগানিস্তানের স্কোর ২৭।
আফগানিস্তানের পরেই দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট পাকিস্তানের। শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে দেশটির র্যাংক ১৯৫, যা নোমাডের তালিকায় দুর্বল পাসপোর্টের শীর্ষ পাঁচ। পাসপোর্টে পাকিস্তানের স্কোর ৩২।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান এবং বাংলাদেশের পরে ১৮০তম স্থানে আছে নেপালের পাসপোর্ট। পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে নেপালের স্কোর ৩৯.৫।
আরও পড়ুন: অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে ভারতের অবস্থান ১৪৮ এবং স্কোর ৪৭ দশমিক ৫। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ৭৫ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে ১৬৮তম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির পাসপোর্টের স্কোর ৪৩.৫।
অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে এ অঞ্চলে দ্বিতীয় শক্তিশালী পাসপোর্ট ভূটানের। পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে ভূটানের অবস্থান ১৪০তম এবং স্কোর ৪৯।
১২ দিন আগে
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় বাতিল করা হয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ড-এ বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রবাসি বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় এনআইডি কার্ড করার সুযোগ থাকে। তাই এই দুই শ্রেণীর নাগরিকদের পাসপোর্টের আবেদন নিরীক্ষার মাপকাঠি ধরা হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। চলুন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী প্রার্থীর জন্য অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদপত্র (BRC English Version)
• প্রার্থী ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী হলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদ (BRC English Version)
• ২০ বছরের অধিক আবেদনকারীদের জন্য এনআইডি কার্ড অত্যাবশ্যক। তবে অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে আবেদনকারীরা তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC English Version) দিতে পারবেন।
• শিশুদের ক্ষেত্রে পিতামাতা প্রত্যেকের এনআইডি কার্ড
• বসবাসরত ঠিকানার সাম্প্রতিক ইউটিলিটির (গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানি) বিল প্রদানের রশিদ
• দত্তক কিংবা অভিভাবকত্ব গ্রহণকারীদের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কর্তৃক জারিকৃত আদেশ
• বিবাহ সনদ অথবা নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আরো পড়ুন: পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
বিভিন্ন পেশাজীবী আবেদনকারীরা যে নথিপত্র দেখাবেন
• ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার, ও ডাক্তারের মতো কারীগরি কিংবা প্রযুক্তিগত পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারীগরি সনদপত্র
• শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্র বা নিদেনপক্ষে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
• বেসরকারী কর্মকর্তার জন্য তার প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
• সরকারী চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত যে কোনো একটি নথি (ইস্যূকারী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নোটিশ হিসেবে প্রকাশিত হতে হবে):
o সরকারী আদেশ (জিও)
o অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o প্রত্যয়নপত্র
o অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o পেনশন বই
· কৃষক বা কৃষি কাজে নিযুক্ত থাকলে তার জমির পর্চা (অনুলিপি)
· ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স (অনুলিপি)
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
আবেদন জমা দেওয়ার সময় উপরোক্ত নথিপত্রের সাথে আরও যা যা যুক্ত করতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (মুদ্রিত কপি)
· অনলাইন নিবন্ধিত পূর্ণ আবেদনপত্র (মুদ্রিত কপি)
· পাসপোর্টের ফি জমা প্রদানের রশিদ
· অনুর্ধ্ব ৬ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে ল্যাবে মুদ্রিত সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· ৬ বছরের অধিক প্রার্থীর পৃথক ভাবে কোনো ছবি দেওয়ার দরকার নেই। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় এই সকল নথিগুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন: আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নিয়ম
.
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
সর্বপ্রথম ইন্টারনেটের ব্রাউজার ওপেন করে সরাসরি চলে যেতে হবে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। অতঃপর ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করলে প্রথমে আসবে আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণের পালা। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম বাছাই করতে হবে। এতে করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অধিভূক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নামটি নির্ধারিত হয়ে যাবে।
এছাড়া আলাদাভাবে নিজের নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের চেনার জন্য এই লিঙ্কে যাওয়া যেতে পারে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট অফিস নির্ধারণের পরের কাজ হলো ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খোলা। এর জন্য ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি অনন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই ই-মেইল বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
আবেদন ফর্মের প্রত্যেকটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হতে হবে। ন্যূনতম তারকা চিহ্নিত তথ্যগুলো সফলভাবে প্রদানের পর আসবে পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন। ফি তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে পরিশোধ করা হলে রশিদ নাম্বার স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
এরপরের সেকশনে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ তারিখগুলো থেকে প্রার্থী নিজের পছন্দসই একটি তারিখ বাছাই করতে পারবেন।
তারপরেই চূড়ান্ত পর্যায়, যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি দেখা যাবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যান্য নথিগুলোর সাথে সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এগুলো হলো- ভিসা, মাস্টার, ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট, এবং এমবিএল রেইন্বো। অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলো হলো- ব্যাঙ্ক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাঙ্ক, ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক, সিটি ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক, আরব-বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক, এবং মিডল্যান্ড ব্যাঙ্ক।
আরো পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
৫ বছর / ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ
পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রধানত রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস- এই তিন ক্যাটাগরিতে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়।
সবচেয়ে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায় সুপার এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, যার সময়সীমা বায়োমেট্রিক সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবস। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবস থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন। সর্বাধিক সময়সীমা রেগুলার ক্যাটাগরিতে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের তারিখ থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· ৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৪ হাজার ২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১২ হাজার ৭৫ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৫ হাজার ৭৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১৩ হাজার ৮০০ টাকা
আরো পড়ুন: ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
আবেদন পত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পদ্ধতি
উপরোল্লিখিত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে হবে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে। এই দিন আবেদনকারীর ছবি তোলা এবং হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার সুবিধার্তে ছবি উঠানোর জন্য অবশ্যই রঙ্গিন পোশাক পরে পাসপোর্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।
যাবতীয় কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এই স্লিপটি প্রার্থীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র, তাই এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করবেন যেভাবে
বায়ো নিবন্ধনের দিন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা যাচাই করা যায়। এর জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে-
https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট অফিস থেকে দেয়া সেই বিতরণ স্লিপে ১৩ অঙ্ক বিশিষ্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া যাবে। আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি অথবা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি) ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
পূর্বে বায়োমেট্রিক নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কল করা হতো। এখন থেকে এই কার্যক্রমটি আর সম্পন্ন হবে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলে যথারীতি আবেদনপত্রে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানায় নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে। তদানুসারে বিতরণ স্লিপ ও এনআইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কার্যালয়ে হাজির হতে হবে।
পরিশিষ্ট
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট করার এই পদ্ধতি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সময়কে আরো কমিয়ে আনবে। এতদিন আবেদন ফর্ম পূরণ থেকে বায়োমেট্রিক পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ বেশ সাবলীল ভাবে উতড়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হতো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পর্যায়ে এসে। এবার প্রতিটি স্তরের নাগরিকদের রেহাই মিলবে এই পুলিশি হয়রানি থেকে। উপরন্তু, পুরো প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে এনআইডি কার্ডকে রাখার ফলে নথিটি আপ-টু-ডেট রাখার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হবে জনসাধারণের মাঝে। সর্বসাকূল্যে, এটি পাসপোর্ট পরিষেবা তুলনামূলক সহজীকরণের অভিমুখে এক বিরাট পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
৪৪ দিন আগে
পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী গোলাম তৌসিফ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
সেগুলো হলো, নতুন পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট দিতে হবে; বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিরেকে পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
এছাড়া পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সাথে চাওয়া মৌলিক তথ্যের (নিজ নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান) পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে পরিপত্রে।
৫৮ দিন আগে
পাসপোর্ট পেতে লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন: প্রধান উপদেষ্টা
পাসপোর্ট পেতে নাগরিকদের এখন থেকে আর পুলিশের ভেরিফিকেশন লাগবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনের সময়ে তিনি এমন কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার নতুন নিয়ম চালু করেছে যে এখন থেকে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকদের একটি অধিকার। জন্মসনদ বা এনআইডির জন্য যদি পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার না পড়ে, তাহলে পাসপোর্টের বেলায় সেটা লাগবে কেন?
এ সময়ে সরকারকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা টিমওয়ার্ক, পুরো টিমের সফলতাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কিছু আমাদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
ডিসি সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এটা মহাশক্তিধর একটি সমাবেশ। আমরা যা করি, যা চিন্তা করি, যা পরিকল্পনা করি, সেটাই সরকার, সেটাই সরকারের চিন্তা, সরকারের ভাবনা। সেটাই সরকারের কর্তব্য। কাজেই এই মহাশক্তি নিয়ে আমরা কী কাজ করব, কী কাজের জন্য আমরা তৈরি, কী কাজে আমরা সফল, কী কাজে আমরা বিফল, সেগুলোই আজকের সমাবেশের আলোচ্য বিষয়।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার
‘সেখানে কাউকে স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এই স্তুতি বাক্য পরিহার করার আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। সভা-সমিতিতে স্তুতি বাক্য খুব অগ্রহণযোগ্য জিনিস বলে আমরা চালু করব,’ যোগ করেন তিনি।
রোববার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনের ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইউনূস।
সরকার পরিচালনাকে খেলার দলের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা কিছু করণীয়, সেই করণীয়র দায়িত্বে আমরা সবাই আছি; এমনভাবে চিন্তা করুন, আমরা একটা খেলার- ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার খেলোয়াড়।’
৬০ দিন আগে
২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি একটি চিরাচরিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশের মাটিতে পা রাখার এই অনুমতির শিথিলতা বিভিন্ন সময়ে কমবেশি হয়ে থাকে। বিশ্ব রাজনীতি ও আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে সৃষ্ট এই অবস্থার প্রধান শিকার হন মূলত বিদেশে যাওয়া নাগরিকরাই।
ভিসা প্রক্রিয়ার নানা জটিলতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও অনেক ভ্রমণকারীকে ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে চরম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে ভিসামুক্ত গন্তব্যগুলো যেকোনো দেশের জন্যই এক বিরাট সুখবর। প্রতিবারের মতো এই বছরও পাসপোর্টের মানের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রমের তালিকা প্রকাশ করেছে হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স। এই তালিকায় উঠে এসেছে- একটি দেশের পাসপোর্টের জন্য কতগুলো দেশের ভিসা-শিথিলতা রয়েছে।
তন্মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কোন দেশগুলোতে ভিসা ছাড়া, অন-আরাইভাল ভিসা ও ই-ভিসাতে যেতে পারবে- চলুন জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত দেশগুলো
পরিপূর্ণভাবে ভিসা-মুক্ত অভিবাসন নীতিতে দেশ ত্যাগ বা বিদেশে প্রবেশকালে কোন ধরনের কাগুজে বা ডিজিটাল অনুমতিপত্র দেখানোর শর্ত থাকে না। ফলশ্রুতিতে দেশি বা বিদেশি মুদ্রায় ভিসা ফি দেওয়ারও কোনো অনুষঙ্গ নেই। এই কার্যনীতির একমাত্র নথি হিসেবে কাজ করে পাসপোর্টটি।
তবে এই সুবিধা নিয়ে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার জন্য থাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা, যার বিস্তৃতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় এবং যাবতীয় খরচ
২০২৪-এ হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স অনুসারে পৃথিবীর ২২টি দেশ বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকা নাগরিকদের সম্পূর্ণ ভিসা-অব্যহতি সুবিধা দিয়েছিল। কিন্তু এবার এই সংখ্যাটি কমে দাড়িয়েছে ২১।
চলুন, বাংলাদেশের জন্য এই ভিসামুক্ত গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. মাদাগাস্কার
১৩. মাইক্রোনেশিয়া
১৪. মন্টসেরাট
১৫. নিউ
১৬. রুয়ান্ডা
১৭. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১৮. সেন্ট ভিন্সেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১৯. দ্যা গাম্বিয়া
২০. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২১. ভানুয়াতু
আরো পড়ুন: ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ: ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
২০২৪-এর সূচকের পূর্ণাঙ্গ ভিসামুক্ত ক্যাটাগরি থেকে যে দেশটি এবার বাদ পড়েছে সেটি হচ্ছে লেসোথো। দেশটিতে যেতে হলে বাংলাদেশিদের এখন থেকে দেশ ত্যাগের পূর্বেই যথাযথ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ক্যাটাগরির বাকি ২১টি দেশের প্রত্যেকটিই অপরিবর্তিত রয়েছে, কোনোটির সঙ্গেই নতুন কোনো দেশের প্রতিস্থাপন হয়নি।
২০২৫ সালে অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
এই অভিবাসন নীতি অনুসারে বিদেশ গমনকারী গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে ভিসা হাতে পান। বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, কিংবা স্থলবন্দর; যেকোনো চেকপয়েন্টে এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হয়। এ ধরনের অনুমতি নিয়ে বিদেশে প্রবেশ এবং সেখানে থাকার জন্য সুনির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এই সময়সীমা একেক দেশে একেক রকম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে দেওয়া হলেও কোনো কোনো দেশে এই ভিসার জন্য ফি রাখা হয়।
২০২৫-এর হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স মতে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ১৬টি দেশে এই ভিসা-নীতি অনুসরণ করা হবে। দেশগুলোর তালিকা নিম্নরূপ:
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সিয়েরা লিওন
১৪. সোমালিয়া
১৫. তিমুর-লেস্তে
১৬. টুভালু
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান,শপিংমল ও জনপ্রিয় খাবার
আগের বছর এই সংখ্যাটি ছিল ১৮। এবার এই ক্যাটাগরি থেকে বাদ পড়েছে সেশেলস এবং টোগো। সেশেলস এখন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ইটিএ পদ্ধতি অনুসরণ করবে, আর টোগো’তে থাকছে ই-ভিসা নীতি।
২০২৫ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন বা ইটিএ হচ্ছে ভ্রমণের ডিজিটাল ছাড়পত্র, যা সরাসরি পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এই অনুমতি ভ্রমণের আগে নিতে হয়, তবে প্রক্রিয়াটির জন্য দূতাবাসে সশরীরে না যেয়ে অনলাইন থেকেই করে নেওয়া যায়। ইটিএ প্রদানকারী প্রত্যেকটি দেশের অভিবাসন ওয়েবসাইটে এই ইলেক্ট্রনিক পরিষেবাটি রয়েছে।
২০২৫-এ ৩টি দেশে ভ্রমণকালে এই ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
দেশগুলো হলো:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
৩. সেশেলস
বিগত বছরের অন-অ্যারাইভাল তালিকায় থাকা সেশেলস এ বছর যুক্ত হয়েছে ইটিএ ক্যাটাগরিতে।
আরো পড়ুন: ফিলিপাইনের ভিগান ভ্রমণ গাইড : ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
হেনলি ইন্ডেক্স অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভিসা-অব্যহতি, অন-অ্যারাইভাল ও ইটিএ- এই তিন ভিসা-নীতিকে এক সঙ্গে ভিসামুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নিরীখে চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ভিসামুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা সর্বমোট ৪০ যা গত বছরে ছিল ৪২।
এই পরিবর্তনের কারণে হেনলি ইন্ডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭ থেকে নেমে এসেছে ১০০তে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছেছিল। তারপর থেকে একটানা তিন বছর ক্রমশ উন্নয়নের পর আবারও নিম্নগামী হলো বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান।
২০২৫ সালে যে দেশগুলো বাংলাদেশিদের ই-ভিসার সুবিধা দিচ্ছে
ইটিএ এবং ইলেক্ট্রনিক বা ই-ভিসা উভয়ের সঙ্গেই অনলাইন পদ্ধতির সম্পৃক্ততা থাকলেও দুয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ই-ভিসা মূলত পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দিনের জন্য বিদেশ গমনের নিমিত্তে করা হয়ে থাকে। অপরদিকে, ইটিএ-এর মূল উদ্দেশ্য থাকে পর্যটন বা ট্রাঞ্জিট; তথা স্বল্প সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে থাকা।
ডিজিটাল পদ্ধতির পরেও ই-ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াতে প্রায় ক্ষেত্রে সহায়ক নথির প্রয়োজনীয়তা থাকায় প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। অন্যদিকে, ইটিএ-এর জন্য খুব বেশি নথির বাধ্যবাধকতা নেই, যার কারণে প্রক্রিয়া বেশ দ্রুত এবং সহজ হয়।
আরো পড়ুন: লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি, ভিসা, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুবিধা
এ বছর যে দেশগুলোতে যেতে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের ই-ভিসা করতে হবে, সেগুলো হলোঃ
১. আলবেনিয়া
২. অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
৩. আজারবাইজান
৪. বাহরাইন
৫. বেনিন
৬. বতসোয়ানা
৭. ক্যামেরুন
৮. কলম্বিয়া
৯. নিরক্ষীয় গিনি
১০. গিনি
১১. ইথিওপিয়া
১২. গ্যাবন
১৩. জর্জিয়া
১৪. কাজাখস্তান
১৫. কিরগিজস্তান
১৬. মালয়েশিয়া
১৭. মলদোভা
১৮. মায়ানমার
১৯. ওমান
২০. পাকিস্তান
২১. কাতার
২২. সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে
২৩. সুরিনাম
২৪. সিরিয়া
২৫. তাজিকিস্তান
২৬. তানজানিয়া
২৭. থাইল্যান্ড
২৮. টোগো
২৯. তুর্কি
৩০. উগান্ডা
৩১. উজবেকিস্তান
৩২. ভিয়েতনাম
৩৩. জাম্বিয়া
৩৪. জিম্বাবুয়ে
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
শেষাংশ
২০২৪-এর তালিকা থেকে লেসোথো বাদ যাওয়ায় ২০২৫-এ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য সম্পূর্ণভাবে ভিসামুক্ত দেশগুলোর সংখ্যা ২২ থেকে কমে ২১ হয়েছে। বর্তমানে ইটিএ পদ্ধতি অবলম্বন করা সেশেলস বিগত বছর ছিল অন-অ্যারাইভাল তালিকায়। একই তালিকাভূক্ত টোগো এবার থেকে অনুসরণ করছে ই-ভিসা পদ্ধতি। তাই ১৮ থেকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দেওয়া দেশের সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ১৬। একই কারণে গতবারের ২টি থেকে বেড়ে বর্তমানে ৩টি দেশে রয়েছে ইটিএ ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে ২০২৫-এ মোট ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা। উপরন্তু, বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকার সুবাদে এই বছরে মোট ৩৪টি দেশ থেকে ই-ভিসার সুবিধা থাকছে।
৯৪ দিন আগে
পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, দালাল আটক
গ্রাহক হয়রানিসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং মিরপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ এ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি দল আজ (রবিবার) সেখানে অভিযান চালায়।
তিনি জানান, দলটি প্রথমে ছদ্মবেশে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সেবাদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আগত সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা
তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় দুই দালালকে হাতেনাতে ধরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
অপরদিকে, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুর বিআরটিএতেও অভিযান চালায় দুদক।
অভিযানে দুদকের সদস্যরা সাধারণ গ্রাহক সেজে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে সেবা ও ডিজিটাল কার্ড পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বিআরটিএ'র ঢাকা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালকের (ইঞ্জি.) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দুটি অভিযানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ৫ সংসদ সদস্য ও পরিবারের বিদেশযাত্রায় দুদকের নতুন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা
১২৩ দিন আগে
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণকে আরও নিরবচ্ছিন্ন ও সাবলীল করতেই অবতারণা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি পরিষেবা থাকায় সমূহ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতো আবেদন জমা দেওয়ার সময়। বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে বিভাগীয় অফিসগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণে উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক কার্যালয়। তাই চলুন, আঞ্চলিক পর্যায়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ বছরের নিচের প্রার্থীর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ থেকে ২০ বছরের প্রার্থীর জন্য এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের যে কোনো একটি
· ২০ বছরের বেশি প্রার্থীর ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড
· শিশুদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড
আরো পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
পেশাগত প্রমাণপত্র
· ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও ড্রাইভারের মতো প্রযুক্তিগত বা কারিগরি পেশার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলো
· শিক্ষার্থী হলে,
o প্রার্থীর সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
o অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র
o কিংবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
· বেসরকারি চাকরিজীবী হলে কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
· সরকারি চাকরিজীবি হলে নিম্নলিখিত নথির যে কোনো একটি (ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশিত থাকতে হবে):
o সরকারি আদেশ (জিও)
o বা, অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o বা, প্রত্যয়নপত্র
o বা, অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o বা, পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে
· কৃষক বা ক্ষেতে কৃষিকাজে নিযুক্ত থাকলে জমির পর্চার অনুলিপি
· ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সের অনুলিপি
· বসবাসরত ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ বা গ্যাস অথবা পানি) বিল
এই নথিগুলোর কোনো সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। সেই সাথে আবেদন ফর্মে প্রার্থীর কোনো ছবি যুক্ত করারও দরকার নেই।
আরো পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
আবেদন জমাদানের সময় উপরোক্ত কাগজপত্রের সাথে অতিরিক্ত যা যা নিতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
· অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বা পূর্ণ আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
· পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
· ৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ল্যাব প্রিন্টকৃত পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম
আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
প্রতিটি বিভাগের অধীনে যে অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত আছে, সেগুলো হলো-
ঢাকা
বাংলাদেশ সচিবালয় (ঢাকা), ঢাকা সেনানিবাস, কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা), উত্তরা (ঢাকা), নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি।
খুলনা
যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ।
রংপুর
লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম।
রাজশাহী
নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বরিশাল
ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর।
সিলেট
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
২১৮ দিন আগে
বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের অগ্রগতি জানতে চায় সৌদি আরব
১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে দেশটি।
রবিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বহু বছর আগে, ১৯৭৩-৭৪ সালে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে যায়। সঠিক সংখ্যাটি আমাদের অজানা। তারা (সৌদি পক্ষ) আমাদের জানিয়েছিল যে সংখ্যাটি ৬৯ হাজার। এটা কমবেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না তবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে হবে এই বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে আমরা কোথাও ধীরগতিতে এগোচ্ছি কি না, কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কি না বা কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না তা দেখতে তিনি (সৌদি উপমন্ত্রী) এখানে এসেছেন।’
পাসপোর্টের তথ্য অপরিবর্তিত রেখেই সেগুলো নবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
সৌদি সরকারের আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তারা লোকজনকে ফেরত পাঠায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৩৪০ দিন আগে
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দল।
গ্রাহকদের দীর্ঘ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), চট্টগ্রাম-১ একটি দল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
আভিযানিক দল প্রথমে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাসপোর্ট অফিসে কোনো অনিয়ম আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে এবং পাসপোর্ট করতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্টার, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করে।
এ সময়ে আনসার সদস্য আমানুল্লাহ এবং পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সময়ে গেইটের সামনে থেকে একজন দালালকেও হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন জানান, একজন সেবাগ্রহীতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযুক্ত দুজন স্টাফকে ডাকা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে জানানো হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এছাড়াও আটক দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পরিচালকের নিকট সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুজন স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
৪০৬ দিন আগে
২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মতো। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, এই সব ঝামেলা এক নিমেষেই উধাও হয়ে যায়, যখন সেই ভিসা করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না।
আজকের নিবন্ধে জানা যাবে সেই সব দেশগুলোর ব্যাপারে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও রূপ ভিসা বিড়ম্বনা নিতে হবে না বাংলাদেশি নাগরিকদের। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করেছে হেনলি পাসপোর্ট সূচক।
চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকরা কোন কোন দেশগুলো ভিসা ছাড়া, এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ। ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন যেসব দেশে
এই অভিবাসন নীতিতে ভ্রমণকারীকে গন্তব্যের দেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের জায়গাটি হতে পারে সমুদ্র বন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট অথবা বিমানবন্দর। এই প্রবেশাধিকার প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় কোনও আবেদন করতে হয় না।
কোনও কোনও দেশে প্রবেশের সময় এই অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ফি দিতে হয়। হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নিয়ে ১৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর এই জন্য ভিসাপ্রাপ্তির সময় তাদেরকে কোনও ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। তাছাড়া এই ভাবে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
চলুন, এবার দেখে নেয়া যাক বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহকারী দেশগুলো।
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সেশেল্স
১৪. সিয়েরা লিওন
১৫. সোমালিয়া
১৬. তিমুর-লেস্তে
১৭. টোগো
১৮. টুভালু
আরও পড়ুন:
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় তথা ৯০ দিন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে- গিনি-বিসাউ, নেপাল, এবং বলিভিয়ায়। সামোয়া ও সেশেল্স-এ থাকা যাবে ৬০ দিন। কমোরো আইল্যান্ড্সে অবস্থানের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার মেয়াদ ৪৫ দিন। জিবুতি ও মৌরিতানিয়ায় থাকা যাবে ৩১ দিন । মালদ্বীপ, কেপ ভার্দে, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, তিমুর-লেস্তে, এবং কম্বোডিয়া বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ৩০ দিন, যেখানে বুরুন্ডি এবং টুভালু’র ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ১ মাসের কথা।
আফ্রিকার দেশ ‘টোগো’তে অবস্থানের জন্য পাওয়া যাবে মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
২০২৪ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইটিএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ইলেকট্রনিকভাবে তথা অনলাইনে একজন ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এক কথায় এটিও একটি ভিসা ফ্রি প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল অনুমতিটি দেশের ভেতরে থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া যায়।
এমনকি এর জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে নিজ দেশের অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেই দেশে ইটিএ কার্যকর আছে সেই দেশের অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়ে সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
২০২৪-এ দুটি দেশে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইটিএ প্রয়োজন হবে:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পূর্বে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থাকলেও এ বছরই ইটিএ সেবা নিয়ে নতুন সংযোজন হলো কেনিয়া। এখন থেকে এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমস্ত বিদেশি নাগরিক ৯০ দিনের জন্য কেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই অনুমতির সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের তারিখ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। এই সিঙ্গেল এন্ট্রির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ডাবল এন্ট্রির জন্যও ইটিএ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা ইটিএ ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে দুইবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অনুমোদন একবার হয়ে যাওয়ার পর ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় যে কোনো চেকপয়েন্ট অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
শেষাংশ
পর্যটন কিংবা ব্যবসা উভয় উদ্দেশ্যকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের থাকে হাজারও পরিকল্পনা। কিন্তু এর সবকিছুই গুড়েবালি করে দেয় সীমানা পেরনোর নিয়মনীতি। সেখানে এই ভিসামুক্ত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য এক বিরাট নিষ্কৃতি। এ দিক থেকে ২০২৪ সাল বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্যের বছরও বটে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে ভিসা ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল এবং ইটিএ সব মিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মোট ৪২ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। তাই সময় এসেছে পাসপোর্ট দ্রুত রিনিউ করে নেওয়ার। কেননা এই সুযোগ লুফে নিতে হলে পাসপোর্টটি অবশ্যই নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
৪৫৮ দিন আগে