ঈদের ছুটি
নতুন সময়সূচিতে ব্যাংক লেনদেন, গ্রাহকদের উপস্থিতি কম
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে পূর্ব ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন চলে।
এদিন গ্রাহক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল কম। জরুরি প্রয়োজনে লেনদেনের জন্য ব্যাংকে এসেছেন কিছু গ্রাহক। এছাড়াও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এলসি খোলার সংখ্যাও খুব কম ছিল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার পর নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস
বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি খুব কম হওয়ায় তারা কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও আনন্দ বিনিময়ে করেই সময় কাটিয়েছেন।
ঈদের ছুটির আগে সরকার ঘোষিত নতুন অফিস সময়সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৯ জুন) থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংক লেনদেন ও অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৯ জুন থেকে ব্যাংকে লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকগুলোর অফিস খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শুক্র ও শনিবার।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটির পর নতুন সময়সূচিতে খুলেছে অফিস
৫ মাস আগে
অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে নগরবাসী রাজধানীতে ফিরতে শুরু করলেও ঢাকা শহর এখনো ফেরেনি তার চিরচেনা রূপে।
রাস্তার পাশের বেশিরভাগ দোকান, শপিং মল বন্ধ। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় খুবই কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে গেছে। ঢিাকার অধিকাংশই রাস্তায় ফাঁকা ছিল।
সোমবার সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল কম।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলির মাধ্যমে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
সকালে মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর ও শাহবাগ এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ বলেন, ‘এখনো শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা নেই। রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছাতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে। এটি ঢাকাবাসীর জন্য সাময়িক স্বস্তির বলা চলে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১, ১২ (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পরে, ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল রবিবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।
তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী।
আরও পড়ুন: ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-শেয়ার বাজার।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে ছুটি কাটাতে বাড়িতে যাওয়া মানুষজন।
ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল। ফলে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করছেন চাকরিজীবীরা।
টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে সোমবার সবাই কাজে যোগ দেবেন।
তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী।
বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে উপস্থিতি থাকে খুবই কম।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনায় জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত: খালিদ
৭ মাস আগে
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
জীবিকার তাগিদে শত শত মানুষের ঠিকানা রাজধানী ঢাকা। এরপরেও অল্পকিছু সময় সুযোগ মিললেই নাড়ির টানে সবাই ছুটে যান গ্রামের বাড়িতে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিটা মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর জন্য সারা বছর ধরে দিন গুনতে থাকেন প্রতিটি কর্মজীবী মানুষ।স্বভাবতই বছরের এই সময়টাতে সবার মধ্যেই এক রকম তাড়াহুড়ো কাজ করে। ঈদের কেনাকাটা আর ট্রেন বা বাসের টিকেট ব্যবস্থা করতে যেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শহরবাসী। এই ঝক্কি-ঝামেলায় শহরে নিজের যে ঠিকানাটি তারা ছেড়ে যাচ্ছেন তার কথা বেমালুম ভুলে বসেন অনেকেই। ছুটি শেষে আবার এই যান্ত্রিক সংসারেই ফিরতে হবে জেনেও বিষয়টি প্রতিনিয়ত নজর এড়িয়ে যায়। তাই চলুন, ছুটি কাটানোর জন্য শহরের বাড়িটি ছেড়ে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
বাড়ির অভ্যন্তরে বিভিন্ন ত্রুটি যাচাই
বাড়ির মূল ফটকের লকের সমস্যা ও ভাঙা জানালার দিকে সর্বপ্রথম নজর দেওয়া জরুরি। এর সঙ্গে সময় নিয়ে খুঁজে বের করতে হবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ও পানি সরবরাহের লাইনে কোন ত্রুটি আছে কি না। এগুলো মূলত ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নেওয়া উচিৎ। উপরন্তু, বাড়ি ছাড়ার আগ মুহূর্তে চোখে পড়লে দ্রুত এগুলো মেরামতো করে নিতে হবে।
অন্যথায় এড়িয়ে গেলে বা পরে ঠিক করার চিন্তা করলে খালি বাড়িতে যে কোনো অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়
চুলা, পানির কল ও বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো বন্ধ করা
শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য বাড়ি ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এই বিষয়গুলো বারবার যাচাই করে নিতে হবে। এমনকি কোন পানির কলের প্যাচ ঢিল হওয়ার কারণে যদি ফোটায় ফোটায় পানি পড়তে থাকে তাও মেরামতো করে নেওয়া দরকার। একই ভাবে দেখতে হবে প্রতিটি ঘরের বিদ্যুৎ সুইচগুলো বন্ধ আছে কি না। টেলিভিশন, কম্পিউটার, ওভেন, রাউটার, ফ্যানের মতো বিদ্যুৎ সংযোগকৃত প্রতিটি যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিতে হবে। দেওয়াল এবং টেবিল ঘড়ির ব্যাটারিগুলো খুলে যথাস্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
ফ্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ
সবগুলো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিদ্যুৎ সংযোগমুক্ত করার সময় ফ্রিজের ব্যাপারে ব্যতিক্রম করা যেতে পারে। কেননা যেসব খাবার সময়ের সঙ্গে নষ্ট হয়ে সেগুলোকে সতেজ রাখার জন্য ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে যদি ভ্রমণের আগেই পচনশীল খাবারগুলো শেষ হয়ে গেলে ভালো। সেক্ষেত্রে ফ্রিজ ছেড়ে রাখতে হবে না।
এছাড়া ভ্রমণের আগের দিনগুলোতে কোনো পচনশীল খাবার না কেনাই উত্তম। বাড়ির ছাড়ার আগের সপ্তাহের খাদ্যতালিকায় ফ্রিজের অবশিষ্ট খাবারযোগ্য আইটেমগুলো রাখা যেতে পারে। অপচনশীল খাবার বা কেনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খেয়ে ফেলতে হয় এমন খাবারগুলো কেনা যেতে পারে অল্প করে। বের হওয়ার আগের দিন ফ্রিজের ভেতরটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফ্রিজে এমন কিছু রাখা যাবে না যা পরবর্তীতে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
আসবাবপত্রের লকারগুলো লক করা
আলমারি, টেবিল, দেরাজ বা কেবিনেটের লকারগুলো ভালো করে চেক করতে হবে। কোনো ত্রুটি থাকলে তা ঠিক করে নিশ্চিত করতে হবে যেন সেগুলো মজবুত ভাবে বন্ধ থাকে। কেননা এগুলোতে নগদ টাকা, ডেভিট বা ক্রেডিট কার্ড, অলঙ্কার, সার্টিফিকেট সহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র রাখা হয়। এগুলোর কোনোটাকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে টেবিল বা বিছানার উপর ফেলে রাখা একদমি ঠিক নয়।
যাবতীয় সরঞ্জামসহ রান্নাঘর পরিষ্কার করা
খাবারের পরপরই থালা-বাসন ধুয়ে রাখা হলে এই কাজটি অনেকটা এগিয়ে যায়। রান্নাঘরে প্রায় ক্ষেত্রে ফল ও সবজি স্তূপ করে রাখা হয়। এভাবে এলোমেলাভাবে না রেখে প্রত্যেকটিকে তার যথাস্থানে রাখতে হবে। এতে করে রান্নাঘরের ময়লা পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে।
সিঙ্কের জায়গা, কেবিনেট, শেল্ফ ও তৈজসপত্র ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা উত্তম। এতে করে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ফিরে এসে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের সম্মুখীন হতে হবে না। একই সঙ্গে বাড়ি ফিরেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে ধোয়া-মোছার কাজে লেগে পড়তে হবে না।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পরিধেয় কাপড় পরিষ্কার করা
ভ্রমণের জন্য ব্যাগ গোছানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে বাড়ি ফিরে পরিধানের জন্য পরিষ্কার কাপড় আছে কি না। এছাড়া পরনের কাপড় সব স্তূপ করে রেখে দিলে তা বাজে গন্ধ ছড়ায়। সেই সঙ্গে বদ্ধ ফাঁকা ঘরে এই গন্ধ অস্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাছাড়া ভ্রমণের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে কাপড় ধোয়ার আর অবস্থা থাকে না। তাই এই সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে বাড়ি ছাড়ার আগেই কাপড়গুলো পরিষ্কার করা। নিদেনপক্ষে নিয়মিত পরিধানের কাপড়গুলো ধুয়ে শুকিয়ে আয়রন করে রাখতে হবে।
আসবাবপত্রসহ ঘর পরিষ্কার করা
বিছানার চাদর, জানালার পর্দা, ও টেবিল ক্লথ অনেক দিন হয়ে গেলে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে। আনন্দের ঈদ উদযাপন করে বাসায় ফিরে এমন অস্বস্তিকর পরিবেশের সম্মুখীন হওয়া কারোই কাম্য নয়। এছাড়া ক্লান্ত শরীরে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে চান। তাই নিজেই নিজেকে স্বাগত জানানোর জন্য আগে থেকেই এই চাদর-পর্দাসহ প্রতিটি আসবাব পরিষ্কারের দিকটি মাথায় রাখা উচিৎ।
প্রতিটি কক্ষ পরিষ্কারের সময় বাথরুম পরিষ্কারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাথরুমে পানির কল চেক করে দেখার সময়েই এক সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার দিকটাতেও নজর দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
ময়লার বাক্স ঘরের বাইরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা
রান্নাঘরসহ প্রতিটি ঘরের ট্র্যাশ বক্সের সব ময়লা একটি পলিথিনে নিয়ে বাড়ির বাইরে যথাস্থানে ফেলে আসতে হবে। সারা ঘর পরিষ্কার থাকলেও শুধু ময়লায় ভর্তি ট্র্যাশবক্স ঘিরেও কীটপতঙ্গ ও ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। আর এভাবে বেশ কিছু দিন বদ্ধ অবস্থায় থাকলে সারা বাড়ি জুড়ে অস্বস্তিকর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। তাই আগেই ট্র্যাশ বক্সগুলো খালি করে ফেলতে হবে।
শেষাংশ
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পূর্বে এই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া মানেই শহরের বাড়িটির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইনের ত্রুটি সারানো এবং সেগুলোর সংযোগ বন্ধ রাখা বাড়িকে বিপদমুক্ত রাখার জন্য জরুরি। তদুপরি, আসবাবপত্রসহ প্রতিটি ঘর পরিষ্কার করে গেলে ফিরে এসে ফাঁকা বাড়ির জঞ্জালের ধকল সামলাতে হবে না। সব মিলিয়ে ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার পর প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ পেতে এই করণীয়গুলো অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
৭ মাস আগে
ময়মনসিংহে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল দম্পতির
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন স্ত্রী ও স্বামী।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলা থেকে সিমান্তবর্তী সড়কের লক্ষীকুড়া বাজারে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দম্পতি নিহত
নিহত স্ত্রী ও স্বামী হলেন, উপজেলার রৌমারি এলাকার আলীর ছেলে সাইদুর রহমান ও স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। সাইদুর রহমান জেলার ঈশ্বরগঞ্জে একটি এনজিওতে চাকরি করতেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে সাইদুর মোটরসাইকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি রৌমারিতে যাওয়ার পথে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই সাইদুর মারা যান। সোনিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির
নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে আগামী ঈদুল ফিতরের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকেও কমিটির এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
তবে রমজান ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর হচ্ছে ১১ এপ্রিল। সেই হিসাবে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
তবে এর আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, 'শ্রমিকদের বেতন যাতে সময় মতো পরিশোধ করা হয়, সেজন্য প্রয়োজনে ব্যাংক বেশিক্ষণ খোলা রেখে এবং বন্ধের দিনও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের যাই প্রাপ্য থাকে সেগুলো যাতে সময় মতো পরিশোধ হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।'
মোজাম্মেল হক বলেন, 'ছুটির ব্যাপারে কালকে একটা সুপারিশ যাবে সরকারের কাছে, একদিন বাড়ানো যায় কি না! যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। ৯ এপ্রিল ছুটির আওতায় আনা যায় কি না, সেটার একটা সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে যাবে। আগামীকাল মন্ত্রিসভার মিটিং আছে সেই মিটিংয়ে এই কমিটির একটা সুপারিশ যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
তিনি আরও বলেন, 'ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ তারিখ খোলা। এজন্য আমরা (৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে) আগের শনিবার অফিস করতে পারি কি না সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা সুপারিশ করেছি, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য ১ দিন মাত্র সময় পাবে। সে সেজন্য যানজটটা বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেজন্য ৯ এপ্রিল ছুটি বিবেচনা করা যায় কি না এই সুপারিশ আমরা করব।'
মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ফিটনেস নেই, এমন গাড়ি ঈদের সময় চলাচল করে। এ সব গাড়ি রাস্তায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। সেজন্য ফিটনেসবিহীন এ সমস্ত গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করা হবে।'
মিল-কলকারখানার শ্রমিকরা ছুটির পর একযোগে এসব গাড়ি ভাড়া করার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
ঈদের ছুটি চলাকালে ঢাকায় কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। তাই কেউ বিপদে পড়লে আমাদের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে জানান অথবা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করুন। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্যদের কিরাত, হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে পুলিশ: আইজিপি
আইজিপি আরও বলেন, 'ফাঁকা ঢাকায় ডাকাতি, যানজটের সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা আগের বছরগুলোতে যে ব্যবস্থা নিয়েছি, এবারও একই ব্যবস্থা নেব।’
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনভাবে ভ্রমণ করুন যাতে আপনাকে কোনো ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে না হয়। আমি সব যাত্রীদের এটাই অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ সময়ের হতে পারে। বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি সব বিনোদন স্পটের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ব্ল্যাক টিকিট বাজারজাতকরণের সঙ্গে সহজডটকমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আইজিপি বলেন, 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিই। যাত্রীদের হয়রানির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ব্যবস্থা নিন : আইজিপি
৭ মাস আগে
ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সতর্কতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সড়ক ভবনে ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত সংশ্লিষ্টদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা এখনো দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আছি। এসব দুর্ঘটনার শেষ নেই। তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য নিরাপদ সড়ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি অনিচ্ছুক থাকি তবে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এক্ষেত্রে অন্যকে দোষারোপ না করে বরং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল ঈদে রাস্তায় সবচেয়ে বড় উপভোগ্য বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২২টি মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এখানে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ সময় ঢাকা শহরে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'এই শহরে অনেক কারখানা আছে যারা এসব গাড়ি তৈরি করে। আমি নিজে দেখেছি। তারা গাড়ি রং করছে। রং দশ দিনও স্থায়ী হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, 'ঢাকার প্রাইভেট কার ও বাসের দিকে তাকান। ঢাকা শহরের এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি আমাদের উন্নয়ন অর্জনে লজ্জাজনক।’
ঈদে গাড়ির ফিটনেস দেখানোর বদলে সত্যিকার ফিটনেস সম্পন্ন গাড়ি বের করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ঈদের জন্য সম্ভাব্য ১৫৫টি যানজট পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
৮ মাস আগে
দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
ঈদের ছুটি শেষে খুলছে দেশের স্থলবন্দরগুলো। গত কয়েকদিন ধরে কাঁচামরিচের অগ্নিমূল্যের জেরে গতকাল রবিবার (২ জুলাই) থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। আমদানির খবরেই কমতে শুরু করে কাঁচা মরিচের দাম।
সম্প্রতি খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর দাম ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এর পর থেকে দাম কমেনি বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এমনকি ১০০০ টাকায় পৌঁছায়।
তবে রবিবার (২ জুলাই) আমদানির প্রভাবে কাঁচা মরিচের তেজ কমতে শুরু করেছে। মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা
ইউএনবি’র খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনার বাজারে ঢুকেছে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ। ফলে একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৪০০ থেকে ৫০০।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে কাচাঁ মরিচের কেজি ৮০০ টাকা!
গতকাল রবিবার কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। আজ সকাল থেকে বাজার এবং মরিচের মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। দাম কম হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মিলেছে।
খালিশপুর পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, কাঁচা মরিচের মানভেদে দাম কমেছে। আজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করছি।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। এ জন্য দাম কমেছে। আজ সকাল থেকে ২০০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছি। গতকালও রবিবার কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী কাজী সামসুদ্দীন বলেন, আমদানি করায় বাজারে অনেক কাঁচা মরিচ এসেছে। আমি ১২০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি মরিচ কিনেছিলাম। বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজিতে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নিচ্ছি ৪০ টাকা।
গতকালও ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। দাম কম হওয়ায় ক্রেতাও বেড়েছে।
খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আজ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছেন।
নগরীর চিত্রালী বাজারে আসা পারভেজ আলম বলেন, আজ কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় মানুষ ঝাল কিনতে পারছেন। তবে দাম আরও কমলে ভালো হয়।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
খালিশপুর হাউজিং বাজারে আসা তসলিমা বেগম বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গতকালও ছিল ৬০০ টাকা কেজি। আজ ২০০ টাকা কেজি চাচ্ছে। শুনেছি ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। আরও দাম কমবে।
ইউএনবি’র বরিশাল প্রতিনিধি জানান, বরিশালে এক রাতের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ৮০০ টাকা থেকে কমে ৩০০ টাকায় এসেছে। এর আগে রবিবার রাত পর্যন্ত কাঁচামরিচ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে সেই কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে বরিশালের একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটে ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক আমিন শুভ বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি ছিল। আজ সকাল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কমেছে।
এখন ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও দেশি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। তবে দুই এক দিনের মধ্যে কাঁচামরিচের দাম আরও কমবে।
পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের শাহারিয়া বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার রাশেদুল আলম বলেন, কাঁচামরিচের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ না থাকায় ৬/৭ দিন ৬০০/৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
আজ সকাল থেকে আড়তে ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ ঢুকেছে, তাই মূল্য কমে ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কেনা মরিচ নগরীর বিভিন্ন খুচড়া বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নগরীর বাংলা বাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কাঁচামরিচ কিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি না করলে খরচে পোষায় না।
আড়ত থেকে মালামাল আনার খরচ, বাজারে ইজারা খরচ, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। সে অনুযায়ী লাভ না করলে পোষাবে কি করে।
এদিকে কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নগরীর বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে দেখা গেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বাজার দর যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকটি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৩৫০ টাকার বেশি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে। পাশাপাশি পাইকারি বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে।
১ বছর আগে
ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ছয় দিনের ছুটি শেষে সোমবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বন্দর পরিচালনায় নিয়োজিত পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) কামাল উদ্দিন ও বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
তাই এই সময়ে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি শেষে আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে যথারিতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
১ বছর আগে