এতিম শিশু
চুয়াডাঙ্গায় এতিম শিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব
চুয়াডাঙ্গায় এতিম শিশুদের জন্য একটি আনন্দমুখর পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারে এতিম শিশুদের জন্য এ উৎসব আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সংযোগ' টিম।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য ছিল মধ্যাহ্ন ভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পিঠা উৎসব, যা শিশুদের মাঝে এক ভিন্নরকম আনন্দের সৃষ্টি করে।
মধ্যাহ্ন ভোজ দিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিশুদের পরিবেশনায় ছিল ইসলামী সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি এবং নৃত্য। এসব পরিবেশনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। অসাধারণ পরিবেশনার জন্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১৫ জন বিজয়ী শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন, 'সংযোগ' টিমের নারী ভলেন্টিয়ার শাখা 'সংযুক্তা' তাদের বাসায় তৈরি বিভিন্ন ধরনের পিঠা-মিঠাই পিঠা, পাকান পিঠা, জামাই পিঠা, পায়েস, মোয়া এবং রাশিয়ার পিঠা উপস্থিত সবার মাঝে পরিবেশন করে। মা-বাবা হারানো এসব এতিম শিশুরা একে অপরের সঙ্গে পিঠা ভাগাভাগি করে খেয়ে বিশেষ আনন্দ করে, যা তাদের জন্য এক অমূল্য অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
'সংযোগ' টিমের চুয়াডাঙ্গা জেলা কোঅর্ডিনেটর মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন শিশুদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন সৃষ্টি করে, যা তাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। শিশুরা একে অপরের সঙ্গে পিঠা ভাগাভাগি করে আনন্দ পায় এবং উৎসবের মাধ্যমে তারা নিজেকে সমাজের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত অনুভব করে।’
এ অনুষ্ঠানটির বাস্তবায়নে কাজ করেন 'সংযোগ' চুয়াডাঙ্গা টিমের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংযোগের আকাশ, স্পনীল, সাদিয়া (ফিন্যান্সিয়াল কোঅর্ডিনেটর), সুমন, নাহিদ (মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর), মাহিন (স্টোর কোঅর্ডিনেটর), রোজা, নিতু (সংযুক্তা টিম কোঅর্ডিনেটর) সহ অন্যান্য কমিটি সদস্যরা।
উল্লেখ্য, উৎসবটি শুধু পিঠা খাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়নি, বরং শিশুদের মধ্যে সামাজিকতা এবং পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে।
৮৩ দিন আগে
ইউএনওর সহায়তায় মেহেরপুরের ৪ এতিম শিশু পাচ্ছে পাকা ঘর
দুধ খাওয়া শেষ না হতেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মা মারা গেছেন। এদিকে, বাবা বিয়ে করে আলাদা সংসারে মন দিয়েছে। বিয়ের পরে নিজ ছেলে-মেয়ের কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না।
১৭৯৬ দিন আগে