মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের চার এতিম শিশু আশিক, মুস্তাকিন, রিয়াজ ও কুলসুম। বাবা থাকতেও এতিম হয়ে যাওয়া চার শিশুকে অতি কষ্টে লালন পালন করছেন দিনমজুর দাদা লালন শাহ ও দাদি সালমা খাতুন।
চার শিশুর মধ্যে বড় আশিক। বয়স ১০ বছর। দাদার অভাবের সংসারে কিশোর হাল ধরতে বেছে নিয়েছে চায়ের দোকানদারি। চা বিক্রি করে ছোট ভাইবোনের ভরণ-পোষণ ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে আশিক।
কিশোর আশিকের জীবন সংগ্রামের বাস্তবতার কথা জানতে পেরে বেশ কয়েকদিন আগে তাদের দেখতে যান সদ্য বিদায়ী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
আশিকদের জীবন সংগ্রাম ও ভেঙে পড়া ঝুঁপড়ি ঘর দেখে তাৎক্ষণিকভাবে নিজ তহবিল থেকে নগদ অর্থ সহায়তা ও সরকারি অর্থায়নে আশিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামানকে ঘর নির্মাণ কাজের সব প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশনা দেন।
মা, বাবা হারা চার ভাই-বোনদের জন্য সরকারি অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘর। ইতিমধ্যে ঘরের গাথুনির কাজ শুরু হওয়ায় কিশোর আশিক ও তার ভাইবোনদের অনেক খুঁশি।
গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। তবে কাজের মান ভাল হচ্ছেনা বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামানের বলেন, নাবালক চার এতিমের যে ঘর নির্মাণ হচ্ছে তাতে আমিও খুঁশি। তবে কাজটি মানসম্মত করার জন্য কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের বলা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, আশিকদের বিষয়টি অত্যান্ত মানবিক। আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আনন্দিত।
উল্লেখ্য, দিলারা রহমান গত সপ্তাহে বদলি হয়ে চুয়াডাংগার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।