গ্রামীণফোন
দেশের প্রথম ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপসিটি’ চালু করল গ্রামীণফোন
ডিজিটাল ধারাকে রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশের প্রথম ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপসিটি’ চালু করেছে শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে এই অ্যাপ মার্কেটপ্লেসটির উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, স্মার্ট সল্যুশন ও সংযুক্তির সুবিধা নিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ ডেভেলপার এবং পাবলিশার উভয়কে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) ও বিটুসি (বিজনেস টু কনজুমার) গ্রাহকের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
যা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে।
আরও পড়ুন: গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রামীণফোনের টেলকো-টেক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, অ্যাপটি একটি ইউনিফাইড প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এবং সফটওয়্যার এস এ এস সার্ভিস সল্যুশন নিয়ে আসবে।
অ্যাপ স্টোর এবং এপিআই হাব উভয় প্ল্যাটফর্মে কার্যকর এই মার্কেটপ্লেসটি কনটেন্ট সরবরাহকারী এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার উভয়কে ব্যক্তি ও কর্পোরেট গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
অ্যাপটির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো- এতে বিল্ট-ইন অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং টেলকো এপিআই সুবিধা রয়েছে, যা বিটুবি ও বিটুসি উভয় প্ল্যাটফর্মে কার্যকর।
এই বৈশিষ্ট্য এটিকে বাংলাদেশের প্রথম ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ মার্কেটপ্লেসে পরিণত করেছে। এই উন্নয়ন নন-কোডারদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে নিয়োজিত হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন পথ উন্মোচন করবে, যা সহজ অ্যাপ তৈরির জন্য প্ল্যাটফর্মের নির্দেশিত ইউ আইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা, যা বিদ্যমান কিছু বিখ্যাত প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তুলনীয়।
দেশের প্রথম সমন্বিত বিটুবি অ্যাপ মার্কেটপ্লেসের দাবিদারও এই প্ল্যাটফর্ম।
ব্যবহারকারীদের রেটিংয়ের পাশাপাশি কিউরেটেড এক্সপার্ট রেটিংও চালু করেছে অ্যাপটি, যা প্রচলিত অ্যাপ মার্কেটপ্লেস থেকে আলাদা। টেলকো বিলিং এবং প্রচলিত অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) সুবিধাও যুক্ত করেছে প্ল্যাটফর্মটি। অন্যান্য অ্যাপ মার্কেটপ্লেসের তুলনায় প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে বিস্তৃত পেমেন্ট চ্যানেল সুবিধা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি ৫.৫ শতাংশ
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট জাতির জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অ্যাপটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তরুণদের সম্পৃক্ত করতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যাপটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য। একটি স্মার্ট জাতি গড়ার লক্ষ্যে অ্যাপটির জন্য আয়োজিত হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান পেটার-বরে ফারবার্গ বলেন, গ্রামীণফোন অ্যাপটি গড়ে তোলায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি শুধু ডেভেলপারদেরই ক্ষমতায়ন করবে না, পাশাপাশি সমৃদ্ধ গ্রাহক অভিজ্ঞতার অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এই ইন্ডাস্ট্রির ফার্স্ট উদ্যোগটি দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে অবদান রাখার জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অ্যাপটির মাধ্যমে আমরা আরো সংযুক্ত এবং স্মার্ট ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছি। এই প্ল্যাটফর্মটি একটি স্মার্ট অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, এবং টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করে। প্রথাগত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নয়, আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে সংযোগের আওতায় এনে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। গ্রামীণফোন অত্যাধুনিক আইসিটি এবং আইওটি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তার পোর্টফোলিওকে ঢেলে সাজিয়েছে, যাতে একটি আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের গতিশীল চাহিদা পূরণে আমরা এগিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করল গ্রামীণফোন
৯ মাস আগে
২০২৩ সালে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি ৫.৫ শতাংশ
প্রতিকূল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ ও কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৩ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, গেল বছর গ্রামীণফোন লিমিটেড ১৫ হাজার ৮৭১ দশমিক ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট ৮ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। আমরা ডিজিটাল সক্ষমতার উপর গুরুত্বরোপ বৃদ্ধি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সহজ, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবনে অবদান রাখতে নতুন আইওটি প্রোডাক্টস নিয়ে এসেছি।’
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন তার উন্নত নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধানে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শক্তিশালী ফাইনান্সিয়াল পারফরমেন্স বজায় রেখেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, নেটওয়ার্ক নেতৃত্ব প্রসারিত করার মাধ্যমে টানা ১১ প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে , যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৬ শতাংশ। মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২ হাজার ৬০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ছাড়া) ৩১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।
২০২৩ সালে গ্রামীণফোন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা গ্রামীণফোনের মোট রাজস্বের ৭৭ শতাংশ।
কর, মূসক, শুল্ক, লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম বরাদ্দ ফি বাবদ এই অর্থ দিয়েছে অপারেটরটি।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
৯ মাস আগে
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
৯ মাস আগে
গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
নতুন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে অটো মাগনে রিসব্যাক এবং চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও) হিসেবে মো. আরিফ উদ্দীনকে নিয়োগ দিয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।
ম্যানেজমেন্ট টিমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি এই দুই বিভাগের প্রধানদের নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সিএফও আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সিআরও গত ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান বলেন, ‘অটো ও আরিফকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অটো বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ। তিনি এর আগে টেলিনরের অন্যান্য বিজনেস ইউনিটে সিএফও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জিপি ম্যানেজমেন্ট টিমের জন্য তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। সুস্পষ্ট গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে গ্রামীণফোন প্রযুক্তি ও ডিজিটালনির্ভর প্রতিষ্ঠান হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কার্যকরীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী পারফরমেন্স বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে অটোর সুদক্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, আরিফ গ্রামীণফোনে থেকেই নেতৃত্বদানের গুণে নিজেকে বিকশিত করেছেন। তার বিস্তৃত ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি এর আগে গ্রামীণফোনের ফাইন্যান্স বিভাগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত ছিলেন। বিরোধ নিষ্পত্তি ও ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে তার উদ্ভাবনী ও অনন্য কৌশল প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ও কার্যকর মাত্রা সংযোজন করেছে।’
অটো মাগনে রিসব্যাক বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সিএফও হিসেবে যোগদান করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পুরো গ্রামীণফোন টিমের সঙ্গে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ও অংশীদারদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি আমি।’
মো. আরিফ উদ্দীন বলেন, ‘গ্রামীণফোনের চিফ রিস্ক অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরে আমি একইসঙ্গে সম্মানিত ও রোমাঞ্চিত। ক্রমশ পরিবর্তনশীল ও চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন এ দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। আমি আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্ভাবনী ও কার্যকরী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার ব্যাপারে আশাবাদী।’
তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক সাফল্য ও স্থিতিশীল অবস্থা অর্জনে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েডে মোবাইল ডাটা প্ল্যান সুবিধা নিয়ে এলো গ্রামীণফোন
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
১১ মাস আগে
শুরু হয়েছে জিপি এক্সেলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’
তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প শুরু করেছে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সেলারেটর।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সেলারেটরের (জিপিএ) অ্যালামনাই, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকগণসহ নানা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনদের উপস্থিতিতে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।
আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজনটির সফল ও কার্যকরী বাস্তবায়ন নিশ্চিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে জিপি এক্সেলারেটরকে সহযোগীতা করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক এই আয়োজন মূলত আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা ও স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে নগদে ওয়ালেটে অ্যাড মানি চালু
৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের সমন্বয়ে ও দেশের ২০টি অঞ্চলে পিচ সেশনের মাধ্যমে আয়োজনটি সেরা ২০ জন ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করবে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করবে।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে মাথায় রেখে এই আয়োজনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগীতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প। এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের যুব জনসংখ্যার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট নেশন হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেল নভোএয়ার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সেলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
এর আওতায় নানা সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের বাজারমূল্য ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৫০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি ভ্যালুয়েশন অর্জন করেছে। এ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জিপি এক্সেলারেটরের অবদান অনুধাবন করা যায়।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
১ বছর আগে
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৫২১ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে গ্রামীণফোন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোন নতুন-পুরাতন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না: বিটিআরসি
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের হাতে এ চেক হস্তান্তর করে গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিদল।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, হেড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড এইচআর স্ট্র্যাটেজি কে এম সাব্বির আহমেদ, প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এক্সপার্ট মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এক্সপার্ট মো. হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
দেশে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েডে মোবাইল ডাটা প্ল্যান সুবিধা নিয়ে এলো গ্রামীণফোন
১ বছর আগে
একাধিক ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে: জিপি
গ্রামীণফোন (জিপি) ব্যবহারকারীরা বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে একাধিক ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এমনটা হচ্ছে।
অনেক জিপি গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে তারা মেসেজ পাঠাতে এবং ফোন কল করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
১ বছর আগে
তিন মোবাইল কোম্পানিকে পরিশোধ করতে হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা
তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছে পাওনা দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এছাড়া সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রায়ে গ্রামীণফোনের এক হাজার ৪০০ কোটি, রবির ৫০০ কোটি ও বাংলালিংকের ৬৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব ও মোবাইল কোম্পানির পক্ষে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের জন্য সরকার যে তরঙ্গ বরাদ্দ করে তার ওপর চার্জ করা হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করা হয়। এই ভ্যাটযুক্ত করার কারণে তারা (তিন কোম্পানি) হাইকোর্টে এসে মামলা ফাইল করে। হাইকোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তারা আপিলে আবেদন করা হলে আদালত শুনানি নিয়ে তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর এবং বিটিআরসি ভ্যাটসহ তরঙ্গ বরাদ্দ ফি হিসেবে পাওনা আদায় করবে।
এর আগে, ২০১২ সালে সরকার বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স নিচ্ছে মর্মে হাইকোর্টে রিট করে তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। তবে ওই তিন কোম্পানির রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এরপর কোম্পানিগুলো আপিল বিভাগে আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগও তাদের আবেদেন খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
দেশে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েডে মোবাইল ডাটা প্ল্যান সুবিধা নিয়ে এলো গ্রামীণফোন
দেশের সর্বপ্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসাবে গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ডাটা প্ল্যান (এমডিপি) সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন সরাসরি তাদের ফোন থেকেই ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ পরিচালনা করতে পারবেন।
নিজের ইন্টারনেট প্ল্যান নিজেই নিয়ন্ত্রণের এই ফিচার চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সহজ ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
এমডিপি ফিচারটির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডাটা প্ল্যান শেষ হওয়ার আগেই সতর্ক করতে পারবে, সেই সঙ্গে বিশেষ ইন্টারফেসের সাহায্যে প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের নিজস্ব ধরণ অনুযায়ী পার্সোনালাইজড অফার, অ্যালার্ট সিস্টেম, ম্যানেজমেন্ট টুলসহ নানা সুবিধাও দিয়ে থাকে। ডাটা প্যাক কেনা, ব্যালেন্স চেক করা এবং থ্রেসহোল্ড নোটিফিকেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে এমডিপি ফিচারটি ব্যবহারকারীদের উপকারে আসবে। এর ফলে প্রতিটি তথ্যের জন্য আলদা কোড মনে রাখা বা অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার ঝামেলাও আর থাকছে না।
গ্রামীণফোনের সকল প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড গ্রাহক এই ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ‘সেটিংস’ অপশনে এমডিপি ফিচারটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ডিভাইসে ন্যুনতম অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ভার্সন থাকা প্রয়োজন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ক্রমান্বয়ে দেশের সকল গ্রাহকের জন্য ফিচারটি চালু করবে গ্রামীণফোন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
১ বছর আগে
গ্রামীণফোন নতুন-পুরাতন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না: বিটিআরসি
গ্রামীণফোনের নতুন সিম কার্ড বিক্রি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর এবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি পুরানো সিমকার্ড বিক্রি করতে পারবে না।
রবিবার বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোনকে ১৩ লাখ পুরনো সিমকার্ড বিক্রির বিটিআরসির অনুমোদন আজ স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
অপারেটরদের ‘গুণগত মানসম্পন্ন পরিষেবা দিতে ব্যর্থতার’ কারণে ২০২২ সালের ২৯ শে জুন গ্রামীণফোনের নতুন সিমকার্ড বিক্রির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সে সময় ইউএনবিকে বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন তার ব্যবহারকারীদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদান না করায় বিটিআরসি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘টেলিকম কোম্পানিটির মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদানের কোন ইচ্ছা নেই। কেননা গ্রাহকরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানের জন্য কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না গ্রামীণফোন।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
তরুণদের অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে ইউএনডিপি-গ্রামীণফোন
২ বছর আগে