সাপের কামড়
ঠাকুরগাঁওয়ের কোনো হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম নেই, মরছে মানুষ
প্রতি বছর বর্ষার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। বৃষ্টির পানিতে সাপের বাসস্থান প্লাবিত হলে আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ের দিকে ছোটে বিষধর এই প্রাণীটি। অনেক সময় মানুষের ঘরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয় তারা। আর মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে অতর্কিত সাক্ষাত হলে সাপগুলো ভয়ে দংশন করে বসে।
প্রতি বছরের মতো এবারের বর্ষায়ও ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, জেলার কোনো হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন নেই। গত দুই সপ্তাহে সাপে কাটা অন্তত ৫ জন রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল উদ্দিন। তার ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলামকে গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে দংশন করে বিষধর সাপ। ছেলের চিকিৎসার জন্য দুই জেলার চারটি হাসপাতাল ঘুরেও সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার অ্যান্টিভেনম পাননি ইসরাইল। অসহায় বাবার চোখের সামনে মারা যায় তার আদরের সন্তান সাকিবুল।
হাসপাতালগুলোতে সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার ইঞ্জেকশন (অ্যান্টিভেনম) মজুদ না থাকায় আদরের সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যর্থ বাবার দুঃখের শেষ নেই। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। ছেলের মৃত্যুশোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার মা। গত তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বাড়ির পাশে একটি দোকানের ছাউনি থেকে বেরিয়ে এক বিষধর সাপ কামড় দেয় সাকিবুলকে। তবে ওই সময়ে ছেলেটি সাপের কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পরে ব্যথা শুরু হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক ক্ষত দেখে বুঝতে পারেন যে সাপে কামড়েছে। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অ্যান্টিভেনম না থাকায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিতে বলা হয়। সেখানেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে পথিমধ্যে ১০ মাইল নামক স্থানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাকিবুল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সাপের কামড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
আক্ষেপ করে ইসরাইল উদ্দিন বলেন, ‘চারটা হাসপাতালে নিয়ে গেছি। বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতাল থেকে হরিপুর, এরপরে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল। সেখানেও ভ্যাকসিন (অ্যান্টিভেনম) না পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ হাসপাতাল নিয়ে গেলাম; রাত তখন ১০টা বাজে। সেখানেও ভ্যাকসিন নেই। পরে দিনাজপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে আমার ছেলে আমার কোলে ওপর মারা গেল। বাবা হয়ে ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি।’
আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলছাত্র সাকিবুলের মতো ঠাকুরগাঁও জেলায় গত দুই সপ্তাহে পীরগঞ্জের সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী, হরিপুরে গৃহবধু সম্পা রাণীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষধর সাপের দংশনে।
নিহতদের স্বজনরা বলছেন, জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম না থাকায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে এসব রোগীদের।
সম্পা রাণীর স্বামী জিতেন বলেন, ‘সকালে সাপে কামড়ানোর পর হরিপুর, রাণীশংকৈল এবং সবশেষ ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নিয়ে গেছি, কিন্তু ভ্যাকসিন পাইনি। নিরুপায় হয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাই। এরপরেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের একটা ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।’
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, ‘বর্ষার সময়ে প্রতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি সাপের কামড়ে মারা যায়। এজন্য হাসপাতালগুলো অ্যান্টিভেনমের চাহিদা পাঠায়। কিন্তু ভ্যাকসিন যখন হাসপাতালে এসে পৌঁছায়, তখন বর্ষা শেষ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে বর্ষার আগেই অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখা।’
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান অ্যান্টিভেনম না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘চাহিদাপত্র পাঠানোর পরও ঢাকা থেকে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়নি। ঢাকা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অ্যান্টিভেনমের সংকট রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এর মধ্যেও আমরা কিছু অ্যান্টিভেনম সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’
১১৫ দিন আগে
মাগুরায় সাপের কামড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
মাগুরা সদরের শ্রীকান্তপুর গ্রামে সাপের কামড়ে শাওন শিকদার নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাওন শ্রীকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শাওন বাড়ির পাশে মোবাইলে গেম খেলছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বাড়ির দিকে ফেরার পথে একটি সাপ তাকে কামড় দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
এরপর প্রথমে তাকে স্থানীয় দুই ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১২৯ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে শেফালী খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শেফালী খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া এলাকার আব্দুল্লাহর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরের দিকে চুলায় ধান সিদ্ধ করার সময় খড়ির ঘর থেকে জ্বালানি খড়ি নেওয়ার সময় সাপে কাটে। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৭৩ দিন আগে
ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে রিফাত (৮) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের সাগরাইল গ্রামে শিশুটিকে সাপে কামড় দেয়। পরে স্বজনরা গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রিফাত ওই গ্রামের উকিল উদ্দিনের ছেলে।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
১৯১ দিন আগে
মেহেরপুরে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীতে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আবুল কাশেম (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আবুল কাশেম ধানখোলা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুল বাশার জানান, ‘দুপুরে আবুল কাশেম বাড়ির পাশে একটি মাঠে মহিষ চড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে সাপে কামড় দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাণী ইসরাইল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১৯৮ দিন আগে
ট্রেকিং, হাইকিং, ক্যাম্পিং ও ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
ভ্রমণে ট্রেকিং, হাইকিং ও ক্যাম্পিংয়ের মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা জরুরি। পাহাড়ের খাঁদ, ঝিরিপথ ও জঙ্গল ঘেরা আদিবাসীদের গ্রামগুলো বিচরণের সময় সবচেয়ে বেশি যে ঝুঁকি থাকে তা হচ্ছে বিষাক্ত সাপের উৎপাত। বিশেষ করে পাহাড়ি সাপের দংশনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে। ভ্রমণের আনন্দকে শতভাগ আরামদায়ক ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে হলে সর্বাত্মকভাবে এই ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। তাই চলুন, ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো জেনে নেই।
ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে দূরে থাকতে করণীয়
গন্তব্যে সাপের আনাগোনা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া
প্রতিটি সফল ভ্রমণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে তার সুষ্ঠ পরিকল্পনা। গন্তব্য ঠিক করার মুহূর্তে ভ্রমণের যানবাহন, সেখানকার আবাসন, খাওয়া-দাওয়া যাবতীয় বিষয়ে বিশদ ধারণা নেওয়া হয়। এগুলোর সঙ্গে সাপ থেকে নিরাপত্তার দিকটাও অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ। যে অঞ্চলে যাওয়া হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় সাপের প্রজাতির ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। যেমন রাসেলস ভাইপার ও মনোক্লেড কোবরা সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি থাকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা যায় সবুজ পিট ভাইপারের মতো প্রজাতি। এই সাপগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতে সক্রিয় থাকে এবং ধানের খেত বা জলাবদ্ধ এলাকায় বসবাস করে। এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বন বিভাগ, স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংস্থাসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকার ওয়েবসাইটগুলোতে।
আরও পড়ুন: বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
সাপ প্রতিরোধী পরিধেয়
লম্বা প্যান্ট, মোটা মোজা ও উঁচু বুটের মতো পরিধেয়গুলো সাপের কামড়ের ঝুঁকি কমাতে পারে। দুর্গম অঞ্চল পেরিয়ে ঝর্ণা দেখার সময় বা ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমণকালে সুরক্ষামূলক গিয়ার পরিধান করা অপরিহার্য। এছাড়া এখন স্নেক গেটারের মতো নানা ধরনের অত্যাধুনিক সেফটি গিয়ার পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ ও সাপের আক্রমণের বিরুদ্ধে মজবুত ঢালের কাজ করে।
পাশাপাশি পরনে হালকা রঙের পোশাক থাকলে তা সাপ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। কেননা বৈশিষ্ট্যগতভাবে সাপ উজ্জল রঙিন বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাংলাদেশে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং ও হাইকিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বর্তমানে বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক ট্রাভেল শপ আছে। এই খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ট্রাভেল সরঞ্জামের পাশাপাশি বেশ কিছু স্নেক-সেফটি গিয়ারও পাওয়া যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রস্তুতি
সাপের কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে কামড়ের লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে হয় এবং অবিলম্বে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য করণীয়গুলো জানা থাকা জরুরি। দংশনের পর শরীরজুড়ে বিষের বিস্তার কমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং আক্রান্ত অঙ্গটিকে যথাসম্ভব স্থির রাখতে হবে। ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক এবং সম্ভব হলে সাকশন ডিভাইস ধারণকারী স্নেক বাইট কিট সঙ্গে রাখা উত্তম। রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলের মতো এলাকায় পেশাদার চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা যথেষ্ট সাহায্যে আসতে পারে।
নিরাপদ ট্রেইল অনুসরণ করা
জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে যেখানে অধিক লোক সমাগম হয় সেখানে ভ্রমণের সুবিধার্তে ঝুঁকিমুক্ত পথের নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এই পথগুলো সাধারণত নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম নির্দেশনা উল্লেখ করা সাইনবোর্ডগুলো একই সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দান করে। কোথাও হয়ত ঝোপঝাড় এতটা ঘন হয়ে গেছে যে তা বিচরণের অযোগ্য।
কোথাও বা খাড়া পিচ্ছিল ঢাল কিংবা স্বাভাবিক রাস্তা হলেও পথের প্রান্তে হয়ত রাস্তা শেষ বা অন্য কোনো রাস্তার সঙ্গে যোগসাজশ নেই। এ ধরনের রাস্তাগুলোতে প্রায়ই সাবধানতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে। অতিরিক্ত রোমাঞ্চের আশায় এগুলো উপেক্ষা করা মানেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ানো। এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাপগুলো অধিক সক্রিয় থাকে এবং এদেরকে শনাক্ত করাও বেশ কঠিন হতে পারে।
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
৫২৪ দিন আগে
যশোরের শার্শায় সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
যশোরের শার্শায় সাপের কামড়ে ফোরকানুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত ফোরকানুল ইসলাম উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে চৌগাছা উপজেলার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা পড়াশোনা করত।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
নিহতের চাচাতো ভাই সোহাগ হোসেন জানান, ফোরকান বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কাশিপুর বেলতায় ফুফু বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে গ্রামের কবিরাজ দেখানোর পর তার অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে কী সাপে কামড় দিয়েছে তা বলতে পারেননি স্বজনরা।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, ফোরকানের হাতের আঙুলে সাপের কামড়ের ক্ষত ছিল। দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসায় শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে কাউকে সাপে কাটলে ৯০ মিনিটের মধ্যে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এতে জীবন রক্ষার সুযোগ থাকে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় ‘সাপের কামড়ে’ শিশুর মৃত্যু
মানিকগঞ্জে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
৫৩০ দিন আগে
অভয়নগরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
যশোরের অভয়নগরে সাপের কামড়ে আসমা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মালাধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
মৃত আসমা বেগম উপজেলার মালাধরা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।
সাইদুল ইসলামের ভাতিজা হাবিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে চাচি শোয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালাতে গেলে তার ডান পায়ে কামড় দেয় সাপ।
এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অথৈ সাহা বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসমা বেগমেকে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমুত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
৫৪১ দিন আগে
সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
রাজশাহীর চারঘাটে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন হেফজুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
তবে তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে সাপের কামড়ের হার বৃদ্ধি পায়
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার পিরোজপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হেফজুল ইসলাম বলেন, অন্য কৃষকের সঙ্গে সকালে জমিতে ধান কাটছিলাম আমি। একপর্যায়ে কৃষকেরা জমিতে সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি সাপটিকে ধরতে গেলে আমার মুখে কামড় দেয়। পরে আমি সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে হাসপাতালে চিকিৎসকের সামনে হাজির হই। এরপর তারা আমার চিকিৎসা শুরু করেন।
অন্যদিকে সাপের কামড়ে আহত হেফজুলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিমা সুলতানা বলেন, সাপের কামড়ে আহত হেফজুল বিপদমুক্ত নয়। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
৫৫১ দিন আগে
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
যশোরের চৌগাছায় সাপের কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূ ববিতা খাতুন যশোর চৌগাছা উপজেলার নারানপুর গ্রামের জেমস বিশ্বাসের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
জেমস বিশ্বাস বলেন, ঘরের ভেতরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪টার দিকে একটি সাপ আমার স্ত্রীর ডান হাতে ছোবল মারে। বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক স্ত্রীকে নিয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই।
সেখানে অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শুভাশিস রায় বলেন, সাপের কামড়ে ববিতাকে ৬টা ২৬ মিনিটে ভর্তি করে নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৫৮৫ দিন আগে