সাপের কামড়
ট্রেকিং, হাইকিং, ক্যাম্পিং ও ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
ভ্রমণে ট্রেকিং, হাইকিং ও ক্যাম্পিংয়ের মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা জরুরি। পাহাড়ের খাঁদ, ঝিরিপথ ও জঙ্গল ঘেরা আদিবাসীদের গ্রামগুলো বিচরণের সময় সবচেয়ে বেশি যে ঝুঁকি থাকে তা হচ্ছে বিষাক্ত সাপের উৎপাত। বিশেষ করে পাহাড়ি সাপের দংশনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে। ভ্রমণের আনন্দকে শতভাগ আরামদায়ক ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে হলে সর্বাত্মকভাবে এই ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। তাই চলুন, ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো জেনে নেই।
ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে দূরে থাকতে করণীয়
গন্তব্যে সাপের আনাগোনা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া
প্রতিটি সফল ভ্রমণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে তার সুষ্ঠ পরিকল্পনা। গন্তব্য ঠিক করার মুহূর্তে ভ্রমণের যানবাহন, সেখানকার আবাসন, খাওয়া-দাওয়া যাবতীয় বিষয়ে বিশদ ধারণা নেওয়া হয়। এগুলোর সঙ্গে সাপ থেকে নিরাপত্তার দিকটাও অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ। যে অঞ্চলে যাওয়া হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় সাপের প্রজাতির ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। যেমন রাসেলস ভাইপার ও মনোক্লেড কোবরা সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি থাকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা যায় সবুজ পিট ভাইপারের মতো প্রজাতি। এই সাপগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতে সক্রিয় থাকে এবং ধানের খেত বা জলাবদ্ধ এলাকায় বসবাস করে। এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বন বিভাগ, স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংস্থাসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকার ওয়েবসাইটগুলোতে।
আরও পড়ুন: বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
সাপ প্রতিরোধী পরিধেয়
লম্বা প্যান্ট, মোটা মোজা ও উঁচু বুটের মতো পরিধেয়গুলো সাপের কামড়ের ঝুঁকি কমাতে পারে। দুর্গম অঞ্চল পেরিয়ে ঝর্ণা দেখার সময় বা ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমণকালে সুরক্ষামূলক গিয়ার পরিধান করা অপরিহার্য। এছাড়া এখন স্নেক গেটারের মতো নানা ধরনের অত্যাধুনিক সেফটি গিয়ার পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ ও সাপের আক্রমণের বিরুদ্ধে মজবুত ঢালের কাজ করে।
পাশাপাশি পরনে হালকা রঙের পোশাক থাকলে তা সাপ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। কেননা বৈশিষ্ট্যগতভাবে সাপ উজ্জল রঙিন বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাংলাদেশে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং ও হাইকিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বর্তমানে বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক ট্রাভেল শপ আছে। এই খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ট্রাভেল সরঞ্জামের পাশাপাশি বেশ কিছু স্নেক-সেফটি গিয়ারও পাওয়া যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রস্তুতি
সাপের কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে কামড়ের লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে হয় এবং অবিলম্বে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য করণীয়গুলো জানা থাকা জরুরি। দংশনের পর শরীরজুড়ে বিষের বিস্তার কমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং আক্রান্ত অঙ্গটিকে যথাসম্ভব স্থির রাখতে হবে। ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক এবং সম্ভব হলে সাকশন ডিভাইস ধারণকারী স্নেক বাইট কিট সঙ্গে রাখা উত্তম। রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলের মতো এলাকায় পেশাদার চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা যথেষ্ট সাহায্যে আসতে পারে।
নিরাপদ ট্রেইল অনুসরণ করা
জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে যেখানে অধিক লোক সমাগম হয় সেখানে ভ্রমণের সুবিধার্তে ঝুঁকিমুক্ত পথের নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এই পথগুলো সাধারণত নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম নির্দেশনা উল্লেখ করা সাইনবোর্ডগুলো একই সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দান করে। কোথাও হয়ত ঝোপঝাড় এতটা ঘন হয়ে গেছে যে তা বিচরণের অযোগ্য।
কোথাও বা খাড়া পিচ্ছিল ঢাল কিংবা স্বাভাবিক রাস্তা হলেও পথের প্রান্তে হয়ত রাস্তা শেষ বা অন্য কোনো রাস্তার সঙ্গে যোগসাজশ নেই। এ ধরনের রাস্তাগুলোতে প্রায়ই সাবধানতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে। অতিরিক্ত রোমাঞ্চের আশায় এগুলো উপেক্ষা করা মানেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ানো। এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাপগুলো অধিক সক্রিয় থাকে এবং এদেরকে শনাক্ত করাও বেশ কঠিন হতে পারে।
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
৫ মাস আগে
যশোরের শার্শায় সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
যশোরের শার্শায় সাপের কামড়ে ফোরকানুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত ফোরকানুল ইসলাম উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে চৌগাছা উপজেলার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা পড়াশোনা করত।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
নিহতের চাচাতো ভাই সোহাগ হোসেন জানান, ফোরকান বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কাশিপুর বেলতায় ফুফু বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে গ্রামের কবিরাজ দেখানোর পর তার অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে কী সাপে কামড় দিয়েছে তা বলতে পারেননি স্বজনরা।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, ফোরকানের হাতের আঙুলে সাপের কামড়ের ক্ষত ছিল। দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসায় শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে কাউকে সাপে কাটলে ৯০ মিনিটের মধ্যে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এতে জীবন রক্ষার সুযোগ থাকে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় ‘সাপের কামড়ে’ শিশুর মৃত্যু
মানিকগঞ্জে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
৫ মাস আগে
অভয়নগরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
যশোরের অভয়নগরে সাপের কামড়ে আসমা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মালাধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
মৃত আসমা বেগম উপজেলার মালাধরা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।
সাইদুল ইসলামের ভাতিজা হাবিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে চাচি শোয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালাতে গেলে তার ডান পায়ে কামড় দেয় সাপ।
এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অথৈ সাহা বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসমা বেগমেকে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমুত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
৬ মাস আগে
সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
রাজশাহীর চারঘাটে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন হেফজুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
তবে তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে সাপের কামড়ের হার বৃদ্ধি পায়
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার পিরোজপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হেফজুল ইসলাম বলেন, অন্য কৃষকের সঙ্গে সকালে জমিতে ধান কাটছিলাম আমি। একপর্যায়ে কৃষকেরা জমিতে সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি সাপটিকে ধরতে গেলে আমার মুখে কামড় দেয়। পরে আমি সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে হাসপাতালে চিকিৎসকের সামনে হাজির হই। এরপর তারা আমার চিকিৎসা শুরু করেন।
অন্যদিকে সাপের কামড়ে আহত হেফজুলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিমা সুলতানা বলেন, সাপের কামড়ে আহত হেফজুল বিপদমুক্ত নয়। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
৬ মাস আগে
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
যশোরের চৌগাছায় সাপের কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূ ববিতা খাতুন যশোর চৌগাছা উপজেলার নারানপুর গ্রামের জেমস বিশ্বাসের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
জেমস বিশ্বাস বলেন, ঘরের ভেতরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪টার দিকে একটি সাপ আমার স্ত্রীর ডান হাতে ছোবল মারে। বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক স্ত্রীকে নিয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই।
সেখানে অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শুভাশিস রায় বলেন, সাপের কামড়ে ববিতাকে ৬টা ২৬ মিনিটে ভর্তি করে নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৭ মাস আগে
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাপের কামড়ে আযম আলী (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ছালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আযম আলী ওই এলাকায় মোজাম্মেল হকের ছেলে। তবে আগে তিনি একই ইউনিয়নের লালচামারচর এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক এইচ এম মেহেদী জানান, শনিবার ফজরের আযানের সময় আযম আলী নিজ বাড়ির বাইরে বের হন। এসময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পাশের গ্রামে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওঝার ঝাড়-ফুঁকে কাজ না হওয়ায় আযম আলীকে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিলমারী হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আযম আলীর মৃত্যু হয়েছে।
৭ মাস আগে
যশোরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরের মনিরামপুরে সাপের কামড়ে সাকিব নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাকিব যশোরের মণিরামপুর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটা ইঁদুরের গর্তে ইঁদুর আছে কিনা তা দেখতে হাত ঢুকিয়ে দেন সাকিব। তখনি ওই গর্ত থেকে সাপ তার হাতের আঙ্গুলে কামড় দেয়।
প্রতিবেশী মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের লোকজন সাকিবকে দ্রুত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার উন্নতির অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করেন। খুলনায় নেওয়ার সময় সাকিবের মৃত্যু হয়।
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আমিন উদ্দিন বলেন, সম্পর্কে সাকিব আমার ভাইপো ছিল। সে মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।
মণিরামপুরের খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৮ মাস আগে
আড়াইহাজারে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার সিংহদী গ্রামে সাপের কামড়ে তামিম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাড়ির পাশের ডোবার সামনে খেলতে গেলে তাকে সাপে কামড়ায়।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
নিহত তামিম একই গ্রামের দাউদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, হাইজাদী ইউনিয়নের সিংহদী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবার সামনে খেলতে গেলে পাশের গোয়াল ঘর থেকে একটি সাপ এসে তাকে কামড়ায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ের পর ঝাড়ফুঁক, প্রাণ গেল যুবকের
৮ মাস আগে
কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে ঘুমন্ত স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে সুমি আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সুমি আক্তার উপজেলার চাপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে ২ মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, রাতের খাওয়া শেষে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ে সুমি আক্তার। এদিকে তার বিছানায় আগে থেকে বসে থাকা বিষধর সাপ তার ডান হাতে ছোবল মারে। শরীরে বিষ ছড়িয়ে গেলেও পরিবারের লোকজন তা বুঝতে না পেরে ঝাড়ফুঁক করে।
নিহতের দাদা জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি যে সাপে কামড় দিয়েছে। সে শুধু বলতেছে কি যেন তাকে কামড় দিয়েছে। কিন্তু পরে আর তার শরীর নাড়তেই দেয় না। পুরো শরীর ব্যাথায় কাতর হয়ে গিয়েছিল। তার হাত নাড়তে না পারলে তো গাড়িতে উঠান যায় না। সে কারণে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়েছিল। সকালে খুব বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ের পর ঝাড়ফুঁক, প্রাণ গেল যুবকের
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামে সাপের কামড়ে সোহাগ আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আহত অবস্থায় সোহাগকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কেশবপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
সোহাগ আলী দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে সোহাগসহ কয়েকজন নিজ গ্রাম থেকে চাকুলিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় সোহাগের বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। পরে নিজ গ্রাম ফুলবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এক ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, রাতে কয়েকজন ব্যক্তি মৃত অবস্থায় সোহাগকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করেছিল। তার বা পায়ে সাপের কামড়ের আলামত দেখতে পেয়েছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
১ বছর আগে