পাইকগাছা
খুলনায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
খুলনার পাইকগাছার কপোতাক্ষের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কপোতাক্ষ পাড়ের হাচিমপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
গত সোমবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খননকৃত মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে ওই নদীর পানির চাপ পড়ে পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর আশ্রয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বাঁধে।
টানা ৩ দিনের পানির আঘাতে বাঁধে ভয়াবহ ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে নদীতে পড়ে গিয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
বাঁধে ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ভাঙন রোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানায় স্থানীয়রা।
দেবদুয়ার গ্রামের তোরাব হোসেন খান বলেন, মরিচ্চাপ নদীর পানির চাপের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হাচিমপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা বেবী বেগম বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে সর্বপ্রথমে আমরা আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা ৬০ পরিবার বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাচিমপুর, দেবদুয়ার, শাহপাড়াসহ চাঁদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ইটভাটা, আবাসন ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেবদুয়ার গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এটি মূল বেড়িবাঁধ নয়। এরপরও এলাকার ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভাঙনের বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
২ মাস আগে
খুলনায় বাঁধ ভেঙে দুই উপজেলা প্লাবিত
খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে খুলনা নগরীর অধিকাংশ রাস্তা।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় শিবসা নদীর তীব্র স্রোতে পানখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
একই সময় পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর এলাকায় ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে কালিনগর, হরিণখোলা, দারুণমল্লিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা করার উপায়
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নম্বর পোল্ডারের কালিনগর বাওয়ালী বাড়ির দক্ষিণ পাশের পূর্বের আম্ফানের ভাঙনের দক্ষিণের প্রায় ৩০০ ফুটের বেশি এলাকা জুড়ে ওয়াপদার রাস্তা অতি জোয়ারের পানিতে ভেঙে যায়।
ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ার পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের, তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ ফসলি জমি।
সন্ধ্যার মধ্যে পুরো ২২ নম্বর পোল্ডার প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এলাকাবাসী বাঁধ মেরামতের কাজ করলেও বিপদের শঙ্কা দূর হচ্ছে না। প্রবল স্রোতের কারণে বিঘ্ন হচ্ছে বাঁধ মেরামতের কাজ।
খুলনা জেলা প্রশাসন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে গতকাল সারা রাত বৃষ্টি হওয়ায় খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া, বয়রা, নিরালা, মৌলভীপাড়া, বায়তি পাড়াসহ অধিকাংশ রাস্তা পানিতে ডুবে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভেঙে গেছে কুমিল্লার গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধ
২ মাস আগে
পাইকগাছায় জানালা দিয়ে এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগ
খুলনার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরের কোনো এক সময় ওই কক্ষের ভাঙা জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসামির কাঠগড়া ও আইনজীবীদের বসার চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
জানা যায়, বুধবার ভোরে আদালতের এজলাস কক্ষের জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় মুসল্লিরা আগুন জ্বলতে দেখে তাৎক্ষণিক আদালতে অবস্থানরতদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে অগ্নিসংযোগ করা হতে পারে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
১১ মাস আগে
পাইকগাছার সরল খাঁ দীঘিকে ঘিরে গড়ে উঠবে বিনোদন কেন্দ্র
শেওলা ও আগাছা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘি। সংস্কারের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্রও। দীঘিটির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এরকমই উদ্যোগ নিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল-আমিন।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন শেষে এমন সম্ভাবনার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্রে বদলে যাবে কুমিল্লার মনপালের জনপদ
তিনি বলেন, দীঘিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর সংস্কার করে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।
পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সরল এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরল খাঁ দীঘি। দীঘিটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন। এলাকায় প্রচলিত আছে তৎকালীন সময়ে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) এর অনুসারী পীর সরল খাঁ দীঘিটি খনন করেন। পীর সরল খাঁ এবং দীঘিটি ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরল খাঁ’র নামেই নামকরণ হয় সরল গ্রাম। তার পাইক পেয়াদাররা গাছে নৌকা বাঁধতো। সেখান থেকেই নাম হয় পাইকগাছা। দীঘির পাশেই যেখানে বাদী-দাসীরা বাস করত। এখানকার নাম হয় বান্দিকাটী গ্রাম। যেখানে গোশালা ছিল সেখানকার নাম হয় ঘোষাল।
লোক লস্কর যেখানে থাকত সেখানকার নাম হয় লস্কর। এভাবেই সরল খাঁ এবং সরল খাঁ দীঘিকে ঘিরেই রয়েছে পাইকগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
১৫ বিঘা আয়তনের দীঘিটি দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শেওলা ও আগাছায় ভরে গেছে গোটা দীঘি।
দীঘিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পর সংস্কার করে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটিতে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সর্দার, কাউন্সিলর মো. আব্দুল গফফার মোড়ল, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা আখতার, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুল বারী, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক সর্দার, আব্দুল্লাহেল বাকী ও মিনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক না পরায় দর্শনার্থীদের জরিমানা
চট্টগ্রামে ৫ মাস পর খুলেছে বিনোদন কেন্দ্র
১ বছর আগে
পাইকগাছায় খাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কানাখালীর একটি খাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বজিৎ ঢালী (৫২) উপজেলার খড়িয়া ভড়েঙ্গার চকের রামপদ ঢালীর ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগ নেতা প্রসেন ঢালীর বড় ভাই।
আরও পড়ুন: শোরগঞ্জে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ অবিবাহিত ও মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। তিনি ডা. ধীরাজ মোহন বসুর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকালে ওই খালে তার লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশ উদ্ধার করে। এরপর তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশ শনাক্ত করে।
পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিকভাবে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।
তিনি জানান, রাস্তার পাশের খালে তাকে প্রথমে নিজ শরীরে পানি ঢালতে দেখেছে স্থানীয়রা। পরে তাকে মৃত অবস্থায় দেখে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সুরমা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
পাইকগাছায় ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
খুলনার পাইকগাছায় একটি ধানখেত থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তাজমিরা বেগম (৩৮) উপজেলার চাঁদখালীর ধামরাইল গ্রামের মীর ওবায়দুল্লার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লার উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, তাজমিরা পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটায় রান্নার বাবুর্চির কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি থেকে ভাটার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল। এরপর তাদেরই ধানখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই।
নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
বাগেরহাটে মৎস্য ঘের থেকে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
পাইকগাছায় পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু
খুলনার পাইকগাছায় পুকুরের পানিতে ডুবে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চাঁদখালীর উত্তর গড়ের আবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত সিয়াম ওই গ্রামের আশরাফুল মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
সিয়ামের দাদা জামাল মোল্লা জানান, তিনি সকালে সিয়ামকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি দোকানে যান। সেখান থেকে চা খেয়ে বাড়িতে ফিরে তার মায়ের কাছে তাকে রেখে তিনি ধানখেত দেখতে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান সিয়াম বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে গেছে।
সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে জানতে পারেন আশপাশের লোকজন সিয়ামকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া আলম জানান, তিনি এ ঘটনার কথা শুনেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জাফলংয়ে নালার পানিতে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
২ বছর আগে
শহররক্ষা বাঁধে ভাঙন: পাইকগাছা পৌরসদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খুলনার পাইকগাছায় শিবসার জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপে পৌরকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে নদীর বুক চিরে গড়ে ওঠা শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙে সদরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে থানা সদরের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, কাঁচা বাজারসহ নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। রবিবার রাতে জোয়ার থেকে বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরে পানি ঢুকতে শুরু করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, নদীতে জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে সদ্য নির্মিত শহররক্ষা বাঁধের থানার সামনের অংশ ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকা দিয়ে প্রবল গতিতে বাঁধ অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়ায় থানার সামনের নির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, কাঁচা বাজার, কাঁকড়া পট্টিসহ নিম্নাঞ্চলে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পথচারীসহ, দোকানিদের ভোগান্তির পাশাপাশি নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে বৃক্ষরাজির।
এর আগে পাইকগাছা পৌরকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে পৌরশহর রক্ষার নামে অপরিকল্পিতভাবে শিবসা নদীর চরভরাটি অংশ ঘিরে বাঁধ নির্মাণ করে।
চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এ বাঁধের উদ্বোধন করেন।
শুরু থেকেই চরম সমালোচনার মুখেও শুধুমাত্র শহররক্ষার স্বার্থে বাঁধটি সম্পন্ন হয়। এর মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই বাঁধের অভ্যন্তরে খণ্ড খণ্ড করে বেড়িবাঁধ দিয়ে দখল করে শুরু হয় মাছ চাষ। শিবসার চরভরাটি বিস্তীর্ণ এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা বনায়ন প্রকল্পের অভ্যন্তরে পানি জমি থাকায় সেখানকার গাছেও ব্যাপকহারে মড়ক শুরু হয়।এ পরিস্থিতিতে, ৭ দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণের জন্য স্থানীয় পৌরসভাকে নির্দেশ দেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম। তবে এরপরও বাঁধটি অপসারণ না হলেও শেষ পর্যন্ত শিবসার জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপ সহ্য করতে পারেনি।
শিবসা নদীর তীরে ১৯৯৭ সালে পাইকগাছা পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছরেও নদী তীরে কোন বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি যথাযথ কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় শিবসায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে তা ঢুকে পড়তো পৌর অভ্যন্তরে। এতে জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি দোকানপাট, রাস্তা-ঘাট লোনা পানিতে তলিয়ে যেত। সবুজ বৃক্ষরাজিতেও পড়তো নেতিবাচক প্রভাব।
সর্বশেষ সমালোচনার মুখেও পৌর কর্তৃপক্ষের দেয়া বাঁধটি স্থাপন হলে সুযোগ পায় দখলদাররা। তারা বাঁধের অভ্যন্তরে খণ্ড খণ্ড করে বাঁধ দিয়ে দখলে নিয়ে শুরু করে মাছ চাষ। এছাড়া বাঁধের অভ্যন্তরে জমে থাকা পানিতে মৃত্যু হয় বনায়নের বহু গাছের।
পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানকে সাহায্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান
২ বছর আগে
পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
খুলনার পাইকগাছায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ কারাখানা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদখালীতে গড়ে ওঠা পাঁচটি অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা ফায়ার সার্ভিস দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
একই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে ওই সকল কয়লা তৈরির সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন চাঁদখালী কয়রা প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশেই অবাধে গড়ে উঠেছে কয়লা তৈরির অবৈধ কারখানা। এসকল কারখানায় কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হয় কয়লা। যা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনা-মোংলা রেললাইন ডিসেম্বরে উদ্বোধন
পাইকগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা ও স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকালে কয়লার কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলেও কারখানার চুল্লি জলন্ত থাকায় অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী আশাশুনি থেকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে জলন্ত চুল্লি নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও অন্যান্য শ্রমিকদের দিয়ে ওই সকল অবৈধ চুল্লি ভেঙে দেয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে কারখানার সকল সরঞ্জামসহ সবকিছু সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ, পরিদর্শক মারুফ বিল্লাহ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত
২ বছর আগে
পাইকগাছায় ফের নদী ভাঙন
কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের ভয়াবহ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলীর মালোপাড়া, কপিলমুনির আগড়ঘাটা, রামনাথপুর, সোনাতনকাটি, মাহমুদকাটি, গোলাবাটি, কাশিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ হেক্টর জমির ঘরবাড়ি, গাছপালা, রাস্তা, কবরস্থান, ফসলি জমির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলে পল্লীর বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পেশাবদল করে অন্যত্র বসবাস করছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে কাশিমনগর হাট-বাজার, গোলাবাটি আশ্রয়ণ প্রকল্প, মাহমুদকাটি ও রামনাথপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় সেখানকার ভূমি ধ্বসে বিলীন হতে পারে নদী গর্ভে।
এদিকে কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙনের খবরে উপজেলা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যসহকারী মো. আবু তাহের গাজী মাহমুদ কাটি, গোলাবাটি ও কাশিমনগর বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জরুরি ভিত্তিতে রিংবাঁধের জন্য মাহমুদকাটির ৩৭৫ মিটার, গোলাবাটির ৩০০ ও কাশিমনগর বাজারসহ জেলেপল্লীর ২০০ মিটার এলাকা চিহ্নিত করেন। এসময় ভাঙনরোধে বিষয়টি পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলেও জানান।
স্থানীয়রা জানান, কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলার রাড়ুলী জেলে পল্লী, আগড়ঘাটা, রামনাথপুরসহ আশপাশের কয়েকশ হেক্টর এলাকায় বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর সর্বশেষ কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙন ও তীব্র স্রোতের মুখে মাহমুদকাটি, গোলাবাটি, কাশিমনগর জেলেপাড়াসহ স্থানীয় কাশিমনগর বাজার চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনের কবলে যেকোনো সময় এলাকাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় অনেকের নির্ঘুম রাত কাটছে বলেও জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় ভেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
জানা গেছে, গত প্রায় ৩ যুগ ধরে কপোতাক্ষের এসব এলাকায় কখনও করাল গ্রাস আবার কখনও নাব্যতা হ্রাস বিদ্যমান। নাব্যতা হ্রাসের কবলে কপোতাক্ষ নিশ্চিহ্ন হতে থকলে আন্দোলনের মুখে সরকার কপোতাক্ষ খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে ফের স্রোতস্বিনী করে তোলা হয়। তবে কোথাও কোথাও পরিকল্পনাহীনতায় বাঁক (মোড়) সরলীকরণ না হওয়ায় বর্তমানে তার বিপরীত পাশে ভয়াবহ ভাঙন ও বাঁক এলাকায় ব্যাপকহারে পলি ভরাট শুরু হয়েছে।
কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, ইতোপূর্বে তারা স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাশ্রমে আগড়ঘাটা এলাকায় ভাঙনরোধে বেশ কিছু করলেও তা ভাঙন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি তারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের পাইকগাছা উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বাঁধ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী ভাঙনে দিশেহারা কুড়িগ্রামের মানুষ
২ বছর আগে