সফল
ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কোনো হীন চক্রান্ত দেশে সফল হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কোনো হীন চক্রান্ত এদেশে সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণে আলেম-ওলামা সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এদেশের ইতিহাসে যতবার ফিতনা-ফ্যাসাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে, ততবারই আলেম-ওলামারা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ভবিষ্যতেও যদি কোনো অপশক্তি কখনও এদেশে ইসলামের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করে, তাহলে আলেম সমাজ তা রুখে দেবে।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের: ধর্ম উপদেষ্টা
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ফটিকছড়িতে জামিয়া ওবায়দিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে সেই পথ সুগম করতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকার।
এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে যথাসময়ে নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
ড. খালিদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেসময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে দেশের পরিস্থিতি ছিল নাজুক। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটসহ সরকারকে নানামুখী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সকলের সহযোগিতার ফলে এসব সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে। দেশের মানুষ যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন লালন করে সেরূপ রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।
জামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ সালাহ উদ্দীন নানুপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
১ মাস আগে
বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন বিএনপির
একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান দাবি করেছেন নির্বাচন বর্জনে তাদের আহ্বান সফল হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি করেন।
মঈন খান আরও বলেন, ভোটারবিহীন এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, 'শুধু বিএনপি নয়, যে ৬২টি রাজনৈতিক দল এই প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সবার পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। কারণ, তারা গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করেনি। এবারও তারা তা করেনি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে সরকার: ট্রেনে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি
গণমাধ্যমে তোলা ছবিগুলো কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজার হাজার ছবি এসেছে। ভোটারদের অনুপস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রের সামনে কুকুরের দাঁড়িয়ে, শুয়ে থাকা এবং রোদ পোহানোর ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, 'বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রই ভোটারশূন্য ছিল। তাই নির্বাচন বর্জনে আমাদের আহ্বান অবশ্যই সফল হয়েছে।’
তিনি বলেন, রবিবার সকাল থেকে সরকার আয়োজিত নির্বাচনি নাটকের শেষ অংশ মঞ্চস্থ হচ্ছে। 'মজার বিষয় হলো, আমরা এক বছর ধরে বলে আসছি, বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, জনগণ ভোট বর্জন করায় আজ দেশের সবার সামনে তা প্রমাণিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বিস্ময়করভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, সরকার গত ১০ বছরে গণতন্ত্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে নির্বাচনের সময় শত শত ভোটকেন্দ্র ফাঁকা ছিল। ‘এটাই বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসনের বাস্তবতা।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করায় তারা জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন। ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ড. মঈন বলেন, আওয়ামী লীগ এ ধরনের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে শুধু দেশের জনগণকেই প্রতারিত করেনি, দলীয় লোকদেরও প্রতারিত করেছে। 'এই নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না'
আরও পড়ুন: রবিবারের ভোট বর্জন করুন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের নামে কোনো ভুয়া ও জালিয়াতির নির্বাচন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না। অনেকেই এই সরকারকে স্বৈরাচারী শাসন বলে আখ্যায়িত করেন। মানুষ এই শাসনব্যবস্থাকে বিভিন্ন নামেও ডাকে। আমি বলছি, এই সরকার গণতন্ত্রের ভান করছে। যেসব সরকার গণতান্ত্রিক হওয়ার ভান করে তারা স্বৈরাচারী সরকারের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক।’
মঈন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাবে। ‘কিন্তু এটা আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়, কারণ বাংলাদেশের ভোটাররা কীভাবে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, তা দেশের জনগণ এবং সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক সমর্থকও ভোটকেন্দ্রে যাননি কারণ তারা জানতেন যে তাদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত।
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের ভোটাররা জানেন, আমাদের প্রার্থীরা পাস করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন। কেন আমরা অযথা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সময় নষ্ট করব? আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করেনি।’
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনেও রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে: রিজভী
১০ মাস আগে
চাঁদে ভারতীয় মহাকাশযানের সফল অবতরণ
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ভারতের একটি মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করেছে। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি একটি অজানা অঞ্চল। তবে তারা বিশ্বাস করেন এখানে হিমায়িত পানি এবং মূল্যবান উপাদানের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মজুদ থাকতে পারে। এই সফল অবতরণের মধ্য দিয়ে দেশটি মহাকাশ এবং প্রযুক্তিতে তার ক্রমবর্ধমান দক্ষতাকে প্রদর্শন করেছে।
বুধবার স্থানীয় সময় ৬টা ৪ মিনিটে ল্যান্ডারের অভ্যন্তরে একটি রোভারসহ চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করে। এসময় দক্ষিণ ভারতীয় শহর বেঙ্গালুরুতে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা উল্লাস প্রকাশ করে করতালি দিতে থাকে। প্রায় চার বছর আগে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর প্রায় অজানা দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের কাছে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদে অবতরণকারী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে একই তালিকায় ভারত নিজেদের যুক্ত করল।
ভারতের সফল অবতরণের কিছু দিন আগে রাশিয়ার লুনা-২৫ একই চন্দ্র অঞ্চলের দিকে অবতরণের চেষ্টা করেছিল। যেটি কয়েকদিন আগে একটি অনিয়ন্ত্রিত কক্ষপথে ঘুরতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এটি ৪৭ বছর পর প্রথম সফল রাশিয়ান চন্দ্র অবতরণ হতে পারত। রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মহাকাশ কর্পোরেশনের প্রধান রোসকসমস ১৯৭৬ সালে চাঁদে শেষ সোভিয়েত মিশন চালান। চন্দ্র গবেষণায় দীর্ঘ বিরতির কারণে দক্ষতার অভাবকে এ ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতের উদ্বিগ্ন ও আগ্রহী জনতা সারাদেশের অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ এবং বাড়িতে টেলিভিশনের চারপাশে ভিড় করে। উত্তর ভারতের পবিত্র শহরখ্যাত বারাণসীসহ মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতে ও নদীর তীরে তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে মিশনের সাফল্যের জন্য মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষ প্রার্থনা করেছিল।
ভারতের চন্দ্রযান-৩ ১৪ জুলাই দক্ষিণ ভারতের শ্রীহরিকোটার একটি লঞ্চপ্যাড থেকে যাত্রা করেছিল।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতের মহাকাশ অনুসন্ধান গবেষণা আসন্ন চন্দ্রযান-৩ মিশনের মাধ্যমে একটি অসাধারণ মাইলফলক ছুঁয়েছে। যা চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি নিরাপদ অবতরণ করার জন্য প্রস্তুত। এই কৃতিত্ব ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে। যা মহাকাশ অনুসন্ধানে আমাদের দেশের অগ্রগতির প্রতীক।’
তারা বলেছে, চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণ কৌতূহল জাগিয়ে তুলতে এবং যুবকদের মধ্যে অন্বেষণের আবেগ জাগিয়ে তুলবে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা সম্মিলিতভাবে ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরাক্রম উদযাপন করার সঙ্গে সঙ্গে এটি গর্ব এবং একতার গভীর অনুভূতি তৈরি করে। এটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
অনেক দেশ এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলো দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে আগ্রহী। কারণ স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত গর্তগুলোতে হিমায়িত পানি ধরে রাখতে পারে যা ভবিষ্যতের মহাকাশচারী মিশনে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ
চন্দ্রযান-৩ এর ছয় চাকার ল্যান্ডার এবং রোভার মডিউলটি পেলোডের সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে যা রাসায়নিক এবং উপাদানগুলোর বিন্যাসসহ চন্দ্রের মাটি এবং শিলার বৈশিষ্ট্যগুলোর বিষয়ে বিজ্ঞানীদের তথ্য সরবরাহ করবে।
এর আগে ২০১৯ সালে দক্ষিণ মেরুর কাছে চাঁদে প্রায় আজানা স্থানে ভারতের একটি রোবোটিক মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। এটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল কিন্তু তার ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। যা পানির চিহ্নগুলো অনুসন্ধান করতে একটি রোভার স্থাপন করতে চূড়ান্ত অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল। ইসরোতে জমা দেওয়া একটি ব্যর্থতা বিশ্লেষণ প্রতিবেদন অনুসারে, একটি সফ্টওয়্যার ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
২০১৯ সালে ১৪০ মিলিয়ন ডলারের মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত চাঁদের গর্তগুলো অনুসন্ধান করা যেগুলোতে পানি জমা রয়েছে বলে মনে করা হয়। যা ২০০৮ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ অরবিটার মিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছিল।
ভারত গত বছর বিশ্বের পঞ্চম-বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রযুক্তি এবং মহাকাশ শক্তিধর দেশ হিসেবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান অবস্থান প্রদর্শন করতে আগ্রহী।
একটি সফল চন্দ্র মিশন মোদি ও ভারতের ইমেজকে বৃদ্ধি করে, যা বিশ্বব্যাপী অভিজাতদের মধ্যে তার স্থান নিশ্চিত করে। আগামী বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ নির্বাচনের আগে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এটি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
রাশিয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন মহাকাশে নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে যাওয়ার পরে ভারতের সফল অবতরণের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। মে মাসে চীন তার প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনের জন্য তিন ব্যক্তির ক্রু চালু করেছে। একই সঙ্গে দশকের শেষের আগে চাঁদে মহাকাশচারীদের রাখার আশা করছে। ২০২০ সালে মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে গেছে।
অনেক দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি মহাকাশযান অবতরণ করার জন্য চেষ্টা করছে। এপ্রিলে জাপানি একটি কোম্পানির মহাকাশযান দৃশ্যত চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়। ২০১৯ সালে অনুরূপ অলাভজনক একটি ইসরাইলি মহাকাশযান কৃতিত্ব অর্জন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এর মহাকাশযানটি আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
জাপান একটি এক্স-রে টেলিস্কোপ মিশনের অংশ হিসেবে সপ্তাহের শেষে চাঁদে একটি লুনার ল্যান্ডার চালু করার পরিকল্পনা করেছে এবং দুটি মার্কিন সংস্থাও বছরের শেষ নাগাদ লুনার ল্যান্ডার স্থাপনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাদের মধ্যে একটি দক্ষিণ মেরুতে। আগামী বছরগুলোতে নাসা গর্তে জমা হিমায়িত পানির সুবিধা নিতে নভোচারীদের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩: ইসরো
১ বছর আগে
৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে সব অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
তিনি বলেন, আমার মা ৭ জুন হরতাল (ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির সমর্থনে ১৯৬৬ সালে দেশব্যাপী হরতাল) সফলতার পিছনে অবদান রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হয় তা তিনি জানতেন।
আরও পড়ুন: খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বেসরকারি খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গমাতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে তাদের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় বঙ্গমাতা তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে গুলি করে গণহারে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন, তখন বঙ্গমাতা তার রাজনীতি ও তার সংগঠনের (আওয়ামী লীগের) অবস্থা সম্পর্কে তাকে জানাতেন। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাও পৌঁছে দিতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়ি সবসময় পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিল। আমার মা নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাদের (বঙ্গবন্ধুর) নির্দেশ দিতেন।
যখন কিছু নেতা সেই সময়ে আট দফা দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, তখন ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির পক্ষে তার মায়ের দৃঢ় অবস্থানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে আটকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ না করে তার মা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সকল আসামির মুক্তির জন্য দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। আমার মায়ের কি দৃঢ় মনোবল ছিল!
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দারা বঙ্গমাতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং তাকে মামলায় জড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। স্বাধীনতা এবং সমস্ত অর্জনে আমার মায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ’
তার বাবা আজীবন সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।তিনিও যাতে মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: জনগণই আ. লীগের প্রভু, আর কেউ নয়: বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার মা ও বাবার কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি তার ভিত্তিতে আমি মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চারজন বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান করেন।
ওই চার নারী হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষায় অনিমা মুক্তি গোমেস, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় নাসিমা জামান ববি এবং গবেষণায় ড. সেঁজুতি সাহা।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সারাদেশে অসচ্ছল নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ ও আর্থিক অনুদানের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গমাতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আর্থিক মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার নারী অনুদান গ্রহণ করছেন।
সংগ্রামে স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা (সংগ্রাম থেকে মুক্তি, বঙ্গমাতা অনুপ্রেরণার উৎস) প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বঙ্গমাতার গৌরবময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব। এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: চার বছরের মধ্যে চামড়া রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
১ বছর আগে
মাল্টা চাষে সফল ঝালকাঠির ইকবাল
করোনা পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ায় স্থানীয় বাজারে মাল্টার চাহিদা গত কয়েক মাসে বেশ বেড়েছে।
৪ বছর আগে
নওগাঁয় ‘সাম্মাম’ চাষে সফল রেজাউল
আত্রাই উপজেলায় সৌদি আরবফেরত কৃষক রেজাউল ইসলাম মরু অঞ্চলের ফল সাম্মাম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। নতুন জাতের বিদেশি এ ফল দেখতে প্রতিদিন যেমন প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন, অন্যদিকে অনেকেই এটি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
৪ বছর আগে
শত বাধা পেরিয়ে এসএসসিতে সফল শিল্পী আক্তার
সহায়ক বই আর টেস্ট পেপার কেনার সামর্থ্য ছিলনা। তাই সহপাঠী আর শিক্ষকদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে পড়ে আবার ফেরত দিতেন। অর্থাভাবে প্রাইভেট টিউশনির টাকা জোগাতে পারতেন না। এভাবে শত বাধা পেরিয়ে চলতি বছরের এসএসসিতে সেরা সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে কুড়িগ্রাম সদরের শিল্পী আক্তার।
৪ বছর আগে