বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমানের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মান ও সক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে সেবাগ্রহণকারী এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের। অন্যদিকে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরাও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সেবাগ্রহণকারী ও বিশেষজ্ঞরা।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে কী বুঝায়
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে, যাত্রীর বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ আনা-নেওয়া, কার্গোর মালামাল ওঠানো-নামানো, এয়ারক্রাফটের সব ধরনের সার্ভিসকে বোঝায়। ১৯৭২ সাল থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নিজেদের ফ্লাইটের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ৩৫টির মতো এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সেবা দিচ্ছে তারা।
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
দুই বছরের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানকে এ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দুই বছরের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে বিদেশি স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিমানের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন
নানা অভিযোগ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর
একটি এয়ারলাইন্স যেই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে সেখানকার চেক-ইন কাউন্টারের পাশে কর্মী দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যাগেজ সেবা, কার্গো সেবা ইত্যাদি জায়গায় সর্বত্র পর্যাপ্ত কর্মী দেওয়ার কথা রয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলারের। তবে, জনবল সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কর্মী দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অথচ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো সেবা নিতে অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংএ থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে।
বিমানের পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় এয়ার অ্যারাবিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ জনেরও বেশি নিজস্ব কর্মী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। একইভাবে ইন্ডিগো এয়ার বিমানবন্দরে ২৫ জন এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ৬০ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গণশুনানিতে একাধিক বিদেশি এয়ারলাইন্স অভিযোগ করেছে, বিমান তাদের কাছ থেকে চার্জ নিলেও সময়মতো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে না। ব্যাগেজ প্লেনে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণে এয়ারলাইন্সগুলো সময়মতো ফ্লাইট ছাড়তে পারছে না। পাশাপাশি ব্যাগেজ বেল্টে দেরিতে লাগেজ দেওয়ায় যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এতে অনেক এয়ারলাইন্সের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে (গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং) প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দেরিতে লাগেজ পাওয়া ও চুরির অভিযোগ শোনা যায়। সর্বশেষ চলতি বছর চেন্নাইগামী ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৬ হাজার ৮০০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে বিমান।
সৌদি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা এক যাত্রী শিপন ইউএনবিকে বলেন, যতবার দেশে আসি লাগেজ পাওয়াটা মনে হয় সোনার হরিণ। কারণ একটা আতঙ্ক থাকে লাগেজ থেকে কিছু চুরি গেল কি না। বা লাগেজ কাটা কি না। এবার ভালোভাবে লাগেজ পেয়েছি কিন্তু অনেক সময় লেগেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকলেও তাদের জনবল নেই। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনাল চালাতে গিয়েই তারা হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকতে পারে, তবে তাদের বিষয়ে যাত্রীদের মতামত ভালো নয়। বিমান যেহেতু দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে, টার্মিনাল পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা ও মানসিকতা কেমন হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।তবে আন্তর্জাতিক মানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করছে বিমান।
তিনি আরও বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে তা বলা যায় না।
এভিয়েশন অপারেটর'স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা এবং টার্মিনাল অপারেশন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বর্তমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং মনোপলি ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে দেওয়া হোক। এখানে বিমান প্রসঙ্গ নয়, বরঞ্চ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মনোপলি ভাঙা সম্ভব হলে চূড়ান্ত বিচারে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ ইউএনবিকে বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার জন্য নতুন নতুন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখছি। দুই বছর যে আমরা হাত দিয়ে বসে থাকব বিষয়টা এমন নয়।যদি তার ক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলনে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি করা হবে। জনবল সংকট দূর করা হবে।
কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সেবার মান আধুনিক হবে। টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে সে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কোনোভাবেই খারাপ মান বা কোনো এয়ারলাইন্স বা যাত্রী থেকে যেন কোনো অভিযোগ না আসে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী: আইএসপিআর
১ সপ্তাহ আগে
দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না: বিমানের এমডি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. মো. সাফিকুর রহমান বলেছেন, সবাইকে নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এটিজেএফবির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমানের এমডি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। ওটিপি গত মাসের তুলনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কেবিন ক্রু থেকে শুরু করে সব বিভাগেই কঠোরভাবে নজরদারি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিমানের উন্নত হোক। বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। আমাদের দায়িত্ব হলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা। এজন্য অবাধ তথ্য সরবরাহের বিকল্প নেই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।’
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও ছিলেন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি তানজিম আনোয়ারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
২ মাস আগে
চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
চীনে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বুধবার(১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শি-হাসিনার বৈঠক: বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দেবে চীন
এদিন সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করা হয়। এর বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।
এছাড়া দেশ দুটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনসহ সাতটি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বাগত ভোজে অংশ নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা একই দিনে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। তার ওই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
হজ পালনের জন্য ২১ জন হজযাত্রীকে হজ-পূর্ব ফ্লাইট শিডিউল শেষে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব নিয়ে গেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
হজ-পূর্ব ফ্লাইট শেষ হওয়ায় এবং কোনো এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহনে রাজি না হওয়ায় ওই ২১ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
পরে বুধবার সৌদি আরবের বিশেষ অনুমতিক্রমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিজি-১৩৫ (ঢাকা-চট্টগ্রাম-জেদ্দা) ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পাঠাতে সক্ষম হয়।
গত ১০ জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ-পূর্ব ফ্লাইট শেষ হয়।
৬ মাস আগে
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে দীর্ঘ দর কষাকষি ও আলোচনা শেষে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিষ্ঠানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. শফিউল আজিম।
বুধবার (২৯ মে) এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মত বিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ারের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন।
এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়ে বিমানের বিদায়ী এমডি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটাতে ২টা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়। কার্গো বিমানের প্রয়োজন নেই, তাই যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর কথা জানালে এয়ারবাস ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে সমঝোতা কমিটিতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-গলফ হাউজ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন কোনো ঝুঁকি না থাকে তাই ভিন্নতা আনার কথা ভাবছি।’
বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তবে যেই এয়ারক্রাফটই কেনা হোক না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ বিমান সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানান তিনি।
বিমান লাভ করছে, না কি ক্ষতিতে আছে জানতে চাইলে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যেই দুই বছর লোকসান হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অংকের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন বোনাস দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সচিব পদে পদোন্নতিতে বিমানের সিইও শফিউল আজিমকে সংবর্ধনা
এমডি হিসেবে নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য করিনি। কোনো পর্যায় থেকে চাপ ছাড়াই বিমানবন্দরে কাজ করতে পেরেছি।’
বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিমানে এমডির দায়িত্বের সময় বাড়ানো প্রয়োজন কি না এ প্রসঙ্গে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমানের হিউম্যান রিসোর্স মানসম্মত, টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানো গেলে এমনিতেই কাজ হবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।’
বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে যারা কর্মরত তাদের বয়স বিবেচনার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন বিদায়ী এমডি। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মতো করে চালানোর চিন্তা করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবকিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।’
এর আগে রবিবার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের নতুন এমডি ও সিইও জাহিদুল ইসলাম
৬ মাস আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কের জেকেএফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭-২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে থাকাকালীন, প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনের উচ্চ-পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি ভাষণ দেবেন।
এ ছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইউএনজিএ অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও আর্থিকসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ বিতর্কে তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য এবং বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাস্লেরেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুয়ার্ডস পিস, প্রোসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল’-প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব নেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জড়ো হবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও এবং ডেলয়েট আয়োজিত ‘থট ফর ফুড-কোলাবোরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাস্লেরেট দ্য এসডিজিস’-শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একটি মূল বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিনে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজিস সামিট-লিডারস’ ডায়ালগ ৪’- (স্ট্রেন্দেনিং ইন্টিগ্রেটেড পলিসিস অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনস ফর অ্যাচিভিং দ্য এসডিজিস) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাষ্ট্রদূত গর্ডন ব্রাউন এবং নিউ ইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুর গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন।
১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর সিআর-১৬ তে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি কর্তৃক ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’- শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে শেখ হাসিনা সিআর-১১, ইউএনএইচকিউ-এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সহ-আয়োজিত চিকিৎসা পরিষেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের (এফএফডি) বিষয়ে ‘স্কেলিং আপ অ্যাফের্ডেবল অ্যান্ড আকসেসিবল ইন্টারন্যঅশনাল পাবলিক ফাইন্যান্সিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনশিওরিং ইফিসিয়েন্সি’- শিরোনামে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট; মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক; নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা; ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ-পর্যায়ের একটি বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের উপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগদানের পাশাপাশি ‘অ্যাড্রেসিং দ্য এক্সিসটেনশিয়াল থ্রেটস পোসড বাই সি লেভেল রাইজ’-শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিটে এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।
সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালক -প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউতে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানের পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। যেখানে তিনি ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন।
তারপর, তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য বিমান যোগাযোগ বাড়াতে আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিউইয়র্ক, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, লস অ্যাঞ্জেলেস, রোম, মালে ও গুয়াংজুসহ বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি।’
ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিমানের সিইও এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি পর্যায়ক্রমে এসব রুটে আমরা ফ্লাইট চালু করতে পারব। আমরা মূল্যায়ন করছি এবং কীভাবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রতিটি রুটে ফ্লাইট শুরু করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি।
তারা আরও বলেন, এসব রুটে ফ্লাইট চালু হলে বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য বিমান যোগাযোগ সহজ হবে।
শফিউল আজিম বলেন, বিশ্বের ১৯টি গন্তব্যে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ড্রিমলাইনারসহ অত্যাধুনিক উড়োজাহাজসহ মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে আমাদের। ইউরোপের অন্যতম কোম্পানির এয়ারবাস থেকে নতুন করে আরও ১০টি উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, এয়ারবাসে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ যুক্ত হলে নতুন নতুন রুট সম্প্রসারণ সহজ হবে এবং এতে করে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনার নতুন দিক উম্মোচন হবে।
জনপ্রিয় রুটগুলোতে বিমানের ফ্লাইট বৃদ্ধি করলে টিকিটের দাম কমাতে অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু এশিয়া নয় পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে ইউরোপেও আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সম্প্রসারণের কাজ হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি রয়েছে। আমরা দ্রুত চালু করতে চাই সেজন্য বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার সব কিছু এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে আমরা নিউইয়র্কেও সরাসরি যেতে পারব। এক্ষেত্রে দেশগুলোর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আমাদের কোড শেয়ারিংসহ বিভিন্নভাবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
শফিউল আজিম এ বিষয়ে আরও বলেন, আমাদের সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি এবং তাদের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের কিছু আনুষ্ঠানিক কাজ চলমান। সবকিছু ঠিক থাকলে এই বছরের শেষের দিকে নিউইয়র্কসহ নতুন রুটে ফ্লাইটের কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ সম্প্রতি গালফ এয়ারের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ শুরু করেছে। গালফ এয়ার বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন পর্যন্ত আমাদের ফ্লাইট নেয়। কিন্তু গালফ এয়ার আমাদের যাত্রীদের নিয়ে যাবে বিমানের টিকিটে। আবার বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ ইউরোপে যেতে চায় সেক্ষেত্রে গালফ এয়ার বাহরাইন হয়ে ইউরোপে চলে যাবে। আমার বিমান যেহেতু ইউরোপে যাচ্ছে না তাই আমার থেকে টিকিট কেটে এই সুবিধা নিয়ে ইউরোপে চলে যেতে পারবে। একইভাবে ইউরোপ থেকে যদি কেউ বাংলাদেশে আসতে চায় গালফ এয়ার তাদের নিয়ে আসতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ বিমানের ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ নেই তাই মুনাফাটা ভাগাভাগি হবে।
তিনি আরও বলেন, বিমানের যাত্রীসেবার মান কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। কেউ যদি অপরাধ করে, সে বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
বিমান সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিমান আগে থেকে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। বিমানে ভ্রমণে এখন বাংলাদেশিসহ সব যাত্রীর পছন্দনীয় এয়ারলাইন্স হয়েছে। তাই বিমান সার্ভিসকে আরও উন্নত করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর জাপানের নারিতায় ফ্লাইট চালু হচ্ছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চেন্নাই আমাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়া চায়নার গুয়াংজুর বন্ধ ফ্লাইটটি আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আমরা নতুন করে চালু করতে যাচ্ছি। পাশাপশি জাপানের নারিতা হয়ে অন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং কোড শেয়ারিংয়ের চেষ্টা করছি।
জাপানে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এটাকে বাংলাদেশ বিমানের বড় একটি অর্জন বলতে চাই। এক সময় এই রুটে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা থেকে পূর্ব দিকে ফ্লাইট নেটওয়ার্ক কম ছিল। এটার মধ্যদিয়ে আমাদের নতুন দিগন্ত চালু হলো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-জাপান পর্যটন বাড়াতে হবে। এজন্য বিমানের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে যাত্রীরা যেন ঢাকা হয়ে জাপান যাওয়া-আসা করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা বিপণন কৌশলে এগোচ্ছি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
১ বছর আগে
বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ২০৮৬ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট ২ হাজার ৮৬জন হজযাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের পাঁচটি বিমান দিয়ে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী বহন করবে। বাকিগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস বহন করবে।
বিমান কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট এবং ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি পোস্ট-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত বছরের মতো এবারও বিমান ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত ১৯ মে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট
জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী
১ বছর আগে
৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইটে মোট ৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাত (২১ মে) ৩টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০০১) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এছাড়াও, বিমানের আরও চারটি ফ্লাইট আজ (রবিবার) দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশে হজ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবে।
হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান।
আরও পড়ুন: দোয়া করবেন যেন বাংলাদেশ মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকে: হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী সম্মানিত হজযাত্রীগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া কামনা করেন।
এর আগে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বছরও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের চারটি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট পাঁচটি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রীগণের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে সম্মানিত হজযাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজ যাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজযাত্রীগণ পান সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল হতে হজের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোনো হজযাত্রীকেই এরপর থেকে এয়ারলাইন্সের টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাল্লাহ এবারও তারা টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহনের সকল বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত হজযাত্রী ও সকল অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রীকে পরিবহন করবে বিমান। বাকিদের পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ( ১৯ মে) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রম-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, আসন্ন ২০২৩ সালের হজ ফ্লাইটের বিমানভাড়া আর কমানোর সুযোগ নেই।
রবিবার বিকালে বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে হজ ভাড়ার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় বিমানের এমডি বলেন, আমরা তিনমাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের কোনও হাত নেই।
'হজের বিমান ভাড়া কমছে কি না'- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু কমিয়েছি। এর চেয়ে কম আর করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, 'হজ ফ্লাইটে যে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে সেটি একটি আদর্শ বিমানভাড়া।’
বিমানের এমডি বলেন, 'হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপরে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
বিমানভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, হজের বিমানভাড়া সাইন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমান নির্ভর, অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী তাদের সেবা দেয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
বিমানের হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধি, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে (পাইলট সাদিয়া) তিনি বিমানে পাইলট হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাননি। একজন পাইলট নিয়োগের আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। তার (সাদিয়া) কাছে পাইলটের লাইসেন্স ছিল। বিমানে তাকে পাইলট হিসেবে বাছাইয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমডি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান নিয়মিত জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্কের ভূমিকম্পের সময় টরন্টো থেকে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিমান শিগগিরই ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট চালু করবে। হজ ব্যবস্থাপনার পর আগস্টে জাপানের নারিতায় এবং এবছরের শেষে নিউইয়র্ক যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
১ বছর আগে