বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ২০৮৬ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট ২ হাজার ৮৬জন হজযাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের পাঁচটি বিমান দিয়ে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী বহন করবে। বাকিগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস বহন করবে।
বিমান কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট এবং ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি পোস্ট-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত বছরের মতো এবারও বিমান ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত ১৯ মে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট
জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী
৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইটে মোট ৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাত (২১ মে) ৩টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০০১) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এছাড়াও, বিমানের আরও চারটি ফ্লাইট আজ (রবিবার) দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশে হজ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবে।
হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান।
আরও পড়ুন: দোয়া করবেন যেন বাংলাদেশ মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকে: হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী সম্মানিত হজযাত্রীগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া কামনা করেন।
এর আগে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বছরও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের চারটি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট পাঁচটি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রীগণের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে সম্মানিত হজযাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজ যাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজযাত্রীগণ পান সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল হতে হজের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোনো হজযাত্রীকেই এরপর থেকে এয়ারলাইন্সের টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাল্লাহ এবারও তারা টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহনের সকল বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত হজযাত্রী ও সকল অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রীকে পরিবহন করবে বিমান। বাকিদের পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ( ১৯ মে) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রম-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, আসন্ন ২০২৩ সালের হজ ফ্লাইটের বিমানভাড়া আর কমানোর সুযোগ নেই।
রবিবার বিকালে বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে হজ ভাড়ার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় বিমানের এমডি বলেন, আমরা তিনমাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের কোনও হাত নেই।
'হজের বিমান ভাড়া কমছে কি না'- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু কমিয়েছি। এর চেয়ে কম আর করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, 'হজ ফ্লাইটে যে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে সেটি একটি আদর্শ বিমানভাড়া।’
বিমানের এমডি বলেন, 'হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপরে আমাদের আর কিছু করার নাই।’
বিমানভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, হজের বিমানভাড়া সাইন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমান নির্ভর, অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী তাদের সেবা দেয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
বিমানের হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধি, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে (পাইলট সাদিয়া) তিনি বিমানে পাইলট হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাননি। একজন পাইলট নিয়োগের আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। তার (সাদিয়া) কাছে পাইলটের লাইসেন্স ছিল। বিমানে তাকে পাইলট হিসেবে বাছাইয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমডি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান নিয়মিত জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্কের ভূমিকম্পের সময় টরন্টো থেকে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিমান শিগগিরই ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট চালু করবে। হজ ব্যবস্থাপনার পর আগস্টে জাপানের নারিতায় এবং এবছরের শেষে নিউইয়র্ক যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করল জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে। বিমানের যেসব যাত্রী অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস)-এর মাধ্যমে টিকেট কিনবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণতারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীরা টিকেট কেনার সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিমানের ওয়েবসাইটে www.biman-airlines.com বুক ফ্লাইট অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমান
এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ বছর হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান ইজারা না নিয়ে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে।
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম ইউএনবিকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা লিজ প্রক্রিয়া থেকে উপকৃত হই না, তাই আমরা হজ ফ্লাইটের জন্য আমাদের নিজস্ব বিমান ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বুধবার আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানের সিইও বলেন, হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গত বছরের হজ ফ্লাইটের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি গত বছরের হজ ফ্লাইটের জন্য তার চারটি ওয়াইডবডি প্লেন ব্যবহার করেছিল।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ইউএনবিকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এ বছর ৫০ শতাংশ হজযাত্রী বহন করবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ বছর সম্পূর্ণ কোটা অনুযায়ী হজ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ২৫-৩০ জানুয়ারির মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
প্যাকেজের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বছর দাম বাড়ানো হবে না।
তিনি বলেন, ‘ডলারের বর্ধিত দামের জন্য যাত্রীদের কিছুটা বেশি খরচ করতে হতে পারে।’
এ বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ করতে পারবেন।
ফরিদুল হক খান আরও বলেন, বয়সসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশীরা এ বছর হজ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রুট টু মক্কা’ চুক্তির আওতায় সকল বাংলাদেশি হজযাত্রীর প্রি-এরাইভেল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হবে। তবে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি খারাপ হলে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের অনুমোদিত সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে হজের জন্য সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই
ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাত ৮টা ০৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, ফ্লাইটটি রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় সন্ধ্যা ৬টা) যাত্রা করে। যেখানে রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বুলাকি দাস কাল্লা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের শেষ দিনে সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার (রওজা) খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে নামাজ পড়তে রাজস্থানের আজমির শরীফে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন বছর পর ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
এছাড়া রামপালে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং খুলনায় ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন দুই নেতা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি (স্মৃতিস্থল) পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শন করেন ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থীকে মুজিব বৃত্তি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৬টায়) জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বুলাকি দাস কাল্লা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান। ফ্লাইটটি রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে তার চার দিনের সরকারি সফরের শেষ দিনে সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির মাজার (রওজা) খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে প্রার্থনা করতে রাজস্থানের আজমির শরীফে যান।
গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন বছর পর ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আজমির শরীফ জিয়ারত
এসময় দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
এছাড়া রামপালে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং খুলনায় ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন দুই নেতা।
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি (স্মৃতিস্থল) পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শন করেন ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থীকে মুজিব বৃত্তি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
চীনের গুয়াংজু রুটে বিমানের পরবর্তী ফ্লাইটের টিকিট বিক্রয় শুরু
গুয়াংজু-ঢাকা রুটের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটের টিকিট সোমবার বিকাল ৪টায় শুধু বিমান হোস্ট সিস্টেমে বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, যাত্রীদেরকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ বিমানের দেশে-বিদেশে অবস্থিত যেকোনো বিক্রয় কেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং কোভিড প্রটোকল নিশ্চিত হয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের ফ্লাইট বিজি৩৬৬ স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায়। ফিরতি ফ্লাইট বিজি৩৬৭ স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৮টায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত পৌনে ১০টায়।
উল্লেখ্য, বিমানের ভাড়া বাজারের বর্তমান চাহিদার তুলনায় কম বিধায় আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকেট বিক্রয় করা হবে। ঢাকা থেকে যাত্রার ক্ষেত্রে ইকোনমি ক্লাশের একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া এক হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার হতে শুরু করে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। বিজনেস ক্লাসের একমুখী ভাড়া দুই হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে তিন হাজার ২০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে ট্যাক্সের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় আট হাজার ৭১৭ টাকা।
বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, প্রচলিত নিয়মে ভাড়া ক্রমান্নয়ে ঊধ্বমুখী হবে।
গুয়াংজু-ঢাকা রুটের ফিরতি ফ্লাইটের টিকেট বিমানের দেশি-বিদেশি বিক্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও ক্রয় করা যাবে। ফিরতি ফ্লাইটের ভাড়া বিমানের ওয়েবসাইটে উল্লেখ থাকবে।
আরও পড়ুন:ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
২ ঘন্টা পর চালু শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক কেজি সোনা জব্দ, আটক ১
বিমানের দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না: প্রতিমন্ত্রী
বিমান বাংলাদেশের দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্য আরও কোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেছেন, যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণেই গত ৩রা জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে অন্য আরও কোন কারণ জড়িত আছে কিনা তাও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন যারা দায়ী তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গার ও জিইসি ডিপার্টমেন্টে আকস্মিক পরিদর্শনে যান বিমান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) এয়ার কমোডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহিদুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মোহাম্মদ মান্নাফি।
তিনি আরও বলেন, দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই দুর্ঘটনায় বিমানের যে ক্ষতি হয়েছে তা যাতে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায় করা যায় তার জন্য বিধি-বিধানও সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আগের নিয়োগ নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছে। বর্তমান নিয়োগেও কোন ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় হবে না। যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কোন অনিয়ম করেন তবে তাকেই তার দায় নিতে হবে। বর্তমান নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগগুলো আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ: বিমানের ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
তিনি আরও জানান, বিমানের কর্মীদের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান সফলভাবে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে। সেই সময় যখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে তখনও বিমান তার কোন কর্মীকে ছাটাই করে নি। কোভিডের সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বিমানকে যে টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল সেই টাকা ইতোমধ্যে সুদসহ সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। কোন ফ্লাইট লিজ না নিয়েই এবারের হজ ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিমান ২০১৯ সাল থেকে তার প্রতি বছরের সকল দায়-দেনা পরিশোধ করে বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, সেখানকার কোভিড জনিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই জাপানে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। চীনের গুয়াংজু ও কুনমিংয়ে বিমান ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। গোয়াংজু রুট বিমানের জন্য একটি ভাল ডেস্টিনেশন হবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের জায়গায় এটি। এছাড়াও অচিরেই মালে ও চেন্নাইতেও বিমানের ফ্লাইট চালু হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা: ৬ দিন পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু
কলকাতা বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ফ্লাইটে আটকে ছিলেন ১৫৮ যাত্রী
কলকাতা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ১৫৮ জন যাত্রী প্রায় চার ঘণ্টা অনাকাঙ্খিত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন।
সোমবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল এবং যাত্রীরা স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লাইটে ওঠেন।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে বলেন, যাত্রার ঠিক আগে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ইন্টিগ্রেশনে সমস্যার কারণে ফ্লাইটটি টেক অফ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
তিনি বলেন, বিমানের নিরাপত্তা বিধি মোতাবেক যে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের সময় বিমান কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। তাই বিমানের এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম বন্ধ রাখা হয়েছিল ফলে বিমানের বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এছাড়াও, কলকাতা বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানে ওঠার পরে বিমান থেকে বেরোতে দেয়া হয় না যা যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঠিক করতে জেট এয়ার ইঞ্জিনিয়ারের প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১ টা ৪২ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।