জীবনযাত্রা
জীবনযাত্রা সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার
সামগ্রিকভাবে দেশের জনগণের জীবনযাত্রা সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।
সোমবার সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন সেখ বশির উদ্দিন। পরে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর সেমাবার ছিল উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রণালয়ের তার প্রথম কার্যদিবস।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুদ্রাস্ফীতির ফলে আমাদের টাকার অংক বাড়লেও ক্রয় ক্ষমতা সেভাবে বাড়েনি। বরং ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। আমরা দেখছি একজন শ্রমিকের জীবনমানের মধ্যে কম্প্রোমাইজ চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আমি আপনাদের কাছে কোনো ম্যাজিক প্রত্যাশা করছি না।আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব। আপনারা আমাকে সহযোগী হিসেবে পাবেন। আপনাদের কাজ আরও কার্যকর করার জন্য ইনসাফের সঙ্গে আমার সক্ষমতা অনুযায়ী চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমরা যদি ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারি, আমাদের সর্বোচ্চ দক্ষতার প্রয়োগ ঘটাতে পারি তাহলে ভালো করা সম্ভব। আমি কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত পরিশ্রম প্রত্যাশা করি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনিও পরিশ্রম করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব ডব্লিউটিও অনুবিভাগ ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চিংড়ির উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
পরিবর্তিত স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ও উন্নত ডাকসেবা অপরিহার্য বরে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জলে, স্থলে-অন্তরীক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি সেবা ডিজিটাইজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, অফিস ও অফিস ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও মানুষ কাজ করতে পারছেন। তিনি মানুষের জীবনধারা সচল রাখতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো পরিস্থিতে নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশ প্রেমের মহানব্রত নিয়ে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, সততা ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তা চারা গাছে পরিণত হয়।
২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর পেছনে থেকে যে মানুষটি কাজ করে গেছেন তিনি হলেন ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) এই হার শতকরা ১০৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ০৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) তা ১৮ কোটি ৮৬ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত) এ সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
২০০৮ সালে ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস বর্তমানে তা প্রায় ৫০০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা।
স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান।
তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পলক আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আসবে সেই রূপকথার মতো দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
২০২২ সালের ৭ এপ্রিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-করার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
১১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: রাজধানীতে বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা ব্যাহত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি আজ (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই ঢাকাবাসীর যাতায়াত দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সকালে গণপরিবহন না থাকায় লোকজন, বিশেষ করে অফিস ও স্কুলগামীরা বৃষ্টির মধ্যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খায়।
তবে দুপুর দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যানজট ও জলাবদ্ধতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে
অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত নগরজীবন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে সৃষ্ট গত দুই দিনের অবিরাম বর্ষণে বুধবার নগরবাসী বিশেষ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো বিরতি দেখা যায়নি।
টানা বৃষ্টিতে ঢাকাবাসী বিশেষ করে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
২ বছর আগে
মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমি একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছি... আমার বাবা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে, করতেই হবে। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
বুধবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি চান বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ করতে। যাতে তারা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আর এটাই জাতির পিতা সবসময় চাইতেন ও বলতেন।
গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাব এবং ভবিষ্যতে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন কেউ সহানুভূতির চোখে দেখে না, বরং সম্মানের চোখে দেখে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কারণে মার্চ মাসের ঘটনাবহুল তাৎপর্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন, এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই মাসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে জাতিকে স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা দিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে বলেও এসময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা এই কঠিন সময়েও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তরুণরাই রূপকল্প ২০৪১ এর নেতৃত্ব দেবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ১০ শহর
২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রা খরচের সূচক। জরিপের পরিচালনা এবং প্রতিবেদন প্রকাশনায় ছিল যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য মিডিয়া কোম্পানি ইকোনমিস্ট-এর গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ (ইআইইউ)। এই সূচকের মাধ্যমে পৃথিবীর ব্যয়বহুল শহরগুলোর পাশাপাশি সস্তা শহরগুলোর নাম প্রকাশিত হয়েছে। গত বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল শতকরা ১.৯ ভাগ, যেটি এ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৩.৫ শতাংশ। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে সামগ্রিক জীবনযাত্রার খরচের সূচকে। চলুন দেখে নেই সে সকল সস্তা শহরগুলোর নাম আর তার সাথে জেনে নেই জীবনযাত্রা খরচের এমন আকস্মিক পরিবর্তনের কারণগুলো।
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ১০ টি শহর
১। দামেস্ক (সিরিয়া)
২। ত্রিপলি (লিবিয়া)
৩। তাশখন্দ (উজবেকিস্তান)
৪। তিউনিস (তিউনিসিয়া)
৫। আলমাটি (কাজাখিস্তান)
৬। করাচী (পাকিস্তান)
৭। আহমেদাবাদ (ভারত)
৮। আলজিয়ার্স (আলজেরিয়া)
৯-১০। বুয়েনস আয়ার্স (আর্জেন্টিনা) এবং লুসাকা (জাম্বিয়া) (যুগ্মভাবে)
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
দামেস্ক: ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর
২০২০ এর চিত্র অপরিবর্তিত রেখে এবারও গৃহযুদ্ধ তাড়িত মধ্য এশিয়ার দেশ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা শহর। দীর্ঘ দশ বছরের যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থাই সিরিয়ান পাউন্ডের মুদ্রাসংকোচনের পেছনে দায়ী।
বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার খরচের জরিপ পদ্ধতি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোকে তাদের অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভিত্তিক গবেষণালব্ধ পরিসংখ্যান প্রকাশের মাধ্যমে যথোপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করা ইকোনমিস্ট-এর গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ (ইআইইউ)-এর মূল লক্ষ। যেমন, পাঁচ বছর পর দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশের মাসিক প্রতিবেদন, শিল্প-কারখানা ভিত্তিক প্রতিবেদন এবং দেশের ঝুঁকি বিশ্লেষণ।
মার্চ এবং সেপ্টেম্বর; বছরের এই দুটি সময়ে করা হয়ে থাকে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার খরচ (ডব্লিউসিওএল) সমীক্ষাটি। ২০২১ এর সর্বশেষ জরিপটিতে সারা বিশ্বের ১৭৩ টি শহরের মোট ২০০ টি পণ্য এবং পরিষেবার ৪০০ টিরও বেশি পৃথক পৃথক মূল্য যাচাই করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টোর এবং পরিষেবা দানকারীর প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে এই দামগুলো। এই দামগুলো হলো সরাসরি ভোক্তার কাছ থেকে পণ্য বা সেবার বিনিময়ে নেয়া বিক্রয়মূল্য।
ডব্লিউসিওএলের অর্থনীতিবিদরা সূচক নির্ধারণের জন্য সর্বশেষ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী সব মূল্যগুলোকে একটি আদর্শ মুদ্রার আওতায় নিয়ে আনেন। অতঃপর প্রতিটি আইটেমকে তাদের স্ব স্ব শ্রেণীতে বিভক্ত করে সেগুলোর একটা প্রতিমান দেয়া হয়। এই প্রতিমানযুক্ত আইটেমের আপেক্ষিক পার্থক্য প্রয়োগ করেই তৈরি করা হয় তুলনামূলক সূচক। এখানে সূচক নির্ণয়ের আদর্শ শহর ধরা হয় নিউইয়র্ক সিটিকে। নিউইয়র্ক সিটির সূচকের প্রতিমাণ থাকে ১০০।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
২০২১ এর বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার খরচের সূচকের বিশ্লেষণ
সূচকটির নির্ণয়ের নিমিত্তে নিউ ইয়র্ক সিটির জীবনযাত্রার খরচকে মানদণ্ড ধরায় মার্কিন ডলার অপেক্ষা নিম্ন মূল্যের মুদ্রার শহরগুলোকে নিচের সারিতে স্থান দেয়া হয়েছে।
সস্তা দেশগুলোর এমন মুদ্রাসংকোচনের প্রধান কারণ দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক মন্দা। সবচেয়ে সস্তা শহরগুলোর মধ্যে র্যাঙ্কিং-এ স্থান পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা বা এশিয়ার দরিদ্র এলাকাগুলো।
ত্রিপোলি ২০২১ এর ডব্লিউসিওএলের ৪০টি নতুন সংযোজিত শহরের মধ্যে একটি। এই ৪০টি শহরের অন্তর্ভুক্তির কারণে গত বছরের ১৩৩ শহর থেকে বাড়িয়ে এ বছর মোট ১৭৩টি শহরের উপর জরিপ হয়েছে।
দামেস্কের মত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে থাকার দরূণ ত্রিপোলি ডব্লিউসিওএল সূচকের নীচের সারিতে পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শহরটিতে দ্রব্যমূল্যের ধস পরিলক্ষিত হয়েছে বিশেষভাবে খাদ্য, পোশাক এবং পরিবহন খাতে।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে বিভিন্ন বাণিজ্যিক লেনদেনের উপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলো পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। যা ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধাবিত করেছে ব্যাপক ক্ষতির দিকে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
খাদ্যাভাবের নিষ্পেশনের ফলে বদলেছে ভোক্তাদের জীবনযাত্রা। মানবেতর জীবন যাপনের ভেতর দিয়ে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে বেড়েছে দেশত্যাগের প্রবণতা। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতির চড়াই-উৎরাই উপেক্ষা করে অনির্দিষ্টকালের অস্থিতিশীলতাই মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে দেশগুলোর সব শ্রেণীর ভোক্তাদের।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
শেষাংশ
ক্রমাগত লাগাম ছাড়া মুদ্রাস্ফীতির নির্মম শিকারে পরিণত হচ্ছে বিশ্বের এই সস্তা শহরগুলো। আসন্ন বছরে এ অবস্থার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে পারে জ্বালানির মূল্যের উপর, যা ছাপিয়ে যেতে পারে মজুরি বৃদ্ধির পরিমাণকে। ইআইইউয়ের অবশ্য ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু তা সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। কোভিড-১৯ জটিলতা কমে গেলে বাণিজ্যিক রুটগুলো বিধিনিষেধমুক্ত হলে অধিকাংশ রাজধানীগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের কিছুটা স্থিতিশীলতা আশা করা যেতে পারে।
২ বছর আগে
লকডাউন পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিরাপত্তা সতর্কতা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষে গত রবিবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলেছে। দীর্ঘ দুই মাসের লকডাউন শেষে অনেকেই তাদের নিজ নিজ অফিসে ফিরতে শুরু করেছেন। আপনিও কী তাদের মধ্যে একজন, যিনি দীর্ঘ লকডাউনে অবকাশ যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন?
৪ বছর আগে