ডিএনসিসি মেয়র
হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ৪০ বছর পর সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করছি। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তবে আমরা যেতে চাই বহুদূর। সুতিভোলা খাল হয়ে সাতারকুল দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে সেভাবেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। নতুনবাজার একশো ফিট থেকে ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল হয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। এছাড়া আধুনিকভাবে খালের পাড় বাঁধানো হবে, সবুজায়ন করা হবে। পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩) দুপুরে সুতিভোলা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে নৌকায় চড়ে সরেজমিনে সুতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এলাকাবাসীর সঙ্গেও মতবিনিময় করেন তিনি
মেয়র বলেন, আমি আজ সুতিভোলা খালে নৌকায় চড়েছি। স্থানীয় লোকজন আমাকে জানাল দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে এ ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল দিয়ে নিয়মিত নৌকা চলত। কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল নিয়ে মানুষ এ খাল দিয়ে নৌকায় করে যাতায়াত করত। আজ আবার দীর্ঘ সময় পরে আমি এ খালে নৌকায় চড়লাম।
তিনি বলেন, সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে সুতিভোলা খালে কাউন্সিলরদের নিয়ে নৌকায় চড়ে দেখলাম মানুষ কীভাবে ময়লা ফেলে খালটিকে নোংরা করেছে। খালের পাড়ে ময়লায় ভরপুর। সিটি করপোরেশন থেকে ফ্লোটিং এক্সকেভেটর দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দখলে থাকার কারণে আগে যেখানে নৌকা চড়ে যাওয়া যেতো আজ তা পুরোপুরি পারিনি। কারণ একটু আগাতেই দেখি দখল হয়ে গেছে। খাল পারে বাড়ি উঠে গেছে। একটা বাড়ি খালের পাশে উঠে গেল দেখার কেউ নেই! কে অনুমতি দিয়েছে? কীভাবে অনুমতি দিল সেটা যাচাই করতে সমস্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আবার খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে মাছ চাষ করছে। এগুলো কারা করছে? এভাবে খাল দখল করে বাড়ি যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করেন। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। এগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিচ্ছি। নিজেরা না সরালে ম্যাজিস্ট্রেট কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। সিটি জরিপ নয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকা নিয়ে সাতারকুল হয়ে আফতাবনগর দিয়ে হাতিরঝিল ঘুরে বালু নদীতে নৌকা চলাচল করা। নতুন একটি নৌপথ চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাল পরিষ্কার থাকলে মশা জন্মাবে না। মানুষ স্বস্তি পাবে। এজন্য জনগণকে সতর্ক হতে হবে। আর কেউ যেন খাল দখল না করে। আমরা আজ কচুরিপানা পরিষ্কার করে দিলাম। নতুন করে যেন কেউ দখল না করে। সেজন্য ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা আছে। খাল রক্ষায় এলাকাবাসীসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা খাল নিয়ে মাস্টার প্ল্যান করছি। এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) আমাদের খালের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আজকে এডিবির একজন কনসালটেন্ট আমাদের সঙ্গে পরিদর্শনে এসেছেন। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সুতিভোলা খালে নৌপথ চালু হবে। এছাড়াও মিরপুর রূপনগর খাল হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে। এক্সপার্টদের সঙ্গে আলাপ করছি কীভাবে সব নৌপথে সংযোগ সৃষ্টি করা যায়। অনেক বাজেট প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করছি। আশা করছি জনগণের সহযোগিতায় দ্রুতই কার্যক্রম চালু করতে পারবো।
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, জনগণের নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববোধ জাগ্রত হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাল পরিষ্কার রাখতে হবে, দখলমুক্ত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্জ্যবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে, বর্জ্য সম্পদে রুপান্তরিত হবে এবং পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে উঠবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩) দুপুরে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে চলমান ডিএনসিসি'র ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট’- পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে আমারা ৩০ একর জমি হস্তান্তর করেছি। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, কোম্পানি জানিয়েছে জমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প সম্পন্ন করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে বিদুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে, কিনে নেবে বিদুৎ বিভাগ।
মেয়র বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে হবে। এর ফলে বায়ু দূষণ রোধ হবে,বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে সিএমইসি'র প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। তাদের কিছু যন্ত্রপাতি প্লান্টে চলে এসেছে, আরও যন্ত্রপাতি দ্রুতই পৌঁছবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ও সিএমইসি'র কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে জানুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে প্লান্টের কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, মোট চারটি টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু করার বিষয়ে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ নোবেল বিজয়ীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন চৌদ্দগ্রামের মেয়ে আফরিনা
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেডলাইসেন্স প্রদান, সবার ঢাকা অ্যাপে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা সম্পর্কে জানান।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন সেবা দিচ্ছি। এ মুহূর্তে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে উত্তম কার্যক্রম ও মডেলের জ্ঞান ও ধারণা বিনিময়ের লক্ষ্যে দুই শহরের মধ্যে সিস্টার সিটি গড়ে তোলা যেতে পারে। এছাড়া দুই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে রিয়াদের একটি সড়কে বঙ্গবন্ধুর নামে ও ঢাকায় একটি শহর সৌদির বাদশাহর নামে নামকরণ করা যেতে পারে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান ঢাকা শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, কোভিড, যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সমস্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশ বিনির্মাণে সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে সিস্টার সিটি গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র এবং সৌদি রাষ্ট্রদূত একে অপরকে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
এসময় ডিএনসিসির মাসুদ সচিব মোহাম্মদ আলম ছিদ্দিক এবং প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁনের সৌজন্য সাক্ষাত
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাক্ষাত
খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে সরাতে সময় সীমা বেধে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
মেয়র বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে খালের পাড়ে এই সীমানার বাইরেও তারা অবৈধভাবে স্থাপনা করছে। তাদেরকে আমি বলেছি খালের পারের অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে আপনারা সরিয়ে নিবেন।
তিনি বলেন, নিজেরা অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা বুলডোজার দিয়ে সেই স্থাপনা ভেঙ্গে দিব। আজকে আমরা ভাঙতাম যেহেতু ওনারা বলেছে ভিতরে প্রচুর পশু রয়েছে এ পশুদের সরানো চ্যালেঞ্জিং হবে। পশুগুলোও আমাদের সম্পদ তাই এর ক্ষতি করা ঠিক হবে না। আমি তাদেরকে ১৫ দিন সময় দিয়েছি। এর পরে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।
তিনি বলেন, ৩৩ নং ওয়ার্ডে প্রচুর গরুর খামারী ব্যবসা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো খামারগুলোর গো-বর্জ্যসহ অন্যান্য সকল বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। আপনার দেখেছেন খালটি উদ্ধারের পর আমি গত বছর এই রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। এটি আবার গো-বর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। ওনারা মনে করেছেন এরকম ভাবেই চলবে। আমার মনে হয় যারা ব্যবসা করবেন তারা অবশ্যই পরিবেশকে মাথায় রেখে ব্যবসা করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, দয়াল হাউজিং এলাকায় কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেন।
খামারের সকল বর্জ্য খালে ফেলে পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় একটি খামারকে মেয়রের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ঢাকার আশপাশের ইটভাটা। গবেষণা অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী।
এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ ও অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে। দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর অন্তর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।
পরিদর্শন শেষে ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধার কথা ও সমস্যা জানতে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভা করেন মেয়র।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণে কোড মানা না হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এ ‘ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট এক্সারসাইজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, 'ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি এগুলো নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিড়িতে দোকান বসিয়ে দেয়া হয়।
আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাবো। কোন ভবনের সিড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।'
আরও পড়ুন: বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি মেয়র জানান, 'বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুত বিভাগের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেকটর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু অন্তত পরিতাপের বিষয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।'
সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরেই রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে।'
মেয়র আরও বলেন, 'রানা প্লাজা ধ্বংসের পরে গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি এলায়েন্স ও একর্ড এর সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেক্ট এসোসিয়েশেন (এনএফপিএ) এর সঙ্গে মিটিং করে ফ্যাক্টরিগুলোর ফায়ার সেফটি, ইলেক্ট্রিক সেফটি এবং বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ করি। এনএফপিএ এবং বিএনবিসি এর সঙ্গে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হই।'
এসময় তিনি বলেন, 'আমি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট করে দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসতো না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউপি'র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
‘তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার সকালে মিরপুরের পল্লবীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে এডিস মশা নিধন সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খাল দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউন্সিলরশিপ থাকবে না: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আজ করোনা মহামারীর মধ্যে রয়েছে। এই করোনাকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্যই আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল অঞ্চলে এডিস মশা নিধন সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক এই কার্যক্রম একযোগে শুরু হয়েছে।
মেয়র আতিক বলেন, রোদের পর বৃষ্টি, বৃষ্টির পর রোদ এরকম আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির ঝুলন্ত তার এক বছরের মধ্যে অপসারণ: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, কারও একার পক্ষে এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশেষ করে নিজের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আজকে যেসকল বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে সাত দিন পর যদি পুনরায় একই বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা এবং স্বনামধন্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নগরবাসীকে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার মেয়র আতিকের
আনিস ভাই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং কাজে হাত দিয়েছিলেন: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির ঝুলন্ত তার এক বছরের মধ্যে অপসারণ: মেয়র আতিক
ব্যবসা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে: মেয়র আতিক
সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার এখন সময় হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দেয়ার জন্য, নাগরিকদের সুবিধা দেয়ার জন্য, যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।
সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কোরিয়ানদের অ্যাসোসিয়েশনের অনুদান
সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, পোশাক ও স্বাস্থ্যকর দ্রব্যাদি অনুদান হিসেবে দিয়েছে বাংলাদেশে কোরিয়ানদের অ্যাসোসিয়েশন।
এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এলইডি লাইট স্থাপন নগরবাসীর জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নববর্ষের উপহার।
ডিএনসিসিতে আরও তিনটি ইউটার্ন চালু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এলাকায় সড়কে যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আরও তিনটি ইউটার্ন রবিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে।