লিচু
ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর দাম আকাশচুম্বি
ঠাকুরগাঁওয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লিচুর দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে জেলায় লিচুর দাম এখন আকাশচুম্বি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আকারে কিছুটা বড় চায়না থ্রি জাতের লিচুর দাম অনেক। ১০০ লিচুর দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। বোম্বে জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা প্রতি’শ হিসাবে।
সদর উপজেলার পোকাতি গ্রামের আব্দুল হামিদ জানান, তার বাগানের প্রতি একশ বেদানা জাতের লিচু কিছুদিন আগে ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এই দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন: জমিদার হরিপদের কাছারি বাড়ি থেকে লিচু চাষ শুরু
সিঙ্গিয়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, তিনি আগেই বাগান কিনেছেন। বাগানেই চায়না থ্রি জাতের লিচু প্রতি হাজার ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এই দামে তিনি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ২০ হাজার লিচু বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: লিচু দিয়ে রূপচর্চা
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন জানান, এ বছর জেলায় প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। ফলন হয়েছে কম। তবে দাম বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড খরায় মাগুরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
৩ বছর আগে
জমিদার হরিপদের কাছারি বাড়ি থেকে লিচু চাষ শুরু
সুনামগঞ্জের ছাতকে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ মৌসুমে করোনার কারণে লিচু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে ছাতক-দোয়ারার সব হাটবাজারে এ অঞ্চলের উৎপাদিত লিচু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন গড়ে ছাতকবাজারসহ এখানের বাজারগুলোতে কয়েক লাখ টাকার স্থানীয় জাতের লিচু বিক্রি হয়। ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর, গোদাবাড়ী, চানপুর, বড়গল্লা, কচুদাইড়, রাজারগাঁও এবং দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরমেশ্বরীপুর, বীরসিংহপুর, সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা ও আলীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ছাতক -দোয়ারাবাজারসহ এখানের হাটগুলোতে কয়েক লাখ টাকার স্থানীয় লিচু বিক্রি হয়। পুরো মৌসুমে এখানের চাষিরা কোটি টাকার লিচু বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন: লিচু দিয়ে রূপচর্চা
লিচু চাষি মানিকপুর গ্রামের আরব আলী, গোদাবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদির, রাজারগাও গ্রামের আব্দুল মালিক, চানপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া ও লামাসানিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, লাভজনক লিচু চাষে জড়িয়ে এখানের শতাধিক চাষি এখন স্বাবলম্বী। লিচুর ভালো বাজারমূল্য রয়েছে এখানে। চলতি মৌসুমে লিচুর ফলন আশানুরূপ হয়েছে।
জানা গেছে, ছাতক শহর থেকে সুরমা নদী পাড়ি দিয়ে ৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে টিলা বেষ্টিত চৌমুহনী বাজার ও লিচুর গ্রাম হিসেবে পরিচিত মানিকপুর। একটু এগুলেই দোয়ারাবাজারের লামাসানিয়া গ্রাম। এসব গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে লিচুর গাছ। বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ করেছেন এলাকার শতাধিক পরিবার।
ব্রিটিশ জমিদার আমল থেকেই নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর ও আশপাশ এলাকার টিলাভূমিতে লিচু চাষ শুরু হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বাগান তৈরি করে লিচুর চাষ করা হচ্ছে। লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন-দিন এর পরিধি বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড খরায় মাগুরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমলে গৌরীপুরের জমিদার হরিপদ রায় চৌধুরী ও তার ভাই শান্তিপদ রায় চৌধুরীর কাছারিবাড়ি ছিল মানিকপুর গ্রামে। এ কাছারি বাড়িতে জমিদারের লোকজন কয়েকটি লিচুগাছ রোপন করেছিলো। কাছারিবাড়িতে শতবর্ষী তিনটি লিচু গাছ এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাছারিবাড়িতে বহু আগে গ্রামবাসী জামে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মূলত ওই কাছারিবাড়ি থেকেই গ্রামজুড়ে লিচু চাষ ছড়িয়ে পড়ে। দিনে-দিনে আশপাশ গ্রামসহ বর্তমান দোয়ারাবাজার উপজেলার কয়েকটি গ্রামেও তা ছড়িয়ে পড়ে। গত ক'বছর ধরে উপজেলা কৃষি বিভাগও লিচু চাষে লোকজনকে উৎসাহী করছে এবং বিদেশি লিচুর চারা চাষীদের মাঝে বিতরণসহ বিভিন্নভাবে সরকারী সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান ও দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান, লিচু চাষিদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেককে লিচু চাষে উদ্যোগী করা হয়েছে। তাদের সরকারি সহযোগিতাও দেয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরাও ভালো বাজার মূল্য পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
টিলাবেষ্টিত এ অঞ্চল লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানে লিচুর বাগান করতে আগ্রহীদের সরকারি সকল সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
৩ বছর আগে
বিরূপ আবহাওয়াতেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন
সম্ভাবনাময়ী ফল লিচুর আবাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দিন দিন বাড়ছে। বিরুপ আবহাওয়াতেও চলতি মৌসুমে জেলায় লিচুর আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
চাষীরা জানিয়েছেন, বাজার দর ভাল থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা।
জেলার কৃষি বিভাগ আশা করছে চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকার লিচু উৎপাদিত হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আম-লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে লিচুর চাষ শুরু হয়। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য উপযোগী। জেলার সীমান্তবর্তী কসবা, আখাউড়ায় ও বিজয়নগর, এই তিন উপজেলায় লিচুর আবাদ হয়। তার মধ্যে বিজয়নগরে আবাদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
চলতি মৌসুমে অন্তত ৫১০ হেক্টর জমিতে এবার লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন। এখানে উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, চায়না-৩ ও বোম্বাই উল্লেখযোগ্য।
ইতিমধ্যে পাটনাই জাতের লিচুর সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। গুনগতমান ভাল ও বিষমুক্ত হওয়ায় এখানকার লিচুর কদর দিন দিন বাড়ছে। প্রতি হাজার লিচু বাগান থেকে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
ছোট বড় মিলিয়ে জেলায় ৪২০টি বাগান রয়েছে। লিচুর ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি।
লিচু চাষীরা জানান, লিচুর উৎপাদন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। তবে খরার কারণে লিচুর বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। যে কারণে বিভিন্ন সাইজের লিচুর দাম ও বিভিন্ন রকম। কিছু লিচু ১ হাজার পিস ১ হাজার ৮০০ টাকা আবার কিছু লিচু ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত একেক দরে বিক্রি হয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম জানান, করোনাকালীন সময়েও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিচু চাষীদের পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে খরার কারণে অনেক বাগান মালিক হতাশায় ভুগছিলেন কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিসের টেকনিক্যাল পরামর্শের কারণে এ বছরও লিচুর আশাতীত ফলন এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, লিচু উৎপাদনের অবস্থা খুবই ভাল। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সে অনুপাতেই উৎপাদন হবে। আমরা আশা করছি আবাদ বাড়ার পাশাপাশি চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকার লিচু উৎপাদিত হবে।
৩ বছর আগে
লিচু দিয়ে রূপচর্চা
লিচুর সময় আসছে। তাই বাজারে এখন লিচু উঠতে শুরু করেছে। আর লিচু খেতে মোটামুটি সবাই ভালবাসেন! রসালো এই ফলটির স্বাদ যেমন, তেমনি এর কয়েকটি আশ্চর্য গুণ রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। রোগ প্রতিরোধে আর রূপচর্চার ক্ষেত্রে লিচুর আশ্চর্য কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।
১) লিচুতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এই ফাইটোকেমিক্যালস চোখে ছানি পড়া আটকাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ভাতের মাড়!
২) লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের একটি উপাদান যা শরীরে ভাইরাসকে বাড়তে দেয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩) লিচুতে ফ্যাট আর ক্যালোরির পরিমাণ থাকে নামমাত্র। তাই ওজন বাড়ার ভয় নেই।
৪) ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ দূর করতে লিচুর রস অত্যন্ত কার্যকরী! ৫-৬টা লিচু চটকে তা মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এমন করতে পারলে মুখের ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ সহজেই দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ জীবনধারাই সকল সুখের মূল
৫) রোদে পোড়া ত্বকের ট্যান দূর করতে লিচুর রস অত্যন্ত কার্যকরী! ৪-৫টা লিচু চটকে তার সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে সেটি মুখে ও হাতে পায়ের ট্যান পড়া ত্বকে ভালো করে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে পারলে এর ফারাক চোখে পড়বে।
৬) ত্বকের বলিরেখা দূর করতে লিচুর রসের জুড়ি মেলা ভার! লিচুর রস মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ফল পাবেন হাতে নাতে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলা
৩ বছর আগে
প্রচণ্ড খরায় মাগুরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
জেলায় অতিরিক্ত খরা, প্রচণ্ড দাবদাহ ও নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন মাগুরার চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা সদরের হাজীপুর, হাজরাপুর, মির্জাপুর, ইছাখাদাসহ ৩০ গ্রামের ২ শতাধিক চাষি লিচু চাষ করে থাকেন। এক মাস আগে যখন লিচুর ফল আসতে শুরু করে, ঠিক তখনই বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার লিচুর ফলন ভালো হয়নি। তাছাড়া বৈশাখের শুরুতেই দাবদাহ থাকায় লিচু বাগানের প্রতিটি গাছের লিচু ফেটে যাচ্ছে। একদিকে যেমন লিচুর ফলন ভালো হয়নি, তেমনি এবার লিচু ফেটে নষ্ট হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এবার জেলায় মোট ৫৮৮ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। চাষিরা এবার হাজরাপুরী, মোজাফফরী, বোম্বায়, চায়না-৩সহ বিভিন্ন জাতের লিচু আবাদ করেছে। প্রচণ্ড খরা ও তীব্র দাবদাহে এবার সদরের বিভিন্ন বাগানের লিচু ফেটে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষিবিভাগ থেকে নানাবিধ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
মাগুরা সদরের শিবরামপুর গ্রামের আকামত আলী বলেন, আমার ৪টি বাগানে মোট ৩০০ লিচু গাছ রয়েছে। বাগানের সব লিচু গাছে এবার মুকুল আসেনি। সব গাছে ফল না থাকায় আমার আর্থিক ক্ষতি হবে। মুকুল আসার আগে নিয়মিত সেচ ও সার প্রদান করে আসছি। মুকুল শেষে লিচু ফল যখন একটু একটু বড় হতে থাকে ঠিক তখনই দাবদাহ বাড়তে থাকে। এ সময় প্রতিটি গাছের গোড়ায় পানি দিতে শুরু করি। কিন্তু প্রচণ্ড তাপে লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক গাছের লিচু তাপে পুড়ে রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আম-লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ
ইছাখাদা গ্রামের জিয়ারুল বলেন, আমার তিন বাগানে ২ শতাধিক গাছ রয়েছে। এবার বাগানের প্রতিটি গাছে মুকুল আসেনি। নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি হয়নি । লিচুর ফল একটু বড় হতে শুরু করলে খরা ও দাবদাহ দেখা দিয়েছে। এবার প্রতিটি গাছের অধিকাংশ লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর লিচু ভালো ফলনে আমাদের আর্থিক সংকট হয়নি। কিন্তু এবার লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
এই ইছাখাদা গ্রামকে বলে লিচুর গ্রাম; কিন্তু এবার বাগানের প্রতিটি গাছে তুলনামূলক লিচু না থাকাতে চাষিরা বিপাকে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় মোট ৫৮৮ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এবার নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহে অনেক লিচু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাষিদের নিয়মিত ভালো পানি দিয়ে সেচ ও গাছের গোড়ায়, পাতায় এবং ফলে স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি। এখন লিচুতে রং আসতে শুরু করেছে। যদি এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত হয়; তবে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
৩ বছর আগে
নাটোরে আম-লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ
নাটোরে ১০ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আম-লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকেই আম সংগ্রহ শুরু করেছে বাগান মালিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ আম ও লিচু সংগ্রহ বিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে সময় নির্ধারনের আগেই মঙ্গলবার থেকেই আম সংগ্রহ শুরু করেছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন কৃষি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান মোকাম থেকে তারা আম কিনতে শুরু ন। এছাড়া বাজারে চলে এসেছে স্থানীয় জাতের লিচুও।
অথাৎ আগামী ১০ মে থেকে নাটোরে আনুষ্ঠানিকভাবে গুটি আম ও মোজাফ্ফর জাতের লিচু সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হবে।
৩ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের সেই লিচু গাছ পরিদর্শন করলেন ইউএনও ও কৃষি কর্মকর্তা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছোটবালিয়া সিংগিয়া কলোনিপাড়া গ্রামে আব্দুর রহমানের সেই লিচু গাছ পরিদর্শন করেছেন সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সেখানে যান এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তি, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন।
৫ বছর বয়সী ওই ছোট লিচু গাছটিতে ১৭টি লিচু ও একটি আম সদৃশ ফল ধরে ছিল। কিন্তু ফলটি ছিঁড়ে ফেলায় এখন শুধু লিচুগুলি রয়েছে। ইউএনও গাছটির চারিদিকে ঘেরা দেয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
ফলটি কে ছিঁড়ে ফেলেছে তা জানতে ইউএনও উপস্থিত সকলের সাথে কথা বলেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ পেলে তিনি এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কথা জানান।
উল্লেখ্য, ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের (মটকি) বাড়িতে ওই লিচু গাছে ১৭টি লিচুর সাথে একটি আম সদৃশ ফল ধরতে দেখা যায়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাটি দেখার জন্য হাজারও মানুষ সেখানে ভিড় করে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
কৃষি বিভাগের আমটি নিয়ে গবেষণা করার কথা থাকলেও ফলটি ছিঁড়ে ফেলায় তা আর সম্ভব হয়নি। তবে এই লিচু গাছটিরও ক্ষতি করার আশঙ্কা থাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখার ও ঘেরা দেয়ার কথা বলেন ইউএনও।
৩ বছর আগে
লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছের সাড়া জাগানো আমটি নিজেই ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার সিকিম।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সিকিম আম ছিঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করেন।
সকালে রাগের মাথায় তিনি এ কাজ করেছেন। তবে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। আমটি এখন গাছের মালিক আব্দুর রহমানের কাছে রয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, এলাকার সাবেক মেম্বার সিকিম সকালে লিচু গাছ থেকে আমটি ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে করে যারা আমটি দেখতে আসছে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। মেম্বার আমটি ছিঁড়ে ঠিক করেননি।
অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার সিকিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় লিচু গাছটিতে আমটি দেখার জন্য সারাদিন অনেক দূর থেকে গাড়ি নিয়ে মানুষ এসে ভিড় করছে। আম দেখতে এসে সোমবার আমার ভাতিজা মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে আহত হয়েছে। তাই রাগের মাথায় আমটি ছিঁড়ে ফেলেছি। পরে বুঝতে পেরেছি কাজটি ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ছোট বালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের (মটকি) বাড়িতে একটি লিচু গাছের একটি ডালে ছোট ছোট ৯টি লিচু ধরেছে। ওই গাছে লিচুর একটি থোকায় লিচুর সাথে আম ধরে আছে দেখা যায়। বিষয়টি মটকির নাতি হৃদয় প্রথম দেখতে পায়। সে বিষয়টি তার দাদাকে জানায় ও পরে এলাকার লোকজন জানতে পারেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিচু গাছে আম ধরার বিষয়টি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। এর কোন বৈজ্ঞানিক কারণ বা গ্রামার নেই।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেন, লিচুর গাছে আম আকৃতির ফল ধরা পরাগায়ন বা অন্য কোনো মাধ্যমে হওয়ার কথা নয়। এখানে গবেষণার বিষয় রয়েছে।
লিচু ফলটি বিকৃত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
৩ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে লিচু ও আম আকৃতির ফল ধরার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সদর উপজেলার ছোটবালিয়া সিংগিয়া কলোনিপাড়া গ্রামে গিয়ে এই ঘটনা দেখা যায়।
ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়িতে একটি লিচু গাছের একটি ডালে ছোট ছোট ৯টি লিচু ধরেছে। ওই গাছে লিচুর একটি থোকায় লিচুর সাথে আম সদৃশ ফল ধরে আছে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এলাকার লোকজন এই ঘটনা দেখার জন্য সেখানে ভিড় করে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে ও দূর দূরান্তের লোকজন সেখানে গিয়ে নিজের চোখে দেখে আসছেন।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তি বলেন, ঘটনাটি অলৌকিক। এ জাতীয় ঘটনা এর আগে চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিচু গাছে আম ধরার বিষয়টি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। এর কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ বা গ্রামার নেই।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, লিচুর গাছে আম ধরেছে এটা শুনেছি। সেখানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। তার ভাষ্যমতে লিচুর গাছে আম আকৃতির ফল ধরেছে। পরাগায়ন বা অন্য কোন মাধ্যমে এটা হওয়ার কথা নয়। এখানে গবেষণার বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
লিচু ফলটি বিকৃত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করেন তিনি।
৩ বছর আগে
মৌসুমের শুরুতেই নেত্রকোণায় প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি
নেত্রকোণায় ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমের শুরুতেই মঙ্গলবার প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে উঠতি বোরো ফসল, আম্রমুকুল, লিচুসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৩ বছর আগে