ভোর ৫টায় আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টি আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল। ফলে জেলার সদর, কলমাকান্দা, মদন, খালিয়াজুরি ও পূর্বধলা উপজেলায় বোরোসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
স্থানীয়রা জানান, শীত বিদায়ের পর প্রথম বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার ভোরে। প্রথম বৃষ্টিতেই শিল পড়েছে। এতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলায়। এর মধ্যে অনন্তপুর, ফচিকা, দেওপুর, বালি এলাকায় ভারি শিলাবৃষ্টিতে বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। বোরো ফসলের ক্ষতি ছাড়াও লিচু, আমের মুকুল ব্যাপকহারে ঝরে গেছে। ক্ষতি হয়েছে সবজি জমির।
সদর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আছিয়া বেগম বলেন, ভোরে প্রথমে বৃষ্টি পড়তে থাকলেও শিল ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই শিল পড়া শুরু হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট শিল পড়ে। চাল ভেঙে ছিদ্র হয়ে ঘরের ভেতরেও শিল পড়েছে।
একই গ্রামের কৃষক আইন উদ্দিন বলেন, আমার সবজি ক্ষেতের গাছ মাটিতে মিশে গেছে।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টিতে পাটসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
রফিক মিয়া দেওপুর গ্রামের কৃষক। তিনি বলেন, বৃষ্টিটা বোরো ফসলের জন্য ভালো ছিল কিন্তু শিল পড়ে ধান গাছের গজানো শীষ নষ্ট হয়ে গেছে।
ফচিকা গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, এইবার আম ও লিচু গাছে ফলন ভালো হত। অনেক মুকুল ধরেছিল। কিন্তু শিলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। মুকুল পড়ে গেছে। গাছে যেগুলো আছে তাতেও ফলন হবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জেলার সদরসহ ৫ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে সদরের তিন-চারটা গ্রামে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আম, লিচুর ক্ষতি হয়েছে। তবে বোরো জমির গাছ এখনও কোশা অবস্থায় ও সবজি মৌসুমের শেষ দিকে থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন:নাটোরে শিলাবৃষ্টিতে ২৯০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট, কৃষকের মাথায় হাত
এই বৃষ্টিতে বোরো ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও উপকার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গেছেন। বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ফসলের কোথাও কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানা যাবে।