সোহেল রানা
বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি গঠন করলেন অভিনেতা সোহেল রানা
ঢালিউড অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা 'বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি' নামে একটি নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
নতুন দলের ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে এ মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। শান্তির প্রতীক পায়রাকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢালিউডের 'সোনালি যুগ' খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
১৯৬৫ সালে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সোহেল রানা ইকবাল হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনি উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
প্রবীণ ও প্রশংসিত রুপালি পর্দার অভিনেতা সোহেল রানা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরপরই প্রযোজক হিসেবে পারভেজ ফিল্মস প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন।
এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন' নির্মাণ করেন।
১৯৭৩ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হুসাইনের বিখ্যাত স্পাই থ্রিলার সিরিজ 'মাসুদ রানা'র গল্প অবলম্বনে 'মাসুদ রানা' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়।
অভিনেতা হিসেবে চলচিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সোহেল রানা তার ক্যারিয়ারে আজীবন সম্মাননাসহ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
১ মাস আগে
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত
সাভারের রানা প্লাজা ধসে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ৬ মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই ৬ মাস তার জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
গত ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
পরে রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ফলে রানার মুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর গত ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফের তার জামিনের বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ৬ মাস স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রাখেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের জামিন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
১ বছর আগে
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আপাতত স্থগিতই থাকছে
সাভারের রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) আগামী ১০ জুলাই শুনানি হবে।
এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন হাইকোর্টে স্থগিত
এর আগে এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ মার্চ এ হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে গত ৬ এপ্রিল সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আদেশ স্থগিত
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
১ বছর আগে
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনমুন আক্তার।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে গত বছরের ১ মার্চ রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে আজ সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে সারেন পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজায় আহতদের ৫৬ শতাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি: একশনএইড
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
আরও পড়ুন: অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
১ বছর আগে
চরাঞ্চলের মানুষের গল্প নিয়ে সোহেলের ‘নয়া মানুষ’
চরাঞ্চলের মানুষের গল্প ও গতানুগতির ধারার বাইরে ঢাকাই সিনেমায় প্রায় উঠে এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গল্প। ‘নয়া মানুষ’ সেই সারির নির্মিতব্য একটি সিনেমা। এটি আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের বেদনার বালুচর গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে। পরিচালনায় রয়েছেন সোহেল রানা।
‘নয়া মানুষ’-এর প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন রওনক হাসান এবং মৌসুমী হামিদ। এছাড়াও রয়েছেন আশিষ খন্দকার, বদরুদ্দোজা, সরন সাহা, আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সানজানা, পারভিন পারু, মাহিন রহমান, এ্যাঞ্জেলা, শিশু শিল্পী উষশীসহ চরের প্রায় ২০০ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: প্রথমবার বাবার পরিচালনায় ভাবনা
২ বছর আগে
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন সোহেল রানা
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানার। ১৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে বলে জানান তার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
কিছুদিন আগেই করোনামুক্ত হয়েছেন সোহেল রানা। এরপর থেকেই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়া শুরু করে।
মাশরুর পারভেজ বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বাবা নিউরো কম্প্রোমাইজড জটিলতায় ভুগছেন। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চালাতে হবে। তবে তিনি সবার দোয়ায় সুস্থ রয়েছেন। তিনি এখন করোনামুক্ত। যারা এতদিন বাবার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হয়ে আইসিইউ থেকে কেবিনে সোহেল রানা
২৫ ডিসেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এক হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমা সোহেল রানার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও সফল তিনি। এই দীর্ঘ যাত্রায় তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান তারকা সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্র
সারাদিন বাবার ভালো কোনো খবর নেই: সোহেল রানার ছেলে
২ বছর আগে
বর্ষীয়ান তারকা সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্র
৭০ ও ৮০-এর দশকে হলিউড জুড়ে যখন জেম্স বন্ডের মত স্পাই মুভিগুলো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ঢালিউডের দর্শকদের তখন সেই ড্যাশিং অ্যাকশন হিরোর আমেজ দিয়েছিলেন যিনি তিনি হলেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মধ্য দিয়ে তিনি পদার্পণ করেন চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর অভিনয়ের শুরুটা হয় জনপ্রিয় লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন-এর কালজয়ী চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের একটি গল্প নিয়ে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে। আজকের ফিচারে থাকছে সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্রের কথা।
সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্র
মাসুদ রানা | ১৯৭৪
১৯৬৬ সাল থেকে ক্রমাগত সেবা প্রকাশনীর ব্যানারে প্রকাশিত হওয়া জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ বইটির গল্পে বানানো হয়েছিল এই চলচ্চিত্রটি। পরিচালনায় এবং মূখ্য চরিত্রে ছিলেন সোহেল রানা নিজেই। প্রযোজনায় ছিল তাঁর নিজেরই চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্ম্স। ছবিতে তার সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন অলিভিয়া, কবরী, গোলাম মুস্তাফা, খলিল, ফতেহ লোহানী। অতিথি শিল্পী হিসেবে একটি বিশেষ চরিত্রে ছিলেন ৯০ দশকের নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন আজাদ রহমান। সাদা-কালো সিনেমাটির চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং সম্পাদনায় ছিলেন বশির হোসেন।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
এপার ওপার | ১৯৭৫
আরব্য প্রেম কাহিনী ‘আলী আসমা’ নিয়ে সোহেল রানা নির্মাণ করেছিলেন রোমান্টিক মুভি ‘এপার ওপার’। এখানে প্রধান চরিত্র আলী ভূমিকায় তিনি নিজে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর সহশিল্পী হিসেবে শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন সোমা মুখার্জি, জসিম, সুমিতা দেবী ও খলিল। ছবিটির সংলাপ রচনায় কাজ করেছিলেন আলী ইমাম ও আহমেদ জামান চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আজাদ রহমান। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় বরাবরের মতই ছিলেন যথাক্রমে আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং বশীর হোসেন।
একই চিত্রনাট্য নিয়ে ১৯৮৪ সালে আবুল খায়ের বুলবুল পরিচালনা করেছিলেন ‘আলী আসমা’ সিনেমা। এখানেও আলী চরিত্রে ছিলেন সোহেল রানা।
দস্যু বনহুর | ১৯৭৬
মাসুদ রানার মত দস্যু বনহুরও আরেকটি সাহিত্যিক কথাচরিত্র। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রোমেনা আফাজ। দস্যু বনহুর সিরিজেরই একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয় এই সাদা-কালো চলচ্চিত্রটি। মাসুদ রানার স্টাইলেই স্পাই ও সাসপেন্সের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছিলো এই অ্যাকশন মুভিটি। সারথীর নির্দেশনায় ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ প্রস্তুত করেছিলেন শহীদুল আমিন। দস্যু বনহুর চরিত্রে থাকা চিত্রনায়ক সোহেল রানার বিপরীতে ছিলেন অঞ্জনা। এছাড়া অভিনয়ে আরো ছিলেন সুমিতা দেবী ও নায়ক জসিম।
চিত্রগ্রহণে আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আজাদ রহমান।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
২ বছর আগে
সারাদিন বাবার ভালো কোনো খবর নেই: সোহেল রানার ছেলে
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর এক হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানা। তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানান, তার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘আজ সারাদিন বাবার ভালো কোনো খবর নেই। করোনায় শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। প্রায় শেষ সময়ে একটি ইনজেকশনের প্রয়োজন হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা এখনও কোনো পজিটিভ খবর দিতে পারছেন না। তবে এই ইনজেকশনটা না পাওয়া গেলে খারাপ কিছুও হতে পারতো।’
বাবার জন্য দোয়া চেয়ে মাশরুর আরও বলেন, ‘আমার বাবাকে মানুষ ভালোবাসেন। এ জন্য হয়তো তার চিকিৎসার অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেছে। সবার কাছে দোয়া চাই বাবার জন্য। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে পরিবারে ফিরে আসেন।’
রাজধানীর রামপুরার এক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সোহেল রানা। পরবর্তী অবস্থা অবনতি হলে তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
আইসিইউতে অভিনেতা সোহেল রানা
২ বছর আগে
সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তবে এখনও শঙ্কামুক্ত নন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোহেল রানার ছোট ভাই মাসুম পারভেজ রুবেল জানান, বর্তমানে সোহেল রানা রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন ।
তিনি বলেন, ‘আজ ভাইয়ার শারীরিক অবস্থা খানিকটা উন্নতি হয়েছে। দুপুরে কথা বলেছেন সবার সঙ্গে, খাবারও চেয়েছেন। এটা ভালো দিক। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এমন চলতে থাকলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। সবার কাছে দোয়া চাইছি ভাইয়ার জন্য।’
সোহেল রানার অসুস্থতার খবর পেয়ে তার ছেলে মাশরুর পারভেজ গতকাল যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসেন।
উল্লেখ্য,গত কয়েক দিন ধরে জ্বর-কাশিতে ভুগছিলেন সোহেল রানা। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৫ ডিসেম্বর রাতে এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে রাজধানীর রামপুরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন: আইসিইউতে অভিনেতা সোহেল রানা
হাজংদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে ডকুফিল্ম
২ বছর আগে
আইসিইউতে অভিনেতা সোহেল রানা
কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার এই কিংবদন্তী অভিনেতাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন তিনি।
অভিনেতার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন,আমাদের প্রিয় নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা আইসিইউতে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্রের ড্যাশিং হিরো সোহেল রানা সত্তরের দশকের মাঝ থেকে আশির দশক পর্যন্ত সুপারস্টার ইমেজে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন দর্শক প্রিয়তা। তিনি দর্শকদের অনেক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে এই নায়ক তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে প্রথম ওয়েব ফিল্মে হিমি
তিশার কোলে আসছেন নতুন অতিথি
২ বছর আগে