বিশ্ব পরিবেশ দিবস
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, ক্রমবর্ধমান জলবায়ুর প্রভাব ও ব্যাপক দূষণ থেকে গ্রহের প্রয়োজনীয় বাস্তুসংস্থান রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাস্তুসংস্থান ও ভূমি পুনরুদ্ধারে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৈশ্বিক চুক্তি ‘কুনমিং-মন্ট্রিল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’র অধীনে দেশগুলোকে তাদের সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলো কীভাবে বন উজাড় প্রতিরোধ এবং বনায়ন বাড়াবে তা ঠিক করতে অবশ্যই তাদের জাতীয় জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে আমাদের অবশ্যই ব্যাপকভাবে অর্থায়ন বাড়াতে হবে।’
১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন হচ্ছে। এ দিন পরিবেশ নিয়ে ভাবনার প্রসারের জন্য বৃহত্তম বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সবুজ জলবায়ু তহবিলের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বঞ্চিত: টিআইবি
এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা, অর্জন করতে হবে খরা সহনশীলতা।’
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে চাইলে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ করা প্রতিটি ডলার অর্থনৈতিক সুবিধার ক্ষেত্রে ৩০ ডলারেরও বেশি ফেরত দেবে।’
অনিয়ন্ত্রিত দূষণ, জলবায়ু বিশৃঙ্খলা ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস রোধে ব্যর্থতা সবার কাছে দৃশ্যমান। স্বাস্থ্যকর, উর্বর জমিগুলো মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে, সমৃদ্ধ বাস্তুসংস্থান মৃত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বাড়ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এর মানে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানির উৎসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সম্প্রদায়গুলো বিপন্ন হয়ে পড়ছে- আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এই অবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুনরুদ্ধারকারী প্রজন্ম। আসুন আমরা ভূমি ও মানবতার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে রবিবার ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’
আগামী রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’ নামে একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়ে আসছে জেসিআই ঢাকা নর্থ,ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ,রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা।
বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলের উপযোগী করা,দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং বুড়িগঙ্গার নদী দূষণের শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন আয়োজকরা।
রবিবার (৫ জুন) সকাল ১০ টা থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ এলাকায় আয়োজিত এই গণগোসল অনুষ্ঠানে নদীপাড়ের মানুষ,কর্তব্যরত ব্যক্তিবর্গ, পরিবেশকর্মী,গবেষক,শিক্ষক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,যুব নেতৃবৃন্দ, সেলিব্রেটি ও মিডিয়া কর্মীসহ কয়েকশ’ মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
শুরুতে থাকবে নদী পাড়ের মানুষের সাথে সংলাপ ও সচেতনতা কর্মসূচ্।ি এরপর গণগোসলে অংশ নেবেন অংশগ্রহণকারীরা; যেখানে নদীরক্ষা বিষয়ক বার্তা তুলে ধরবেন তারা। গণগোসলের পর সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অংশ নেবেন অংশগ্রহণকারীরা।
বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা শহরের জন্য শুধু অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণই নয়,বরং এটি ঢাকার ত্রাণকর্তাও। নদীটির তীরে ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে। আজ এই নদী সামগ্রিকভাবে দূষণে জর্জরিত। কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য,গৃহস্থালির বর্জ্য,চিকিৎসা বর্জ্য,পয়োনিষ্কাশন,মৃত প্রাণী,প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গাকে প্রতিনিয়তই দূষিত করে যাচ্ছে;নষ্ট হচ্ছে ইকোলজিকাল ভারসাম্য। যার ফলে প্রাণ হারাচ্ছে এই নদী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন,‘পরিবেশ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে আমাদের কাজ করতেই হবে। বুড়িগঙ্গা নদী কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন,‘বুড়িগঙ্গার দূষণের কারণে আশপাশের পরিবেশ, নদী জীবন ও মানুষ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দূষণে অত্র অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। গণগোসল কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই দূষণের প্রতিবাদ জানাতে চাই।’
‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’-এর সমন্বয়ক ও জেসিআই ঢাকা নর্থ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,‘মানুষের জীবন,সম্পদ। সর্বোপরি ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে বুড়িগঙ্গা ও এর বৈচিত্র্যকে বাঁচাতে হবে। ভিন্নধর্মী এই আয়োজনে মধ্য দিয়ে আমরা বুড়িগঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং বুড়িগঙ্গার পানিকে গোসলের উপযোগী করতে সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই।’
এই আয়োজনে অংশীদার হিসেবে আছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ গবেষণা কেন্দ্র- স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাচ বাংলাদেশ, গ্রিন সেভার্স, কানেক্ট৩৬০, সবুজপাতা, রিভার বাংলা, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন, নদীযাত্রিক, নদীটিভি, বুড়িগঙ্গা রিভার কোয়ালিশন, জেনল্যাব, ও ঢাকা ইয়্যুথ ক্লাব।
আরও পড়ুন: মা দিবসে মায়ের জন্য সেরা উপহার
ঐতিহাসিক মে দিবস আজ
২ বছর আগে
পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে চারা রোপণের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করেন তিনি।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সবুজায়ন বাড়ানোর জন্য দেশের মানুষকে বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এই দেশটি আমাদের। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে চাই তবে আমাদের এই সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নিজে বৃক্ষরোপণ করে যেখানে যতটুকু জায়গা পাওয়া যায় দেশবাসীকে সেখানে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে একটি চারা রোপণ করুন। তবে ভালো হয় যদি আপনি তিনটি চারা রোপণ করতে পারেন। আমি চাই আপনি তিনটি চারা একটা ফলজ, একটা বনজ এবং একটা ভেষজ রোপণ করুন।’
আরও পড়ুন: আগামী ১০ বছরে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে বাঁচার শেষ সুযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১ উদযাপন করা হচ্ছে।
‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৫ জুন শনিবার বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে।
৩ বছর আগে
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করল ওয়াইল্ডটিম
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ওয়াইল্ডটিম শুক্রবার বিশ্বব্যাপী সচেতনতা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানোর মধ্যে দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করেছে।
৪ বছর আগে
আমাদের অবশ্যই প্রকৃতির যত্ন নিতে হবে: জাতিসংঘ প্রধান
প্রকৃতি সবার কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠিয়েছে উল্লেখ করে সবাইকে প্রকৃতির যত্ন নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
৪ বছর আগে
বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ
বিশ্বব্যাপী সচেতনতা এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
৪ বছর আগে