স্ট্রোক
তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
স্ট্রোক এমন এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেবল বার্ধক্য পীড়িতদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও রয়েছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। আর এই প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই স্বাস্থ্য সংকট নিয়েই আজকের স্বাস্থ্য-বিষয়ক নিবন্ধ। কোন কোন বিষয়গুলো এর জন্য দায়ী, কিভাবে তা শনাক্ত করবেন, এ থেকে বাঁচার উপায়ই বা কি- চলুন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
তরুণদের মাঝে স্ট্রোকের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ
তৈলাক্ত বা ভাজা খাবারের প্রতি আসক্তি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুগুণে বেড়েছে ভাজা-পোড়া খাবারের বিচিত্রতা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত রেস্তোরাঁ পর্যন্ত সর্বত্র রীতিমত উৎসবমুখর আয়োজনে চলে নিত্য-নতুন পরিবেশনা। আর সেগুলোতেই হামলে পড়েন তরুণরা। এদের মধ্যে যাদের একটু বেশি ভোজনপ্রীতি রয়েছে, তারা কোনোরকম বাছ-বিচারের তোয়াক্কা করেন না। ফলে দেখা দিচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল- যার প্রতিটিই স্ট্রোকের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
এই মুখরোচক খাবারগুলোতে থাকে ট্রান্স ফ্যাট, পরিশোধিত শর্করা এবং অত্যধিক সোডিয়াম। এই উপাদানগুলো ধমনীতে প্লাক তৈরি করে রক্তের প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটায়। কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত এই ভোজ অভ্যাসে পরিণত হলে তা প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণ হয়। এর ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয় ও চরম পর্যায়ে পুরো নালীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পরিণতিতে স্ট্রোক হয়।
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
শরীরের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে কায়িক শ্রমের কাজ। এর বদলে জায়গা করে নিয়েছে মানসিক শ্রমযুক্ত কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত হচ্ছে কম্পিউটারের সামনে বসে। এখানে দীর্ঘ সময় যাবত শরীরের পেশীগুলোর ন্যূনতম নড়াচড়া হয় না।
একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক জীবনব্যবস্থা বিশাল তরুণ সমাজকে ঠেলে দিয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের দিকে। ফলে সবচেয়ে কর্মক্ষম শ্রেণিটির দিনের একটা বড় সময় কেটে যাচ্ছে বসে বা শুয়ে থাকা।
এই অচলাবস্থা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে তোলে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব রক্ত সঞ্চালনের দক্ষতা হ্রাস করে, যার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। আর এরই কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের উপক্রম হয়। এগুলো সবই স্ট্রোকের দিকে পরিচালিত করে। নিষ্ক্রিয় পেশীগুলো রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে রক্তের ধমনীতে ক্লট তৈরি হয়ে স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন: বাইপোলার ডিসঅর্ডার: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
ধূমপান এবং উদ্দীপক পানীয় গ্রহণ
তামাক ব্যবহারে ধমনীকে শক্ত করে দেয়, যার ফলে বাড়ে রক্তের চাপ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় রক্তনালী। নিকোটিন এবং কার্বন মনোক্সাইড মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমায়, যা ক্লট গঠনের অন্যতম প্রধান কারণ। উপরন্তু, উচ্চ ক্যাফেইন বা উদ্দীপক পানীয় হৃৎপিণ্ডের নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটায় এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এই পদার্থগুলোর অত্যধিক সেবন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এতে দীর্ঘমেয়াদে রক্তনালী ধ্বংস হয়, যা স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ।
দুশ্চিন্তা ও মানসিক অসুস্থতা
বিগত দশকে শারীরিক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মানসিক জটিলতাগুলো। অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা ও নিরাশার নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হওয়া জনগোষ্ঠির একটা বিশাল অংশ তরুণ সম্প্রদায়।
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তচাপ ও প্রদাহ বৃদ্ধিতে অংশ নেয়, যেগুলো স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়। উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ক্ষতিকারক পদার্থ সেবনের সঙ্গে জড়িত। উপরন্তু, রক্ত সঞ্চালনে চাপের তারতম্য ক্ষণস্থায়ী স্ট্রোকের সূত্রপাত ঘটায় যেটি ইস্কেমিক অ্যাটাক নামে পরিচিত। এর আরেক নাম মিনি-স্ট্রোক, যা সাধারণত বড় কোনও স্ট্রোকের আগে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
স্ট্রোকের যে লক্ষণগুলো তরুণদের মধ্যে দেখা যায়
আকস্মিক দুর্বলতা
স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় লক্ষণগুলোর একটি হচ্ছে হঠাৎ দুর্বলতা বা অসাড়তা। এটি সাধারণত শরীরের যে কোনও একপাশ অসাড় হওয়া থেকে শুরু হয়। শরীরের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের নেপথ্যে থাকে মূলত মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল। সেখানে রক্ত প্রবাহ না গেলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় পর্যুদস্ত ব্যক্তিরা তাদের এক হাত বা পা তুলতে বেশ ভারী অনুভব করে। কারও ক্ষেত্রে তাদের মুখের একপাশ ঝুলে যায়। কোনও ক্ষেত্রে এই দুর্বলতা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কথা বলার সময় শব্দ উচ্চারণে প্রতিবন্ধকতা
মস্তিষ্কের একটি অংশ রয়েছে যেটি কথা বলার সময় মুখের স্বাভাবিক পেশী সঞ্চালন অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অঞ্চলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কথা বলার সময় সুসংগত বাক্য গঠনে অসুবিধা হয়। কিছু ব্যক্তি অ্যাফেসিয়া অনুভব করতে পারে। এটি এমন এক অবস্থা যেখানে সঠিক শব্দটি স্মরণে আসে না বা কথাগুলো অসংলগ্ন হয়। কেউ কেউ ডিসার্থ্রিয়ায় ভুগেন। এর ফলে মুখ এবং জিহ্বার পেশী দুর্বল হয়ে যায় বিধায় উচ্চারণ সমস্যা দেখা দেয় এবং শব্দগুলো অস্পষ্ট শোনায়। এই উপসর্গগুলো হঠাৎ ঘটতে পারে এবং পরবর্তীতে এর তীব্রতা ওঠানামা করতে পারে।
আরো পড়ুন: রক্তের গ্রুপ: কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত
মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং এলাকাটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে রক্ত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে দৃষ্টিশক্তিতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক বা উভয় চোখে অস্পষ্ট দেখে, কেউ কেউ সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। সাধারণ লক্ষণের মধ্যে আরও রয়েছে ডিপ্লোপিয়া বা ডাবল ভিশন, যার ফলে ব্যক্তি যে কোনও জিনিস দুটো দেখতে পায়। এক চোখে অস্থায়ী অন্ধত্ব অ্যামাউরোসিস ফুগাক্স নামে পরিচিত। এটি আসন্ন স্ট্রোকের জন্য একটি সতর্ক সংকেত।
গুরুতর মাথাব্যথা
তীব্র মাথাব্যথা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পূর্বাভাস হতে পারে যার কারণে হেমোরেজিক স্ট্রোকের উপক্রম হয়ে থাকে। সাধারণ মাথাব্যথার সঙ্গে এর পার্থক্য হলো এটি আকস্মিকভাবে বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বমি বমি ভাব, বমি; এমনকি ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন না। কোনো কিছু না ধরে হাঁটা বা দাড়িয়ে থাকা তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
সাধারণ বোধের অবনতি এবং স্মৃতিভ্রম
মূল সমস্যাটা যখন মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক, তখন বোধগম্যতা ও স্মৃতিশক্তির বিলোপ ঘটাটা স্বাভাবিক। এর শুরুটা হয় আকস্মিকভাবে কোনো কিছু ভুলে যাওয়া থেকে। ব্যক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন না। কি কি বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে সামঞ্জস্যতা বিধান করা এদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। কেউ কেউ পরিচিত লোকেদের পরিপূর্ণভাবে চেনার জন্য বেশ সময় নিয়ে ফেলেন। এদের অনেকেই পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা হতবাক বা নির্লিপ্ত হয়ে যান।
আরো পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন
তরুণদের মধ্যে যারা নিয়মিত ধূমপান ও উদ্দীপক পানীয় গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে রয়েছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সর্বাধিক। এছাড়াও অতিরিক্ত স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং দীর্ঘ সময় বসে থাকা সামগ্রিকভাবে স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ায়।
উপরন্তু, পরিবারে পূর্বে কারও উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত জমাট বাঁধার ব্যাধি থাকলে তারাও এই ঝুঁকির আওতায় পড়েন।
তরুণদের স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
সুষম খাদ্যাভ্যাস গঠন
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় খাবার, ফলমূল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন কোলেস্টেরল গঠন প্রতিরোধ করে ধমনী সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। মাছ এবং বাদামে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। অপরদিকে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সম্মিলিতভাবে এই খাবারগুলো স্ট্রোকের বিরুদ্ধে শরীরকে রীতিমত দূর্গ বানিয়ে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
নিয়মিত শরীর চর্চা
সুষম খাবার গ্রহণ এবং উপযুক্ত শরীর চর্চা উভয়েরই যুগপৎভাবে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে রক্তচাপ হ্রাস করে এবং স্থূলতা প্রতিরোধ করে। দ্রুত হাঁটা, জগিং এবং সাইকেল চালানোর মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়, যা ধমনীকে শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে দূরে রাখে। শরীর চর্চা বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমুন্নত রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও শারীরিক অনুশীলন প্রদাহ কমায়, যা রক্তে ক্লট তৈরির প্রধান প্রভাবক।
ক্ষতিকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা
স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য তামাক, অ্যালকোহল ও অন্যান্য মাদক থেকে দূরে থাকা অত্যাবশ্যক। এমনকি সাধারণ ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলানোর জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতার সরণাপন্ন হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ও আশেপাশে থাকা আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিরও পরম সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টা থাকা জরুরি। তাৎক্ষণিক ভাবে পরিত্যাগের সুযোগ না থাকলেও প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যান্য ইতিবাচক কায়িক শ্রমযুক্ত কাজের মধ্য দিয়ে মনকে সার্বক্ষণিক ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে হবে। একই সঙ্গে অবসরগুলো প্রিয় জনদের আন্তরিক আড্ডায় ভরিয়ে তুলতে হবে।
আরো পড়ুন: সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা
স্ট্রোকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার জন্য স্বাস্থ্যকর ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। রাত জেগে কাজ করে দিনে ঘুমানো মোটেই উৎপাদনশীলতার সহায়ক নয়। বরং তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য বিনষ্টের পটভূমি তৈরি করে। রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও দেরি করা অনুচিত। কারণ এর ধারাবাহিকতায় এক সময় পুরো রাত অনিদ্রায় কেটে যায়। এর জন্য বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসগুলোতে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনা আবশ্যক। কেননা স্মার্টফোনে অতিবাহিত সময়ের বিস্তৃতি গভীর রাত ছাড়িয়ে যায়। এই কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের সিংহভাগ তরুণ সমাজকে প্রায় অনিদ্রায় ভুগতে দেখা যায়।
এই সমস্যার নিরসণকল্পে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ে ভোরে সূর্যের আলো ফোটার আগেই উঠে যাওয়া উত্তম। এটি মুক্ত বাতাসে শারীরিক অনুশীলনের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। ঘুমাতে যাওয়া এবং জেগে ওঠার সময়টিও প্রতিটি একই ভাবে অনুসরণ করতে হবে। ঘুমের ভিন্ন রুটিন মন-মেজাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা পরিণতিতে স্বাস্থ্যহানির অবতারণা ঘটায়।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানো
হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ফাংশনের জন্য খাওয়া, ঘুম, ও ব্যায়ামের পাশাপাশি মানসিক চাপমুক্তিও দরকারি। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বদমেজাজ সম্পন্ন ব্যক্তিদের রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেশি থাকে। এর বিপরীতে ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং নিয়মিত শরীর চর্চা মানসিক ভারসাম্যের ক্ষেত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
এর সঙ্গে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে যুক্ত হতে পারে যে কোনও কাজ-কর্মে ইতিবাচকতা এবং স্বল্পতুষ্টি। এই দৃষ্টিভঙ্গি উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা মানসিক আঘাতকে লাঘব করার শক্তি দেয়। নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনাগুলোর প্রতিক্রিয়া কিভাবে করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয় একজন ব্যক্তির জীবন-ব্যবস্থা। ভালো-মন্দ নির্বিশেষে প্রতিটি ঘটনায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক সাড়া প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ মনের বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
শেষাংশ
তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ক্রমবর্ধমান ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন এবং মানসিক অসুস্থতা। কায়িক শ্রম না করা ও ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাস এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করে। এর ফলে আকস্মিক দূর্বলতা, উচ্চারণগত অস্বাভাবিকতা, দৃষ্টি, বোধ ও স্মৃতি শক্তির অবনতির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। রুটিন মাফিক সুষম আহার, ঘুম ও শরীর চর্চার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারণ পদ্ধতি বাঁচাতে পারে এই মরণঘাতী স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে। পাশাপাশি মনের সুস্থতার লক্ষ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানোও জরুরি। এই পদক্ষেপগুলোর দৌলতে দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রোকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
আরো পড়ুন: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
২৮৯ দিন আগে
স্ট্রোকে আক্রান্ত নাফিস ইকবালকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে
ঢাকা, ৫ জুলাই (ইউএনবি)-চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে সাবেক এই ব্যাটার ও বর্তমান লজিস্টিক ম্যানেজারকে ঢাকায় আনা হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তিনি মাইনর স্ট্রোকে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: হারের পর যা বললেন মার্করাম
তিনি বলেন, 'নাফিসের মাইনর স্ট্রোক হয়েছে। তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় এনে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
৩৯ বছর বয়সি নাফিস বাংলাদেশের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। তিনি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনি কখনই তার দক্ষতার প্রতি ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হননি। তিনি ২০০৩ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের প্রায় এক বছর পরে ২০০৪ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার একমাত্র সেঞ্চুরিটি আসে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচে।
খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেওয়ার পর বিসিবির মিরপুরে সদর দপ্তর কিংবা দলের সঙ্গে নাফিস বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সর্বশেষ দলের লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাফিস চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য ক্রিকেট পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের ভাতিজা এবং জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই।
আরও পড়ুন: যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার বেশিরভাগই গুজব: তাসকিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না ঘূর্ণিঝড় বেরিল
৫১৭ দিন আগে
নয়াপল্টনের জনসভায় স্ট্রোক করে বিএনপি নেতার মৃত্যু
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে মিছিলের মধ্যেই স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা । শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনের জনসভায় ঘটনাটি ঘটে।
মৃত বিএনপি নেতার নাম মাহমুদুর রহমান (৬২) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
সমাবেশে যোগদানকারী দলীয় নেতারা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনের জনসভায় মাহমুদুর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাহমুদুরের বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, তার ছোট ভাই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ও ওষুধ খেতেন।
আরও পড়ুন: সমাবেশস্থলে পৌঁছাতেই আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর স্লোগান
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
৮৬০ দিন আগে
স্ট্রোক চিকিৎসা সেবায় রুপান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সায়েন্টেফিক সেমিনার
দক্ষ, অভিজ্ঞ, মেধাবী বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে আছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এদের অনেকেই যে যার ক্ষেত্রে কাজ করছেন সুনামের সঙ্গে। এমনই কিছু বাংলাদেশের চিকিৎসক গেল ২০২০ সালের জুলাই মাসে গড়ে তোলেন প্ল্যানেটরি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া- পিএইচ এ নামে একটি সংগঠন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের দেড়শ’র বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক যাদের লক্ষ্য দেশের চিকিৎসক- স্বাস্থ্য গবেষকদের সঙ্গে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সেতুবন্ধন তৈরি করা। যে সেতুবন্ধনে ভাবনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে- কমিয়ে আনা যাবে জানা-বোঝার দূরত্ব।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগও তৈরি হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পিএইচএ এরইমধ্যে দুই বছরেরও বেশি সময়ে অনেকখানি এগিয়েছে।
সময়ের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যেমন হচ্ছে তেমনি বাড়ছে নানারকম অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও।
গত শুক্রবার গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে প্ল্যানেটরি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া আয়োজন করে সায়েন্টেফিক কনফারেন্সের পিএইচ চেয়ারপার্সন ড. তাসবিরুল ইসলামের উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপী কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সেমিনার
জানা গেছে,শুক্রবার, ১১ নভেম্বর গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে সায়েন্টেফিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি জাতীয় নিউরোসায়েন্সে হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট এর পরিচালক ও বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-বিসিপিএস এর সভাপতি ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ড. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ কোরেশি, এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. মইনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ড. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, পিএইচএ সব সময় চায় সমসাময়িক উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতা দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে আদান- প্রদান করতে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য গবেষণার সঙ্গে তরুণ ও মেধাবীদের সংযোগও ঘটাতে সংগঠনটির নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করোনা মহামারিতে পিএইচএ দূরে বসেও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও বলেন ড. তাসরির।
তিনি বলেন, স্ট্রোকের ভয়াবহ পরিণাম ও বাড়তে থাকা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগ জাগাচ্ছে সব মহলে,একইভাবে স্ট্রোক চিকিৎসাতেও রুপান্তর ঘটানোর সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন- সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
কনফারেন্সে নিউরোলজির প্রায় দেড়শ’ চিকিৎসক দেশের ও বিদেশের ১৬ জন বিশেষজ্ঞের বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন। সবকটি সেশন শেষে অতিথি ও প্যানেলিস্টদের মাঝে প্রশ্নোত্তর পর্বও অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনে ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম,এনএইচএস যুক্তরাজ্যের হেমাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আমিন ইসলাম স্ট্রোকে দ্রুত চিকিৎসার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। চারটি বাস্তব উদাহরণে তিনি দেখান কিভাবে প্রাথমিক অবস্থাতেই সঠিক চিকিৎসা রোগীর জীবন বাঁচিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম চার ঘন্টা অত্যন্ত নাজুক। যত সময় যেতে থাকে স্ট্রোক রোগীর নিউরন ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে।
অন্যান্য সেশনে বক্তা হিসেবে ছিলেন, যুক্তরাজ্যের দি রয়্যাল লন্ডন হসপিটাল,বারটস হেলথ এনএইচএস ট্রাস্ট এর কনসালটেন্ট ড. অলিভার স্পুনার, যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. ডেভিড হারগ্রোভ, যুক্তরাজ্যের কেন্টের স্ট্রোককেয়ার বিশেষজ্ঞ ড. সাইদুর রহমানসহ অন্যরা।
প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ। প্রতিকারওযোগ্য বটে। স্ট্রোকের রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া গেলে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক মৃত্যুর অন্যতম কারণ। তাই এর আধুনিক চিকিৎসা জানা থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ ভবিষ্যতের যেন বহু মানুষ স্ট্রোকে পঙ্গুত্ব বরণ করে দেশের জন্য বোঝা না হয় তাই বৈশ্বিক স্ট্রোক চিকিৎসা গাইডলাইন ও প্রটোকল এখানেও প্রয়োগ করার ওপর জোর দেন তিনি।
অধ্যাপক ড.কোরেশী বলেন, ‘গেল কয়েক বছরে স্ট্রোকের চিকিৎসায় অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। উন্নত বিশ্বে রোগীর চিকিৎসা শুরু হয় বাড়িতেই। সেখানে জনসাধারণ স্ট্রোকের লক্ষণগুলো জানেন ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। এতে বহু মানুষ যেমন প্রাণে বেঁচে যান। পঙ্গুত্বের হাত থেকেও রক্ষা পান’।
স্ট্রোক নিয়ে সায়েন্টেফিক কনফারেন্সের সায়েন্টেফিক সহযোগী হিসেবে ছিল ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইউনাইটেড হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
১১১৭ দিন আগে
বেনাপোল চেকপোস্টে স্ট্রোক করে ভারতীয় নারীর মৃত্যু
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে স্ট্রোক করে ৫১ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বহির্গমন সাইডে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পাসপোর্ট যাত্রীর নাম বিপ্লবী দাস (৫১)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাগান এলাকার রবিতোষের স্ত্রী।
মৃত বিপ্লবী দাসের ভাইপো শান্ত চন্দ্র দে জানান, তারা কয়েকদিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। আজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বেনাপোল এসে তারা প্রথমে ট্রাভেল ট্যাক্স ও পোর্ট ট্যাক্স দেয়। তারপর কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের লাইনে দাঁড়ান। অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর এক পর্যায়ে তার পিসি অসুস্থবোধ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য ভারতীয় এক নারী যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য নাভারন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক জানান হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোলে অস্ত্র ও গুলি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল সীমান্তে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
১১২২ দিন আগে
স্ট্রোকের পর নাসিমের সফল অস্ত্রোপচার
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শুক্রবার সকালে স্ট্রোক করার পর তার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
২০০৮ দিন আগে