কুয়েত
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কুয়েতের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে স্থায়ী ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির প্রশংসা করে ১৯৭৪ সালে বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের একীভূতকরণে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিাবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কুয়েতের দৃঢ় সমর্থনে বাংলাদেশ বিদ্যমান বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করবে।
জবাবে কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ পেশাজীবী, বিশেষ করে প্রকৌশলী, চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগ জোরদার করার জন্য কুয়েতের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আল আদওয়ানি কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কেএফএইডি) মাধ্যমে যৌথ উন্নয়ন উদ্যোগে অর্থায়নে কুয়েতের আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন। এ ধরনের প্রকল্পগুলোর পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে থাকাকালীন শেখ হাসিনাকে ‘অবশ্যই চুপ’ থাকতে হবে: ইউনূস
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিশেষ করে পারস্পরিক কূটনৈতিক প্লট বিনিময় সুবিধার্থে রাষ্ট্রদূতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, কুয়েত চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণ শিগগিরই শুরু হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ১৯৯১ সালে কুয়েতের স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে কুয়েতের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের শেষ দিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে ফিরে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ঢাকার
৩ মাস আগে
কুয়েত আরও বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেবে: রাষ্ট্রদূত
কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিকসহ আরও মানবসম্পদ নিয়োগ করবে কুয়েত।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ‘বাংলাদেশের একজন চমৎকার বন্ধু’ ছিলেন এবং আগামী দিনগুলোতেও তিনি এই ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কুয়েতের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে আশাবাদী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেছে, উপসাগরীয় দেশ আমিরাতে তিন লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করেন এবং তার দেশ বাংলাদেশ থেকে আরও শরণার্থী নিয়োগ করতে আগ্রহী।
কুয়েতে পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সেনা কর্মরত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা আরও চিকিৎসক, নার্স ও প্রকৌশলী নিয়োগ দিতে চাই।’
বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা, প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গা সংকট, ফিলিস্তিন ইস্যু এবং জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ে সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রমে সমর্থনের জন্য কুয়েতকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে জ্বালানি ও বিনিয়োগে বৃহত্তর সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
বাংলাদেশ শিগগিরই স্বাভাবিকতা, স্থিতিশীলতা, ঐক্য ও সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
৩ মাস আগে
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সন্ধ্যায় কুয়েত রাষ্ট্রের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহের মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে এক শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতের নতুন আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ড. মোমেন কুয়েতের রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং বন্ধুপ্রতীম জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
তিনি কুয়েত রাষ্ট্রের আমিরের দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নতুন আমিরকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মোমেন কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে মরহুম আমিরের মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দিলে নতুন আমির ইতিবাচক সাড়া দেন।
কুয়েতের আমির শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার পরিচালকসহ (এফএমও) ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত ও বিদায় জানান কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বার্তা নিয়ে রবিবার কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল -সাবাহের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কুয়েতের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুয়েতের আমির মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানাবেন মোমেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতে এমপি পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড
সকালে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ড. মোমেন কুয়েতে আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত কুয়েত সরকার আয়োজিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আগামীকাল কাল সকালে ঢাকায় ফিরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ২০ এজেন্টকে পুরস্কৃত করল কুয়েত এয়ারওয়েজ
১ বছর আগে
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর কাছে পাঠানো তার সই করা এক চিঠিতে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি কুয়েতের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি যেন তাকে জান্নাতের সর্বোত্তম স্থান দান করেন।’
তিনি আরও বলেন, শেখ নওয়াফ ছিলেন এই সময়ের বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন প্রতিশ্রুতিশীল, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতা।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি আরব ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একজন গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশের একজন বিশ্বস্ত ও উদার বন্ধু ছিলেন।’
তিনি কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে আমিরের অপরিসীম অবদানের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তার উৎসাহ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কথাও আমি স্মরণ করি। আমি বিশ্বাস করি মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও প্রয়াত আমিরকে তার দীর্ঘস্থায়ী মানবিক প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের জন্য স্মরণ করা হবে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত মঙ্গল ও সুখ কামনা করেন এবং কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও কুয়েতের দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দৃঢ় সহযোগিতা অর্জনের লক্ষ্যে শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
কুয়েতের সাবেক আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ইসলামিক বিশ্বের উন্নয়নে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কুয়েতের সাবেক আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। কুয়েত আমিরের পরিবার ও তার দেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতের জনগণের উত্তরোত্তর শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেন। আগামীতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
১ বছর আগে
আগামীকাল কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে এবং সেখানে প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কুয়েত যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ ৩ বছরের রাজত্বের পর শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, কুয়েতের মন্ত্রিসভা শনিবার কুয়েতের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহকে আমির হিসেবে মনোনীত করেছে।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ মারা গেছেন
কুয়েতের শাসক আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ (৮৬) মারা গেছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করা হয়েছে।মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার আমিরি আদালতের মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল সাবাহ একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পাঠ করেন।
এতে বলা হয়, ‘খুব শোক ও দুঃখের সঙ্গে আমরা কুয়েতের জনগণ, আরব ও ইসলামিক দেশগুলো এবং বিশ্বের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে জানাচ্ছি, আজ মহামান্য আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’
তবে কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর কোনো কারণ জানায়নি।
শেখ নওয়াফের সৎ ভাই শেখ মেশাল আল আহমাদ আল জাবের (৮৩) এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক যুবরাজ।তিনি কুয়েতের শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিবেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৩২
নভেম্বরের শেষ দিকে শেখ নওয়াফকে অজ্ঞাত অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকেই ক্ষুদ্র তেল সমৃদ্ধ দেশটির জনগণ তার সুস্থতার সংবাদের অপেক্ষায় ছিল।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, তিনি ২০২১ সালের মার্চ মাসে শারিরীক পরীক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।২০২০ সালে তার পূর্বসূরি প্রয়াত শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহের মৃত্যুর পরে আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ।
কূটনীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত শেখ সাবাহের মৃত্যুতে সমগ্র অঞ্চল শোক পালন করছে।শেখ নওয়াফ এর আগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে শেখ নওয়াফ একটি সাধারণ ক্ষমা ডিক্রি জারি করে প্রায় অর্ধশতাধিক কুয়েতি ভিন্নমতাবলম্বীর শাস্তি ক্ষমা এবং হ্রাস করে একটি বড় সরকারি অচলাবস্থাকে প্রশমিত করেন।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে তিনি তার অসুস্থতার ঠিক আগে আরেকটি নির্দেশ জারি করেছিলেন।যার ফলে তার শাসনামলে কুয়েতে তিনটি পৃথক সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
কুয়েতকে উপসাগরীয় মুক্ত সংসদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে ভিন্নমতের অনুমতি দেয়।
এছাড়া, তার শাসনকালে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের রাষ্ট্রগুলো দোহাকে বয়কটের কয়েক বছর পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছে, আঞ্চলিক উত্তেজনা কমেছে এবং শেখ নওয়াফ অভ্যন্তরীণ সঙ্কট সমাধানে মনোযোগ দিয়েছে।
কুয়েতে প্রায় ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের বসবাস, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির চেয়ে সামান্য ছোট এবং বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলের মজুদ রয়েছে এখানে।
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকেই কুয়েত কট্টর মার্কিন মিত্রদেশ।
কুয়েতে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জন আমেরিকান সৈন্য রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
১ বছর আগে
বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত বছর এক সফরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ বাংলাদেশে একটি জ্বালানি তেল শোধনাগার নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শোধনাগারের জন্য জমি প্রদান করতে সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট যৌথ কমিশনের সভা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বার্তা নিয়ে রবিবার কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কুয়েতের সহায়তার প্রশংসা করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যখন আসে সেসময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কুয়েতের অবদানের কথা তিনি বিশেষ করে স্মরণ করেন এবং ওই সহায়তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তিনি কুয়েতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানান।
পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন যে তার দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করবে। বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানিকে বাংলাদেশের আইটি পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন এবং বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদে পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন ২০০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এরপর তিনি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ আর্থ-সামাজিক খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূতকে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যখাতসহ সহযোগিতার নতুন ও উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতের করা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তাকে সমস্যার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কুয়েত সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে উন্নয়ন ও শান্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে