কালো টাকা
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
সাধারণ ক্ষমার আওতায় কালো টাকার মালিকদের কর প্রদানের হার ৮০ দশমিক ৮৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ৩০০ জন হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ১২ হাজার।
সোমবার বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
গত অর্থবছরে শেয়ারবাজারে সমন্বয়, জমি-ফ্ল্যাট ক্রয়, ব্যাংকে টাকা রেখে সব ধরনের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ছিল।
তবে বছর শেষে দেখা গেছে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র দুই হাজার ৩০০ করদাতা এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এত কম সাড়াদানের পেছনে গত বছর উচ্চ কর আরোপকে দায়ী করা হচ্ছে।
অর্থবছর ২২ এর ২৫ শতাংশের তুলনায় অর্থবছর ২১ এ করের হার ছিল ১০ শতাংশ।
এছাড়া কালো টাকা সাদা করতে ওই করের ওপর পাঁচ শতাংশ জরিমানাও দিতে হতো। এতে মোট করের হার দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এ কারণে সাড়া কম ছিল।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, এ ধরনের সুযোগ দেয়া অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় নৈতিকতার বিনিময়ে এই ধরনের সুযোগ থেকে খুব কমই লাভ হয়েছে।
এ ধরনের সুযোগ শুধু দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দেয় এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে বলেও জানান টিআইবি প্রধান।
২০ দশমিক ৫০ ট্রিলিয়ন টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব বিইএ’র
কালো ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির (বিইএ) সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে কালো টাকার পরিমাণ ৮৮ দশমিক ৬১ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি। যার মধ্যে একই সময়ে বিদেশে পাচার হয়েছে আট লাখ কোটি টাকা।
রবিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিইএ’র বিকল্প জাতীয় বাজেট উপস্থাপন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
৩৩৮ সুপারিশসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটের জন্য বিকল্প বাজেটের আকার ২০ দশমিক ৫০ ট্রিলিয়ন টাকা।
এই বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন টাকা। এ ছাড়া বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রত্যক্ষ কর এবং কালো ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটে বৈদেশিক ঋণ ও ব্যাংক ঋণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিইএ’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে
জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
বাজেট: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না দেয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থের মোড়কে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দানের বিষয়ে নতুন করে ঘোষণা না দেয়াকে সতর্ক সাধুবাদ জানাচ্ছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
পাশাপাশি সৎ করদাতাদের প্রতি বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক এই সুবিধা যেন অন্য কোনো উপায়ে আয়কর অধ্যাদেশে রাখা না হয় সে বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষন করছে সংস্থাটি। একইভাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যখাতের মত অতিগুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে বরাদ্দ বৃদ্ধিই নয়, সার্বিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পথরেখা না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা জানায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সব মহলের তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ স্বত্ত্বেও চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী কালো টাকা বৈধ করার যে ঢালাও সুবিধা দিয়েছিলেন সেটি আসন্ন বাজেটে নতুন করে না রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের বোধোদয় হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করতে যাই যে সরকারপ্রধানের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতা’র বক্তব্যকে সম্মান করে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ এই অনৈতিক সুবিধাটি আয়কর অধ্যাদেশের আইনি মারপ্যাঁচে ফেলে বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে পড়ে অব্যাহত রাখবে না।”
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
করোনাকালীন এই সময়ে সার্বিকভাবে জনকল্যাণমুখী, অংশীদারিত্বমূলক এবং মানুষের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় বাজেট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে ড. জামান আরও বলেন, “২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৩৩ হাজার কোটি টাকা (যা মোট বাজেটের প্রায় ৭ শতাংশ) রাখা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় এখনো তা অনেক কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে চিকিৎসা সেবায় সরকারের ২৬ শতাংশ খরচের বিপরীতে রোগীর খরচ হয় ৭৪ শতাংশ, যা জাতিসংঘের সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। আবার ক্রমাগত দুর্নীতি ও ন্যয়সঙ্গত ব্যয় সক্ষমতার অভাবে এই বরাদ্দও সঠিকভাবে ব্যয়িত না হওয়ার প্রবল ঝুঁকি আছে, যা থেকে উত্তরণে বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো পথরেখা দেয়া হয়নি, যা হতাশাব্যঞ্জক; যখন কিনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে প্রকাশিত অকল্পণীয় ও আকাশচুম্বি দুর্নীতির লাগাম টানতে এ খাতটি ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই।”
করোনা মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ এবং দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমে সরকারের বিনিয়োগ ভাবনাকে সাধুবাদ জানালেও ড. জামান বলেন, “করোনা মোকাবিলায় বরাদ্দ দেয়াটাই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে অর্থ ব্যয়প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছতার সাথে করা হয় এবং স্বাস্থ্যখাতে জেঁকে বসা দুর্নীতি যেন কোনোভাবেই এতে সুযোগ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে করোনোর টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সরকার স্বচ্ছ ক্রয়প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে এমনটাই প্রত্যাশিত।”
আরও পড়ুন: বাজেট: স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ
শহরের বাইরে হাসপাতাল সেবার পরিধি বাড়াতে ১০ বছরের জন্য কর রেয়াত একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন ড. জামান, এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হবে।”
প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন খাতে মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ বরাদ্দের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. জামান বলেন, “করোনাকালীন বাস্তবতা বিবেচনায় সরকার অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে জরুরি সেবামুলক খাতসমূহে বাস্তবসম্মত বরাদ্দ রাখবে এমনটাই প্রত্যাশিত ছিলো। কিন্তু মোট বরাদ্দের দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে জনপ্রশাসন (৭.৬%) আর এর সাথে প্রতিরক্ষা ব্যয় যোগ করলে পরিমানটি প্রায় ১৪ ভাগ ছাড়িয়ে যায়। বছর বছর বরাদ্দ বাড়ানো হলেও জনপ্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কার্যকর কৌশলের অনুপস্থিতি হতাশাজনক। একইসাথে প্রতিরক্ষা খাতে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়নেও কোনো ঘোষণা না থাকা সুশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ মাত্র।
সর্বোপরি, বাজেট বাস্তবায়ন, বিশেষ করে সরকারি ক্রয়খাতসহ সকল প্রকার ব্যয়ের ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কঠোর শুদ্ধাচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।”
বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না রাখার আহ্বান টিআইবির
চলতি অর্থবছর অপ্রদর্শিত অর্থের মোড়কে কালো টাকা সাদা করার যে অনৈতিক সুযোগ সরকার ঢালাওভাবে দিয়েছে সেটি অনির্দিষ্ট মেয়াদে বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শনিবার (২২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার দুর্নীতি সহায়ক, বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক সুযোগ না রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে কর ব্যবস্থায় খেলাপির সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি তৈরি করবে এবং এতে আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখায় দেশে দুর্নীতিসহায়ক একটি উদার পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে দুর্বল করার মাধ্যমে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে কোনো চেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
এসব শঙ্কা বিবেচনায় রেখে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার’ নীতির প্রতি সামঞ্জস্য রেখে নতুন বাজেটে (২০২১-২২ অর্থবছর) কালোটাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে টিআইবি
‘দেশের অর্থনীতিতে যতোদিন অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে, ততোদিন তা ঘোষণার সুযোগ থাকবে...’ বলে অর্থমন্ত্রীর যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘চলতি বাজেটে অর্থের উৎস নিয়ে যে কোনো ধরনের প্রশ্ন করার বিধান উঠিয়ে দিয়ে বৈধ উপায়ে অর্জিত ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকার মধ্যকার ফারাক একাকার করে দেয়া হয়েছে। এমন বাস্তবতায় কালোটাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ অনির্দিষ্ট মেয়াদে রাখার পরিকল্পনা দেশের কর ব্যবস্থায় ন্যায় ও ন্যায্যতার প্রশ্নকে প্রকট করে তুলবে এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য করোনাকালীন সময়ে নতুন প্রণোদনা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই এমন অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী পরিকল্পনা থেকে সরকার সরে আসবে সেটিই প্রত্যাশিত।’
মাত্র ১০ ভাগ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে সৎ করদাতারা কেন সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কর দেবেন? এমন প্রশ্ন রেখে ড. জামান বলেন, ‘সাময়িকভাবে এমন সুযোগ থেকে সরকার কিছুটা রাজস্ব পেলেও ধীরে ধীরে তা বড় সংখ্যক করদাতাদের খেলাপি হতে উৎসাহিত করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব ক্ষতির মাত্রাকে বাড়িয়ে দেবে এবং কর খেলাপির নতুন এক সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে রেকর্ড ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বৈধ হবার খবরে নীতনির্ধারক মহলে যে সন্তুষ্টির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেটি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের প্রতি একরকম উপহাসই বলা চলে। কেননা অতিমারির মাঝেও বিপুল অর্থ সাদা করার প্রবণতাই বলে দেয়, দেশে একটি দুর্নীতিসহায়ক ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে এবং সেটি যে কোনো পরিস্থিতিকেই নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজে লাগাতে প্রস্তুত দুর্নীতিগ্রস্তরা।’
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদানের দীর্ঘদিনের অসাংবিধানিক চর্চা বন্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময় মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘বৈধ পথে অর্থ উপার্জনকারী করদাতা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠন বিভিন্ন সময়ে ঢালাও এ সুযোগের বিরোধিতা করলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি বরং সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি সরকার আনুগত্য দেখিয়ে আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করবে এমনটাই আশা। একইসাথে, কালো টাকার মালিকদের সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দুর্নীতির মহোৎসবের হ্রাস টেনে ধরা যায়।’
কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই থেমে যায় তদন্তের ফাঁকে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব কিছু দেখে মনে হয় ঠিকঠাক চলছে। তবে সমস্যা শুধু তদন্তে।
‘আত্মসাৎ’ করতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিএনপি
সরকার জনগণের টাকা ‘আত্মসাত করে সুইস ব্যাংকে আরও কালো টাকা পাঠাতে বছরে কয়েকবার বিদ্যুত-জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বাজেট ২০২০-২১: দেয়া হতে পারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে পারে সরকার।