শনিবার রাজধানীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিলের নামে বাড়িতে বাড়িতে ভূতুড়ে বিল পাঠিয়ে তারা (সরকার) নির্লজ্জভাবে গায়ের জোরে বছরে কয়েকবার করে বিদ্যুত ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করছে। এখন সিরিঞ্জে করে যেমন রক্ত টান দেয়, জনগণের শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত টান দিচ্ছে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০২০ এর প্রতিবাদে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ১২ বছরে মন্ত্রীদের, আমলাদের ও ক্ষমতাসীন দলের লোকদের ৫ হাজার কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে জমা আছে।
‘সরকারের আরও টাকা দরকার, সুইস ব্যাংকে আরও কালো টাকা পাঠাতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে বছরে কয়েকবার বিদ্যুত-জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করছে সরকার,’ অভিযোগ করেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিদুতের ভূতুড়ে বিল নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সরকারের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, সরকার এদিকে তাকাচ্ছে না।
করোনাভাইসরাস সংক্রামণ পরিস্থিতির নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই।’
রিজভীর অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্রাটের মতো দেশ শাসন করছেন এবং তিনি যা বলেন তাই আইন। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় একেবারে লাল ঘরে পাঠিয়ে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দি করবেন তারপরও আমরা প্রতিবাদ করব। আমাদেরকে কারাগারে নিয়ে যাবেন? আমরা তো প্রস্তুত রয়েছি। তারপরও আপনার অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার-জুলুম এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।