জিরো টলারেন্স
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বের ওপর জোর দেন, রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করা নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
কুয়েত সিটিতে 'স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম কো-অপারেশন অ্যান্ড বিল্ডিং এজাইল বর্ডার সিকিউরিটি মেকানিজম' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘এআইকে অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোকে তাদের দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিকতার সারমর্ম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্যিকারের নিরাপত্তা তখনই অর্জিত হয় যখন প্রতিটি সমাজ সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, 'আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাজই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ২০১৮ সালে চালু হওয়া একটি উদ্যোগ ‘দুশানবে প্রসেস’-এর চতুর্থ পুনরাবৃত্তি এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনটি।
এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রথমবারের মতো ‘দুশানবে প্রসেস’-এর সুযোগ ও প্রভাব মধ্য এশিয়ার বাইরেও প্রসারিত করেছে এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেরোরিজম স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়ন জোরদার করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২ সপ্তাহ আগে
খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করাতে গিয়ে সম্প্রতি দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দিতে (জিরো টলারেন্স) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য খাতের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে আয়োজিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, “গতকাল আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে তুমি জিরো টলারেন্স। কোনো রকম অনিয়ম, কোনোরকম গাফিলতির জন্য যদি কোনো বাচ্চা মারা যায়, তুমি তোমার মতো ব্যবস্থা নেবে।’ এরকম কড়া নির্দেশ উনি আমাকে দিয়েছেন।”
বৈঠকের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, সেটার পর্যালোচনা করে আমরা সবাই আলাপ-আলোচনা করলাম, কীভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়। ইতোমধ্যেই আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কীভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করবে কী কী শর্ত থাকা লাগবে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, ‘এটি (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা) গত বৃহস্পতিবার আমরা দিয়েছিলাম, আজ রবিবার। আমরা তিন চার দিন সময় দিয়েছিলাম দেখি কী করে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই এটি আমি নিজে মনিটরিং করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার চিকিৎসক ভাই-বোনদের বলতে চাই আমরা যেখানে অপারেশন করব...., অপারেশন করার আগে আমাদের দেখতে হবে সেখানে সাপোর্টিং জিনিস আছে কিনা। সেটা অপারেশন করার জায়গা নাকি জায়গা নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক অপারেশন করেছি সুতরাং আমি জানি কোথায় কী কী লাগে, কী ক্রাইটেরিয়া লাগে অপারেশন করার জন্য। সেগুলো না থাকলে কোনো অবস্থাতেই এটা করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ) হচ্ছে আমাদের সর্বোচ্চ আদালত। ইতোমধ্যে আমি বিএমডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, এই তিনটি (অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা ও এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা) বিষয় ইনভেস্টিগেশন করার জন্য এবং যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমার কথা চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেবে, রোগীদেরও সুরক্ষা দেব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেওয়া ১০ দফা নির্দেশনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আগামী দুই একদিনের মধ্যে..., আমি নিজে এটা মনিটরিং করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আগেও বলেছি, এখনো বলছি আমি এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আমি এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না, যার যেখানে যে যোগ্যতা, সেই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে, এর বাইরে কাজ করতে পারবে না। এটা পরিষ্কার।’
অবৈধ ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। অতীতে কী হয়েছে সেটা... আমি তো বলছি এটা আমি চলমান রাখব।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেদিন ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম, আসার সময় ডানে-বামে কত ক্লিনিক। এটাতো আমার একার পক্ষে সম্ভব না, এটার জন্য সবার আপনাদের ভূমিকা লাগবে, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা লাগবে। সামগ্রিকভাবে যদি এটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো যায় এটা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, তাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্টু করতে প্রশাসনে অনেক রদবদল করা হয়েছে। এটা কোনো পাতানো নির্বাচন নয়।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বিদেশি কোনো চাপে নেই। বরং দেশি-বিদেশি প্রায় ২ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন করেছে এবং সব দূতাবাসও নির্বাচন মনিটরিং করবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটারেরা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। কেউ ভোট দানে বাধা সৃষ্টি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে বলেন, এখন আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ ছিদ্দীকী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
১০ মাস আগে
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
শুক্রবার মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন এবং আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে চলেন।
'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২' এর বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বিশেষত আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূল করার জন্য অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ কয়েক ডজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অনুসারে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানকালে আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ব্যাহত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বছরের বাকি সময়জুড়ে কয়েক ডজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হামলার ঘটনায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে গত ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষে পর্যন্ত পলাতক ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচিত কারাগারগুলোতে বাস্তবায়নের জন্য সহিংসতা থেকে একটি সমন্বিত ‘ডেরাডিকালাইজেশন’ প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
১১ মাস আগে
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতায় রয়েছে ঈর্ষনীয় সফলতা। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশে যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মতৎপরতা দেখা দিয়েছিল, তা পুলিশ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আরও পড়ুন: আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
শুক্রবার সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবন স্টুডিও এপার্টমেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে পার্বত্য জেলা বান্দারবানের গহীন জঙ্গলে অনেক শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ তাও সফলভাবে প্রতিহত করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি বলেন, আমি যখনই শাল্লায় আসি, মা ও মাটির গন্ধ পাই। আমি শাল্লার সন্তান, এখানের কাদামাটি, আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। দিনের পর দিন হাওরের মুক্ত বাতাসে চষে বেড়িয়েছি। তাই শাল্লা নিয়ে আমি সর্বদাই গর্ববোধ করি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। পরে শাল্লা থানা পুলিশের আবাসিক ভবন স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় নিজ বাড়ি শ্রীহাইল গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
১ বছর আগে
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশকেও দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা থেকে পৃথিবীর কোনও দেশই মুক্ত নয় এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা (ওআইসি) এর সদস্য দেশগুলোর দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্য প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও তদারকির ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্তরে জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ কাঠামো, উন্নত শাসন ব্যবস্থা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং কমিউনিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছি।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা ইউনিট, সততার দোকান ও সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার জন্য গণশুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সকল স্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধে ফৌজদারি আইন, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে তথ্য কমিশন, মানি লন্ডারিং আইন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম প্রতিরোধসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
ওআইসির সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ রোধ করা এবং বাজেয়াপ্ত সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং ফেরত দেয়ার মাধ্যমে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কনভেনশন (UNCAC) এর সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে অবৈধভাবে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে কিছু কিছু দেশের বিভিন্ন ধরনের অসহযোগিতায় আইনমন্ত্রী তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রেই পুলিশ দায়িত্বের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছে। সামনের দিনেও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে আইজিপি কাপ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আইজিপি বলেন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃংখলাবাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ ও মিডিয়াকর্মী সবাই মিলে একই প্লাটফর্মে কাজ করে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
আশাকরি এই নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আর পুলিশের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
আইজিপি আরও বলেন, ‘আমরা এক সময় দেখেছি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। এই দেশের ৬৪ জেলায় জঙ্গিদের আক্রমণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য তার ওপর আক্রমণ হয়েছে এবং হলি আর্টিজানের মত বড় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
এখন দেখেন জঙ্গিদের কি অবস্থা, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
এই নিয়ন্ত্রণ সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আইজিপি’র
আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির অভিনন্দন জানানো উচিত: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছোটখাটো যেকোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, যুবদল নেতা যেমন গ্রেপ্তার হয়েছে, যুবলীগ নেতাও গ্রেপ্তার হয়েছে, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির অভিনন্দন জানানো উচিত।’
৫ বছর আগে