তরমুজ
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাফা নেতারা পরামর্শ করতে এলে তাদের উদ্যোগ নিতে বললাম। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় গবেষণা জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি প্রকাশের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে যাতে কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও যতটুকু সম্ভব করা হচ্ছে।
বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকেরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে ও বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তাদের কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনতে হয়। যার ফলে পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক বেশি দেখা যায়। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বাফা সভাপতি আরও বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।’
রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয় নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।’
বাফা নেতারা জানান, কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাফা।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বাফা নেতারা।
৭ মাস আগে
খুলনার দাকোপে ২৮৩ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি
শস্য ভান্ডার খ্যাত খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা। গেল বছরের তুলনায় এখানে এ বছর কম জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে তরমুজের ফলন কম হলেও দামে খুশি কৃষকরা। এখানকার তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে।
তরমুজের সঙ্গে অন্যান্য ফসল আবাদ করে বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
দাকোপে এ পর্যন্ত ২৮৩ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলে এলাকার হাজারো কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গড় হিসাব মতে ২৮৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভবনা। এ তরমুজ খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল সাত হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে।
এছাড়া বোরো ধান ৩৪০ হেক্টর, সূর্যমুখী ৩০৮ হেক্টর, ভুট্টা ২৮ হেক্টর, বাঙ্গি ২০ হেক্টর, তিল ৭ হেক্টর, মুগডাল ৮ হেক্টর, পাট এক হেক্টর, আদা ৪ হেক্টর, হলুদ ৮ হেক্টর ও অন্যান্য শাক-সবজি ২০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আর পতিত রয়েছে ১৩ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমি।
তবে প্রচণ্ড খরা ও বৃষ্টি না হওয়ায় পানির উৎস খাল ও পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তরমুজ খেতে চরম সেচ সংকটে পড়েন এলাকার কৃষক।
চাষের মাঝের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সেচ সংকট কিছুটা লাঘব হয়। এতে অল্প সংখ্যক কৃষকের লোকসান হলেও অধিকাংশই বাম্পার দাম পেয়ে হয়েছেন লাভবান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় দালাল, ফড়িয়া ও পরিবহন সিন্ডিকেট, ফেরীঘাটে যানযটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন এবং ঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় না হলে আরও দাম বৃদ্ধি হতো বলে অনেকে মনে করেন।
কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক সিন্ধু রায় বলেন, তিনি ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তরমুজ চাষ শুরুর আগে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি রাতের আঁধারে কয়েকটি সুইচ গেট দিয়ে লবণ পানি তুলে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এতে জলাশয়গুলো লবণ-পানিতে সয়লাব হয়। ফলে মিষ্টি পানির অভাবে তিনি খেতে সেচ সংকটে পড়েন। পরবর্তীতে চাষের মাঝের দিকে বৃষ্টি হলে সেচ সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়। যার কারণে তার খেতে তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে এবং মোট পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন।
তবে বীজে অতিরিক্ত ভেজালের কারণে এবার তরমুজের আকার অনেক ছোট হয়েছে বলে তিনি জানান।
বটবুনিয়া এলাকার কৃষক প্রণব কবিরাজ জানান, তিনি ১৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। এতে তার সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হয়। সেচের চরম সংকট এবং ভাইরাস লেগে সব গাছ মারা যায়।
কৃষি কর্মকর্তার মরামর্শ নিয়েও একটি গাছও বাঁচাতে পারেনি। তিনি এবার ব্যাপকভাবে লোকসানে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে.এম. মাকসুদুন্নবী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের ফলন অনেক কম হয়েছে। কিন্তু সেচের মিষ্টি পানির সংকট থাকলেও এলাকার কৃষকরা দাম পেয়েছেন ভালো। তরমুজ বিক্রিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, তবে এ বছর আকার ছোট হলেও গড় হিসাব অনুযায়ী ২০ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার কেজি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। গড়ে ১৪ টাকা কেজি ধরা হলে ২৮৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার আর বিঘা প্রতি ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে ব্লাকবেরি তরমুজ চাষ করে সফল মনিরুল
১ বছর আগে
তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
তীব্র তাপদাহের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা। আর তাই দামও বেড়ে গেছে। শেষ সময়ে এসে তরমুজ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খুলনার কৃষকেরা।
জানা যায়, অন্যান্য জেলার তরমুজ এর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দাকোপ উপজেলার তরমুজই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়ায় তাই সবাই তাকিয়ে আছে দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকেই দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে আনছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, চার মাস রোদে পুড়ে হাড় ভাঙা খাটুনি করে তারা যে মুনাফা করছে, তার থেকে তিনগুণ মুনাফা করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার মাঝারি সাইজের তরমুজ গড়ে বিক্রি হয়েছে (১০০ পিস) ছয় হাজার টাকায়। অর্থাৎ ছোট-বড় সব তরমুজের গড় মূল্য প্রতি পিস ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ভ্যান ও ফলের দোকানে সেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
কৃষকরা জানান, দুইভাবে তরমুজ বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা দাকোপে এসে মাঠ থেকে সরাসরি তরমুজ কেনেন। তারাই ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যান। চলতি সপ্তাহে ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিঘা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একই তরমুজ গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বড় আকারের (আট কেজির ওপরে) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়।
এছাড়া কিছু কৃষক নিজেই তরমুজ নিয়ে খুলনার কদমতলায় পাইকারি বিক্রি করেন। পাইকারি তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিক্রি সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা পিস। এছাড়া বড় তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পিস।
দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কৃষক আজগর হোসেন জানান, শুরুতে প্রতি বিঘা ৪০/৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম ৭০ হাজারের ওপর। এতে কৃষকেরা খুশি।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাকসুদুন্নবী জানান, ‘সোমবার পর্যন্ত আড়াই হাজার হেক্টর জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০/৬০০ হেক্টর জমির তরমুজ সংগ্রহ হচ্ছে। বেশিরভাগ তরমুজই ঢাকায় যাচ্ছে। ঈদের আগেই ৮৫ শতাংশ তরমুজ বিক্রি করা হবে।’
কৃষকদের অভিযোগ, তরমুজ বিক্রিতে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে পরিবহনে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক তরমুজ পরিবহনের জন্য দাকোপ থেকে বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে। প্রায় মোড়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
১ বছর আগে
তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও দাম অস্বাভাবিক কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা খুলনার তরমুজ চাষিরা।
লাভের বদলে চাষিরা এখন তাদের উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তিত। তারা তরমুজের দাম কম হওয়ার জন্য আংশিকভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের জোটকে দায়ী করছে।
তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট খুব কম দামে ফল কিনে বেশি মুনাফা নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে।
মধ্যস্বত্বভোগীদের ফাঁদ এড়ানোটা যতটা সহজ ভাবা হয়, আসলে বিষয়টা ততটা সহজ নয়। কিছু কৃষকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, তাদের তরমুজ পরিবহনের জন্য ট্রাক ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন দিতে হয় ১৪-২৫ হাজার টাকা। অধিকাংশ চাষিই এই খরচ বহন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
রমজান মাসের পর তরমুজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং স্থানীয় বাজারে তরমুজের বিক্রি কম হয়।
লোকসান পুষিয়ে নিতে কয়েকজনকে তাদের পণ্য ঢাকা ও খুলনা শহরে নিয়ে যেতে দেখা গেলেও কাঙ্খিত দাম পেতে ব্যর্থ হয়।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কৃষকরা ১৩ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
সবচেয়ে বেশি দাকোপে সাত হাজার ৬২৫ হেক্টরে। এছাড়া বটিয়াঘাটায় তিন হাজার ৬০০, পাইকগাছায় এক হাজার ৫১০, কয়রায় ৮৯৫, ডুমুরিয়ায় ৩৫০, রূপসায় পাঁচ, তেরখাদায় তিন ও ফুলতলা উপজেলায় এক ও মেট্রো থানায় আরও এক হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
২০২১ সালে মোট সাত হাজার ৫১২ হেক্টর জমি তরমুজ চাষের আওতায় আনা হয়েছিল এবং তরমুজ চাষ লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় কৃষকরা তাদের চাষ সম্প্রসারিত করেছে।
এ বছর জেলায় আনুমানিক চার লাখ ১৫ হাজার টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।
২ বছর আগে
খুলনায় ৮০০ কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্যের সম্ভাবনা
নোনা পানির চিংড়ি চাষের জমি কমে যাওয়া খুলনায় চাষিরা তরমুজ আবাদে ঝুঁকছেন। এখানে গ্রীষ্মের পাশাপাশি শীত মৌসুমে তরমুজের আবাদ হচ্ছে। শীত মৌসুমে ৭ হাজার ও গ্রীষ্ম মৌসুমে সাড়ে ৩শ’ হেক্টর জমিতে এই ফল আবাদ হয়। সব মিলিয়ে দুই মৌসুমে খুলনায় ৮শ’ কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়লার দাম বৃদ্ধি: খুলনায় ১৫ দিনে ২ শতাধিক ইটভাটা বন্ধ
জানা গেছে, আম্পান-ইয়াস, নদী ভাঙন, রোগবালাই, করোনা ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম ওঠানামা করায় চাষিরা লোকসান গুনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে হাড়ির টাকা বাকি থাকে। লোকসান এড়াতে চিংড়ি চাষিদের একাংশ তরমুজ আবাদে নেমেছে।
খুলনা জেলার দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় শীত মৌসুমে ৭ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে চাষ শুরু, ফেব্রুয়ারিতে ফসল তোলা শুরু হবে। গ্রীষ্ম মৌসুমে সাদামাছের ঘেরের পাড়ে ৩১৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে। গ্রীষ্ম মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন জুড়ে।
আরও পড়ুন: শীতের প্রথম বাজার ধরতে ব্যস্ত যশোরের সবজি চাষিরা
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান খান জানান, এবারের শীত মৌসুমে ৯ ইউনিয়নে তিন হাজার চারশ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে। বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জ, দাকোপ ও লাউডোব ইউনিয়নের ৬ হাজার চাষি এর সাথে সংশ্লিষ্ট। ৮০ দিনের মধ্যে তরমুজ বাজারজাত হয়। বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ শীত মৌসুমে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি তিন লাখ টাকা।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে সুরখালী, গঙ্গারামপুর ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের একাংশ জুড়ে উৎপাদন হতো। এবার বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের ফুলতলা, হাটবাটি ও হোগলবুনিয়া গ্রামে আবাদ হবে। গেল মৌসুমে দুই হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এবারের লক্ষ্যমাত্রা তিন হাজার পাঁচশ হেক্টর জমিতে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে খুলনার চুইঝালের কদর, যাচ্ছে থাইল্যান্ডে
দাকোপ উপজেলার বটবুনিয়া গ্রামের চাষি প্রদিপ রায়, দীলিপ মন্ডল, সন্তোষ মন্ডল ও হেকমত আলী মোল্লা জানান, আমন কাটার পরে সেই জমিতেই তরমুজের আবাদ হবে। বলা যেতে পারে, বছর জুড়ে তরমুজের আবাদ হচ্ছে। ফলে কৃষি ও পরিবহন শ্রমিকদের সারা বছরের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান জানান, শীত মৌসুমে এর আবাদ প্রসার হচ্ছে। বিঘা প্রতি ৩ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়। এতে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
৩ বছর আগে
তোগুড়: তরমুজের রস দিয়ে বানানো নতুন গুড়
বাংলাদেশে মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপকরণগুলোর মধ্যে গুড় অন্যতম। গ্রীষ্মকালীন ফলমূলের মধ্যে তরমুজ জনপ্রিয় একটি রসালো ফল। তরমুজের রস কাঠ ফাটা রোদের গরমে শ্রান্ত দেহটাকে নিমেষেই চাঙ্গা করে তোলে। কিন্তু তরমুজের রস দিয়ে বানানো গুড় ধারণাটা একেবারে অভিনব। খেজুরের রস অথবা আখের রস থেকে গুড় তৈরি সম্ভব হলে তরমুজের রস থেকে কেন হবে না! এই অভিনব কাজটিই করেছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ছোটবন্ড গ্রামের তরমুজচাষি মৃত্যুঞ্জয় ম-ল। তরমুজের রস থেকে বানানো বলে তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘তোগুড়’। চলুন, নতুন ধরনের এই গুড়টির ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নিই।
যেভাবে এলো তোগুড়-এর ধারণা
মৃত্যুঞ্জয় তরমুজের চাষ করছেন ২০১৯ থেকে। ভালো ফলনের পাশাপাশি এ সময়টুকুতে বেশ লাভও করতে পেরেছেন তিনি। চাষের সময় প্রতি মৌসুমেই তিনি কিছু না কিছু তরমুজ পেয়েছেন যেগুলোর আকারে বেশ ছোট হয়। ‘ক্যাট' নামের এই তরমুজগুলোর বিক্রির অযোগ্য বলে প্রায় এগুলোকে মাঠেই ফেলে রাখা হয়। প্রায় সময় বৃষ্টিতে ভিজে এগুলো পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। কিছু কিছু 'ক্যাট' অবশ্য গৃহস্থালি পশু ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
হঠাৎ একদিন মৃত্যুঞ্জয়ের মাথায় আসে, খেজুর ও তালের রসে গুড় হলে তরমুজের রসেও তো সম্ভব! সাথে সাথে চলে যান উপজেলা কৃষি অফিসে এ নিয়ে পরামর্শ করতে। অতঃপর স্ত্রী মিতালী ম-ল’কে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ক্যাট তরমুজ দিয়ে গুড় বানানোর চেষ্টায় লেগে পড়েন। পরবর্তীতে বানানোর পর খেজুর গুড়ের মতো দেখতে তোগুড়-এর মধুর মত স্বাদ পেয়ে অবাক হয়ে যান।
তোগুড় উৎপাদন পদ্ধতি
চিরাচরিত উপায়ে তরমুজের রস বের করে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে পরিচ্ছন্ন রস চুলায় জাল দেয়া হয়। এক পর্যায়ে রস গাঢ় হয়ে ওপরে ফেনা জমে। সেই ফেনা ওপর থেকে আলতো করে সরিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর আরও কিছুক্ষণ ধরে জ্বাল দেয়ার পর তরমুজের রস খেজুর গুড়ের রঙ ধারণ করে। এভাবে মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রী কোন যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বানাতে সক্ষম হয়েছেন তোগুড়।
এই গুড়ের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, তরমুজের রস থেকে বানানো এই গুড় অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
৩ বছর আগে
জেনে নিন তরমুজ বীজের উপকারিতা
গরমের ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকালের শুরু থেকেই বাজার তরমুজ পাওয়া যায়। আর এখন গ্রীষ্মকাল অথাৎ তরমুজের সময় চলছে। এই গরমে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে যে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার তাও আমাদের সবার জানা। কিন্তু তরমুজ খাওয়ার সময় বীজ ফেলে দেয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু জানেন কি, এই তরমুজের বীজের কত গুণ?
মারণ ব্যাধি থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে তরমুজে বীজ।
গবেষকরা বলছেন, তরমুজের বীজে এমন এক রাসায়নিক থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া তরমুজের বীজে থাকা একাধিক খনিজ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বিশেষ উপকারী।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে জেনে নিন ১০ ধাপ
তরমুজের বীজে থাকা লাইসিন নামে উৎসেচক ডায়াবেটিস বা মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে চমকে দেয়ার মতো ফল দিতে পারে তরমুজের এই বীজ।
এছাড়া তরমুজের বীজে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ফোলেট, যা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরলে চশমা ঘোলা হচ্ছে? সমাধান জেনে নিন
তবে এ সবই থাকে তরমুজের বীজের খোলের নিচে থাকা অভ্যন্তরীণ অংশে। ফলে তরমুজের বীজ চিবিয়ে খেলেই তার সম্পূর্ণ উপকার মেলা সম্ভব। কারণ, সাধারণত বীজের ওপরের কঠিন খোল হজম করতে পারে না প্রাণীর পরিপাকতন্ত্র।
সূত্র: টাইম অফ ইন্ডিয়া বাংলা
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে তরমুজ বাজারে অভিযান, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
মানিকগঞ্জে তরমুজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে অভিযান করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার মানিকগঞ্জ সদরের ভাটবাউর ও জাগীর ধলেশ্বরী পাইকারি আড়ত এবং বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজারে অভিযান চালিয়ে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশনা দেন। এ সময় পিস হিসেবে তরমুজের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে দামে কারসাজি করার অপরাধে ৩ জন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। এ সময় সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন, কনজুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপসহ ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অসময়ে তরমুজ চাষে ভাগ্যবদল রূপসার ২০ চাষির
ক্যাব সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ বলেন, সারা দেশের ন্যায় মানিকগঞ্জেও চাহিদা বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরে তরমুজের ঊর্ধ্বমুখী দাম ও ভোক্তাদের অভিযোগ উঠে আসছিল। এ নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্নভাবে প্রসাশেনের সহযোগিতা চেয়ে আসছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস এর নির্দেশনায় জেলা ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর জেলার ভাটবাউর ও জাগীর পাইকারি আড়ত এবং বাসস্ট্যান্ডে ফলের দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন:ঘেরের পানির ওপর মাচায় ঝুলছে রসালো তরমুজ
মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, ক্ষেতের মালিকানা হাতবদল ও অতিরিক্ত চাহিদা তরমুজের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হবার অন্যতম কারণ। জেলায় কেজি হিসেবে নয় পিচ হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ এর ব্যাতিক্রম করলে অভিযোগ পাওয়া মাত্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দেবীতলায় তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাগ্য ফিরছে কৃষকদের। কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন দেখছেন।
৩ বছর আগে
খুলনাঞ্চলে পানি সমস্যায় তরমুজ চাষে বিপর্যয়
কয়েক বছর থেকে খুলনা জেলার কয়রায় তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। প্রথমে দু-একজন কৃষক তরমুজ চাষ করে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবার উপজেলার আমাদি ও বাগালি ইউনিয়নে ৫ গুণ বেড়েছে তরমুজ চাষ।
কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন লাভবান হবেন তবে দুর্যোগ প্রবণ এ উপকূলে গত কয়েক মাস অনাবৃষ্টি ও স্থানীয় পানির উৎস খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় খরতার প্রভাব পড়ছে তরমুজের উপর। অনাবৃষ্টির আকাশ থেকে ঝরছে খরতার তাপ। কৃষকের স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:ঘেরের পানির ওপর মাচায় ঝুলছে রসালো তরমুজ
পানির অভাবে গাছগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ফল নষ্ট হচ্ছে। দূরের ডিপ থেকে পানি কিনে টেনে এনে কোন রকমে বাঁচিয়ে রেখেছে গাছগুলো, তবুও অনেকের কপালে জুটছে না পানি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
আরও পড়ুন: অসময়ে তরমুজ চাষে ভাগ্যবদল রূপসার ২০ চাষির
আমাদি ইউনিয়নের হরিকাটি গ্রামের শিপালী সরদার বলেন, গত বছর এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো দেখে অন্যের কাছ থেকে বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা করে ২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এবার প্রথম তরমুজ চাষ করেছেন। তবে পানির চরম সমস্যায় ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।
তিনি বলেন, খালে পানি না থাকায় ডিপ থেকে পানি কিনে আনতে অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
একই গ্রামের চন্দ্র শেখর মন্ডল এবার প্রথম ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে পানির সমস্যার কারণে আসল টাকা উঠবে কিনা সংশয়ে রয়েছেন।
এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারী ফসল চাষাবাদে কৃষি অফিসের উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা দেখা মেলেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জমির ভিতরে থাকা খালগুলো খননের মাধ্যমে ও স্যালো বসানোর মাধ্যমে পানির সমস্যা সমাধান করতে পারলে তরমুজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারী ফসল হবে বলে সচেতন মহল জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
পাইকগাছা কৃষি অফিসার কয়রা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সমস্যার নিরসনের জন্য খালগুলো খনন করে কৃষকের কাছে যাতে ইজারা দেয়া হয় সেজন্য জেলা সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা করা হবে। পানি সমস্যার কারণে গাছগুলোতে একটা ভাইরাস দেখা দিয়েছে, তার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, তবে বৃষ্টি না হলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় হবে না।
৩ বছর আগে