প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরগুলোর জন্যও মেট্রো-রেল প্রকল্প বিবেচনা করবে সরকার
সরকার ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম ও বিমানবন্দর রয়েছে এমন অন্যান্য জেলায় মেট্রো-রেল প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও হাতে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অন্যান্য বড় শহরের জন্য মেট্রো-রেল প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন, অন্যরা এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধু ঢাকায় নয়, মেট্রোরেল প্রকল্প চট্টগ্রামেও হওয়া উচিত। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রো-রেল প্রকল্পের নকশা করুন। পরে বলা হয়, যেখানে বড় বিমানবন্দর রয়েছে সেখানে আমাদের মেট্রো রেলের মতো প্রকল্পের নকশা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে অন্যান্য বড় শহরের জন্য মেট্রো-রেল প্রকল্প স্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের অংশ হিসেবে, সিটি কর্পোরেশনকে এই জাতীয় প্রকল্প ডিজাইন করতে উৎসাহিত করা হবে।
মান্নান বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্যাটেলাইট সিটি ও টাউন নির্মাণের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনটি মেগা প্রকল্প- পদ্মা সেতু, মেট্রো-রেল (এমআরটি-৬) এবং কর্ণফুলী টানেল- এ বছর চালু করা হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুনে, কর্ণফুলী টানেল ২০২২ সালের অক্টোবরে এবং ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)-৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পদত্যাগ করলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও গণতন্ত্রপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। রবিবার দেশটির একটি জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আবদাল্লাহ হামদক নিজেই।
হামদক জাতিসংঘের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা, তাকে সুদানের অন্তর্বতীকালীন সরকারের বেসামরিক মুখ হিসাবে ভাবা হয়েছিল। গত অক্টোবরে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের দখলে নেয়। সেসময় তারা প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দী করে, গ্রেপ্তার করে তার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে। পরবর্তীতে সেনা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়াদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির পর তাকে পুনর্বহাল করা হয়।
তবে হামদকের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি অনেকে। এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা সামরিক বাহিনীকে বিশ্বাস করে না।
রবিবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে হামদক বলেন, সুদানের পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে, যা দেশের সমগ্র অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ১২
তিনি বলেন, তার পদত্যাগ অন্য একজনকে জাতির নেতৃত্ব দেয়ার এবং একটি ‘বেসামরিক, গণতান্ত্রিক দেশে গঠণের’ সুযোগ দেবে। তবে এসময় হামদক তার কোনো উত্তরসূরির নাম বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পূরণ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ভাষণে হামদক আরও বলেন, তিনি দেশটিকে ‘বিপর্যয়ের দিকে চলে যাওয়া’ থেকে থামানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যা করা হয়েছে তা সত্ত্বেও ...এটি ঘটেনি।’
২০১৯ সালের অক্টোবরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটিরে ক্ষমতাসীন দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির এবং তার ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যুতির চার মাস পরে জেনারেল ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসন করার জন্য একটি ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি হয়।
নভেম্বরে হামদকের সঙ্গে সমঝোতার অধীনে, পুনর্বহাল হওয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত টেকনোক্র্যাটদের একটি মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। তবে নতুন বেসামরিক সরকারের কতটা ক্ষমতা থাকবে তা স্পষ্ট করা হয়নি তখন।
ভাষণে হামদক বলেন, আমি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার দেশের মানুষের সেবা করার সম্মান পেয়েছি। এসময়কালে আমি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফল হয়েছি, আবার কখনও কখনও ব্যর্থ হয়েছি।
আরও পড়ুন: গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কূলে পৌঁছে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী
এলডিসি থেকে উত্তরণ মসৃণে শিগগিরই জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ মসৃণ করতে ‘জাতীয় মসৃণ উত্তরণ কৌশল’ প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ মসৃণ করতে একটি জাতীয় মসৃণ উত্তরণ কৌশল প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সব ধরনের নির্দেশনা কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
রবিবার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা ও জরিপ করে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একটি সময় উপযোগী কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ইআরডি সচিব রাবাব ফাতিমা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু
মহামারির কারণে নতুন বছরের প্রথম দিনে কোনো বই উৎসব না হলেও শনিবার সারাদেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত প্রায় ৪১.৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩৪৭ মিলিয়ন কপি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
রাঙামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, বরিশাল, নাটোর ও মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ইউএনবি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন ২০২২ সালের প্রথম দিনে উক্ত জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু বৃহস্পতিবার
বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আনন্দ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেন।
আরও পড়ুন: গলাচিপায় সরকারি বই উদ্ধার, আটক ২
ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে ও বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পণ্য, এর চাহিদা ও গুণগতমান নির্ধারণে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। এটা ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রয়োজন। গবেষণার মাধ্যমে আপনাকে পণ্য, এর চাহিদা ও গুণগতমান নির্ধারণ করতে হবে।’
শনিবার ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে রপ্তানি পণ্যের মান বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাকে নিজেই ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের আর্থিক কূটনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে পিটিএ বা এফটিএ বা অন্য যে কোনো ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সরকার জরিপ কাজ শেষ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েনি।
করোনার সময় দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার জন্য অংশীজনদের প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জিডিপি আট শতাংশ অতিক্রম করেছে। তবে হালকা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি আমরা এ বাধা অতিক্রম করতে পারব।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ হবে
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রণোদনা প্যাকেজের কথা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খোঁজ করা এবং পণ্যের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে দৃষ্টি রেখে কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন এবং আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেছেন।
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় মানুষের ঢল
বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ২২৫টি স্টলকে এবাররে মেলায় লিজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩টি প্যাভিলিয়ান, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ান, ১৬০টি স্টল ও ১৫টি ফুড কোর্ট রয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, অফিস কক্ষ, চিকিৎসা কেন্দ্র, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও স্টোর রুম রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো। তবে এ জায়গাটি দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছোট হয়ে যেত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে। তবে সরকারি ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার স্টল খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু বৃহস্পতিবার
মেলায় যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দিতে ৩০টি বিআরটিসির বাস প্রদান করেছে সরকার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে পারবেন।
১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে মেলায় আয়োজন করা হয়েছে। ১১টি দেশের ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা শুক্রবার পদ্মা সেতুতে আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন যা দেশের উন্নয়নের ধারায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।
ইউএনবির মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান এবং তার বোনকে নিয়ে ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নং পিলার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যান।
এরপরে তারা জাজিরা পয়েন্টে সার্ভিস এরিয়া-২ এ নাস্তা করেন। সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
শেখ হাসিনার সফরকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান ও পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদেরসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প সেতুটির অগ্রগতি দেখে প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ হবে
ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরে ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ড্যাপ পর্যালোচনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার ড্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ড্যাপে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কারও ওপর যদি অবিচার করা হয়েছে বলে মনে হয়, তবে সেসব সংশোধন করা হবে। কোনো পক্ষের ক্ষতি করার জন্য ড্যাপ পাস করা হচ্ছে না। ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ায় এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রিহ্যাবের আপত্তির প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন,‘আমরা সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়েছি। তাদের যে চাহিদা বা মতামত তা যদি যুক্তিসঙ্গত হয়ে থাকে সেটা শতভাগ নেয়া হয়েছে। যেটা নেয়া হয় নাই সে বিষয়ে বসে নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৬/৩ তলার ওপর কোন বিল্ডিং করতে দেয়া হবে না এটা একেবারেই অমূলক। ৪০ তলা, ৫০ তলা ১০০ তলা বিল্ডিং যদি কেউ করতে চায় আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই৷ তবে যেখানেই করা হবে সেখানে যেন সকর ধরনের যোগাযোগ সুবিধা থাকে তাহলে অনুমোদন দেয়া হবে। যেখানে সব ধরনের সুযোগ নেই সেখানে অনুমোদন দেয়া নৈতিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি নতুন করে যে সকল আবাসিক এলাকা হবে সেখানে প্রতিটিতে একটি করে প্রথমিক বিদ্যালয় থাকবে। এই ধরনের সুবিধার কথা চিন্তা করছি। রিহ্যাবকে অভিনন্দন জানাই তাদের কাজ কর্মের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারণ তারা আবাসন খাতে অনেক পরিবর্তন এনেছেন ও অবদান রাখছে। তবে যেসকল স্থান এখনও অনুন্নত রয়েছে সেখানে বিল্ডিং বানান। রাস্তা এখন নেই ভবিষ্যতে হবে। ড্যাপের প্ল্যানের মধ্যে রাস্তা ঘাট রয়েছে। সে সব এলাকাতে বিল্ডিং বানাতে তিন চার বছর লাগবে আমরা এর মধ্যে রাস্তা করে ফেলবো।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কোন পক্ষের ক্ষতির জন্য ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পাস করা হচ্ছে না। দেশে বসবাসরত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সুবিধা নির্বিঘ্নে দেয়া যায় তা রাখা হয়েছে। এই প্ল্যানে সবাইকে যথাযথ সম্মান করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিল্ডারদের অবদান যাতে খর্ব করা না হয় সে বিষয়ে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের মতামত নিয়ে ড্যাপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: মন্ত্রী
বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে সকল নির্মাণ হচ্ছে। সেগুলো নির্মাণ সময়ে আমাদের কমপ্লাইন্সগুলো যথাযথভাবে মানতে হবে। যদি না মানি তাহলে সে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়গুলো আমাদের এড্রেস করার সময় এসে গেছে। এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) বলব তারা যে সকল বিল্ডিং অনুমোদন দেন তার সঙ্গে পরিবেশকে নিরাপদ রেখে এ সকল নির্মাণ কাজ করবেন। রাজউকের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি রাজউককে বলব আপনারা নির্মাণের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিবেন। যখন কোন স্থাপনা নির্মাণের জন্য অনুমোদন পাবে তখন পরিবেশের নিরাপত্তার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে দিতে হবে। তা না হলে অনুমোদন দেয়া হবে। এজন্য কিছু সুবিধা বাড়াতে হবে রাজউককে।
দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কেননা সরকার তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে গ্রামীণ জনগণ শিগগিরই টিকা নিতে পারে।
অনেকে এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণে অনীহা দেখান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো টিকা ছাড়া থাকা উচিত নয়। সকলকে অবশ্যই এটি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিন যুদ্ধবিমান তৈরি হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষা-২০২১-এর ফলাফল প্রকাশ করেন এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু করোনা টিকা কমিউনিটি ক্লিনিক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে দেয়া হবে, তাই যারা এখনও ভ্যাকসিন পাননি তাদের সবাইকে তা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের টিকা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সকল শিক্ষার্থী যাতে টিকা পান সেজন্য আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু অভিভাবকদের নয়, তাদের সন্তানদেরও টিকা নিতে হবে।
বাংলাদেশে একদিন যুদ্ধবিমান তৈরি হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে একদিন বিমান, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২১ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, একদিন আমরা গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশে বিমান, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারব। আমি এটা বিশ্বাস করি। আমরা এখন থেকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই এবং সেই অনুযায়ী গবেষণা পরিচালনা করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর