ভারতীয়
ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের নিয়ে ভারত সরকারের আয়োজিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকার ভারতের হাইকমিশনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসে ডিক্যাবের ২০ জন সদস্য সপ্তাহব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচ হিসেবে ভারত সফর করেছেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা যৌথ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম একটি সেতু হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করে, সংলাপকে সহজতর করে এবং বোঝাপড়ার উন্নয়ন ঘটায়।
হাইকমিশনার আমাদের দুই দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার গুরুত্ব এবং আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বকারী ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক আখ্যান রচনায় গণমাধ্যমের অবদানের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সদস্যরা তাদের ভারত সফরের অভিজ্ঞতা এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে নিজেদের উপলব্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফরটির ইতিবাচক ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করেন।
ডিক্যাব সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সক্ষমতা-বিনির্মাণ বিষয়ক বিনিময় কার্যক্রমের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্যের অংশ।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৪ মাস আগে
গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে আলু, আরও আসছে ভারতীয় ট্রাক
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আনা ভারতীয় আলু তীব্র গরমে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিদিনি এই বন্দরের মাধ্যমে দেশে আলু আমদানি করা হচ্ছে। পচা আলুগুলো সড়কের পাশে ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে পথচারীদের চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বন্দরের স্থানীয় আমদানিকারক ও কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান, বন্দরে হিমাগার (কোল্ড ষ্টোরেজ) ব্যবস্থা না থাকায় আলুসহ যেকোন কাঁচামাল আমদানি করা হলে এই অবস্থা হচ্ছে। হিলিতে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গুদামের ভেতরে বস্তায় থাকা আলু প্রচণ্ড গরমে পচে রস বের হচ্ছে। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের কারণে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, দেশে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আলু আমদানি করার অনুমতি দেয়। ফলে বন্দরের আমদানিকারকরা প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আলু আমদানি করছেন। প্রতিদিন তারা আলু আমদানি করে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করছেন। আমদানি করার পর ভারতীয় ট্রাক থেকে আলুর বস্তাগুলো খালাস করে গুদামে রাখার জন্য নেওয়া হয়। বিক্রির জন্য সেখানে ২ থেকে ৩দিন মজুদ থাকে।
বর্তমানে প্রচণ্ড গরমে বাইরে থেকে পাইকাররা কম আসছেন। আবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পচে নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় আমদানিকারকরা আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের লাভ তো দূরের কথা, এখন গুনতে হচ্ছে বড় অঙ্কের লোকসান।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকদের প্রণোদনার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া না হলে দেশে পণ্য সংকটকালীন সময়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন। বিষয়টি সরকারের খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের মোকামে আমদানিকৃত ভারতীয় আলুর জাত ভেদে ৩৮-৪০ টাকা কেজিতে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। আর বন্দরের আশ-পাশের বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। তবে ভারতীয় আলু কিনতে ভোক্তাদের আগ্রহ কম। তারা দেশি আলু কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বন্দরের আমদানিকারকদের প্রতিনিধি সিরাজ হোসেন জানান, দেশে আলুর দাম বেশি। তাই আমরা ভারত থেকে আলু আমদানি করছি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে হিলিসহ দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বস্তায় থাকা আলু গরমে পচে নষ্ট হচ্ছে। প্রতি বস্তায় ২ থেকে ৩ কেজি করে নষ্ট আলু বের হচ্ছে। এখন আলু আমদানি মানেই আর্থিক ক্ষতি। আবার ভারতে গত কয়েকদিন ধরে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা দাম বেড়েছে। বন্দরে কোল্ড ষ্টোরেজ ব্যবস্থা থাকলে এই ক্ষতি হতো না।
পৌর শহরের বাসিন্দা আসাদুর রহমান জানান, ডাঙ্গাপাড়া-ছাতনি সড়কের পাশে ভারতীয় পচা আলুগুলো ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই তীব্র তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার উপর পচাগন্ধ আরও বিরক্তিকর। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিনই আলু আসছে। আলু পচণশীল পণ্য হওয়ায় কাস্টমসের রাজস্ব আদায় সাপেক্ষে দ্রত খালাস করাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নিতে আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে পোর্ট এলাকায় আলু সহ কাঁচাপণ্য রাখার জন্য কোল্ড ষ্টোরেজ ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বন্দরে পচতে শুরু করেছে ৩৭০ টন আলু
৬ মাস আগে
সিলেটে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক
সিলেটের জৈন্তাপুরে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১০ বস্তা পেঁয়াজসহ একটি ডিআই ট্রাক ও একটি এইচ পিকআপ গাড়ি আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট এলাকা ও চাঙ্গীল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
তবে গাড়িচালক ও চোরাকারবারিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি পৃথক অভিযান পরিচালনা করি ৷ অভিযানে ২টি গাড়িসহ ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১০ বস্তা পেঁয়াজ আটক করেছি ৷ এবিষয়ে দু’টি পৃথক মামলা করা হবে ৷ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ চোরাকারবারী আটক
৮ মাস আগে
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন মো. দিদারুল ইসলাম নামে এক ভারতের নাগরিক। এক বছর কারাভোগ শেষে শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিদারুল ইসলামকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল ভারতের পশ্চিবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার খারুন (ভীম) গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতীয় নাগরিক দিদারুল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে মাদকসহ আটক করে। এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দিদারুলকে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছর ও মাদক মামলায় এক বছর সাজা দেন। একই সঙ্গে দুই মামলার সাজা চলায় এক বছরেই তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় শনিবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার জানান, বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ দিদারুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
৮ মাস আগে
চাঁদে ভারতীয় মহাকাশযানের সফল অবতরণ
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ভারতের একটি মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করেছে। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি একটি অজানা অঞ্চল। তবে তারা বিশ্বাস করেন এখানে হিমায়িত পানি এবং মূল্যবান উপাদানের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মজুদ থাকতে পারে। এই সফল অবতরণের মধ্য দিয়ে দেশটি মহাকাশ এবং প্রযুক্তিতে তার ক্রমবর্ধমান দক্ষতাকে প্রদর্শন করেছে।
বুধবার স্থানীয় সময় ৬টা ৪ মিনিটে ল্যান্ডারের অভ্যন্তরে একটি রোভারসহ চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করে। এসময় দক্ষিণ ভারতীয় শহর বেঙ্গালুরুতে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা উল্লাস প্রকাশ করে করতালি দিতে থাকে। প্রায় চার বছর আগে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর প্রায় অজানা দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের কাছে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদে অবতরণকারী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে একই তালিকায় ভারত নিজেদের যুক্ত করল।
ভারতের সফল অবতরণের কিছু দিন আগে রাশিয়ার লুনা-২৫ একই চন্দ্র অঞ্চলের দিকে অবতরণের চেষ্টা করেছিল। যেটি কয়েকদিন আগে একটি অনিয়ন্ত্রিত কক্ষপথে ঘুরতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এটি ৪৭ বছর পর প্রথম সফল রাশিয়ান চন্দ্র অবতরণ হতে পারত। রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মহাকাশ কর্পোরেশনের প্রধান রোসকসমস ১৯৭৬ সালে চাঁদে শেষ সোভিয়েত মিশন চালান। চন্দ্র গবেষণায় দীর্ঘ বিরতির কারণে দক্ষতার অভাবকে এ ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতের উদ্বিগ্ন ও আগ্রহী জনতা সারাদেশের অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ এবং বাড়িতে টেলিভিশনের চারপাশে ভিড় করে। উত্তর ভারতের পবিত্র শহরখ্যাত বারাণসীসহ মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতে ও নদীর তীরে তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে মিশনের সাফল্যের জন্য মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষ প্রার্থনা করেছিল।
ভারতের চন্দ্রযান-৩ ১৪ জুলাই দক্ষিণ ভারতের শ্রীহরিকোটার একটি লঞ্চপ্যাড থেকে যাত্রা করেছিল।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতের মহাকাশ অনুসন্ধান গবেষণা আসন্ন চন্দ্রযান-৩ মিশনের মাধ্যমে একটি অসাধারণ মাইলফলক ছুঁয়েছে। যা চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি নিরাপদ অবতরণ করার জন্য প্রস্তুত। এই কৃতিত্ব ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে। যা মহাকাশ অনুসন্ধানে আমাদের দেশের অগ্রগতির প্রতীক।’
তারা বলেছে, চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণ কৌতূহল জাগিয়ে তুলতে এবং যুবকদের মধ্যে অন্বেষণের আবেগ জাগিয়ে তুলবে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা সম্মিলিতভাবে ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরাক্রম উদযাপন করার সঙ্গে সঙ্গে এটি গর্ব এবং একতার গভীর অনুভূতি তৈরি করে। এটি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
অনেক দেশ এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলো দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে আগ্রহী। কারণ স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত গর্তগুলোতে হিমায়িত পানি ধরে রাখতে পারে যা ভবিষ্যতের মহাকাশচারী মিশনে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ
চন্দ্রযান-৩ এর ছয় চাকার ল্যান্ডার এবং রোভার মডিউলটি পেলোডের সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে যা রাসায়নিক এবং উপাদানগুলোর বিন্যাসসহ চন্দ্রের মাটি এবং শিলার বৈশিষ্ট্যগুলোর বিষয়ে বিজ্ঞানীদের তথ্য সরবরাহ করবে।
এর আগে ২০১৯ সালে দক্ষিণ মেরুর কাছে চাঁদে প্রায় আজানা স্থানে ভারতের একটি রোবোটিক মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। এটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল কিন্তু তার ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। যা পানির চিহ্নগুলো অনুসন্ধান করতে একটি রোভার স্থাপন করতে চূড়ান্ত অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল। ইসরোতে জমা দেওয়া একটি ব্যর্থতা বিশ্লেষণ প্রতিবেদন অনুসারে, একটি সফ্টওয়্যার ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
২০১৯ সালে ১৪০ মিলিয়ন ডলারের মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত চাঁদের গর্তগুলো অনুসন্ধান করা যেগুলোতে পানি জমা রয়েছে বলে মনে করা হয়। যা ২০০৮ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ অরবিটার মিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছিল।
ভারত গত বছর বিশ্বের পঞ্চম-বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রযুক্তি এবং মহাকাশ শক্তিধর দেশ হিসেবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান অবস্থান প্রদর্শন করতে আগ্রহী।
একটি সফল চন্দ্র মিশন মোদি ও ভারতের ইমেজকে বৃদ্ধি করে, যা বিশ্বব্যাপী অভিজাতদের মধ্যে তার স্থান নিশ্চিত করে। আগামী বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ নির্বাচনের আগে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এটি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
রাশিয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন মহাকাশে নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে যাওয়ার পরে ভারতের সফল অবতরণের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। মে মাসে চীন তার প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনের জন্য তিন ব্যক্তির ক্রু চালু করেছে। একই সঙ্গে দশকের শেষের আগে চাঁদে মহাকাশচারীদের রাখার আশা করছে। ২০২০ সালে মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে গেছে।
অনেক দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি মহাকাশযান অবতরণ করার জন্য চেষ্টা করছে। এপ্রিলে জাপানি একটি কোম্পানির মহাকাশযান দৃশ্যত চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়। ২০১৯ সালে অনুরূপ অলাভজনক একটি ইসরাইলি মহাকাশযান কৃতিত্ব অর্জন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এর মহাকাশযানটি আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
জাপান একটি এক্স-রে টেলিস্কোপ মিশনের অংশ হিসেবে সপ্তাহের শেষে চাঁদে একটি লুনার ল্যান্ডার চালু করার পরিকল্পনা করেছে এবং দুটি মার্কিন সংস্থাও বছরের শেষ নাগাদ লুনার ল্যান্ডার স্থাপনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাদের মধ্যে একটি দক্ষিণ মেরুতে। আগামী বছরগুলোতে নাসা গর্তে জমা হিমায়িত পানির সুবিধা নিতে নভোচারীদের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩: ইসরো
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে মাদক জব্দ, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরের কাতলামারী সীমান্ত এলাকা থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় সাইফুল শেখ (২৪) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সাইফুলকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. রুহুল আমিন।
গ্রেপ্তার সাইফুল শেখ (২৪) ভারতের হাড়-সিংমারী জেলার শুকচর থানার বাসিন্দা।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
রুহুল আমিন জানান, তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উলিুপর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: কড়া নজরদারিতে কুড়িগ্রামের হাটে নেই ভারতীয় গরু
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
১ বছর আগে
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
কারাভোগ শেষে এক ভারতীয় নাগরিককে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। শনিবার দুপুরে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম নাসির শেখ (৪৫)। তিনি নদীয়া জেলার চাপড়া থানার ব্রহ্মনগর গ্রামের ছাত্তার আলির ছেলে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের নাসির শেখ। পরে তাকে বিজিবি আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করে। এরপর মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটটের দ্বিতীয় আদালত তাকে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ১৫ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলো নাসির শেখ।
দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাইম জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে অবৈধপথে মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন নাসির শেখ। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে। পাসপোর্ট আইনের মামলায় কোটে প্রেরণ করে। বিচার শেষে আদালত তাকে দু’মাসের কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আইনি জটিলতার কারণে কারাভোগ করতে হয়। দীর্ঘ ১৫ মাস কারাভোগ শেষে শনিবার তাকে দর্শনা সীমান্তের জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
তিনি আরও বলেন, এ সময় বিজিবির পক্ষে কমান্ডার আব্দুল জলিল ও বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার গোপাল চন্দ্র দে-এর নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক শেষে ফেরত দেওয়া হয়।
ভারতীয় নাগরিক হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল ও এনজিও কর্মী জাহাঙ্গীর আলম।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নগেন্দ্র পাল, কৃঞ্চগঞ্জ থানার এসআই উত্তম কুমার, গেদে কাস্টমস ইনচার্জ অজয় নারায়ণ ও এনজিও কর্মী চিত্ত রঞ্জন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বন্ধন এক্সপ্রেসে ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ৫
মাগুরায় পাসপোর্ট অফিস থেকে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোন থেকে অপহরণ হওয়া এক ব্যক্তিকে জেলার ফটিকছড়ির ভুজপুর ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণ চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার (২ মে) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
ভুক্তভোগী নূর হাশেম চট্টগ্রামের কর্ণফুলির উপজেলা এলাকার বাসিন্দা।
আটক মো. মামুন (৩৭) মিরসরাই করেরহাট এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, গতকাল সোমবার (১ মে) ভোরে ভুজপুরের রহমতপুর এলাকায় রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নুরুল আবছার বলেন, অপহৃত ভিকটিম নূর হাশেম মিরসইয়ের জোরারগঞ্জ থানার অর্থনৈতিক অঞ্চলের মর্ডান সিনটেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সে সুবাধে আসামি মো. মামুন ও মো. জসিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে জসিম তাকে ফোন করে করেরহাট এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে। দেখা করতে ভিকটিম করেরহাট গেলে এক সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার তাকে ভুজপুরের কৈলারছড়া এলাকায় জসিমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মামুন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ভিকটিমকে অপহরণ করে ভুজপুরের ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি অজ্ঞাত এলাকায় নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া অপহরণকারীরা ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার পরিবারের লোকদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে তা শুনাতো। ভিকটিমের পরিবার তাকে উদ্ধারে র্যাব-৭ এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে র্যাব। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুজপুরের রাবার বাগানে অভিযানে চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণের মূলহোতা মামুনকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
মিরসরাইয়ে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১৩
১ বছর আগে
কুমিল্লায় গাঁজা-মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
কুমিল্লার ১০১ কেজি গাঁজা এবং সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার কোতোয়ালি থানার শালধর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটকরা হলো-ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানার কুলুবাড়ী গ্রামের ফারুক হোসেন ও মাসুম মিয়া এবং কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোলাম রাব্বি ইসলাম পাপ্পু।
মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের ঘটনা স্বীকার করে মেজর সাকিব হোসেন জানান, মাদক উদ্ধার এবং তিনজন আটকের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ৫
বাগেরহাটে ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার মেশিন উদ্ধার, আটক ৪
১ বছর আগে