ভারতীয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ভারতীয় দম্পতির কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলার রায়ে এক ভারতীয় দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে ১০ বছর ও স্বামী রামবিলাস চৌধুরীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক আব্বাস
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ভারতের পচিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিপুর থানার গৌরীমারী ধুমবালু কলোনীর মৃত রামপরিয়াক চৌধুরীর ছেলে রামবিলাস চৌধুরী (৫৫) ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরী (৪৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দলদলী ইউনিয়নের মহামারী এলাকা থেকে একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ ভারতীয় নাগরিক রামবিলাস চৌধুরী ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে আটক করে র্যাব।
পরে র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ আলী ভুইয়া বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ১৩৫ ভারতীয় জেলে
চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
বাংলাদেশে সফররত ভারতীয় ৩৮ জন পর্যটক দল চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেছেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় পর্যটক দল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি বিচ, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা, ইসকন মন্দির, কৈবল্যধাম ও রামকৃষ্ণ মন্দির পরিদর্শন করেন।
চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে এডিশনাল এসপি হাসান ইকবাল এ তথ্য জানান।
বিকালে পতেঙ্গা সি-বিচে আগত ভারতীয় পর্যটক দলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. আপেল মাহমুদ ও এডিশনাল এসপি হাসান ইকবাল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা
এ সময় চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখার হাসান, পতেঙ্গা সি বিচ ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. ইসরাফিল মজুমদার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত২২ নভেম্বর সোমবার দুপুরে দলটি আগরতলা চেকপোস্ট হয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আসেন ভারতীয় পর্যটক দলটি। এ সময় দলটিকে সীমন্ত শূন্যরেখায় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কুমিল্লা জোনের ইনচার্জ দীপক কুমার দাসসহ অন্যান্য ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
জানা গেছে, আগরতলা নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে ও আগরতা শ্যামলী এন আর ট্রাবেলসের আয়োজনে এই ট্যুরিস্ট দলটি বাংলাদেশর ঢাকা-চট্রগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন। এদিকে ট্যুরিস্ট দলটিকে নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ ডিসিসিআইয়ের
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে কয়েকদিন থেকে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ২/১ টাকা করে বেড়ে শুক্রবার দুপুরে বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ১০-১২ টাকা।
সর্বশেষ গত সোমবার ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।
দীর্ঘদিন ধরে দাম স্থিতিশীল থাকার পর আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ ভোক্তারা।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকাগুলোতে সাম্প্রতিক বন্যা হওয়ায় আবাদ ব্যাহত হয়েছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কেজিতে ৮-১০ টাকা করে ভারতের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজের প্রচুর চাহিদা। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশি দাম দিয়ে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। তবে বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে পেঁয়াজের আমদানি কম হচ্ছে। আরও দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা এই ব্যবসায়ীর।
আরেক আমদানিকারক রেজাউল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়তে আছে। ভারতে নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে। এখন থেকে সরকারকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা গত তিনদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার কাছে।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ১৩৫ ভারতীয় জেলে
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৩৫ জন ভারতীয় জেলে দেশে ফিরে গেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই জেলেদের ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তি পাওয়া ১৩৫ জেলে তাদের আটটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে মোংলা বন্দর হয়ে সমুদ্র পথে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে জুন মাসের শেষ দিকে নৌবাহিনীর সদস্যরা দুই দফায় অভিযান চালিয়ে আটটি মাছ ধরা ট্রলারসহ ওই ১৩৫ জেলেকে আটক করে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত কারাগারে বন্দি ভারতীয় ওই ১৩৫ জেলেকে মামলার দায় থেকে অব্যহতি দিয়েছে। আদালতের আদেশ মোতাবেক মঙ্গলবার কারাগার থেকে ওই জেলেদের মুক্তি দিয়ে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলেরা তাদের আটটি ট্রলার নিয়ে মোংলা সমুদ্র পথে দেশে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক
খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস থেকে ভারতীয় ওষুধ-পণ্য জব্দ
খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ, শাড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এসব পণ্য ট্রেনে করে পাচার করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কলকাতা থেকে আগত 'বন্ধন এক্সপ্রেস' ট্রেনে করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য পাচার হচ্ছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম বেনাপোল রেলস্টেশন টার্মিনাল এলাকায় ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সুরভীজর্দা, ক্লপ জি ফেস ক্রিম, ফেসওয়াশ, নিভিয়া সফট ক্রিম, আমদানি নিষিদ্ধ ডেক্সামেথাসন ট্যাবলেট, শাড়ি, সিল্ক সুতা জব্দ করা হয়েছে।
উক্ত আটক করা পণ্য বেনাপোল শুল্ক গুদামে জমা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
চট্টগ্রামে গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য জব্দ, ৩ ব্যবসায়ী আটক
সিরাজগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে ভারতীয় মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
নিহত খুশবু মানজুর (২১) ভারতের জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ কাতুবিজবিহারা এলাকার মানজুর আহম্মেদ কারাইয়ের মেয়ে এবং সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজিবাইকে খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু!
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তিন দিনের শিক্ষা সফরে শাহজাদপুরে যান এবং বেসরকারি সংস্থা পিপিডির আবাসিক হোটেল ভাড়া করার পর তারা ঘুরতে বের হন।
ঘোরাঘুরি শেষে দুপুরের দিকে হোটেলে পৌঁছে খাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী ছাদে ওঠলে সেখান থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, হোটেলের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে ওই শিক্ষার্থী পড়ে গিয়েছে নাকি কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ভারতীয় সীমান্তে গরু চোর সন্দেহে আব্দুস সালাম (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের চাউলহাটি এলাকার বড়ুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে অফিসিয়ালি কোন পত্র না আসলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে। তার বাড়ি পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
সাতমেরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিন্টু কামাল ও নিহত আব্দুস সালামের বড় ভাই আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, আব্দুস সালামসহ কয়েক ব্যক্তি ভারতের ওই এলাকা থেকে গরু আনতে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকার নাগরিকরা গোটা এলাকা ঘেরাও করে রাখেন। এসময় সালামের সহযোগিরা পালিয়ে আসলেও সালাম তাদের হাতে ধরা পড়ে। ভারতীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গলা থেকে মাথা পর্যন্ত নৃসংশভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
খবর পেয়ে ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত আব্দুস সালামের ভাই আলম জানান, আমার ভাইকে ভারতীয়রা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম জানান, অফিসিয়ালিভাবে আমাদের কেউ এ বিষয়টি অবহিত করেননি। তবে শুনেছি বাংলাদেশি এক নাগরিককে খুঁজে পাচ্ছে না। আমরা বিষয়টির সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন:মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
কলকাতার একটি বিশেষ আদালত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়েছে।
যদিও ইডি হালদারকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য’ আরও দুই সপ্তাহ চেয়েছিল,তবে মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত সংস্থাটিকে ১০ দিন সময় দেয়।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ইডির অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া হালদার ও তার দুই সহযোগীর তিন দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে আজ আবার আদালতে তুলছে ইডি, বাড়তে পারে রিমান্ড
তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারও তার সঙ্গে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার ওপার বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অভিযানে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তিনজনই জালিয়াতি নথির ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানিটি স্থানান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাঁচানো যায়নি ভারতীয় হরিণটি
অবশেষে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা হরিণটি মারা গেছে। বনবিভাগ মৃত হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম সিকটিহারিতে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা হরিণটিকে ধরতে প্রানপণ চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল আলম হালিম ও সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা ঋষিকেষ রায় জানান, খাবারের খোঁজে পথ ভুলে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণটি বাংলাদেশের সিকটিহারি গ্রামে প্রবেশ করে। উৎসুক জনতার ধাওয়ায় হরিণটির পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। হরিণ দেখতে সেখানে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমাদের সামনেই হরিণটি মারা যায়। রাতে হরিণটিকে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দেয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণটিকে ধরার জন্য স্থানীয়রা ধাওয়া করায় পা কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ভয়ে হরিণটি মারা যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলাম হালিম জানান, হরিণটির পা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিলে হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণীটিকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসা ভারতীয় কিশোরী মোছা. খুসনামাকে (১৭) ফের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পুরাতন বাজারের তেলীপাড়া নামক স্থানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনের মেইন পিলার ৪৪২ ও ৪৪৩ এর মধ্যবর্তী স্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনীর (বিএসএফ)-এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। এসময় ওই কিশোরীর বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠক শেষে বিজিবি ও পুলিশ খুসনামাকে বিএসএফের হাতে সোপর্দ করে। পরে বিএসএফ তাকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার হরিয়ানি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে কিশোরী খুসনামা গত বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মহানন্দা নদী পেরিয়ে ইদগাহ বস্তি এলাকায় প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ দুপুরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করলে বিজিবি বিএসএফের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি তেঁতুলিয়া কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব ও তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া বিজিবি, বিএসএফ ও পুলিশের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ভারতীয় কিশোরী খুসনামাকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে বিজিবি তেঁতুলিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব, তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তপন কুমার, ভারতের ২৭৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট কামাল সিং, ইন্সপেক্টর উপেন্দ্র সিং, প্রমোদ কুমার, ভারতের গোয়ালপুকুর থানার কনস্টেবল দিলিপ কুমার সরকারসহ উভয় দেশের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় ভালোবাসা দিবসে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখে ফেলায় শিশু লিজাকে হত্যা!