আইএলও
গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিসে যোগ দিল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস-এ যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জেনেভায় কোয়ালিশনের প্রথম ফোরামে যোগদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে কোয়ালিশন সচিবালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদারকরণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ঘাটতি পূরণ করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে অবদান রাখতে গত বছরের নভেম্বরে এ কোয়ালিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
গত বছরের জুনে আইএলওর মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর আমন্ত্রণে জেনেভায় ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
সম্মেলনে কোয়ালিশনের রূপরেখা নিয়ে বিশ্ব নেতারা নিজেদের মত প্রকাশ করেন।
এ সময় কোয়ালিশন গঠনের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা সুপারিশ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ালিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি অগ্রাধিকার বেছে নেওয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- অসমতা ও বৈষম্য মোকাবিলা, শ্রমিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, টেকসই ব্যবসা ও শোভন কর্মসংস্থান।
এ বিষয়গুলোতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ও বেসরকারি অংশীদারদের কার্যকর সমন্বয় ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নীতিগত সামঞ্জস্য আনতে কোয়ালিশন কাজ করবে।
গ্লোবাল কোয়ালিশনে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকোসহ ৭২টি দেশের সরকার যোগ দিয়েছে।
গতকাল ৭৩তম দেশ হিসেবে এ গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিশনের অংশীদার হলো বাংলাদেশ।
সরকার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠন, মালিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এর অংশীদার।
৬ মাস আগে
নমনীয় কাজের সময়সূচি সবার জন্য লাভজনক: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
নমনীয় কর্মঘণ্টা যখন কর্মচারী এবং পরিবারকে আরও ভাল কর্ম-জীবনের ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করে, তখন তা অর্থনীতি এবং ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার(আইএলও) ইনওয়ার্ক-এর প্রধান ফিলিপ মার্কাডেন্ট ‘পৃথিবীজুড়ে কাজের সময় এবং কর্ম-জীবনের ভারসাম্য’-বিষয়ে বলেছেন, কর্মঘণ্টা এবং অবস্থার আশেপাশের সমস্যাগুলো আজ বিশ্বের বেশিরভাগ শ্রমবাজার সংস্কার এবং বিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’
‘কর্ম ঘন্টার সংখ্যা, সেগুলো যেভাবে সংগঠিত হয় এবং বিশ্রামের সময়কালের প্রাপ্যতা শুধুমাত্র কাজের মানকেই নয়, কর্মক্ষেত্রের বাইরের জীবনকেও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’
কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের ওপর প্রথম পরিচালিত এই গবেষণাটি ব্যবসা এবং তাদের কর্মীদের কর্মক্ষমতার ওপর কাজের সময় এবং সময়সূচির প্রভাবগুলো পরীক্ষা করে।
কোভিডের আগে এবং চলাকালীন সময়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। যে সমস্ত কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কাজ করছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তির এক পঞ্চমাংশ প্রতি সপ্তাহে খণ্ডকালীন ভিত্তিক সময়ে ৩৫ ঘন্টারও কম কাজ করছে।
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জন মেসেঞ্জার বলেছেন, ‘তথাকথিত 'মহান পদত্যাগ' ঘটনাটি মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে সামাজিক এবং শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোর অগ্রভাগে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।’
প্রতিবেদনটি বিভিন্ন কাজের সময়সূচি এবং কাজের-জীবনের ভারসাম্যের ওপর তাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে, যার মধ্যে স্থানান্তর, কলে থাকার ব্যবস্থা, সংকুচিত ঘন্টা এবং ঘন্টা-গড় সূচিসমূহ রয়েছে।
মেসেঞ্জার বলেছেন যে উদ্ভাবনী কাজের সময় ব্যবস্থা, যেমন কোভিড সংকটের সময় প্রবর্তিত, বৃহত্তর উৎপাদনশীলতা এবং উন্নত কর্ম-জীবনের ভারসাম্যসহ দুর্দান্ত সুবিধা আনতে পারে।
আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি দেখায় যে আমরা যদি কোভিড সংকটের কিছু শিক্ষা প্রয়োগ করি এবং কাজের সময়গুলো কীভাবে গঠন করা হয়, সেইসঙ্গে তাদের সামগ্রিক দৈর্ঘ্যের দিকে খুব যত্ন সহকারে দেখি, আমরা উভয় ব্যবসার উন্নতি এবং একটি সন্তোষজনক কর্মক্ষমতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য (সকলের জন্য) তৈরি করতে পারি।’
কোভিড সঙ্কটের ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী নতুন প্রমাণও দিয়েছে। এতে দেখা যায় যে শ্রমিকরা কীভাবে, কোথায় এবং কখন কাজ করে সে সম্পর্কে আরও নমনীয়তা দেয়া এবং তাদের উল্লেখযোগ্য উৎপাদনশীলতা লাভের সঙ্গে ব্যবসা উভয়ের জন্যই ইতিবাচক হতে পারে।’
বিপরীতভাবে, নমনীয়তা সীমাবদ্ধ করার ফলে উচ্চ কর্মীদের চলে যাওয়াসহ যথেষ্ট খরচ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রচুর পরিমাণে প্রমাণ রয়েছে যে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নীতিগুলো এন্টারপ্রাইজগুলোতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে, এই যুক্তিকে সমর্থন করে যে এই ধরনের নীতিগুলো নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়ের জন্যই একটি 'লাভজনক’।
এতে বলা হয়েছে, আইন ও প্রবিধান যা কাজের ঘন্টা এবং বিধিবদ্ধ বিশ্রামের সময়সীমার একটি উচ্চ সীমা নির্ধারণ করে। সমাজের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: আইএলওর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ
কাজের সময় অনুসারে, দেশগুলোকে মহামারি যুগের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করা উচিত। যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বল্প-সময়ের কাজের স্কিমগুলো, যা কেবল চাকরিই বাঁচায়নি বরং ক্রয় ক্ষমতাও বাড়িয়েছে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবগুলোকে উপশম করতে সহায়তা করেছে।
এটি অনেক দেশে কাজের ঘন্টার সংখ্যা কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যকে উন্নীত করার জন্য একটি জননীতি পরিবর্তনের পক্ষেও সমর্থন করে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনটি কর্মসংস্থান বজায় রাখতে এবং কর্মীদের আরও এজেন্সি দেয়ার জন্য টেলিওয়ার্কিংকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বাংলাদেশ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রম অধিকার বিষয়ক সুপারিশসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শ্রম সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট জোস ডব্লিউ ফার্নান্দেজ যথাক্রমে বাংলাদেশ ও মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
এসময় সালমান এফ রহমান শ্রম আইন ও ইপিজেড আইনসহ সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানের সংশোধন ও আন্তর্জাতিক শ্রম কনভেনশনসমূহ অনুস্বাক্ষরের বিষয়ও তুলে ধরেন।
সভায় ফার্নান্ডেজ বাংলাদেশের শ্রম খাত উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করেন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সুপারিশসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান সালমান এফ রহমানের
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের শ্রম খাতের অধিকতর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান ও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, আইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শ্রম সচিব বিগত এক দশকের বেশি সময়ে শ্রম খাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সুফল সম্পর্কে সভায় অবহিত করেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল শ্রম আইন ও বিধি সংশোধন এবং ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণসমূহ তুলে ধরেন।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আহ্বান জানান ।
২ বছর আগে
দেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে। যেকোন মূল্যে কর্মক্ষেত্রে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।সোমবার সন্ধ্যায় জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের এর ১১০তম অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সফলতার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত শতভাগ শ্রমিককে করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ আইএলও’তে কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছে।গত মার্চে আইএলও এর গভর্নিং বডির সভায় রোডম্যাপ বাস্তবায়নের দ্বিতীয় অগ্রগতি প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের সুরক্ষায় ১৮.৬৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকার: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
বক্তব্যে তিনি শিশুশ্রম নিরসন এবং কাজে যোগদানে ন্যুনতম বয়স নির্ধারণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।দেশের শ্রমজীবী মানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষা, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সরকার মালিক-শ্রমিকের ত্রিপক্ষীয় প্রচেষ্টাসমূহ গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করেন।শ্রম প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আইএলও এর নতুন মহাপরিচালক গিলবার্ট ফসুন হাংবোকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে
শ্রমিকের অধিকার ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইনমন্ত্রী
শ্রমিকের অধিকার, ন্যায্য পাওনা ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের অধিকার, ন্যায্য পাওনা ও যথাযথ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকার এ কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সোমবার (২১ মার্চ) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কর্তৃক আইএলও'র ২৯টি দলিলে অনুসমর্থনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জোরপূর্বক বা জবরদস্তিমূলক শ্রম সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০ এর প্রটোকল-২০১৪ অনুসমর্থন করেছে যা দেশে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার পথে একটি কাযর্করী পদক্ষেপ। এছাড়া বাংলাদেশ গত মাসে কর্মে যোগদানের ন্যূনতম বয়স সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, এ দুটি দলিলে অনুসমর্থন দানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইএলও'র ৮টি মৌলিক দলিলে অনুসমর্থনদানকারী দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ অতিমারিকালে সরকারের গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য উন্নততর কাজের পরিবেশ তৈরির চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনকরণ, শ্রম সংক্রান্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তিকরণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যকর করতে সরকার মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।
পড়ুন: কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
২০২১-২০২৪ মেয়াদে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পরিষদের উপ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১০৯তম অধিবেশন চলাকালে এই ভার্চুয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে বাংলাদেশ আইএলও’র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ২১০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুনঃ জেনেভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মুস্তাফিজুর
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে ও জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এই ভার্চুয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম সচিব কে, এম, আব্দুস সালাম এবং জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুনঃ আইএলওর কোভিড ১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ
উল্লেখ্য আইএলও’র পরিচালনা পরিষদে এটি বাংলাদেশের পক্ষে টানা তৃতীয় জয়। এর আগে বাংলাদেশ ২০১৪-২০১৭ এবং ২০১৭-২০২১ মেয়াদে আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ-সদস্য হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে।
৩ বছর আগে
আইএলওর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জেনেভার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্বব্যাপী শ্রম জগতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা থেকে সফল ও কার্যকরী উত্তরণের নিমিত্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও মানবিক উপায়ের সন্ধানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সকল সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে এক দীর্ঘ আলোচনায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত আউটকাম ডকুমেন্ট-এর একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
৩- ১৯ জুন ২০২১ অনুষ্ঠিতব্য ১০৯-তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে খসড়াটি গৃহীত হবে।
উক্ত খসড়ার উপর সকল সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মতামত ও সম্মতি গ্রহণের জন্য আসন্ন আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের পূর্বে চূড়ান্ত নেগোশিয়েসন অনুষ্ঠিত হবে । এ গুরুত্বপূর্ণ নেগোশিয়েসনে সভাপতিত্ব করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঋক্ত নেগোশিয়েসনে সভাপতিত্ব করবেন।
উল্লেখ্য, খসড়া প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটিতে বাংলাদেশ এশীয়-প্রশান্ত অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবেও নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে।
৩ বছর আগে
শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
সকল শ্রমজীবি মানুষের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪১তম সেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এই সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী আইএলওকে আশ্বস্ত করে বলেন, শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ একটি ছয় বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনাটির মেয়াদ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্ত উত্তোরণের সাথে সংগতি রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি শ্রম আইন সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম পরিদর্শন বিভাগের ক্ষমতায়ন এবং শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিহার সংক্রান্ত ৪টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণের কথা আলোচনা সভায় তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের আলোকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার: আইনমন্ত্রী
আইএলও গভর্নিং বডি’র বর্তমান চেয়ারম্যান ভারতের শ্রম সচিব অপূর্ব চন্দ্রে’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কিত এ আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও ভারত, চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, মরক্কো, কিউবা, ইরাক, বাহরাইন, আজারবাইজান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও মেক্সিকোর প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সরকার আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী: আইনমন্ত্রী
৩ বছর আগে
করোনার কারণে ২০০৮ সালের চেয়েও মন্দাবস্থায় চাকরির বাজার
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে, চলমান কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে এক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। বর্তমানে ২০০৮ সালের মন্দাবস্থার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
৩ বছর আগে
করোনায় আরও বেড়েছে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য
কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য এবং বিগত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের জন্য দরিদ্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩ বছর আগে