অ্যাওয়ার্ড
গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) চার অনুষদের চারজন গবেষক (শিক্ষক)।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ- শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ১১তম বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪ জন গবেষক হলেন-
১) অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসাইন।
২) ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসাইন।
৩) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
৪) লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের অন্তর্ভুক্ত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান।
বার্ষিক এ গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. শামিম আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
দুই দিনব্যাপী এই বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে ১৯টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৮১টি গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাস্ট রিসার্চ সেন্টারে আওতায় এক বছর মেয়াদি ১৬১টি গবেষণা প্রকল্প, দুই বছর মেয়াদি ২৯টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
এই অর্থবছরে গবেষণায় মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গবেষণা প্রণোদনা হিসেবে গবেষকদের জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
সিলেটে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে
চঞ্চল-বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
ভারতের টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসের ২০তম আসর কলকাতা নজরুল মঞ্চ বসেছিল রবিবার (৪ জুন)। কলকাতার একাধিক তারকার পাশাপাশি এবারের পুরস্কার উঠে বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতেও। সেই তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদার।
পুরস্কারটি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাপ্পা। এ নিয়ে তিনি ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্টে লেখেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনাদের সবার ভালোবাসায়, বাংলা মিউজিকে বিশেষ অবদানের জন্য আমি ২০ তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ প্রাপ্ত হয়েছি।
রবিবার (৪ জুন) কোলকাতা নজরুল মঞ্চে এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে আমাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাপ্পা আরও লেখেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, জুরি বোর্ড এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি। সেই সঙ্গে আমার সকল শ্রোতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য রইলো প্রাণঢালা ভালোবাসা। সবাই ভালো থাকবেন, বাংলা গানের সঙ্গে থাকবেন।’এদিকে, শুধু বাপ্পা মজুমদারই নয়। টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডসের এবারের আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার উঠে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে। অন্যদিকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন।
আরও পড়ুন: মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
১ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়টি অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগের চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খাইরুম হক অর্থী, রসায়ন বিভাগের রাশেদ মাহমুদ, গণিত বিভাগের মো. এবাদুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের মোহাম্মদ সাকিব ইবতিধা চৌধুরি, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দিগন্ত দাশ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আতিয়া তাহিরা তাসনিম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জেবা ফাইজাহ রাহমান, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাজহারুল হক জুবায়েদ, ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স থেকে কাশফিয়া নেহরিন, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মো. নাজমুল ইসলাম রাফি, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সৌমেন দাশ ও সৈয়দা জান্নাতুস সাবা, ত্রিপলি বিভাগের দ্বিপ সরকার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের মো. আমজাদ পাটোয়ারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাউসার আলী, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি, স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শতাপর্না দাশ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মিতালী সিনহা, বাংলা বিভাগের কান্তা ভৌমিক, অর্থনীতি বিভাগের মাহফুজা খাতুন রিমা, ইংরেজি বিভাগের তাসনিম সুলতানা ডেইজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শামীমা বেগম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল বাসিত, সমাজকর্ম বিভাগের ফারাহ তাসনিম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের খাইরাতুন হিসান তন্নী।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। মুজিব শতবর্ষকে সম্মানিত ও স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা থেকে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২২২তম সভা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের ১৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
১ বছর আগে
‘গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডার অ্যাওয়ার্ড’পেলেন তরুণ লেখক আলতামিশ নাবিল
২০২২ গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডারশিপ সামিট এর ‘গ্লোবাল ইয়্যুথ লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন তরুণ লেখক, নির্মাতা ও টেক ইভানজেলিস্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রয়্যাল থাই আর্মি ক্লাবে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৪ থেকে ২৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশটির অধিক দেশ থেকে তরুণ নেতারা এই সামিটে অংশ নেয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইয়্যুথ পার্লামেন্ট এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস পিসকিপারস ফেডারেল কাউন্সিলে আয়োজনে বাংলাদেশের যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ নাবিলকে এই অবদানে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউএনবির প্রতিনিধি মো. আরজু
পুরস্কার প্রসঙ্গে আলতামিশ ইউএনবিকে নাবিল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্জিত জীবনের সকল স্বীকৃতিই ভীষণ অনুপ্রেরণার। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটি সামনের দিনে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে মাথায় রেখে যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধি এবং সমাজের নানা অসুবিধা-অসঙ্গতি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে।’
আলতামিশ নাবিল নিয়মিত লেখালেখি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বর্তমানে মিয়াকি নামে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজড সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট শাখার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বি. পজিটিভ ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা।
আরও পড়ুন: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে তার লেখা বেশকিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, কন্টেন্ট রাইটিং অ্যাপ্লিকেশন মনিটাইজেশনসহ নানা যুগোপযোগী বিষয়ে সারাদেশে যুবদের জন্য নানা কর্মশালা চালিয়ে যাচ্ছেন।
২ বছর আগে
২০ বিভাগে দেয়া হলো ‘টিএম রেকর্ডস-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০’
প্রতি বছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ‘সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড’। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপের কারণে ভাটা পড়েছিল এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। তবে এবার পুরোনো উদ্যমে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের 'হল অব ফেম'-এ আয়োজিত হয় ‘টিএম রেকর্ডস-সিজেএফবি পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২০’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং গানবাংলা টিভির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী ও গানবাংলা টিভির সিইও কৌশিক হোসেন তাপস। অতিথিদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিজেএফবির প্রধান উপদেষ্টা এনাম সরকার, সভাপতি তামিম হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ।
২ বছর আগে
সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ ডিসেম্বর
দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (সিজেএফবি) উদ্যোগে আগামী শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে 'সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০'বিতরণ অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম-এ অনুষ্ঠিত হবে সিজেএফবি'র এই ২০তম আসর। বিগত সময়ের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশ-সেরা তারকাদের উপস্থিতিতে উদযাপিত হবে অনুষ্ঠানটি। থাকবে সেরা তারকাদের পারফরমেন্স।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
চলচ্চিত্র,সঙ্গীত ও টেলিভিশন মাধ্যমে বছর সেরা তারকাদের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে সংগঠনের সদস্যদের জরিপে এই পুরস্কার দেয়া হবে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। পুরস্কার প্রদানের মাঝে মাঝে থাকবে দেশসেরা তারকাদের পারফরমেন্স। এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা ও বিশেষ বিভাগে দুটি পুরস্কারসহ ২০ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোট ৬০ জন।
সংগঠনের বিশেষ বৈঠকে রবিবার সকালে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এ বছর মনোনয়ন পেলেন যারা
সঙ্গীত বিভাগ
সেরা গায়ক: ইমরান মাহমুদুল (তুই কি আমার হবি রে), তানজীব সারোয়ার (ডুবে ডুবে), মিনার রহমান (কেউ কথা রাখেনি)
সেরা গায়িকা: মিলা (আইসসালা), ঐশী (মেঘের বাড়ি), কণা (তুই কি আমার হবি রে)
সেরা সঙ্গীত পরিচালক: সাজিদ সরকার (ডুবে ডুবে), প্রীতম হাসান (ভেঙে পড়োনা এভাবে), হৃদয় খান (আবারও)
সেরা গীতিকার: তানজীব সারোয়ার (ডুবে ডুবে), কবির বকুল (তুমি আমার জীবন), রাকিব হাসান রাহুল (সুন্দর মানুষ)
সেরা ব্যান্ড: নেমেসিস, আর্টসেল, এভয়েড রাফা
সেরা ফোক সিঙ্গার: শফি মণ্ডল (গুরুসাধন), পারভেজ (নক্ষত্র), মমতাজ (মানুষগাড়ি)
আরও পড়ুন: বেঙ্গল শিল্পালয়ে ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব
চলচ্চিত্র বিভাগ
সেরা অভিনেতা: শাকিব খান (শাহেনশাহ), সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী), নিরব হোসেন (হৃদয় জুড়ে)
সেরা অভিনেত্রী: পরীমণি (বিশ্বসুন্দরী), শবনম ইয়াসমিন বুবলি (বীর), নুসরাত ফারিয়া (শাহেনশাহ)
সেরা পরিচালক: চয়নিকা চৌধুরী (বিশ্বসুন্দরী), কাজী হায়াত (বীর), ফখরুল আরেফিন খান (গন্ডি)
সেরা চলচ্চিত্র: বীর, শাহেনশাহ, বিশ্বসুন্দরী
টেলিভিশন বিভাগ
সেরা অভিনেতা: তাহসান খান (মুখ ও মুখোশের গল্প), জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (মিস্টার অ্যান্ড মিসেস চাপাবাজ), আফরান নিশো (গজদন্তিনী)
সেরা অভিনেত্রী: মেহজাবীন চৌধুরী (ফটোফ্রেম), তানজিন তিশা (হঠাৎ দেখা), তাসনিয়া ফারিন (যে শহরে টাকা ওড়ে)
সেরা অভিনেতা (ক্রিটিক): চঞ্চল চৌধুরী (ছুটি), নুসরাত ইমরোজ তিশা (মুখ ও মুখোশের গল্প), মোশাররফ করিম (যে শহরে টাকা ওড়ে)
সেরা উদীয়মান অভিনেতা: শামীম হাসান সরকার (ফ্যামিলি ক্রাইসিস), মুশফিক আর. ফারহান (ক্রাশ), জিয়াউল হক পলাশ (ব্যচেলর পয়েন্ট)
সেরা উদীয়মান অভিনেত্রী: কেয়া পায়েল (হয়ত তোমারই জন্য), সানজানা সরকার রিয়া (ব্যাচেলর পয়েন্ট), সারিকা সাবা (ফ্যামিলি ক্রাইসিস)
সেরা নাটক (ধারাবাহিক): ব্যাচেলর পয়েন্ট (ধ্রুব টিভি), ফ্যামিলি ক্রাইসিস (সিনেমাওয়ালা), নোয়াশাল (বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড)
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় কনসার্ট ‘ঢাকা রক ফেস্ট ২.০’ হবে ২৩ ডিসেম্বর
সেরা নাটক (একক): টাকলা (মোশন রক), ভুল এই শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল (সিএমভি), আপা (ব্লাক অ্যান্ড হোয়াইট)
সেরা পরিচালক: কাজল আরেফিন অমি (ব্যচেলর পয়েন্ট), মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ (ফ্যামিলি ক্রাইসিস), মীর সাব্বির (নোয়াশাল)
সেরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম
সেরা ইউটিউবার: তৌহিদ আফ্রিদী, রাবা খান, সালমান মুক্তাদির
২ বছর আগে
‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ২০ ডিসেম্বর
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ (জেবিওয়াইএ) আগামী ২০ ডিসেম্বর (সোমবার) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত অবিস্মরণীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র স্মরণে প্রতি দুই বছরে একবার এ পুরস্কার দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবছর ব্যবধান কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ইয়াং বাংলার সূত্র জানায়, বিচারকেরা এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেছেন, তরুণ অর্জনকারীরা শুধু দেশকেই না, বিশ্বকেও পরিবর্তনের সম্ভাবনার অধিকারী বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
ইয়াং বাংলা পুরস্কারের জন্য প্রায় ৭৫০টি যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থা থেকে আবেদন পেয়েছে। সেখান থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে তারা ১৫টি সংস্থাকে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার দেবে।
সিআরআই এর তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান 'জয় বাংলা'র নামে চালু করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম বাংলাদেশ কউচার উইক
প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
বাংলাদেশে করোনা ও ডেঙ্গুর খবর নিয়ে ভারাক্রান্ত মিডিয়া কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে পরীমণিকে একটা অ্যাওয়ার্ড দিতে চায়, এরকম শোনা যাচ্ছে! এটি হয়তো গুজব। তবে এটি ঠিক যে তিনি না থাকলে মিডিয়া কী নিয়ে রিপোর্ট করতো? ধন্যবাদ পরীমণি আপা! কতগুলো লোকের চাকরি টিকলো। না হলে করোনার সংখ্যা রিপোর্ট করে আর কতদিন পাবলিক ভুলানো যায়!
সংখ্যা রিপোর্টিং কি?
করোনার অনেকগুলো উপসর্গের একটি এটি। প্রতিদিন কতজন শনাক্ত হলো, কতজন মারা গেলো এবং এটি সপ্তাহ, মাস , তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিনা। ব্যাস! রিপোর্টিং হয়ে গেলো, আর কিছু লাগে না।
আর যদি আরেকটু উন্নত রিপোর্ট করতে হয় তাহলে দুই এক্সপার্টকে ফোন দেয়া হবে। তারা একটা মতামত দেবেন এবং ওই সংখ্যা রিপোর্ট তখন হালাল রিপোর্ট হয়ে যাবে। ঘর থেকে নড়তেও হবে না।
শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ার দোষ কী? গোটা সেক্টরেই চলছে এই সংকট। সাংবাদিকের চেয়ে পত্রিকার সংখ্যা বেশি হলে এটা হতে বাধ্য। যেন পত্রিকা বের করাটাই প্রধান কথা, কী লেখা বা বলা হচ্ছে, সেটা নয়।
লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান?
পরীমণিদের সম্পর্কে যে রিপোর্টগুলো হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে ঢাকার বিত্তবান শ্রেণির সন্তানরা অনেকেই এই নারীকুলের বন্ধু-বান্ধব ছিল। তাদের বাসাতেই তারা আসতো, মদ-ইয়াবা সেবন করতো এবং তার ফলে ‘দুর্বল’মুহূর্তে কী সব হতো! যে দৃশ্য ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। তাই ধারণা করা যায় যে এটা বড়লোকদের ইজ্জত রক্ষা অভিযান। তবে এটা হতেই পারে। বাংলাদেশের ফিউচার এই সব তরুণদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তিত তো হবেনই!
তবে একটি রিপোর্ট এসেছে যাতে বলা হচ্ছে কোন এক ব্যাংকের প্রধান ওই সব পার্টিতে গিয়ে ‘দুর্বল’ হয়ে যান এবং যথারীতি ছবিসহ দাবিনামা পান। তিনি অভিযোগ দেন এবং তারপরই সিদ্ধান্ত হয় অভিযান চালানোর। তারপরের ঘটনাপ্রবাহ আমরা সবাই জানি।
তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
পরীমণির ওপর যত রিপোর্ট হয়েছে, সেটা মিডিয়ার কাটতি বাড়িয়েছে। হিট বাড়ছে মানে ভালো নিউজ পোর্টাল। সেটা না হয় হলো, কিন্তু ‘পরীমণিরা কত খারাপ’ সেটা প্রমাণ করাই যদি রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য হয়, তাহলে বলব পাবলিক খায় নাই। বরং পাবলিক জানতে চায় যারা মনোরঞ্জিত হতে এই মেয়েদের কাছে যেতেন তারা কারা?
একটি পত্রিকায় ৮টি রিপোর্ট পাওয়া গেলো। মানুষ গিলছে কারণ তার মধ্যে আছে ‘যৌনতার সুড়সুড়ি’, নিষিদ্ধ জীবনের সংবাদ এবং নেশার মাল-মশলা। এতে কি খুব একটা খাটতে হচ্ছে? পুলিশ বা অন্য যারা, তারাই তো সব তথ্য দিচ্ছে, তাদের ভাষ্যই তো কোন রকম ক্রসচেক ছাড়াই গণমাধ্যমে দেদারছে প্রকাশ হচ্ছে। তাহলে সাংবাদিকের প্রয়োজন কী?
আমাকে আজ একজন ফোন করে জানতে চাইলো, ‘পরীমণি নিয়ে যা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে আপনার কী মত?’ উত্তরটাই এখানে লিখলাম। তাই বলছি পরীমণিকে একটা মেডেল দেয়া উচিত, আমাদের সাংবাদিকদের কাজটা আরও অনেক সহজ করে দেয়ার জন্য। মাঠে যাবার কী দরকার, যখন সব খবর বাসায় আসে!
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, মানুষকে নিরাপদে রাখতে টিকা কেন্দ্রিক মুনাফা চক্র ভেঙে ফেলতে হবে। আমরা পেটেন্ট ফ্রি টিকা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। কারণ টিকা নিয়ে বাণিজ্য চলছে, যা মানুষের টিকা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে কী প্রত্যাশা করছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিত করতে তাঁরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে সম্মানিত ও অভিভূত: ড. ইউনূস
এদিকে শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে ‘অলিম্পিক লরেল’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর ড. ইউনূস বলেন, 'অলিম্পিক লরেল’ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত ও অভিভূত। এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রতিটি বাংলাদেশি গর্বিত, কারণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে কোন মেডেল পায়নি। এখন সারাবিশ্বের মানুষ দেখবে যে একজন বাংলাদেশি কোন অলিম্পিক সম্মাননা পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে সশরীরে থাকতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তাকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(আইওসি)।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে ড. ইউনূস বলেন, আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও শান্তিময় করে তোলার জন্য আইওসির প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি ক্রিড়াবিদদের জন্য শুভকামনা জানান।
এর আগে রিও ডি জেনেরিওতে ২০১৬ সালে অলিম্পিক লরেল পদকটি দেয়া হয়েছিল কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান ও সমাজ পরিবর্তনকারী কিপ কেইনোকে। ঐ বছরই এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন
৩ বছর আগে
আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধনকারী সাহসী ও উদ্যমী নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে ছয় জন নারীকে ‘আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২১’ সম্মাননা দিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং দ্য ডেইলি স্টার।
শনিবার ভার্চুয়াল এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বিজয়ী নারীকে ক্রেস্ট ও ২ লাখ টাকা করে অর্থ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ভার্চুয়াল আয়োজনটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিভৃতে কাজ করে যাওয়া এই নারীদের পথচলার অজানা গল্প ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশি শিল্পীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়
সম্মাননা বিজয়ী ৬ নারী হলেন, ৩১০ জন নারীর ব্রেস্ট ও সার্ভিকাল ক্যান্সারের সফল চিকিত্সা প্রদানকারী সাবিনা ইয়াসমিন, কোভিডে নিহত ৬০ জনেরও অধিক ব্যক্তির সৎকারের তদারকি করা রোজিনা আক্তার, কক্সবাজারের একজন সফল উদ্যোক্তা জাহানারা ইসলাম, করোনাকালে বগুড়ার বাসিন্দাদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একজন শিক্ষক ফৌজিয়া বীথি, সিলেটের ফারমিস আক্তার, যিনি ৭০০ অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির ‘সাম্পারি’র প্রতিষ্ঠাতা শাপলা দেবী ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স’র এমডি ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জাতি গঠনের একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই নারীদের অসামান্য অবদান রয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও রয়েছে তাদের মূল্যবান অবদান। তাই আইপিডিসি নারীর ক্ষমতায়নকে যথোপযুক্তভাবে উৎসাহিত করতে নারীবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে চলেছে। এর অংশ হিসেবে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি জানানো এবং তাদের সাহসিকতার গল্প সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশেই যাত্রা শুরু করে আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড। ’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০২১ এর আয়োজনেও আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রাখা ছয় জন নারীর বীরত্বগাঁথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি এবং সেই সাহসী নারীদেরকে সম্মানিত করছি।’
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ৩০ জন নারীর জীবন সংগ্রামকে সবার সামনে তুলে ধরেছি, যা অনুপ্রেরণা ও সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এবার আমরা আরও ছয় জন দুঃসাহসী নারীর জীবনের দুর্দান্ত গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছি।’
এসময় ব্যবসায়ী এবং কবি ড. রুবানা হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহীন আনাম, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও এসবিকে ফাউন্ডেশন’র ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং ইউসেপ বাংলাদেশ’র চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ, এফসিএ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে