পরিবেশ রক্ষা
পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা সময়ের দাবি: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও এসইউপি বর্জন বিষয়ক আলোচনা এবং প্রকৃতি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ। তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না।’
আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কনের আয়োজনের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি সচেতনতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ প্রকৃতি সংরক্ষণের পথকে আরও সুদৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা (প্রশাসন), প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়, তাই প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনা করে বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (৩ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। একটি সবুজ, সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী আমাদের সকলের প্রাপ্য।
পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশের সুরক্ষায় এগিয়ে আসি এবং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলার শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৫ মাস আগে
টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে টেকসই করতে পরিবেশ ও প্রকৃতির রক্ষায় গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন: একসাথে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও দূষণ রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বে রোল মডেল, সবুজ প্রবৃদ্ধিতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। সবাই মিলে কাজ করে সবুজ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে। জিডিপি বাড়লেই হবে না, পরিবেশ ঠিক করতে হবে। দূষণ বেশি হলে প্রবৃদ্ধি হবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের দিকে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে, এক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি সেক্টরকে প্রণোদনা দেবে। আসুন সবাই মিলে একটি সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে। সরকার দেশের উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ডেল্টা প্লান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়ন করছে।
সেমিনারে গ্রিন গ্রোথ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মত বিনিময় করেন।
সেমিনারে আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম মাকসুদ কামাল, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
সেমিনারে সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, গবেষক এবং পরিবেশবিদরা অংশ নেন।
৬ মাস আগে
ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশন: পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক সইয়ে সম্মত বাংলাদেশ-সৌদি আরব
পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে।
কেনিয়ার নাইরোবিতে চলমান জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশনের এক ফাঁকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সৌদি আরবের পরিবেশ, জলবায়ু ও কৃষিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. ওসামা ইব্রাহিম ফাকিহার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পরিবেশ রক্ষায় পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি স্বীকৃতি জানিয়ে উভয় দেশই সমঝোতাপত্র সইয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
পরিবেশ রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে এ সমঝোতা স্মারক সই হবে।
বৈঠক চলাকালে প্রতিমন্ত্রী ফাকিহা পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে আগামী ডিসেম্বর- ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ মরুকরণ কনভেনশনে অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, এ আমন্ত্রণ বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার সাক্ষ্য দেয়।
আলোচনায় তারা জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি, কৃষি, ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট শহর উন্নয়ন এবং ভূমির অবক্ষয় মোকাবিলার কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা পরিবেশগত সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ সংকল্পের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাবের চৌধুরী এ সময় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশগত টেকসই এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অন্য একটি কর্মসূচিতে পরিবেশমন্ত্রী পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞান নীতি ইন্টারফেস শক্তিশালীকরণ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সেগমেন্টে বক্তৃতা করেন।
সেখানে তিনি জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
৯ মাস আগে
নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করবে।
জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য প্রযুক্তি বিনিময়, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সুন্দরভাবে বাঁচতে মানুষকে নদী, জলাশয়ের সঙ্গে চলতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রীর দপ্তরে সুইডেন, নরওয়ে ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত যথাক্রমে অ্যালেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড, এস্পেন রিকটার-সভেন্ডসেন এবং ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বন উজাড়ের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বায়ু, জল ও মাটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানের প্রচারের জন্য দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান জানান।
নর্ডীয় রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্রা সমর্থন করে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সহযোগিতার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা পরের মাসে নর্ডিক দিবসে পরিবেশমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করার নতুন প্রতিশ্রুতি দেয় উভয় পক্ষ।
পরে জাতিসংঘ প্রকল্প সেবা কার্যালয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুধীর মুরালিধরনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে চলমান জাতিসংঘ প্রকল্প এবং তারা কীভাবে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পরিবেশমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত কক্সবাজারে পরিবেশ রক্ষার দিকটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত: রোহিঙ্গারা এখানে আশ্রয় নেওয়ার ফলে পরিবেশে সুরক্ষায় ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, তা নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচারের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রোহিঙ্গা শিবিরেও পরিবেশবান্ধব স্থাপনা গড়ার ক্ষেত্রে বড় অণুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
স্থাপত্যে দুনিয়া-বিখ্যাত পুরস্কার ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ জয়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শনে মঙ্গলবার গিয়েছেন আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার কমিটির ৫ সদস্য এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি স্পেস মর্যাদাপূর্ণ আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পুরস্কার লাভ করে ২০২২ সালে। এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও হোস্ট কমিউনিটিতে থাকা ৬টি কমিউনিটি স্পেসকে। এর মধ্যে ক্যাম্পে থাকা ৪টি এবং হোস্ট কমিউনিতে থাকা একটি স্থাপনা তৈরি করেছে ব্র্যাক। অন্য স্থাপনাটি তৈরিতে ছিল অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১ বছর আগে
পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে চারা রোপণের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করেন তিনি।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সবুজায়ন বাড়ানোর জন্য দেশের মানুষকে বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এই দেশটি আমাদের। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে চাই তবে আমাদের এই সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নিজে বৃক্ষরোপণ করে যেখানে যতটুকু জায়গা পাওয়া যায় দেশবাসীকে সেখানে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে একটি চারা রোপণ করুন। তবে ভালো হয় যদি আপনি তিনটি চারা রোপণ করতে পারেন। আমি চাই আপনি তিনটি চারা একটা ফলজ, একটা বনজ এবং একটা ভেষজ রোপণ করুন।’
আরও পড়ুন: আগামী ১০ বছরে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে বাঁচার শেষ সুযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১ উদযাপন করা হচ্ছে।
‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৫ জুন শনিবার বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে।
৩ বছর আগে
পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশ রক্ষায় ‘মুজিব বর্ষে’ জনগণকে বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে