শোকজ
ব্যক্তিগত বক্তব্যের দায়ভার দল নেবে না: এমরান সালেহ প্রিন্স
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বক্তব্যে দল বিব্রত হওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, যে যাই হোক, যত বড় নেতাই হোক দলের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত বক্তব্য বা অবস্থানের দায়ভার দল মেনে নেবে না।
বুধবার(২৭ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী ৩০ আগস্ট ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ। এতে দেশের সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ সফল করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, ত্যাগী ও সংগ্রামী মানুষ, তাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তিনি যেটা বলছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মত। দল করতে গেলে সব ব্যক্তিগত বক্তব্য প্রকাশ্যে আনা যায় না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমাজাদ আলী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের ভাইস চেয়ারম্যান সুভাস চন্দ্র বর্মণসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতাকর্মীরা।
৯৯ দিন আগে
রাস্তা বন্ধের ঘটনায় জিএমপি কমিশনারকে শোকজ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাস্তা বন্ধ করে চলাচলের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারকে শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তাকে শোকজ করা হবে এবং তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলির সন্ধানদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্যদাতাদের পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এ ক্ষেত্রে তথ্য বা সন্ধানদাতাদের বিভিন্ন হারে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পিস্তল ও শর্টগানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা, চায়না রাইফেলের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা, এসএমজি'র ক্ষেত্রে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও এলএমজি'র ক্ষেত্রে পাঁচ লক্ষ টাকা হারে সন্ধানদাতাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতি রাউন্ড গুলির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা হারে পুরস্কৃত করা হবে।
পড়ুন: হারানো এলএমজি ও অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
পুলিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরে এবার স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্তভাবে নিয়োগ হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগে দুর্নীতির অন্যতম ক্ষেত্র ছিল পুলিশ, আনসার, বিজিবি সহ বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য। এবার সেটা দূর হয়েছে, বিশেষ করে নিয়োগের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, এখন পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীতে অনেক নিয়োগ চলমান রয়েছে। এসব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়েছে বলেই সাংবাদিকরা এ নিয়ে কোনো রিপোর্ট করতে পারেননি। উপদেষ্টা এ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতির খোঁজ পেলে সে সম্পর্কে রিপোর্ট করা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। তবে ভুল তথ্য দিয়ে কাউকে হয়রানি না করার অনুরোধ করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০২ দিন আগে
শোকজের জবাব: নাহিদের সম্মতিতেই কক্সবাজার গিয়েছেন হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাবে জানিয়েছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্মতি দেওয়ার পরেই তিনি কক্সবাজার গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন বরাবর দেওয়া শোকজ নোটিশের জবাবে হাসনাত লেখেন, ৪ আগস্ট রাতে প্রথমে তিনি নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে না পেয়ে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে জানান এবং অনুরোধ করেন নাহিদকে জানাতে।
প্রায় ৩০ মিনিট পর নাসীরুদ্দীন জানান, নাহিদ হাসনাতকে কক্সবাজার যাওয়ার সম্মতি দিয়েছে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এনসিপির বাকি নেতারা যুক্ত হোন বলে জানান হাসনাত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে হাসনাত লেখেন, ‘সরকারের উচিত ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, যা সেই মানুষগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। কিন্তু আমি এবং অনেকেই ব্যথিত হই, যখন দেখি যে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় সেই মানুষদের কথা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। শহীদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি।’
‘আমার এ সফর ছিল অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।’ লেখেন হাসনাত।
তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় এমন কিছু উপাদান দেখি, যা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন— ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে সংবিধান সংস্কারের জন্য জনগণ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর দায়িত্ব অর্পণের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। এই দাবিটি অসত্য এবং সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনার পথে একটি বড় অন্তরায়।'
পড়ুন: শোকজের জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে
শোকজের জবাবে হাসনাত বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে, যা রাষ্ট্রের কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনবে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাবে। উপরন্তু, ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে পারি যে আমাদের আন্দোলনের আহত এবং নেতৃত্বদানকারী অনেক ভাইবোনকে এই অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি আমার কাছে শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে হয়েছে।'
হাসনাত বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যেখানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনকে, শহীদ ও আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা এবং মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকার কোনো ইচ্ছা বা প্রয়োজন আমি বোধ করিনি। কাজেই, এরপরের দিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। উদ্দেশ্য ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে চিন্তা করা।'
কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পর যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিমানবন্দর থেকে এনসিপি নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও করে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মিডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু মিডিয়া সেখানে ক্রাইম মুভির মিউজিক জুড়ে ইচ্ছেমতো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগসহ সেইসব উপস্থাপন করেছে।
ক্ষোভ ঝেড়ে হাসনাত বলেন, ‘কিছু মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে অপরাধপ্রবণ এবং সন্দেহজনক হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে, যে আমরা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করতে। অথচ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।
‘রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রবণতা, যেখানে কাউকে টার্গেট করে রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়ে ফেলা যায়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার এই সম্মিলিত ডিমোনাইজেশন টেকনিক আজকে আমাদের টার্গেট করেছে। ভবিষ্যতে অন্য যে কাউকে করতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়া এই একই প্যাটার্নে হাসিনার আমলেও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের নামে প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করত। নতুন বাংলাদেশেও গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়ার এই পুরনো অপরাধপ্রবণতা আমাকে একইসঙ্গে অবাক এবং ক্ষুব্ধ করে।’ বলেন হাসনাত।
৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। পরদিন দলের পক্ষ থেকে তাদের শোকজ করা হয়।ৎ
১১৯ দিন আগে
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষককে শোকজ
শ্রেণিকক্ষ ভাড়ার বিনিময়ে একটি এনজিওকে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ সত্য কি না- তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে জানাতে বলা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মো. মকছেদ আলী কুমারখালীর যোগেন্দ্রনাথ (জেএন) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
২০০৯ সালে জেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মকছেদ আলী। তার যোগদানের পর থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রায়ই একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি অসাধু উপায়ে এভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দিয়ে আয় করে আসছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এমন বাণিজ্য চলে আসলেও ভয়ে প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে বিটিআরসির শোকজ, জরিমানা হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা
স্থানীয় ও অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা।
একাধিক এনজিও ও সংগঠনের কর্মকর্তার দাবি, শ্রেণিকক্ষে তারা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকেন, তা সত্য। তবে এর জন্য তারা প্রধান শিক্ষককে টাকাও দিয়ে আসছেন।
তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি ভাড়া বাবদ কোনো টাকা নেননি। প্রশিক্ষক হিসেবে এনজিও থেকে মাঝেমধ্যে কিছু সম্মানি পেয়েছেন মাত্র।
ছুটির দিন বা ছুটির পর এসব এনজিওর কাজ চলে থাকে বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নোটিশের জবাবে জানানো হবে।’
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া বাণিজ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাবের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
৩৬৮ দিন আগে
ফেনীতে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করায় লাঙ্গলের প্রার্থীকে শোকজ
ফেনীর সোনাগাজীতে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর মতবিনিময় সভার ব্যানারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করার অভিযোগে ফেনী-৩ আসনের প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে ফেনী জেলা যুগ্ম-দায়রা জজ ও ওই আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুন্নেসা এই নোটিশ দেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০০৮-এর ৭ (৩) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনী পোস্টারে বা ব্যানারে প্রার্থী তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারেন না।
আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৭ (৪) উপবিধিতে (৩) যাই থাকুক না কেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে, সে ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ছাঁপাতে পারেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিকালে সোনাগাজীর মতিগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে ফেনী-৩ আসনে জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের মতবিনিময় সভার ব্যানারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় তাকে ফুলেল নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
এছাড়া জাপার লাঙ্গল মার্কার এ মতবিনিময় সভায় ব্যানারে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ছোট আকারের একটি ছবি থাকলেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার একটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
৭০০ দিন আগে
নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি পরিচালনা করার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন।
নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আশরাফ।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা- ২০০৮ এর ১৪ নম্বর বিধিসহ অন্য আইন লঙ্ঘন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ওই তিন শিক্ষক গত ৩ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেছেন বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: কারণ দর্শানোর নোটিশের সংখ্যা প্রায় ৫০০
৭০০ দিন আগে
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে দ্বিতীয় বারের মতো শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
তাকে আজ মঙ্গলবারের (২ জানুয়ারি) মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আসনটিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল সোমবার শোকজ নোটিশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
কমিটির সহকারী শরীফ খন্দকার রুবেল জানান, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে উক্ত প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত লিফলেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নির্বাচনী সভা করার জন্য গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তাকে শোকজ করা হয়েছিল। যথাসময়ে তিনি এর জবাব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফরিদপুর-৪ আসনের কাজী জাফর উল্লাহকে শোকজ
৭০৩ দিন আগে
কুষ্টিয়া-৩: মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রশিক্ষণে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন তদন্ত কমিটি।
রবিবার বিকালে কুষ্টিয়া-৩ আসনের কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলাম এ নোটিশ পাঠান।
২৬ ডিসেম্বর তাদেরকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর আগে নির্বাচনী সভা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো নোটিশের কথা এখনো আমি জানি না। ওসব কিছু না। এ নিয়ে এতো পেরেসানির কিছু নেই।’
রবিবার সকালে কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক হাজার ২৮০ জন শিক্ষককে ডেকে পাঠান শিক্ষক সমিতির নেতারা। কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ভোট চান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তণু নির্বাচন কমিশন ও কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
৭১১ দিন আগে
রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফেসবুক লাইভে এসে জুতাপেটা করার হুমকিদাতাকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ও রাজশাহীর জেলা এবং দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শোকজ করেছেন।
বিচারক আবু সাঈদ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) এ শোকজ নোটিশ জারি করেন।
এতে নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর সমর্থক বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলার কথিত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দানকারী মাহাবুর রহমান মাহামকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে এর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাহাম এর আগে গতকাল শনিবার রাতে তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতাপেটা করার হুমকি দেন।
পাশাপাশি মাহি ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর বাড়ির কাজের লোকের যোগ্য নন বলেও দাবি করেন মাহাম।
এদিকে, এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার রাতে তানোর থানায় মাহিয়া মাহি নিজে উপস্থিত হয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টকারী মাহাবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-১ আসন: ওমর ফারুক-মাহির মধ্যে চলছে কথার লড়াই
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ‘হুমকির অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধ। এ কারণে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে মাহাবুর নামক ফেসবুক আইডি থেকে রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া মাহি’র নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও মানসম্মান হানিকর বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে প্রচারণা চালালে মাহিকে জুতাপেটা করা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার হুমকিসহ যে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলে ওই ভিডিওতে প্রকাশ করেন।
ওই আচরণের মাধ্যমে আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) লঙ্ঘন করেছেন। যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা সশরীরে আগামী ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে উপস্থিত হয়ে ব্যাখা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে 'ট্রাক' পেলেন অভিনেত্রী মাহি
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
৭১১ দিন আগে
চুয়েটে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থীকে শোকজ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র্যাগিংয়ে অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রেজাউল করিমের সই করা পাঁচটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিগুলোয় বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের বর্ধিতাংশে (কক্ষ নং-৬) ২২ ব্যাচের (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) পাঁচ শিক্ষার্থীকে র্যাগিং দেওয়ার সময় ২১ ব্যাচের (২০২১-২২শিক্ষাবর্ষ) পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরা হয়। র্যাগিংয়ের সময় ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া ছাত্রদের হাতেনাতে ধরেন। অভিযুক্তরা সবাই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্ত
ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসলাম মিয়ার লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ৩ জানুয়ারি বেলা ৩টার মধ্যে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে হাজির হয়ে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে চুয়েট প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের বর্ধিতাংশে প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শতভাগ ফেল করায় সিরাজগঞ্জের ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ
‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
৭১৪ দিন আগে