সামাজিক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে পিছিয়ে পড়ছে ছাত্ররা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি ২০২৪ এর ফলাফলে এমন প্রবণতাই দেখা গেছে। কেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা খারাপ ফল করছে- তা প্রধানমন্ত্রীসহ অনেককেই ভাবতে বাধ্য করেছে।
ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। ঘরে থাকলেও মোবাইল ফোনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে। ফলে পিছিয়ে পড়ছে ছেলেরা। এছাড়া ছাত্রীরা ক্লাসে যেমন মনোযোগী, আবার বাসায় পড়ালেখার ক্ষেত্রেও তাদের তেমন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। সেই তুলনায় ছাত্রদের মনোযোগ কম। অনেকে মেধাবী, কিন্তু ক্লাসে মনোযোগ না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো- ছেলেদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়ার প্রবণতা। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং লেখাপড়ায় বেশ পরিশ্রমী। একই সঙ্গে নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর বেশকিছু পদক্ষেপের কারণে শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি: ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মেয়েদের থেকে ছেলেরা পিছিয়ে। ছাত্রীদের এগিয়ে যাওয়াকে সবাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে ছাত্ররা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সবদিক দিয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যেখানে ছেলেরা ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে মেয়েরা। ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেয়ের বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।
চলতি বছরের ১২ মে সকালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'ছেলেরা সংখ্যায় কম এবং কেন ফলাফলে তারা মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে,এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ এক্ষেত্রে বেশ তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা। কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিশোর গ্যাং, কেন ছেলেমেয়েরা এ পথে যাবে, এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের পড়াশোনা করা দরকার, তারা কাজ করতে পারে, বিভিন্ন কাজে যোগ দিতে পারে। কিন্তু এ লাইনে (কিশোর গ্যাং) কেন গেল, সেটা আমাদের বের করতে হবে। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, তাদের একটা সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসা, সেটা আমাদের করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ছাত্রীদের জন্য আমরা অনেক বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি- দীর্ঘদিন ধরে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। তবে সেগুলো এখন ছাত্র ও ছাত্রী সবার জন্য সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যদি সেটা যথাযথভাবে কাজ না করে, আমরা সেগুলো পরির্তন করে ছাত্ররাও যাতে সমানভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন। ছেলেরা পিছিয়ে পড়ার আর কী কারণ থাকতে পারে আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। পাশাপাশি মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে, ফলে ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
তিনি বলেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্যতার প্রবণতা বেশি। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে ও লেখাপড়ায় পরিশ্রমী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কয়েকটি জরিপ দেখেছি, নিজেও পর্যবেক্ষণ করেছি, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটার হাতে বাবা-মা মোবাইল তুলে দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটার হাতে দিচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো চিন্তা থেকে দিচ্ছে না। তাতে মেয়েটা পড়াশোনায় মনোযোগ দিচ্ছে। আর ছেলেটা ফেসবুক, গেমিংয়ে সেটা ব্যবহার করছে। এভাবে ছেলেরা পড়ালেখায় ক্রমেই অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। সবকিছুর একটা বয়স ও সময় আছে। একেবারে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রের হাতে যখন স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে, তখন সে এটার সঠিক ব্যবহার কতটা করবে সে প্রশ্ন থেকে যায়।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রীদের মধ্যে অনেক সচেতনতা বেড়েছে, দেশের শিক্ষার জগতে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করি। মেয়েদের কেন পড়তে হবে, সাবলম্বী হতে হবে- তা নিয়ে তো বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে খুব নিবিড়ভাবে কাজ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। সেটার তো একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এটাই কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে। এসএসসি, এইচএসসি বলেন, আর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বলেন, মেয়েরা এগিয়ে আছে, আর ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে ছেলে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাপকহারে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করছে। এছাড়া তারা গেমিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছে। এতে পড়ার সময় তো নষ্ট হচ্ছেই। পাশাপাশি পড়ালেখায়ও অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে শিক্ষায় মেয়েদের অংশ নেওয়া ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, ‘ছেলেরা এখন অল্প বয়সে হিরোইজম দেখাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তুলছে। হিরোইজম দেখাতে অনেক ছেলে বাবা-মাকেও তোয়াক্কা করছে না। মেয়েদের মধ্যে যে মূল্যবোধ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে, সেটা ছেলেদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা বোঝাতে হবে। তাহলে ছেলেরাও সমানতালে শিক্ষায় এগিয়ে যাবে।’
এছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছেলেরা প্রযুক্তির ভয়ংকর ছোবলের শিকার। হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, বাসায় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবে সারাক্ষণ মগ্ন থাকে। প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মগজধোলাই হয়ে যাচ্ছে। এদের মেধা-মননে লেখাপড়ার চেয়ে নানা রকম অপসংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে কিশোর অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। ক্লাস ছেড়ে কিশোররা দলবেঁধে ঘুরছে পাড়া-মহল্লায়—এমন চিত্র চোখে পড়ছে সব এলাকায়। অনেকে কম বয়সে জড়িয়ে পড়ছে রাজনীতিতেও। এতে মেধাবী ছাত্ররা পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়ছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহটা বেশি দেখা যায়। তাদের মধ্যে একে-অন্যের চেয়ে কীভাবে ভালো ফলাফল করবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা বেশি। এজন্য বরাবরই তারা ভালো করছেন।
এছাড়া, মেয়েরা লেখাপড়ায় পরিশ্রমী এবং নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতাও বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং মেয়েদের উপবৃত্তির আওতায় আনায় মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া বেড়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ছেলেরা পিছিয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে কোনো গবেষণা নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখছি মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া ও সফলতা দুটোই এগিয়ে আছে মেয়েরা। তবে সম্প্রতি পাড়া-মহল্লায় দেখা যায়, উঠতি বয়সী ছেলেরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। যে বয়সে স্কুলে সময় দেবে, এর পরিবর্তে সে তখন ক্লাসের বাইরে। আমি মনে করি অভিভাবকরা দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ। অপরদিকে আমাদের সমাজব্যবস্থায় মেয়েরা ঘরমুখী। পরিবারের চাপের মধ্যে তারা বাসার বাইরে খুব কম সময় যেতে পারে। ফলে তারা বেশি সময় পড়ালেখায় ব্যয় করতে পারছে। যার ফলে ফলাফল ভালো করছে।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
৭ মাস আগে
নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত বাধাই প্রধান: জাতিসংঘ
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতাই নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরী করার পথে উল্লেখযোগ্য বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গ্উইন লুইস।
তিনি বলেন, সারাদেশে অগ্রগতি সত্ত্বেও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণের পথে উল্লেখযোগ্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটি খুলনা ও বরিশালের নারী ও মেয়েদের কাছ থেকে তারা শুনেছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সফরের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, 'দেশের ভিশন অর্জনে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এই পরিবর্তনে নারীদের সমান অংশীদার হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনটা এগুচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন, নাকি পুরুষতান্ত্রিকতা?
জাতিসংঘের দলটি এই অঞ্চলে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা অনুসন্ধান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রচেষ্টার অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
সম্প্রতি বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে সফর করে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ ও তাদের উন্নয়ন অংশীদারী সংস্থার একটি যৌথ প্রতিনিধি দল। সফরের পর তারা জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জেন্ডার সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাবের কারণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের নারীরা অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইউএন উইমেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ গীতাঞ্জলী সিং বলেন, ‘মিশনের প্রতিটি দিন আমরা নারী ও মেয়েদের কাছে থেকে তাদের সংকল্প ও সাহসিকতার কথা শুনেছি। এখানে দেখছি জেন্ডার নিয়ে নানা পুরোনো রীতি-আচার মেয়েদের রয়ে গেছে। এটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাধাগ্রস্ত করছে। জেন্ডার সমতার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে, যুবক, তরুণ ও কিশোরদেরও একইসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।
আইএলও, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে আছে। এটি শ্রমবাজারে তাদের কম অংশগ্রহণের জন্য দায়ী।’
আরও পড়ুন: ‘প্লানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য: স্পিকার
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী প্রতিনিধি নুর আহমেদ খোন্দকার বলেন, ‘আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের কথা শোনা হতো না কিন্তু এখন নারীরা কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জলজ চাষ প্রকল্পের মালিকানা গ্রহণ করছেন। পাইকারি বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সক্রিয়ভাবে মাছ চাষে অংশ নিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের ক্ষমতায়ন তাদের পারিবারিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে। সেই সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করছে।’
জাতিসংঘের এ মিশনের মূল বিষয় হলো জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) রোধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এই প্রসঙ্গে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শেলডন ইয়েট বলেন, ‘দেশে বাল্যবিবাহের মতো ক্ষতিকর প্রথা প্রতিরোধে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহিংসতার মৌলিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক রীতিনীতি।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিসের তত্ত্বাবধায়নে তিন দিনব্যাপী জেন্ডার সমতা মিশনে জাতিসংঘের ৫টি সংস্থার প্রতিনিধি ও তাদের অংশীদাররা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, আইনের মাধ্যমে মাদকের ব্যবহার কিছুটা কমানো যেতে পারে তবে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে, যুব সমাজকে এই অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
এছাড়া রাষ্ট্রের উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে সকল নাগরিককে মাদকবিরোধী দায়িত্ব নিতে হবে।
রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে আইইউবিএটির সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জনগণই সরকার, মাদককে রুখতে জনগণকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদককে পরাজিত করতেই হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিবীদ যিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং ২০৪১ সালের মাঝে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজে নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মাদক। বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুক, নারীর প্রতিসহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, নৈতিক অবক্ষয় সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মাদক।
প্রতিটি পরিবারে মাদক নির্মূলে নারীরা তাদের সন্তানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সকল উন্নয়নেই নারীরা বড় ভূমিকা রাখছে, তাই এখানেও রাখতে পারে। নারীরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই।
আরও পড়ুন: আহমেদ ফিরোজ কবিরের মায়ের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
১ বছর আগে
লিঙ্গ অসমতা ও সামাজিক বিধিনিষেধ জয় করা কিশোরীদের গল্প নিয়ে ‘ইচ্ছে ডানা’
লিঙ্গভিত্তিক প্রচলিত ধ্যানধারণা ও সামাজিক বিধিনিষেধ জয় করা বাংলাদেশি কিশোরীদের একটি ফুটবল দলকে নিয়ে নির্মিত বহু-প্রত্যাশিত সিরিজ নাটক ‘ইচ্ছে ডানা’ আবারও ছোট পর্দায় ফিরছে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে।
নাটকটির তৃতীয় সিজনে তানজিলা, মেয়েদের নিয়ে গঠিত তার ফুটবল দল এবং তাদের কমিউনিটির গল্প থাকছে। যেখানে বাল্য বিয়ে এড়াতে এবং নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে তাদের নিজেদের পথ তৈরি করে নিতে দেখা যাবে। ‘ইচ্ছে ডানা’ নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়ে ও নারীদের সমাজে অবদান রাখার মতো অনেক কিছু আছে। তা সত্ত্বেও বৈষম্য ও সমাজের ক্ষতিকর চর্চার কারণে তারা পিছিয়ে পড়ছে। ইচ্ছে ডানা সমাজের ইতিবাচক চর্চাগুলোকে তুলে ধরে এবং কিশোরী মেয়েদের উন্নতি করতে এবং তাদেরকে জীবনে পূর্ণ অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করা এবং লিঙ্গ সমতা বাস্তবে পরিণত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ইচ্ছে ডানায় কাল্পনিক গ্রাম হাতমাথালির কিশোরী মেয়েরা বাল্যবিয়ের চাপ কাটিয়ে ওঠে, যৌন হয়রানির মোকাবিলা করে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে তাদের মাসিক ব্যবস্থাপনার উপায় খুঁজে বের করে।
আরও পড়ুন:ফের আলেচনায় ব্রিটিশ রাজা চার্লসকে পদ্মিনীর চুমু
তৃতীয় সিজনের গল্পে মানসিক স্বাস্থ্য, উৎপীড়ন বা হয়রানিমূলক আচরণ এবং কিশোর-কিশোরীদের ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবকে তুলে ধরা হয়েছে।
সিরিজটি মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে এমন নীতিমালার বিষয়ে কথা বলতে তাদের উৎসাহিত করার গুরুত্বও তুলে ধরে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক মেয়ে ও নারী নেতিবাচক সামাজিক রীতিনীতির কারণে বৈষম্য, নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়। তবে পরিবর্তন সম্ভব। ইচ্ছে ডানা হল মেয়েরা যা অর্জন করতে পারে তার একটি উদযাপন এবং লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে যোগদানের জন্য প্রত্যেকের প্রতি একটি আহ্বান।’
বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের মধ্যে থাকা সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। এদেশের ৫১ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়ে যায় তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। বিবাহিত মেয়েদের স্কুলে না যাওয়ার আশঙ্কা অবিবাহিত মেয়েদের তুলনায় চারগুণ, যা তাদের স্বাস্থ্য, সার্বিক মঙ্গল, শিক্ষা ও কর্মজীবনের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিশু বধূরা ঘরে সহিংসতার শিকার হওয়ার অধিক ঝুঁকিতে থাকে এবং তাদের সন্তানদের ভালভাবে বেড়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমে যায়।
তানজিলা চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে নিজেরদের সঙ্গে সহজে মেলাতে পারে এমন একটি ইতিবাচক রোল মডেল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তানজিলা দেখায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং প্রতিকূলতা কাটিয়ে সম্মান ও সমমর্যাদা আদায় করা সম্ভব, বিশেষ করে যদি আমরা একত্রিত হই এবং একে অপরকে সমর্থন করি ও উৎসাহ দেই।’
চার্জারের ভূমিকায় অভিনয়কারী আরোশ খান বলেন, ‘মেয়ে ও ছেলেদের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয় বা আমাদের যে সুযোগ দেয়া হয়, তাতে কোনও পার্থক্য থাকা উচিত নয়। ইচ্ছে ডানা দেখায় যে, মেয়েদের ক্ষমতায়ন ছেলেদের জন্যও ভালো–পরস্পরকে সহায়তা করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে মিত্রে পরিণত হই।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে ৯০ শতাংশ বিদেশি শিল্পীই ‘অবৈধ অভিবাসী’
মা হচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি
২ বছর আগে
অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ফ্রান্স
ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের কূটনীতিক গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল বলেছেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী ফ্রান্স।
তিনি বলেন,‘পারস্পরিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধাগুলোকে একত্র করার জন্য এবং সামনের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের শক্তিকে সমন্বিত করার জন্য আমাদের এখন একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’
১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বার্তায় এসব কথা বলেন ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল কেরড্রেল।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ফরাসি দূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাই জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেছে ফ্রান্স।
তিনি বলেন, এই বছরটি একটি মহান ও বিশেষ বছর। কারণ ফ্রান্স ও বাংলাদেশ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
কূটনীতিকেরা ২০২২ সালকে ফ্রাঙ্কো-বাংলাদেশ সহযোগিতার জন্য অনেক ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ দুই দেশ প্রত্নতাত্ত্বিক সহযোগিতার ৩০ বছর উদযাপন করছে এবং বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বিশাল এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: ৪-১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন ইয়ান ফ্রাই
তিনি বলে, ‘এই প্রত্নতাত্ত্বিক সহযোগিতাটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা। ফরাসি ও বাংলাদেশি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা যৌথভাবে খনন কাজ পরিচালনা করছেন। এই কাজটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দুই দেশের জ্ঞান ও সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার একটি নিখুঁত প্রতীক।’
ফরাসি কূটনীতিক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় তার দেশ ভ্যাকসিন সংহতি প্রদর্শন করেছে।
২০১২ সালে ফরাসি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ঢাকায় অফিস খোলে। এরপর থেকে জ্বালানি, পানি, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও অর্থের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠেছে তারা।
২০২২ সালের ১২ মে বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন অংশীদার হিসাবে এএফডি-এর প্রতিষ্ঠাকে আইনত সুবিধা দেয়া্র জন্য ফ্রান্স সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই উপলক্ষে এএফডি বাংলাদেশে সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সমর্থনে তার প্রতিশ্রুতি নবায়ন করেছে।
শুরু থেকেই ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার।
ফরাসি কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠস্বর শুনেছে: ১৯৭১ সালে আন্দ্রে মালরাক্স স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
দুই বছর পর ঢাকায় রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান তাকে সম্মানের সঙ্গে বরণ করেন।
ফরাসি দূত জানান, ২০২১ সালে ৯ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর, আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন ও বন্ধুত্বকে প্রতিফলিত করেছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ আবারো বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি, প্রতিরক্ষা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শিনজো আবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় দূতাবাস চালুর পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা
২ বছর আগে
যৌন অপরাধের পেছনে কাজ করে যেসব সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাব
দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পেছনে ‘অসুস্থ রাজনীতি’ ও ধর্ষকের ‘রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে’ দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সংশোধনীর’ মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তারা।
৪ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান-মেম্বাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি গুজব
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেছে সরকার।
৫ বছর আগে