যোগাযোগ
বরাদ্দ কমছে যোগাযোগ খাতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সড়ক, সেতু, রেলপথ, সমুদ্রপথ, আকাশপথসহ যোগাযোগ খাতে ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। এবারের বরাদ্দ আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে আজ সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার বিস্তৃত উন্নত মহাসড়ক অবকাঠামো পণ্য ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের আওতায় ৮৫১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে এবং আরও ১০টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানা তিনি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর এক্সেস কন্ট্রোলড মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর থেকে নিমতলীকেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবান্দা পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে খাতকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।’
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক ও দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট: তামাকপণ্যের দাম বাড়লেও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
৬ মাস আগে
পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
সরকার সড়ক, রেল, সেতু, শিপিং, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং টেলিযোগাযোগের মতো মূল খাতে সরকারি বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে।
চলতি অর্থবছরে ৮৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
নীতি নথিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সামাজিক সংহতি নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত ও ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। এটি বলছে, মসৃণ সরবরাহ শৃঙ্খলা পরিচালনার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য একটি দক্ষ পরিবহন এবং লজিস্টিক ব্যবস্থা অপরিহার্য।
বিশেষ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বহুলেন মহাসড়ক নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও নতুন সেতু নির্মাণসহ উন্নত ও টেকসই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রচেষ্টাগুলো ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং ৭ হাজার ৩০০ মিটার সেতু ও কালভার্টসহ ৪৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনার পরিপূরক।
আরও পড়ুন: বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা শহরে, সরকার মেট্রোরেল লাইন সম্প্রসারণ করে যানজট হ্রাসের দিকে মনোনিবেশ করছে। এটি নগরীর গতিশীলতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে প্রস্তুত।
রেলওয়ে খাতকে নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী, আধুনিক ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় পরিণত করার লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনার আওতায় সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা, রেলপথের মানোন্নয়ন এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে ২৭৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং ২১০ কিলোমিটার বিদ্যমান লাইন পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নথিটি নৌ পরিবহন ব্যবস্থার জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার রূপরেখা দেয় এবং সমন্বিত মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট ফ্রেমওয়ার্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ড্রেজিং প্রচেষ্টার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথ, সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দর বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিমানবন্দরগুলোতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করছে। এই আধুনিকীকরণগুলো বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।
এই বিস্তৃত পরিকল্পনাগুলো কেবল বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নয়, বরং দেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর ভিত্তি হিসাবেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: ‘মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন’
৭ মাস আগে
বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বর্তমান চমৎকার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
সোমবার(২৫ মার্চ) সকালে ঢাকায় আসেন ভুটানের রাজা।আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
একটি বিশেষ বিমানে রাজা এবং তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকায় অবতরণের পর তাদেরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বীকৃতির বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয় এবং ফলস্বরূপ, ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
৮ মাস আগে
জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহর মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা
সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানায় এমভি আব্দুল্লাহ’র মালিকপক্ষ এসআর শিপিং (কবির গ্রুপ)- এর গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
তিনি ইউএনবিকে বলেন, বুধবার দুপুরে জলদস্যুরা ফোন করেছে। তবে এখনও কোন কিছু তারা দাবি করেননি। নাবিকদের বিষয়ে এবং জাহাজের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে মাত্র। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা আশা করছি একটি সমাধানের পথ বেরিয়েছে। দস্যুরা জানিয়েছে নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তাদের উপর কোনো নির্যাতন করা হবে না। তারা আবারও যোগাযোগ করবে।
নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, যোগাযোগ শুরুর দিকটি ইতিবাচক। মালিকপক্ষ ও বিমাকারী প্রতিষ্ঠান জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। পরে জাহাজটি তারা সোমালিয়ার একটি উপকূলে নোঙ্গর করে। জিম্মি করার ৯ দিনের দস্যুদের পক্ষ থেকে বুধবার প্রথম যোগাযোগ করা হয় বলে মালিক পক্ষ জানায়। এর মধ্য দিয়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার আশার আলো দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী
৯ মাস আগে
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির সদস্যদের খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন।
এ বিষয়ে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন যত শিগগিরই সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
সাবরীন বলেন, ‘এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকালে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতি দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কূটনৈতিক তৎতপরতা ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সহায়তা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন। সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহু পাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
‘কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না’ বলা হলেও কেন বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না।’
নৌরুট ও আকাশ পথে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদে দ্রুত ফেরত পাঠানোই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয় বা কোনো পূর্বশতও নয়। বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগেও ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে চায়। এখানে সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক।’
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর বলে মন্তব্য করেন তিনি। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েছে বলে জানান।
সাবরীন বলেন, একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথম দিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্রশসত্র জমা দিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০ মাস আগে
আদালতের কপি হাতে পেলে তারেকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেব: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরে আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করতে পারি তা করব, তবে ডিজিটাল অঙ্গনে কী বিষয়বস্তু খোলা রাখা উচিত বা কী নয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে তারেক রহমানের সব ভিডিও কনটেন্ট ও বক্তৃতা অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, আমরা তারেক রহমানের বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব। আমরা যতদূর জানি, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার মানসিকতা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর নেই।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
বান্দরবানের নীলগিরি এলাকায় ভূমিধসের কারণে পাঁচ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
থানচি উপজেলার ইউএনও মো. আবুল মনসুর জানান, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি সদস্যরা একটি বড় পাথর অপসারণ করেছে।
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান থানচি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের জ্যোতি বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবানে কেএনএফ’র আইইডি বিস্ফোরণে সেনাসদস্য নিহত, আহত ১
বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
১ বছর আগে
ছিটমহল বিনিময়: ৮ বছরে বদলে গেছে দাসিয়ারছড়া
ছিটমহল বিনিময়ের ৮ বছরে বদলে গেছে কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো।
যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ নাগরিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আনন্দ বিলুপ্ত ছিটমহলের ঘরে ঘরে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের সর্ববৃহৎ ছিটমহল দাসিয়ারছড়া বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অন্তর্ভূক্ত হবার পর সর্বত্র লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ভারত-বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে।
দীর্ঘদিনের সেই স্মৃতিকে স্মরণ করার জন্য সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে কালিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনাসভা,মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলা সদরে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।
গত ৮ বছরে ১ হাজার ৬৪৩ একরের দাসিয়ারছড়াসহ কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ১৮টি ছিটমহলে বাস্তবায়িত হয়েছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।
একসময়ের অন্ধকারাছন্ন পরিবেশ এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। শতভাগ বিদ্যুত,অলিগলিতে পিচঢালা পথ,স্বাস্থ্যকেন্দ্র,সামাজিক নিরাপত্তা,যুব প্রশিক্ষণ,ভূমির সমস্যা সমাধান আর বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ঘুচে গেছে।
দাসিয়ারছড়ায় তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও চারটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে বিলুপ্ত ছিটমহলের সর্বত্র।
প্রায় ১০ হাজার লোকসংখ্যার দাসিয়ারছড়ায় প্রায় দুই হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুত সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি, নিরাপদ স্যানিটেশন,তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা হয়। যুব প্রশিক্ষণের জন্য আইসিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৬ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন কুড়িগ্রামের রহিমা
অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ২৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও পাঁচটি সেতু নিমার্ণ করা হয়। সরকারি খরচে নিমার্ণ করা হয় মসজিদ ও মন্দির। সড়কের দু’পাশে লাগানো ‘বাসক গাছ’ যোগ করেছে বাড়তি সৌন্দর্য।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দাসিয়ারছড়ায় শতভাগ সেচের আওতায় আনা হয়েছে কৃষি জমি। তিন হাজার ভিজিডিসহ শতভাগ বাড়িতে নিশ্চিত করা হয়েছে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি স্থাপন করেছে ১৫টি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র।
এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে ১৪ টি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র। সেখানকার বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও স্মার্টকার্ড। এসব উন্নয়নে জীবনচিত্রের পরিবর্তন ঘটেছে এখানকার মানুষের জন্য।
তবে এত কিছুর পরেও পৃথক ইউনিয়ন বাস্তবায়ন না হওয়ায় কিছুটা অতৃপ্তি রয়েছে দাসিয়ারছড়াবাসীর।
বাংলাদেশ ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ছিটমহল আন্দোলনের অন্যতম নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘৬৮ বছরে যা পাই নাই,তা দুই বছরে পেয়েছি। ছিটমহলের মানুষ এখন নিজের পরিচয়ে আত্মনির্ভরশীল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ‘মুজিবনগর’ নামে নামকরণ হয়েছে। তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছিমহলবাসী মুক্তি পেয়েছে। তাই দাসিয়ারছড়ায় ‘হাসিনানগর’ নামে একটি ইউনিয়ন পরিষদের দাবি সবার।’’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুমন দাস জানান, ‘‘ছিটমহলে ইতোমধ্যে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা বেশিরভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। মূল স্রোতধারায় ছিটমহলবাসীকে আনতে সরকারি নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে হবে।’’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
১ বছর আগে
জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো যোগাযোগ নেই, যোগাযোগের প্রয়োজনও নেই।
তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, তাই তারা সমাবেশ করতে চেয়েছে বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদশুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ স্পষ্ট বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও জামায়াতে ইসলামী তা অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিএনপি জোটে রয়েছে। জোটের প্রধান শরিক তারা। আর দলটি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তো জামায়াতে ইসলামী অস্বীকার করেছে।
সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না- ফখরুলের এ বক্তব্য আমেরিকার ভিসানীতির পরিপন্থি কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি কিছুদিন পরপরই কৌশল পরিবর্তন করে। কোনো কোনো সময় তারা হাঁটা কর্মসূচি, কোনো সময় বসা কর্মসূচি দেয়। তাদের মূল কৌশল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নির্বাচন ভণ্ডুলের অপচেষ্টা করা। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। মার্কিন ভিসানীতিতে বলা হয়েছে যে যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। তাহলে যারা (বিএনপি) নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা করবে, তাদের ওপরও এটি বর্তাবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসের বিরোধিতাই প্রমাণ করে বিএনপি দেশের উন্নয়নের বিরোধী: তথ্যমন্ত্রী
কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
৪২ ঘন্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত; পুলিশ সুপার যোগাযোগ করায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
উচ্চ আদালতের সঙ্গে পুলিশ সুপার যোগাযোগ (ফোন) করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, বেশি স্বচ্ছতার জন্য যোগাযোগ করে? এটি পেশাগত অসদাচরণ।
সোমবার মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল হত্যা মামলাটি পুনরায় তদন্তের অগ্রগতি-বিষয়ক শুনানিকালে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পরে তদন্ত কর্মকর্তার সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে এ হত্যা মামলাটির পুনঃতদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।
‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে গত ২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে আসামি সোহেল ওরফে নুরুন্নবী ও বাদী চম্পা আক্তার ওরফে অঞ্জনা গত ৫ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করেন।
সোহেল ও চম্পা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। আর নিহত রুবেল হলেন সোহেলের ভগ্নিপতি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমানকে কেস ডকেটসহ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
সে অনুসারে কেস ডকেটসহ তিনি গত ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হন। ওই দিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দেন।
পুলিশ সুপারের নিচে নন-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এমন একজন কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
অধিকতর তদন্তের সময় চারটি বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করতে বলা হয়।
এর মধ্যে বাদী যখন সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার করেন, তখন বর্তমান অভিযুক্তকে (সোহেল) জড়িত করে অথবা এজাহারে বাদী সই করেছিলেন কি না, নির্যাতন বা ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেলের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করতে বলা হয়।
হাইকোর্ট শুনানির জন্য ৫ জুন পরবর্তী দিন রাখেন।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের এ নির্দেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৬ এপ্রিল ওই সাময়িক বরখস্তের আদেশ অংশটুকু আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। তবে হত্যা মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বহাল থাকে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
আগের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, হত্যা মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। কয়েকজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
মামলার বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলের ডিজিটাল এভিডেন্স (সেল, কললিস্ট ইত্যাদি) সংগ্রহ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মামলার তদন্তে আরও সময়ের প্রয়োজন।
এছাড়া তদন্তের জন্য আরও ৯০ কার্যদিবস সময় বর্ধিত করার আরজি জানান তিনি।
আদালত বলেন, অধিক তদন্তের জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আরও ৯০ দিন চাচ্ছেন। পুলিশ সুপার ফোন কল করেন। আদালতের জন্য এটি বিব্রতকর।
উনি কি এটি করতে পারেন?
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, কোর্টের মর্যাদা সবচেয়ে বড়। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও আদালতের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। আদালতের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, তা বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশনে রয়েছে।
কোর্টের মর্যাদা সমুন্নত না রাখলে আমাদের মূল্যায়নও থাকবে না। পুলিশ সুপার কোর্টকে ফোন করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আদালতের উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জির উদ্দেশে আদালত বলেন, ২৪ ঘণ্টায় এক তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন। আদালত ৬০ দিন সময় দিলেও অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দিতে পারলেন না।
এছাড়া শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৭ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে