স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
সংক্রমণ বাড়লেও সব রোগীর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: স্বাস্থ্যের ডিজি
দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়েছে, তবে হাসপাতালে আসা সব রোগীর করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু উপসর্গযুক্ত ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেই করোনা পরীক্ষা করা হবে।
অধ্যাপক জাফর বলেন, ‘সব রোগীর করোনা পরীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেবল যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এবং যাদের জটিলতা আছে, তাদেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসকেরাও সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেবেন।’
তিনি জানান, হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় আরটি-পিসিআর কিটের চাহিদা চাওয়া হয়েছে এবং বৃহস্পতিবারের (১২ জুন) মধ্যেই সেগুলো সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে।
বিশেষ শ্রেণির রোগীদের জন্য টিকা ডোজের পরামর্শ
করোনার নতুন পরিস্থিতিতে গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং যেসব রোগী বিভিন্ন জটিল অসুস্থতায় ভুগছেন—তাদের অতিরিক্ত ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এই শ্রেণির মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত টিকা সরকারের মজুতে আছে।’
‘আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি’
করোনার সংক্রমণ বাড়লেও জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক জাফর বলেন, ‘আমরা আগেও করোনা মোকাবিলা করেছি। এবারও পারব। শুধু সচেতন থাকতে হবে। এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত পরামর্শ
তিনি জানান, কয়েকটি হাসপাতালে নতুন করে কোভিড ইউনিট খোলা হচ্ছে এবং প্রতিটি হাসপাতালকে কোভিড রোগীর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতি
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘করোনা শনাক্তে আবারও আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেমন—কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ড নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের নজরদারিতে জোর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (আইএইচআর) আওতায় পরিচালিত ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
১৭৮ দিন আগে
স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
চিকিৎসকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেয়ার পরও নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
সারা দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায় তলবাদেশে তিনি হাজির হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
ডিজির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
এর আগে তলবাদেশে হাজির হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, এই বিষয়টি অনেকবার এসেছে। কারাগারে থাকা মানুষদেরও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার আছে। সেবাটা দেয়া দরকার। আমাদের তো কাউকে ডাকতে (তলব) লজ্জা লাগে। এটা শোভনীয় না। আমরা বাধ্য হয়ে ডাকি।
এ সময় ডিজির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এটা কনসিডার (বিবেচনা) করেন। স্বাস্থ্যের সমস্যা কোভিডের জন্য হয়েছে।’
তখন আদালত বলেন, সরকার তো কোনও খাতেই টাকা কম দেয় না।
আদালত ফরিদপুর মেডিকেলের দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ৪০০ গুণ একটি জিনিসের দাম হতে পারে না। বিদেশিরা দেশ চালায় না?
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সব জায়গায় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
আদালত বলেন, গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার। ডিজিকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনও কিছু (আদেশ) গেলে রেসপন্স করবেন।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আদালতে বলেন, ‘কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে যে বিলম্ব হয়েছে, এটা অনিচ্ছাকৃত। আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি খুবই দুঃখিত। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন হবে না।’
আরও পড়ুন: সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
পরে আদালত এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২ মে দিন ঠিক করে দেন এবং ডিজিকে তার ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন পরে সাংবাদিকদের বলেন, ডিজি আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন তিনি সব শূন্য পদে ইতোমধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন। ১৪১ জন নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬ জন যোগদান করেছেন। বাকি পাঁচজন শিগগিরিই যোগদান করবেন।
এছাড়া আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য ডিজি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
এছাড়া আদালত ডিজিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এতদিন কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সরাসরি হয় না। প্রেষণে নিয়োগ হত। এখন সরাসরি নিয়োগের জন্য একটি কসড়া নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই খসড়া নীতিমালার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়ে ২ মে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে ডাক্তার নিয়োগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে গত ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়।
অন্যথায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও সে আদেশ বাস্তবায়ন না করায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)।
পরে ২০১৯ সালের ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিত, মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এছাড়াও অপর এক আদেশে আদালত সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
১০৪৭ দিন আগে
টিকা নিতে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৪ হাজার মানুষ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭৪ হাজার মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
১৭৬৭ দিন আগে
করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন: ৪ ফেব্রুয়ারি প্লে-স্টোরে আসবে ‘সুরক্ষা অ্যাপ’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা গ্রহীতাদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ প্লে-স্টোরে চলে আসবে বলে রবিবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম।
১৭৭০ দিন আগে
স্বাস্থ্যের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চায় হাইকোর্ট
স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি দুই মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
১৮৯৩ দিন আগে
স্বাস্থ্যসচিব ও মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীকে সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
১৯৩৬ দিন আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ডা. খুরশীদ আলম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
১৯৬২ দিন আগে
পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে অবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেছেন।
১৯৬৪ দিন আগে
করোনাভাইরাস ২-৩ বছর থাকতে পারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস সহসাই যাচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এটি আরও ২-৩ বছর থাকতে পারে।
১৯৯৭ দিন আগে