রুলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসাথে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
আদেশের পরে আইনজীবী রাশনা ইমাম জানান, হাইকোর্টের রায়ের পরও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীকে সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আহত ব্যক্তিরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাই এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়ে জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও সৈয়দ সাইফুদ্দিন কামাল নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীকে সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা ২০১৮ গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে, রায়ে ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের করা এ সংক্রান্ত নীতিমালার দুটি অংশে আদালতের পর্যবেক্ষণ যুক্ত করে এ নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করার নির্দেশও দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে আদালতের রায়টি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করে রিটকারী পক্ষ।