রাজস্ব আদায়
নতুন অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। সোমবার (২ জুন) নতুন অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট বক্তব্যে তিনি এ নতুন রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করেন।
সালেহউদ্দিন বলেন, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর অব্যাহতি যৌক্তিকীকরণসহ মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, কর জাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার এ রাজস্ব আহরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করমুক্ত সীমা পার হলেই গুণতে হবে ৫ হাজার টাকা
প্রায় দেড় যুগ আগে গভর্নর থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদের এটি প্রথম বাজেট। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রাখতেই ঘাটতি কমিয়ে বাজেটের আকার ছোটো রাখার কথা বলেছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেছেন, আন্দোলনের ডামাডোলের মধ্যে নতুন বাজেটে স্বল্প আয়ের মানুষকে ‘স্বস্তি’ দেওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা থাকছে বাজেটে।
এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অর্থ বিল অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।
১৮৫ দিন আগে
এনবিআরের কলমবিরতি রাজস্ব সংকট গভীর করবে: অর্থনীতিবিদদের অভিমত
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে টানা পাঁচ দিনের মতো চলছে কর্মকর্তাদের কলমবিরতি কর্মসূচি। এই কর্মবিরতির ফলে দেশের রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে এবং এ নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রক্রিয়া আরও চাপে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালক ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে অবশ্যই রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিৎ হয়নি।’
এই কর্মবিরতির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি পরবর্তীতে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ‘এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ বলে জানান তিনি।
সরকার সম্প্রতি এনবিআর ভেঙে দুটি নতুন সংস্থা—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠনের সিদ্ধান্ত দিলে এর প্রতিবাদে কলমবিরতির ঘোষণা দেন এনবিআর কর্মকর্তারা। এর ফলে দেশের রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনবিআর ভাগের প্রতিবাদে কর্মীদের ৩ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা
গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুনর্গঠন কার্যকর হয়।
সরকারের দাবি, এর ফলে রাজস্ব সংগ্রহ ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া আরও দক্ষ হবে। তবে হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর আপত্তি জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। তাদের আশঙ্কা, নতুন কাঠামোয় তাদের দায়িত্ব ও চাকরির নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
কর্মবিরতির ফলে আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া, কাস্টমস ছাড়পত্র ও ভ্যাট আদায়ে বিলম্ব হচ্ছে। এতে করে রাজস্ব আদায়ের ওপর বিদ্যমান চাপ আরও বেড়েছে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই–ডিসেম্বর) এনবিআর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেছে, যা ২৫ শতাংশ ঘাটতি। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫১ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মার্চ মাস পর্যন্তই রাজস্ব ঘটতি হয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা।
এই ঘাটতির জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা, আমদানির হ্রাস ও কর ব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এনবিআর কর্মকর্তাদের চলমান কর্মবিরতি রাজস্ব আদায় আরও ব্যাহত করছে, যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
আরও পড়ুন: এক বছর আগে রাজস্ব হার প্রকাশ করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
পলিসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজস্ব আদায়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে ব্যয় সংকোচন করতে হতে পারে কিংবা বাড়াতে হতে পারে ঋণগ্রহণের পরিমাণ, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই সংকট মোকাবিলায় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া এনবিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্বেগের অবসান ঘটানো এবং নতুন কাঠামোকে তারা যাতে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনা।
তাছাড়া কর্মবিরতি চলাকালে জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভাবছে সরকার। তবে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আস্থা পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সংকটের সমাধান করে নতুন রাজস্ব বিভাগের সফল বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘কর্মবিরতি যে ক্ষতিসাধন করেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার আনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। সমস্যাটির সমাধান তাড়াতাড়ি এলে ঘাটতি পূরণ বড় কোনো সমস্যা হবে না।’
১৯৮ দিন আগে
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ শেওলা স্থলবন্দর
সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি ৮৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তারা পিছিয়ে আছে ১০ কোটি টাকা।
সর্বশেষ ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের শেষ দিন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক রাজস্বও আহরণ করতে পারেনি শেওলা কাস্টমস।
শেওলা কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কয়েকদিন পণ্য শুল্কায়ন থেকে খালাস প্রক্রিয়া পুরোদমে ব্যাহত হয়। এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
তাদের দাবি, শেওলা কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতা বাড়ানোর কারণে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমেছে। আবার খালাসেও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেনি সুযোগসন্ধানীরা।
তবে শ্রমিকদের দাবি উল্টো। পণ্যের ওজন কারচুপির কারণে সৃষ্ট অনিয়মের কারণেই এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমেছে বলে দাবি তাদের।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের দূর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি এই বন্দরে ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, ওজন কারচুপির মতো দূর্নীতি এই বন্দরের একটি বড় সমস্যা। ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়িতে বোঝাই হয়ে চলে আসে। ফলে এসব পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশে থাকে। এর আগে তামাবিল ও শেওলায় পাথর শুল্কায়নের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করত এবং সে অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হতো। বর্তমানে শেওলার নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না।
শেওলা কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দর দিয়ে গত ৬ মাসে ১১ কোটি টাকার কয়লা, আদা, কমলা, আপেল, সাতকড়া, চুনাপাথর ও চাল আমদানি হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম মাস হওয়ায় আগের মাসের বকেয়া রাজস্ব আদায় হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় দেখা গেছে, যা প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় আগস্ট মাস থেকে।
কয়লা আমদানিকারক ইকবাল হোসেন জানান, বাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারেননি। যারা এলসি খুলেছেন তাদের অনেককে খোলা মার্কেট থেকে বেশি দামে ডলার কিনে ব্যাংকে শতভাগ মার্জিন দেখিয়ে ঋণপত্র খুলতে হয়েছে। ফলে সামগ্রিক নেতিবাচক একটি প্রভাব পড়েছে আমদানিতে।
এ বিষয়ে শেওলা কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শিমুল সেন বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। আবার ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ও বাড়ে। তবে বেশিরভাগ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যায় না। এবার লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা সহনীয় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ শুল্কে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এই অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারিনি।
আরও পড়ুন: রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ
৩৩৩ দিন আগে
রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএসসিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার (১ জুলাই) মেয়রের কাছে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ডিএসসিসি।
এসময় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি করেছিলাম, তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি রোধের মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ও সকলের কর্মতৎপরতায় এবার আমরা গত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
এর ফলে ঢাকাবাসীকে আরও বড় পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫১৩ কোটি ৯৬ লাখ, ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ, ৮৭৯ কোটি ৬৬ লাখ এবং ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
৫২১ দিন আগে
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি-খাস জমি রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ কিংবা মফস্বলের পতিত কিংবা অনাবাদি জমি, উর্বর কৃষি জমি, আবাসিক, বিলাসবহুল, শিল্প, শহরের বাণিজ্যিক এলাকার জমির ই-নামজারি ফি একই হওয়া উচিত নয়। জমির ব্যবহার ও মূল্যভিত্তিক ই-নামজারি নির্ধারণের আইনি দিক পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
নারায়ন চন্দ্র কর্মকর্তাদের বলেন, সারা দেশে খাস জমি, খাল-বিল ও জলমহল চিহ্নিত করতে হবে এবং ভূমি ডেটা ব্যাংকে এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপলোড করতে হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী নাগরিকদের ভূমি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন যোগাযোগ ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের কথা কেবল মুখে বললে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিলে হবে না, জাতির পিতার দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে: ভূমিমন্ত্রী
৫৮৪ দিন আগে
৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় বেড়েছে ১৫.০৯ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ।
৭ মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে রাজস্ব বোর্ড। এতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
৬৪০ দিন আগে
ই-অরেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় না করায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ
ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) কেন আদালতের আদেশ ফলো (অনুসরণ) করছেন না? কারণ কী? উনি নিজেকে কি সম্রাট ভাবেন? যে ব্যাখ্যা ও তথ্য চাওয়া হয়েছে,তা দাখিল করতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন।’
এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানাব।’
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানের কার্যতালিকায় আসে।
শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। গত বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র হাতে এসেছে, যে কারণে হলফনামা করা হয়নি। এ সপ্তাহে দাখিল করা যাবে। তবে পত্রিকায় এসেছে, জামিন নিয়ে ভারতের কারাগার থেকে সোহেল রানা পালিয়ে গেছেন। ভারত থেকে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির প্রতিবেদন একই ধরনের।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আদেশ প্রতিপালনের জন্য সময় চাইলে আদালত সময় দিতে পারেন। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা এনবিআরের চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল করেননি। শেখ সোহেল রানার (বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক) বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোল কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে, যা পরে দেয়া হয়নি বলে রাষ্ট্রপক্ষের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে, যার নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিপোর্ট পাইনি।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘এনবিআরকে জানিয়েছিলেন কি?’
হ্যাঁ–সূচক জবাব দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না।
আদালত বলেন, ‘এনবিআরেরটিসহ দু’টি প্রতিবেদন একসঙ্গে দেবেন।’
একপর্যায়ে আদালত বলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান কে?
তখন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আমরা লাস্ট চান্স দিলাম। এটি দেখেন। বলে দেবেন, এবার প্রতিবেদন না দিলে ডাকা হবে। রেড নোটিশ জারি না হয়ে থাকলে, জারির ব্যবস্থা বা কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা দেখবেন। যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন। এই দু’টি দেন। বিষয়টি ২৭ মার্চ কার্যতালিকায় আসবে।’
ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেনসহ ছয়জন গ্রাহক গত বছর মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার ভাই সোহেল রানা, বিথি আক্তারসহ ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ব্যাংকসহ কার কোথায় কত ব্যক্তিগত সম্পদ আছে তা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয় রিটে।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদক, বিএফআইইউ ও সিআইডিকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
একই সঙ্গে গ্রাহক নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না,জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
সোহেল রানা,সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে রিট আবেদনকারীসহ প্রতারিত অন্যান্য গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বণ্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএফআইউর প্রধান, সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারকে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।
এরপর গত বছরের ৩ নভেম্বর বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আইজিপির প্রতিবেদন সুস্পষ্ট নয় এবং দুদকের প্রতিবেদন সন্তোষজনক নয় উল্লখ করে সেদিন আদালত নতুন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশসহ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, ‘ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে শেখ সোহেল রানা তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রেসিডেন্সি কারেকশনাল হোম আলীপুর, ভারতে আটক ছিলেন। পত্রপত্রিকার খবরে দেখেছি, জামিন নিয়ে পরে সেখান থেকে সোহেল রানা পালিয়ে গেছেন। আর বিএফআইইউর পক্ষ থেকে ই-অরেঞ্জ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা ও ব্যাংক হিসাবের নম্বর উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই দিন শুনানি নিয়ে শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানিয়ে ফের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
১০০৫ দিন আগে
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক–কর ১৪ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
দেশের রপ্তানি ও আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ১৪ শতাংশ বাড়লেও তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে এনবিআর। তবে আগের অর্থবছর ২১ সালের চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে সংস্থাটি।
বিদায়ী অর্থবছরে এনবিআর আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং শুল্ক থেকে তিন লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্যের বিপরীতে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক–কর আদায়কারী সংস্থা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস গত অর্থ বছরে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা আদায় করেছে। এছাড়া আরেকটি বড় কাস্টমস হাউস বেনাপোল বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা আদায় করেছে।
সর্বোচ্চ ভ্যাট আদায় করেছে লার্জ ট্যাক্সপেয়ার ইউনিট (এলটিইউ)। সংস্থাটি ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং এলটিইউ (আয়কর) বিভাগ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভ্যাট রিটার্ন জমা দেবেন।
এছাড়া বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার কর পাওনা আছে এনবিআরেরর শুল্ক বিভাগের।
রাজস্ব কর্মকর্তারা আশা করছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া করের একাংশ পাওয়া গেলে রাজস্ব আদায় প্রথমবারের মতো তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
১২৪৬ দিন আগে
ফরিদপুর সদরের হাট-বাজারের ইজারা ৩ গুণ বৃদ্ধি
চলতি অর্থবছরে ফরিদপুর সদরের ৪৭টি ছোট বড় হাট-বাজারের ইজারা প্রদানে রাজস্ব আদায় গত অর্থ বছরের তুলনায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৭৫০ দিন আগে
বছরে ১২ কোটি টাকায় গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ইজারা
রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এক বছরের জন্য ১২ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
১৭৭৩ দিন আগে