রাজস্ব আদায়
রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএসসিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার (১ জুলাই) মেয়রের কাছে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ডিএসসিসি।
এসময় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি করেছিলাম, তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি রোধের মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ও সকলের কর্মতৎপরতায় এবার আমরা গত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
এর ফলে ঢাকাবাসীকে আরও বড় পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫১৩ কোটি ৯৬ লাখ, ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ, ৮৭৯ কোটি ৬৬ লাখ এবং ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
৪ মাস আগে
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি-খাস জমি রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ কিংবা মফস্বলের পতিত কিংবা অনাবাদি জমি, উর্বর কৃষি জমি, আবাসিক, বিলাসবহুল, শিল্প, শহরের বাণিজ্যিক এলাকার জমির ই-নামজারি ফি একই হওয়া উচিত নয়। জমির ব্যবহার ও মূল্যভিত্তিক ই-নামজারি নির্ধারণের আইনি দিক পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
নারায়ন চন্দ্র কর্মকর্তাদের বলেন, সারা দেশে খাস জমি, খাল-বিল ও জলমহল চিহ্নিত করতে হবে এবং ভূমি ডেটা ব্যাংকে এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপলোড করতে হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী নাগরিকদের ভূমি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন যোগাযোগ ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের কথা কেবল মুখে বললে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিলে হবে না, জাতির পিতার দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে: ভূমিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় বেড়েছে ১৫.০৯ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ।
৭ মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে রাজস্ব বোর্ড। এতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
৮ মাস আগে
ই-অরেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় না করায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ
ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) কেন আদালতের আদেশ ফলো (অনুসরণ) করছেন না? কারণ কী? উনি নিজেকে কি সম্রাট ভাবেন? যে ব্যাখ্যা ও তথ্য চাওয়া হয়েছে,তা দাখিল করতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন।’
এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানাব।’
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানের কার্যতালিকায় আসে।
শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। গত বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র হাতে এসেছে, যে কারণে হলফনামা করা হয়নি। এ সপ্তাহে দাখিল করা যাবে। তবে পত্রিকায় এসেছে, জামিন নিয়ে ভারতের কারাগার থেকে সোহেল রানা পালিয়ে গেছেন। ভারত থেকে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির প্রতিবেদন একই ধরনের।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আদেশ প্রতিপালনের জন্য সময় চাইলে আদালত সময় দিতে পারেন। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা এনবিআরের চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল করেননি। শেখ সোহেল রানার (বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক) বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোল কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে, যা পরে দেয়া হয়নি বলে রাষ্ট্রপক্ষের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে, যার নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিপোর্ট পাইনি।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘এনবিআরকে জানিয়েছিলেন কি?’
হ্যাঁ–সূচক জবাব দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না।
আদালত বলেন, ‘এনবিআরেরটিসহ দু’টি প্রতিবেদন একসঙ্গে দেবেন।’
একপর্যায়ে আদালত বলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান কে?
তখন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আমরা লাস্ট চান্স দিলাম। এটি দেখেন। বলে দেবেন, এবার প্রতিবেদন না দিলে ডাকা হবে। রেড নোটিশ জারি না হয়ে থাকলে, জারির ব্যবস্থা বা কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা দেখবেন। যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন। এই দু’টি দেন। বিষয়টি ২৭ মার্চ কার্যতালিকায় আসবে।’
ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেনসহ ছয়জন গ্রাহক গত বছর মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার ভাই সোহেল রানা, বিথি আক্তারসহ ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ব্যাংকসহ কার কোথায় কত ব্যক্তিগত সম্পদ আছে তা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয় রিটে।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদক, বিএফআইইউ ও সিআইডিকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
একই সঙ্গে গ্রাহক নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না,জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
সোহেল রানা,সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে রিট আবেদনকারীসহ প্রতারিত অন্যান্য গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বণ্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএফআইউর প্রধান, সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারকে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।
এরপর গত বছরের ৩ নভেম্বর বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আইজিপির প্রতিবেদন সুস্পষ্ট নয় এবং দুদকের প্রতিবেদন সন্তোষজনক নয় উল্লখ করে সেদিন আদালত নতুন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশসহ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, ‘ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে শেখ সোহেল রানা তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রেসিডেন্সি কারেকশনাল হোম আলীপুর, ভারতে আটক ছিলেন। পত্রপত্রিকার খবরে দেখেছি, জামিন নিয়ে পরে সেখান থেকে সোহেল রানা পালিয়ে গেছেন। আর বিএফআইইউর পক্ষ থেকে ই-অরেঞ্জ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা ও ব্যাংক হিসাবের নম্বর উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই দিন শুনানি নিয়ে শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানিয়ে ফের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক–কর ১৪ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
দেশের রপ্তানি ও আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ১৪ শতাংশ বাড়লেও তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে এনবিআর। তবে আগের অর্থবছর ২১ সালের চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে সংস্থাটি।
বিদায়ী অর্থবছরে এনবিআর আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং শুল্ক থেকে তিন লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্যের বিপরীতে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক–কর আদায়কারী সংস্থা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস গত অর্থ বছরে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা আদায় করেছে। এছাড়া আরেকটি বড় কাস্টমস হাউস বেনাপোল বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা আদায় করেছে।
সর্বোচ্চ ভ্যাট আদায় করেছে লার্জ ট্যাক্সপেয়ার ইউনিট (এলটিইউ)। সংস্থাটি ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং এলটিইউ (আয়কর) বিভাগ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভ্যাট রিটার্ন জমা দেবেন।
এছাড়া বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার কর পাওনা আছে এনবিআরেরর শুল্ক বিভাগের।
রাজস্ব কর্মকর্তারা আশা করছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া করের একাংশ পাওয়া গেলে রাজস্ব আদায় প্রথমবারের মতো তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
২ বছর আগে
ফরিদপুর সদরের হাট-বাজারের ইজারা ৩ গুণ বৃদ্ধি
চলতি অর্থবছরে ফরিদপুর সদরের ৪৭টি ছোট বড় হাট-বাজারের ইজারা প্রদানে রাজস্ব আদায় গত অর্থ বছরের তুলনায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩ বছর আগে
বছরে ১২ কোটি টাকায় গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ইজারা
রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এক বছরের জন্য ১২ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
৩ বছর আগে
রাজস্ব আদায় জোরদার করতে ছুটির দিনেও বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় জোরদার করতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে