সুরক্ষা
যশোরে গাছের সুরক্ষায় পেরেক অপসারণ কর্মসূচি
যশোর সামাজিক বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষায় গাছ সুরক্ষা (পেরেক অপসারণ) কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. রফিকুল হাসান মুন্সি মেহেরুল্লাহ সড়কে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন, নিষিদ্ধ হচ্ছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া’
আরও উপস্থিত ছিলেন— যশোর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মণ্ডল, যশোরের সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল ওয়াহিদ সরদারসহ যশোর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মাসব্যাপী চলমান এই কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে যশোর জেলার অন্যান্য গাছগুলো থেকে পেরেক অপসারণ করা হবে। আজ থেকে যশোর জেলাসহ বাংলাদেশের ২৮টি জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
৫০ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউনিসেফ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক অফিসের প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১ জুলাই থেকে ১৫ই আগস্টের মধ্যে যে ১ হাজার ৪০০ ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু ছিল। ইউনিসেফ এইসব মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতোমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে—তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি।
অভ্যুত্থানে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। তা ভাষ্যে, ‘এ সময় নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকিসহ নানাপ্রকার জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনার নথি পাওয়া গেছে।’
‘শিশুরাও এই সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি; তাদের অনেককে হত্যা করা হয়, পঙ্গু করে দেওয়া হয়, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়, অমানবিক অবস্থায় আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়।’
বিবৃতিতে শিশুদের ওপর সহিংসতার তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ফ্লাওয়ার্স। বলেছেন, ‘একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ধানমণ্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার কারণে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে; সেখানে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়ে আজমপুরের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে বলে— সব জায়গায় বৃষ্টিপাতের মতো গুলি চলছিল। সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল সেদিন।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সকল মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
প্রাপ্ত এসব ফলাফলের আলোকে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা-বিষয়ক ইউনিসেফের আগের বিবৃতিগুলোর জের ধরে বাংলাদেশের সমস্ত নীতিনির্ধারক, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শিশু, যুবসমাজ ও পরিবারগুলোকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারিয়ে ওঠার পাশাপাশি আশা সঞ্চার করে তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এজন্য তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘের শিশু-বিষয়ক এই সংস্থাটি:
প্রথমত, যেসব শিশু প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ও তাদের শোকাহত পরিবারের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, যারা এখনও আটক অবস্থায় আছে এবং যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনাগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাদের সবার জন্য পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজোট হওয়া।
তৃতীয়ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়টাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সার্বিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতা, দল ও নীতিনির্ধারকদের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একজোট হতে হবে, যাতে বাংলাদেশের কোনো শিশুকে আর কখনও এমন বিচার-বহির্ভূতভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে আটক থাকতে না হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে, যা তাদের অধিকার, তাদের যেন নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হতে না হয়। আর এভাবে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব।
জবাবদিহি ও সংস্কারের এই আহ্বানে ইউনিসেফ যেসব কাজে সহায়তা দিতে চায় তার মধ্যে রয়েছে—
১. শিশুদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বেআইনিভাবে আটকে রাখার ক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করা।
২. বিচার খাতের সংস্কার নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আদলে বাংলাদেশের আইনি কাঠামোকে সাজিয়ে তোলা।
৩. ভবিষ্যতে শিশু অধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ও নীরিক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৪. আমরা সবাই শিশুদের উপযুক্ত এমন বিচার ব্যবস্থা চাই, যেটি শিশুদের অপরাধী হিসেবে দেখবে না, শিশুদের হুমকি হিসাবে বিবেচনার পরিবর্তে তাদের কথা ও ব্যাখ্যা বুঝবে; তাদের যত্ন, সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সে মোতাবেক কাজ করবে।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লব চলাকালে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে: জাতিসংঘ
৫. যেসব শিশু অপরাধ করেছে বলে আদালতে সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের আটক করে না রেখে এর বিকল্প ব্যবস্থা বের করতে হবে। শাস্তি যা শিশুর স্থায়ী ক্ষতি করে, তার পরিবর্তে বিভিন্ন ডাইভারশন প্রোগ্রাম, প্রবেশন ও পুনর্বাসনমুখী বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
৬. শিশু-সংবেদনশীল আইনি প্রক্রিয়াগুলি নিশ্চিত করবে; যেখানে শিশুদের জন্য বিশেষ আদালত, আইনি সহায়তা এবং শিশু-সংবেদনশীল তদন্ত ব্যবস্থা থাকবে।
৭. শিশু ভুক্তভোগীদের রক্ষা করবে; ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে ভবিষ্যতে শিশুদের অধিকার এমন লঙ্ঘন না হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এখন বড় এক পরিবর্তন, প্রত্যাশা ও রূপান্তরের দ্বারপ্রান্তে। সংস্কার কমিশনগুলো বর্তমানে পুলিশ, আদালত ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে যেভাবে কাজ করছে, তাতে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও আরও ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ তৈরির সুযোগ রয়েছে।
৬২ দিন আগে
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নে বাকৃবি-মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণায় বাংলাদেশের মাটি ও পানি সম্পদের ওপর সংরক্ষণমূলক কৃষির প্রভাব, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হবে।
গবেষণা দলের প্রধান বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর ইউএনবিকে বলেন, ‘মাটি ও পানি সম্পদের ওপর কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং এই পদ্ধতির সম্প্রসারণের উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, সংরক্ষণমূলক কৃষি বা কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি টেকসই চাষাবাদের একটি আধুনিক পদ্ধতি যা মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক। এতে তিনটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়— ন্যূনতম চাষ, ফসলের আচ্ছাদন বজায় রাখা ও ফসলের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা।
গবেষণায় মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল ও ড. ডাভিনা বয়েড প্রজেক্ট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষি অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনীন জাহান।
ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর হলেও এর উর্বরতা দ্রুত কমছে। ২০১২ সাল থেকে মারডক বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে আমরা কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণে সহায়তা এবং মাটি ও পানির গুণগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করছি।’
আরও পড়ুন: বৃত্তি পেল বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী
গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ৮টি পিএইচডি ও ৪টি মাস্টার্স ফেলোশিপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর।
এটি দেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা, শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর।
‘বাংলাদেশে সংরক্ষণমূলক কৃষি গ্রহণে সহায়তা এবং মাটি ও পানির গতিশীলতার পরিবর্তন (সাকা)’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রকল্পে আরও অংশ নিয়েছে— বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), সংরক্ষণমূলক কৃষি সেবা প্রদানকারী সংস্থা (ক্যাসপা) ও পিআইও কনসাল্টিং লিমিটেড।
গবেষকরা আশা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় টেকসই পরিবর্তন আসার পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়বে।
৭২ দিন আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
২৫০ দিন আগে
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই ট্রাস্ট গঠন প্রমাণ করে সরকার সাংবাদিকবান্ধব।’
আরও পড়ুন: ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
এম এ আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিতভাবে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন। এসব কার্যক্রম সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অঙ্গীকারের বহিপ্রকাশ।
ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার কথাও এ সময় পুনর্ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
সভায় আরও ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জাফর ওয়াজেদ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দীপ আজাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কলিম সরওয়ার।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব হবে: টিআরএনবির সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী
৩১২ দিন আগে
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ, বিশেষত যুবকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রবিবার (২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সাসটেইনেবল বিয়ন্ড কনফ্লিক্ট: ফর্জিং ইকুইট্যাবল পিস থ্রু ইউনিফাইড অ্যাকশন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন্স ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতিসংঘের তিনটি গুরুতর সমস্যা হলো- জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও দূষণ সমাধান। এই সমস্যা সমাধানে যুবকদের নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, যুব সম্প্রদায়কে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শিখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকৃতিকে সুরক্ষা করে তার সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টায় অংশীদার হতে হবে।
তিনি বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস.ওয়াই. রমাদান, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব ও বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সৈয়দ রাশেদ আল-জায়েদ।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩১৯ দিন আগে
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এবং নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ডিএসসিসি এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে চায়।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ডিএসসিসির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময়’ সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা হলে আমরা মাঠ পর্যায়ে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের অনেক রোগীর তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এছাড়া যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আমাদের শুধু তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না,তাদের তথ্যও অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, যিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আবার যিনি ডেঙ্গু রোগী কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তার তথ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজউক প্রতিনিধির কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা চেয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা থাকে। রিহ্যাবের বাইরেও অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়। সেজন্য আপনারা যদি সেসব নির্মাণাধীন ভবনের তালিকাটা আমাদের কাছে সরবরাহ করেন তাহলে আমরা যৌথভাবে অভিযানগুলো পরিচালনা করতে পারব।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা সরবরাহ করা হবে বলে জানায় রাজউক।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
৩৩১ দিন আগে
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার জলবায়ু ঝুঁকি থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সুরক্ষার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন কার্যকরী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচে কাজ করার ফলে সমাজের অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। এজন্য জাতীয় সব পরিকল্পনায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের কথা বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ নিয়ে কাজ করা আফিয়া কবির আনিলার সঙ্গে আলাপকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯ সম্মেলনে জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা যাতে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে জীবনে সফল হতে পারে এবং তাদের জীবন সুরক্ষিত থাকে তার জন্য সরকার সবকিছু করছে।
আফিয়া কবির আনিলা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশ দূষণ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশের অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। তাই মানুষকে রক্ষায় ব্যাপকভাবে গাছ লাগানোসহ জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
মন্ত্রী এসময় তার বিভিন্ন দাবি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এরপূর্বে মন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ করেন।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে হতে হবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: পরিবেশমন্ত্রী
ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩৩৮ দিন আগে
পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যেসব সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন, তারা যদি কোনো প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন, সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপকমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
লিয়াকত বলেন, উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্তভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৩৪৮ দিন আগে
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন বলেন, ‘এটি প্রমাণিত যে যেসব সরকার সত্য প্রতিবেদনকে ভয় পায়, তারা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার ও অন্যান্য নজরদারি প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।’
গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় একটি প্রাণবন্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম যে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে- তার স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে প্রতি বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার গুরুত্ব উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
ব্লিংকেন বলেন, ‘স্বচ্ছ, প্রতিক্রিয়াশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের জন্য ভিন্নমতাবলম্বীসহ সঠিক তথ্য, ধারণা ও মতামতের অবাধ প্রবাহ অপরিহার্য।’
সাংবাদিকরা শুধু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সত্যের অন্বেষণে নজিরবিহীন বিপদের সম্মুখীন হন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্লিংকেন উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও প্রচারণার মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলো সামাজিক আলোচনাকে দুর্বল করছে। জনগণকে জানানোর, সত্য সামনে আনার এবং সরকারকে জবাবদিহি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করতে সাংবাদিকদের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
আরও পড়ুন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
৩৪৯ দিন আগে